প্রায় ১৭০০০ দ্বীপ দিয়ে পরিবেষ্টিত ইন্দোনেশিয়া দেশটির বৈচিত্র্য এতই বেশি যে, আপনি পাহাড়, নদী, সমুদ্র সবই পাবেন এখানে আপনার মন মতো। এত এত বৈচিত্র্যে আপনি হারিয়ে যেতেই পারেন। তাই ইতিবৃত্তের এই আয়োজনে থাকছে ইন্দোনেশিয়ার এমন কয়েকটি স্থানের নাম যা আপনার কোনো ভাবেই বাদ দেয়া চলবে না দেশটি ভ্রমণের সময় ।

Source: Indonesia Travel
জাকার্তা (Jakarta):
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা আপনার প্রথম ও শেষ স্থান হবে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণকালে। আপনি বিমান থেকে নামবেন ও উঠবেন এই জাকার্তায়ই। জাকার্তা বিখ্যাত তার আন্তর্জাতিক বিমান র্যুটের জন্য। জাকার্তার ব্যস্ত ও ঘনবসতিপূর্ণ রাস্তায় পা দিয়ে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে দেশটির সাথে। একবার তাল মিলিয়ে নিলেই দেখবেন পুরো দেশটি আপনাকে মুগ্ধ করতে শুরু করেছে। পর্যটকদের জন্য এটি নাইটলাইফ ও শপিং হেভেন বলে খ্যাত।

Source: YouTube
জুগাকার্তা (Yogyakarta):
ইন্দোনেশিয়ার এ স্থানটি অনেক পর্যটকের কাছেই বিশেষ আকর্ষণীয় এর পুরোনো ঐতিহ্যের জন্য। এছাড়াও ইন্দোনেশীয় খাবারের জন্য এ স্থানটি উল্লেখযোগ্য। বড় রাস্তা ধরে হেটে হেটে সহজেই হারিয়ে যেতে পারেন কোনো ছোট গলি ধরে। আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন বিভিন্ন জাতের পুতুল, রুপোর কারুকাজ, ইন্দোনেশীয় স্ট্রীট আর্ট ও খাবারের পসরা দেখে। প্রতিটি গলি যেন এক একটি উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। ‘বড়বুদুর’ ও ‘প্রেমবানান’ এর ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলোর দেখা পাবেন এই জুগাকার্তাতেই।

Source: Enchanting Travels
মাউন্ট ব্রোমো (Mount Bromo):
ইন্দোনেশিয়ায় এসে আপনার কোনোভাবেই বাদ দেয়া চলবে না ব্রোমো-টেংগার-সেমেরু ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত মাউন্ট ব্রোমো স্থানটিকে, যেখানে এখনো জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি দেখা যায়। ২৩২৯ মিটার উচ্চতার এই পর্বত ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ল্যান্ডমার্ক হিসেবে বিবেচিত হয়। মাউন্ট ব্রোমোর চূড়া থেকে সুর্যোদয় দেখার জন্য আপনি ভাড়া করতে পারেন কোনো জিপ অথবা উঠে পড়তে পারেন কোনো ঘোড়ার পিঠে। আপনি অবাক হয়ে যাবেন আগ্নেয়গিরির আড়াল থেকে উকি দেয়া সূর্যকে দেখে।

Source: Indonesia Travel
টোবা লেক (Lake Toba):
ভ্রমণের কষ্ট থেকে জিরিয়ে নিতে সোজা চলে যাবেন টোবা লেকে যার ঈষৎ উষ্ণ জল আপনার মন হরণ করবেই। আরামে চোখে ঘুমও চলে আসতে পারে। এই টোবা লেক কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভল্কানিক লেক। লম্বা ট্র্যাকিং বা ব্যাকপ্যাকিং শেষে পর্যটকদের বিশ্রাম নেয়ার উপযুক্ত স্থান এই লেকটি। ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণকালে একটা আরামদায়ক বডি মাসাজের পর একটা দুর্দান্ত খাবারের জন্য টোবা লেক আপনার অপেক্ষায় থাকবে।

Source: www.bali-indonesia.com
বালি (Bali):
ইন্দোনেশিয়া নামটা মনে আনলেই সাথে সাথেই বালি জায়গাটির নামও আমাদের মুখে চলে আসে। অনেকের কাছেই জায়গাটি ওভাররেটেড জায়গা হিসেবে ঠেকে বালি নিয়ে মাতামাতির জন্য। কিন্তু, তবুও এর সৌন্দর্য আপনাকে মাতিয়ে তুলতে বাধ্য। বালিতে আপনি খুঁজে পাবেন পছন্দসই সমুদ্রসৈকত, কুয়াশাচ্ছন্ন ভল্কানো ট্র্যাক এবং মনোমুগ্ধকর মন্দিরের সমারোহ। চাইলে রাতভর পার্টিতেও মেতে থাকতে পারেন বালিতে সৈকত সংলগ্ন কোনো নাইট ক্লাবে।

Source: Gili-Gili Fast Boat
লম্বক (Lombok):
দিনে দিনে এই স্থানটি পর্যটকমহলে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। নীল পানি ও সবুজ পাহাড়ে নির্জনতার স্বাদ পেতে চাইলে এই স্থানটি আপনার জন্যই। এডভেঞ্চার প্রিয় ট্র্যাভেলারদের হতাশ করবেনা লম্বকের গুনুং রিঞ্জানি (Gunung Rinjani) ট্র্যাকিং স্পটটি। লম্বকে আপনি চাইলে সমুদ্রের ঢেউয়ে সার্ফিং করতে পারবেন। যারা জনবহুল বালি এড়িয়ে নিসর্গের স্পর্শ পেতে চান তাদের প্রিয় জায়গা গিলি আইল্যান্ডটি এই লম্বকের খুব কাছেই অবস্থিত।

Source: Keywordsuggest.org
তানা তোরাজা (Tana Toraja):
পাহাড়ের উঁচু ভূমিতে অবস্থিত এই স্থানটি একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক নিদর্শন সমৃদ্ধ দ্বীপ। এই স্থানের উন্নত ঐতিহ্য, গ্রামাঞ্চল ও অনন্য উৎসবগুলো আপনার কাছে স্বপ্নের মত ঠেকবে। পাথরের বুকে কাজ করা বিভিন্ন ভবন এমনকি গোরস্থানও চোখে পড়বে আপনার।

Source: Capture Indonesia
বালিয়েম ভ্যালি (Baliem Valley):
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলটি ভ্রমণকালে আপনি ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সম্মুখীন হবেন। আপনি যদি তাদের কাউকে প্রাগৈতিহাসিক ধারায় পুজো-আর্চা করতে দেখেন, অবাক হবেন না। বালিয়েম ভ্যালির অঞ্চলগুলিতে ঠান্ডা বাতাস, ধোঁয়াশাচ্ছন্ন বেগুনি পাহাড় ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকজন আপনাকে বিমোহিত করবে।

Source: Taufiqurokhman
রাজা আম্পাট (Raja Ampat):
এই স্থানটি পৃথিবীর ও ইন্দোনেশিয়ার সেরা ডাইভিং প্লেস বা সমুদ্র সাঁতারের জায়গাগুলির অন্যতম। পৃথিবীর সেরা প্রবালগুলির ৭৫ ভাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই স্থানটিতে। হাজারো জানা-অজানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের আবাসস্থল এই রাজা আম্পাট ও সংলগ্ন অঞ্চলগুলি।

Source: Samuel Reno Travel
কমোডো ন্যাশনাল পার্ক (Komodo National Park):
এই ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানটি ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জীবিত সরিসৃপ কমোডো ড্রাগনের দেখা মেলে এখানে। আরো অজস্র প্রজাতির পাখি ও প্রাণির দেখা মিলবে কমোডো ন্যাশনাল পার্কে।
zofran dosage and frequency
rybelsus 14mg tablet – buy rybelsus 14 mg pills purchase desmopressin online
zyprexa cost