রবার্ট ফ্রস্ট: জীবন ও সাহিত্য

33

 

একাকীত্ব, বেদনাবোধ, সাংসারিক ও পারিবারিক জীবনের হতাশা যার মাঝে রোপন করেছিল কবিত্বের বীজ, আজীবন প্রকৃতির বিচিত্র নিসর্গে নিজ জীবনের অর্থ ফুটিয়ে তুলেছেন যে কবি, আরো স্পষ্ট করে যদি বলি, ইংরেজী সাহিত্যের সেরা ১০জন কবির তালিকা হলে যার নাম আধিপত্যের সাথে সামনের সাড়িতে থাকবে, তিনি কবি রবার্ট ফ্রস্ট ।

নিউ ইংল্যাণ্ডের ছোট্ট একটি গ্রামে বেড়ে উঠা এ কবি, প্রকৃতির মাঝেই নিজ আবেগ, বেদনাবোধ এবং অতৃপ্তির ছবি একেছেন কবিতার রঙতুলি দিয়ে । লিখেছেন প্যাচপ্যাচে তুষার, জোনাকি, হেমলকের ডাল থেকে খসে পরা বরফ নিয়ে অপূর্ব সব কবিতা । চারবার পুলিৎজার পুরষ্কারপ্রাপ্ত এ কবি, কোন উদ্দীপনায় নিজেকে গড়ে তুলেন কবি হিসেবে, পাঠক হিসেবে তা জানতে ইচ্ছে হয় অনেকেরই । তার এই কবিত্বের পিছনে কি লুকায়িত রয়েছে, কোনো অপ্রাপ্তি নাকি গভীর হতাশাবোধ । জানতে হলে ফিরে যেতে হবে তার শৈশবে । অতীত ঘেটে ঘুরে আসতে হবে নিউ ইংল্যান্ডের ছোট্ট গ্রামটিতে ।

সময়টা ১৮৭২ সাল । পেশায় সাংবাদিক উইলিয়াম প্রেফকট ফ্রস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেন সাহিত্যমোদী ইসাবেল মুডিকে । ১৮৭৪ সালের ২৬ই মার্চ তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় এক পুত্রসন্তান । বাবা মা উভয়ই খুব খুশি হলেন ঐ চাদঁমুখো শিশুটিকে পেয়ে । তবে সমস্যাটা শুরু হয় ছেলের নাম রাখা নিয়ে । একদিকে সাহিত্যানুরাগী মা ইসাবেল মুডি চেয়েছিলেন ছেলের নাম হবে বিশ্বখ্যাত কবি রবার্ট বার্নসের নামানুসারে । অন্যদিকে মায়ের দেয়া এমন নাম মনঃপূত হলোনা বাবা উইলিয়ামের । তিনি চাইলেন জননন্দিত ব্যক্তিত্ব জেনারেল লি এর নামের অনুকরনেই রাখা হবে নবজাতকের নাম । সবশেষে, দুজনের নামের প্রতিই শ্রদ্ধা রেখে এই শিশুর নাম রাখা হয় রবার্ট লি ফ্রস্ট । অবশ্য, এ শিশুটিই পরবর্তীতে পৃথিবী জুড়ে পরিচিত হন রবার্ট ফ্রস্ট হিসেবে ।

রবার্ট ফ্রস্ট
রবার্ট ফ্রস্ট
Source: Twitter

তবুও একবিংশ শতাব্দীর এমন সময়ে, কবির ভক্ত হিসেবে খুব জানতে ইচ্ছে হয়, ছোট্ট শিশুটির নাম রাখতে গিয়ে ফ্রস্টের পিতামাতা ভেবেছিলেন কি, একদিন রবার্ট ফ্রস্ট নামটিই পুরো পৃথিবী জুড়ে একটি অনুকরণীয় নাম হয়ে উঠবে । কিংবা কখনো কি ভেবেছিলেন, সেসময়ের ঐ নবজাতক আমেরিকার মতো প্রভাবশালী একটি রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির অভিষেক উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথির মর্যাদা নিয়ে The gift of the outright কবিতাটি আবৃত করতে পারবেন । তাছাড়া কবির Stopping by woods শিরোণামের কবিতাটি পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জীবনের শেষ প্রহরে সান্ত্বনার বাণী হয়ে উঠবে এমনটা কেউ ভাবতে পেরেছিলেন কিনা কে জানে ।

নিজেকে খুব গর্বের সাথে একজন নিউ ইংল্যান্ডের অধিবাসী দাবী করলেও রবার্ট ফ্রস্টের জন্ম হয়েছিলো সানফ্রানসিসকোয় । রবার্টের বাবার পূর্বপুরুষরা “মেইন এন্ড নিউ হ্যাম্পাশায়ার” এ বাস করতেন । পরে বাবা উইলিয়াম ফ্রস্ট হাভার্ড থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে, স্কটিশ মহিলা ইসাবেল মুডির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং শিক্ষকতার মতো মহানব্রতকে পেশা করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করতে লাগলেন । বিয়ের পর তারা পূর্বপুরুষদের আবাসস্থল ছেড়ে সানফ্রানসিসকোয় স্থানান্তরিত হন । আর এখানেই জন্ম হয় কবি রবার্ট ফ্রস্টের । সানফ্রানসিসকোতেই শৈশব কাটছিলো রবার্টের । খুব ভালোভাবেই কাটছিলো বলা যায় । কিন্তু ভালো থাকা খুব বেশী স্থায়ী হলোনা । কালবৈশাখী ঝড়ের মতো তার জীবনের গতিপথ এলোমেলো করে দিল একটি ঘটনা । ১৮৮৫ সালে ক্ষয়রোগে মৃত্যুবরণ করেন তার বাবা উইলিয়াম ফ্রস্ট । এরপর কিছুদিন তার বাবার সমাধিস্থল তথা লরেন্সে তার দাদা দাদীর বাড়িতে অবস্থান করে, তার মা তাদের নিয়ে আসেন নিউ হ্যাম্পশায়ারে ।

নিউ হ্যাম্পশায়ারে আসার পর ফ্রস্ট আবর্তিত হতে থাকেন ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে । বাবা মায়ের কোলে বেড়ে উঠা আদরের ছোট্ট ছেলেটি কখনো হয়েছেন দিনমজুর, কখনো জুতার দোকানের কর্মচারী কিংবা কখনো কারখানার শ্রমিক । আবার কখনো ঠেলেছেন পশমের ববিন বোঝাই গাড়ি । তবুও থেমে থাকেনি কবির সাহিত্য সাধনা । জীবনসংগ্রাম থেকে প্রাপ্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা চিত্রায়িত করেছেন তার কবিতার অসামান্য লাইনগুলোতে । জীবনের প্রথম দিককার কবিতাগুলোয় ভেসে উঠেছে নিউ হ্যাম্পাশায়ারের পথ, ঘাট, প্রকৃতি । তার কবিতায় ফুটে উঠেছে শরতের পাতা ঝরা রঙ ঝলমলে দিন, গ্রীষ্মের আলোকিত লম্বা দুপুর । আর বসন্তের সন্ধিক্ষণে পরিযায়ী পাখিদের ফিরে আসার গল্প ।

তার এই সাহিত্য সাধনার শুরুর দিকে চরম বাধার সম্মুখীন হন তার আশেপাশের বন্ধুদের দ্বারা । উপহাসের পাত্র হয়েছিলেন বহুবার । তবু তিনি তার লক্ষ্যপ্রান্ত থেকে সড়ে আসেননি । তাই হয়তো লিখে গিয়েছিলেন,

“Two roads diverged in a yellow wood, and I

I took the one less traveled by,

And that has made all the difference.”

রবার্ট ফ্রস্টের প্রথম দুটি কবিতা প্রকাশিত হয় ১৮৯০ সালে । তার স্কুল বুলেটিনে । প্রথম কবিতার নাম ছিলো “লা নচে ট্রিস্ট” আর দ্বিতীয়টি “দ্যা সং অব দ্যা ওয়েভ”। পরের বছর ঐ স্কুল বুলেটিনের ইডিটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ফ্রস্ট । স্কুল জীবন শেষ করে হাবার্ট কলেজে ভর্তি হন ফ্রস্ট । তবে অর্থনৈতিক দুর্দশায় কলেজ ছাড়তে হয় তাকে । এরপর ১৮৯২ সালে ডারমাউথ কলেজে ভর্তি হন তিনি । এসময় তার স্কুল জীবনের সহপাঠিনী এলিনর মেরিয়ামকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হন । ডারমাউথ কলেজে থাকাকালীন মেথুয়েনের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি । ১৮৯৪ সালের মার্চে “দি ইনডিপেন্ডেন্ট” পত্রিকায় তার কবিতা “মাই বাটারফ্লাই” এবং “এ্যান এলিজি” প্রকাশিত হয় । বিনিময়ে তিনি ১৫ডলার সম্মানী পান । এ অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি “টোয়াইলাইট” বইয়ের দুটি কপি প্রকাশ করেন । তার একটি কপি তিনি প্রাণপ্রিয় এলিনরকে উপহার করেন । ভাগ্যের পরিহাস এমন হলো যে, এলিনর বইটি ছুড়ে ফেলে দেন । এঘটনার পর রবার্ট মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পরেন যে, তিনি সেই স্থান ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন ।

এলিনর ও রবার্ট ফ্রস্ট
এলিনর ও রবার্ট ফ্রস্ট
Source: Robert Frost – blogger

এতসব নাটকীয়তা শেষে ১৮৯৫ সালের ১৯ডিসেম্বর লরেন্সে এলিনরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রবার্ট । ১৮৯৬সালের ২৫সেপ্টেম্বর তাদের প্রথম সন্তান ইলিয়টের জন্ম হয় । যদিও কয়েক বছর পরই তাদের এই সন্তান মৃত্যুবরণ করে । ১ম সন্তানের মৃত্যুতে তার স্ত্রী এলিনর প্রবল মানসিক আঘাতে ভেঙে পরেন । আর এর ফলে রবার্টের স্বাস্থ্যেরও চরম অবনতি ঘটে । সে বছরের ২ নভেম্বর তার মাও মৃত্যুমুখে পতিত হন । মা ও সন্তানের শোক কাটাতে না কাটাতেই পরের বছর তার দাদাও পাড়ি জমান পরপারে । এসব ঘটনা রবার্টের জীবনের স্বাভাবিক গতি একেবারেই মন্থর করে ফেলে । তাই হয়তো এসময়ে নিজেকে একটি নীল পাখির সাথে তুলনা করে লিখেছিলেন,

“I have wished a bird would fly away,

And not sing by house all day;

Have clapped my hands at him from the door,

When it seemed as if I could bear no more.

The fault must partly have been in me,

The bird was not to blame for his key.

And of course there must be something wrong,

In wanting to silence my song.”

"এ বয়েজ উইল"  কাব্যগ্রন্থ
“এ বয়েজ উইল” কাব্যগ্রন্থ
Source: Jett Whitehead

সবশেষে ১৯১২ সালে তিনি সপরিবারে ইংল্যাণ্ডে চলে আসেন এবং লোখালেখিতে মনোযোগ দেওয়া শুরু করেন । ১৯১৩ সালে “এ বয়েজ উইল” নামে তার একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় । এ বইটি রবার্টকে সেসময়ের খ্যাতি প্রাপ্ত লেখকদের সান্নিধ্যে আসতে সাহায্য করে । এরপরের বছর মে মাসে তিনি “নর্থ অব বোস্টন” নামে আরেকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন । এই বইটি কবিকে জগৎজোড়া খ্যাতি দেন । সেসময়ের বিখ্যাত সব পত্রপত্রিকায় আলোচনা সমালোচনা করা হয় তার বইটিকে নিয়ে । এসময় কবির বন্ধু টমাস তাকে আরো বেশী করে কবিতা লিখতে পরামর্শ দেন । তবে দুঃখের বিষয়, এসময় বিশ্বের বুকে নেমে আসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কালো ছায়া । যে ছায়া থেকে পালাতে পারেননি কবি রবার্ট ফ্রস্টও । ইংল্যান্ডের তৎকালীন সরকার তাকে আমেরিকার গোপন গোয়েন্দা হিসেবে সন্দেহ করেন । ফলে পরের বছর ১৯১৫ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি ফ্রস্ট চলে যান নিউওয়ার্কে । সে বছরের ২০ফেব্রুয়ারি তার লিখিত “নর্থ অব বোস্টন” পুনরায় প্রকাশিত হয় । এরপর ১৯১৬সালে রবার্ট প্রকাশ করেন- “মাউন্টেন ইন্টার্ভাল” নামের একটি গ্রন্থ । একই বছরেই তিনি আর্মহাস্ট কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন । ১৯১৭ সালে তিনি আর্মহাস্টে স্থানান্তর হন । তবে আর্মহাস্টে তার কর্মজীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি । কলেজ কমিটির সাথে মতবিরোধের কারন হেতু ১৯২০সালে ঐ কলেজ হতে ইস্তফা নেন রবার্ট । ১৯২১সালের মার্চে কুইন্স ইউনিভার্সিটি  তাকে “পোয়েট ইন রেসিডেন্স” মনোনীত করে । এবছরই মিসিগান ইউনিভার্সিটি থেকে ফেলোশিপ পান ।

"মাউন্টেন ইন্টার্ভাল" গ্রন্থ
“মাউন্টেন ইন্টার্ভাল” গ্রন্থ
Source: Amazon India

১৯২৩ সাল ছিলো রবার্টের সাফল্যের স্বীকৃতি পাওয়ার বছর । সে বছর তিনি ডারমণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে LHD পুরষ্কার লাভ করেন । এসময় রবার্ট পুনরায় তার পূর্বের কর্মস্থল আর্মহাস্ট কলেজে নিযুক্ত হন । সেখানে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন, ১৯২৩ সালে কোয়ান্টাম মেথডের জন্য নোবেল প্রাপ্ত পদার্থবিজ্ঞানী নিলস বোর । সে বছরই তিনি প্রকাশ করেন তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ “নিউ হ্যাম্পাশায়ার” । যেটি ১৯২৪ সালে তাকে পুলিৎজার পুরষ্কার এনে দেয় । পুলিৎজার পাওয়ার পরপরই মিডিলবুরি কলেজ ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রী প্রদান করে । মিশিগান ইউনিভার্সিটি থেকে পান আমরণ ফেলোশিপ । ১৯২৮ সালে রবার্টের ছোট বোন জিনি মৃত্যুবরণ করলে, আবারও তিনি মানসিকভাবে প্রচণ্ড ভেঙ্গে পরেন । এর দুবছর পর ১৯৩০ সালে “কালেক্টেড পয়েমস” প্রকাশিত হয় । এ বইটির জন্য ১৯৩১ সালে পুনরায় পুলিৎজার পুরষ্কার লাভ করেন । এরপর ১৯৩৪সালে তার কণ্যা মার্জরি মৃত্যুবরণ করলে, দারুন শোকাহত হন রবার্ট । ১৯৩৬ সালে শোকাভূত কবি লিখে ফেললেন “এ ফার্দার রেন্জ” নামক একটি গ্রন্থ । যা পরের বছর তাকে ৩য় বারের মতো পুলিৎজার পুরষ্কার এনে দেয় । সাথে সাথে তাকে আমেরিকান ফিলোসফিকাল সোসাইটির সদস্য করা হয় । ১৯৩৯ সালে তিনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আর্টস এন্ড লেটারস এর থেকে নিউইয়র্ক স্বর্ণপদক পান । এবছরই মে মাসে তিনি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ” রালফ ওয়ালডো এমার্সন ফেলো” হিসেবে যোগদান করেন । ১৯৪২ সালে প্রকাশ করেন  A winter age নামের একটি কাব্যগ্রন্থ । মাত্র দু মাসেই বইটি প্রায় দশ হাজার কপি বিক্রি হয় এবং বইটি তাকে ৪র্থ বারের মতো পুলিৎজার পুরষ্কারে ভূষিত করে ।

"নিউ হ্যাম্পাশায়ার"
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ “নিউ হ্যাম্পাশায়ার”
Source: vintage is the new black

রবার্ট ফ্রস্টই একমাত্র কবি, যিনি পরপর চারবার পুলিৎজার পুরষ্কারে ভূষিত হন । এরপর নির্দিষ্ট বিরতিতে উনার বই প্রকাশিত হতে থাকে । “স্টিপল বুস”, “এ ম্যাক্স অব মারসি”, “এ কম্প্লিট ওয়ার্ক অব রবার্ট ফ্রস্ট” নামের গ্রন্থগুলো বেশ সমাধৃত হয় পাঠকমহলে ।

কবির জীবনের শেষ সময়টা ছিলো সম্মান এবং প্রাপ্তির । জীবন-মরনের এমন সন্ধিক্ষণে এসে রবার্ট নিজেকে প্রমাণ করেন আমেরিকা সহ পুরো পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ট কবি হিসেবে । পেয়েছিলেন কনগ্রেশনাল এওয়ার্ডের মতো অসাধারন সব সম্মামনা । ১৯৬১ সালে জন এফ কেনেডির অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে রবার্ট অন্যতম । পরের বছর ১৯৬২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গুডউইল গ্রুফের সদস্যও করা হয় তাকে ।

সাহিত্যজগৎ এর প্রতাপশালী লেখক এবং বিশ্বজুড়ে সমাধৃত এ কবির কবিতাগুলো পাঠকসমাজের কাছে আনন্দময় হলেও, কবির ব্যক্তিগতজীবন ছিলো হতাশা এবং জটিলতার চাদরে মোড়ানো । ছোটবেলায় পিতা হারানোর পর তার অভিজ্ঞতায় একে একে জমা হয় স্ত্রী, পুত্র এবং বোন হারানোর বেদনাময় স্মৃতি ।  যা কবিকে চরম হতাশায় নিমজ্জিত করে, আর তাকে ঠেলে দেয় একাকীত্বের দিকে । অনেকেই বলেন, চার চারবার পুলিৎজার পুরষ্কার প্রাপ্ত এ কবি নোবেল না পেয়ে, জীবনের শেষ দিকে এসে নিজ সাহিত্য দক্ষতা নিয়ে নিজেই সন্ধিহান হয়ে উঠেন ।

কবির জীবন ও সাহিত্য, নিঃসন্দেহে আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনের দর্শন হিসেবে কাজে লাগতে পারে । জীবনযুদ্ধে জয়ী মহান এ কবির পরলোকগমন হয় ১৯৬৩ সালের ২০ জানুয়ারি ।

 তথ্যসূত্র:

 (১) এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা

 (২) উইকিপিডিয়া

Leave A Reply
33 Comments
  1. RickyGrila says

    mexican pharmacy purple pharmacy mexico price list mexico drug stores pharmacies

  2. MarcelZor says

    https://canadaph24.pro/# canadian pharmacy no scripts

  3. RickyGrila says

    top 10 online pharmacy in india indian pharmacy online shopping pharmacy india

  4. MarcelZor says

    http://canadaph24.pro/# legitimate canadian pharmacy online

  5. RickyGrila says

    canadian pharmacy ratings Large Selection of Medications from Canada canadian discount pharmacy

  6. MarcelZor says

    https://canadaph24.pro/# best canadian online pharmacy

  7. RickyGrila says

    reputable mexican pharmacies online cheapest mexico drugs best online pharmacies in mexico

  8. MarcelZor says

    http://indiaph24.store/# mail order pharmacy india

  9. RickyGrila says

    best canadian online pharmacy canadian pharmacy meds reviews onlinepharmaciescanada com

  10. MarcelZor says

    http://indiaph24.store/# top 10 online pharmacy in india

  11. Eefoaf says

    rybelsus 14mg ca – glucovance oral purchase desmopressin for sale

  12. RickyGrila says

    pharmacy website india indian pharmacy buy prescription drugs from india

  13. MarcelZor says

    http://indiaph24.store/# online shopping pharmacy india

  14. RickyGrila says

    п»їlegitimate online pharmacies india indian pharmacy top online pharmacy india

  15. MarcelZor says

    http://mexicoph24.life/# medicine in mexico pharmacies

  16. RickyGrila says

    best canadian online pharmacy canadian pharmacies pharmacy com canada

  17. Hkshlb says

    order lamisil – order fulvicin 250 mg without prescription grifulvin v pill

  18. RickyGrila says

    п»їbest mexican online pharmacies mexico pharmacy purple pharmacy mexico price list

  19. MarcelZor says

    https://canadaph24.pro/# canadian mail order pharmacy

  20. RickyGrila says

    indianpharmacy com buy medicines from India buy medicines online in india

  21. MarcelZor says

    http://canadaph24.pro/# online canadian pharmacy reviews

  22. RickyGrila says

    canadian pharmacy world Licensed Canadian Pharmacy canadian pharmacy store

  23. MarcelZor says

    https://canadaph24.pro/# canadian drugs

  24. RickyGrila says

    canada drugs reviews Certified Canadian Pharmacies canada drugs

  25. RickyGrila says

    online shopping pharmacy india Cheapest online pharmacy cheapest online pharmacy india

  26. MarcelZor says

    https://indiaph24.store/# world pharmacy india

  27. RickyGrila says

    п»їbest mexican online pharmacies Online Pharmacies in Mexico buying from online mexican pharmacy

  28. MarcelZor says

    https://canadaph24.pro/# canadian pharmacy meds review

  29. RickyGrila says

    best india pharmacy indian pharmacy fast delivery india online pharmacy

  30. MarcelZor says

    http://indiaph24.store/# india pharmacy

  31. RickyGrila says

    pharmacies in mexico that ship to usa Online Pharmacies in Mexico best online pharmacies in mexico

  32. MarcelZor says

    http://canadaph24.pro/# legal canadian pharmacy online

  33. RickyGrila says

    world pharmacy india Generic Medicine India to USA india online pharmacy

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More