‘১৪ বিশ্বকাপ এবং ‘১৬ ইউরো বিপর্যয়ের পর যখন লোপেটেগুইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, অন্য সবার মত আমিও ছিলাম সন্দিহান। আর বছর দুয়েক পর যখন তারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করছে অন্য সবার মত আমিও একমত, এই স্পেন ‘১৪ কিংবা ‘১৬ এর স্পেন নয়। এই স্পেন অন্য রকম। তারা তাদের পজেশনাল ফুটবলকে আধুনিকতার অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
লোপেটেগুইকে স্পেন ফেডারেশনের দায়িত্ব দেওয়ার কারণ ছিল মূলত স্পেনের বয়সভিত্তিক দলে তার পারফরম্যান্স। তার অধীনে স্পেন অনুর্ধ ১৯ এবং ২১ বিশ্বকাপ জিততে সমর্থ হয়। তার থেকে বড় কথা, তার অধীনে স্পেনের রেকর্ড। স্পেনের অনুর্ধ-২১ দলে দুই বছর দায়িত্ব পালন করে লোপেটেগুই। আর সেখানে তার জয়ের হার ছিল ১০০%। হা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০০% সে কখনো ম্যাচ হারেনি কিংবা ড্র ও করেনি। পাশাপাশি প্রতি ম্যাচে গোল ছিল সর্বনিম্ন ৩টি। বর্তমান স্পেন দলটি সেই অনুর্ধ ২১ দল থেকে উঠে আসা তারকাদের নিয়ে তৈরী। ডে গেয়া, কার্ভাহাল, কোকে, রদ্রিগেগো, থিয়াগো, নাচো, ইস্কো সবাই ছিল ওই সময়ের অনুর্ধ ২১ দলের গুরুত্বপুর্ণ সদস্য। এইটা বলার অবকাশ রাখে না যে, এইবারের বিশ্বকাপে স্পেনের স্বপ্ন অধিকাংশ নির্ভর করছে এদের উপর।
খেলোয়াড়ি জীবনে রিয়াল বার্সা দুই দলেই খেলেন লোপেটেগুই। এমনকি একসময় রিয়ালের ক্যাসিলাতে ও কোচিং করান তিনি। তার খেলার ধরনেও পাওয়া যায় দুই দলের প্রতিচ্ছবি।
স্পেন দল নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমে যে প্রশ্ন মাথায় আসে তা হল, কারা প্রথম একাদশে থাকবে। স্পেন দলটা এতটাই মেধা ভরপুর যে একটা কোচের জন্য প্রথম একাদশ গঠন করা খুবই কঠিন। তবে ২৩ সদস্যের স্কোয়াড দেখে মোটামুটি আন্দাজ করা যায়, কোচ সব কিছুর জন্যই এই দলকে প্রস্তুত রেখেছে। কাউন্টার সিস্টেম দরকার পড়লে খুব সহজে দুই প্রান্তে এসেনসিও,ভাসকেস, আসপাসদের ডিপ্লয় করা যায়।
যদিও এই স্পেন দলের মুল শক্তি তাদের মিড। শুধু ইউরোপ নয় এইবারের বিশ্বকাপে সব থেকে সেরা মিড নিয়ে যাচ্ছে স্পেন। আর এই মিডের উপর ভর করেই তারা জিতেছিল ‘১০ এর বিশ্বকাপ। এই দলটাও ‘১০ এর মত বল পজেশন রাখতে পছন্দ করে। তবে ‘১০ আর ‘১৮ এর দলটার মধ্যে পার্থক্য হল তাদের প্রেসিং স্টাইল। ‘১০ এর দলটি হাই প্রেস করতে পছন্দ করত না। শুধুমাত্র নিজেদের অর্ধে আসলে তারা ইন্টেনসিটি দিয়ে প্রেস করত। আর মুলত এইজন্যই পরবর্তীতে ‘১৪ এবং ‘১৬ তে দেল বক্স এর ট্যাকটিস অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। লোপেটেগুই মুলত এই জায়গা নিয়েই কাজ করে।এই দলের মূল শক্তি তাদের হাই প্রেস আর কাউন্টার প্রেস।
লোপেটেগুই এর স্পেন আপনাকে এক সেকেন্ডের জন্য ও প্রেস করতে ছাড়বে না। আর প্রেস করার সময় লোপেটেগুই চেষ্টা করে যত সম্ভব ম্যান সামনে পাঠানো যায় যাতে প্রতিপক্ষ ভুল করতে বাধ্য হয়। আর এই জন্য তাদের ডিফেন্সিভ লাইন ও হয় হাই। ডিফেন্স লাইন এতটা হাই রাখা হয় যে মাঝে মাঝে পিকে রামোস হাফ লাইনে এসে প্রেস করতে থাকে। এতে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিপক্ষের এলোপাথাড়ি শট দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। বেশি চিন্তা করতে গেলে বল হারিয়ে ফেলবে। এখন কথা হল, তারা কিভাবে এতটা ইনটেনস ফুটবল খেলতে পারে?
খেয়াল করলে দেখবেন, এই দলে যারা খেলা সবাই বার্সা, রিয়াল, ম্যানসিটি, বায়ার্নর মত ক্লাবে খেলে যারা স্বভাবিক ভাবে হাইপ্রেস করতে অভ্যস্ত। আর ওই দলগুলো ও এই সব প্লেয়ারকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে। তাছাড়া, এই দলের অন্যতম একটি শক্তি হল তাদের পজিশনাল সেন্স। তারা খুব ভাল করে স্পেস রকজানাইজ করতে পারে। মোটামুটি সব প্লেয়ার। আক্রমণ করার সময় তারা যে কাজটি করে তা হল আক্রমণের সময় যততা সম্ভব পিচ বড় রাখতে। পজেশনাল ফুটবলের মূল ভিত্তি। আক্রমণটা হয় একদম বেসিক ফুটবলের মত। দুই প্রান্তে দুইটা ফুলব্যাক পিচ ওয়াইড করতে সাহায্য করে, খেলা বিল্ড আপ করার জন্য কখনো উইংগার কখনো বা মিড নিচে নেমে আসে। মোট কথা হল, যেই খেলা বিল্ড করতে নিচে নেমে আসুক না কেন পাশে থাকা অন্য প্লেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে ওই স্পেস কভার দিবে। ফলে যেইতা হয়, আপনি কখনো স্পেনের প্লেয়ারদের মার্ক করতে পারবেন না। ম্যান মার্কিং করতে গেলে আপনার ডিফেন্সিভ অর্গানাইজেশন ভেঙ্গে যাবে। আর স্পেনের প্লেয়াররা নিজেদের মধ্যে পজিশন ইন্টারচেঞ্জ করে অনেক বেশি। তাই প্রতিপক্ষের জন্য তাদের মার্ক করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে।
আক্রমণভাগে স্পেন দলের মূল প্লেয়ার হল ৩টি। সিলভা, ইনিয়েস্তা, আর ইস্কো। ইস্কো অনুর্ধ-২১ থেকে ট্রাম্প কার্ড ছিল লোপেটেগুইএর। সেবার ৩টি গোল করে স্পেনের সেকেন্ড গোলস্কোরার ছিল ইস্কো। আর গোলগুলো করেছিল কখন? সেমিফাইনার, ফাইনালের মত ম্যাচে। তাই স্পেনের ভাগ্য এইবার অধিকাংশে নির্ভর করছে মাদ্রিদের এই স্টারের উপর।
ইস্কো মাদ্রিদের রোলটিই প্লে করে জাতীয় দলে। লোপেটেগুই তাকে এবং সিলভাকে ফ্রী রোল দিয়েছে। আর এই দুইজনেই বিটুইন দ্যা লাইনের প্লেয়ার। তারা নিজেদের এমনভাবে লাইনের মাঝে সেট করে যাতে খুব সহজে ওয়ান টু ওয়ান খেলে যে কেউ বল নিয়ে ভিতরে ঢুকে যেতে পারে। তাই আপনি যে ডিফেন্স সিস্টেম সেট করেন না কেন নিজেদের দিনে এরা যে কোন ডিফেন্স ভেঙ্গে দিতে পারে চোখের পলকে। আর এই জন্য মূলত আক্রমণ করার সময় তারা ৪-৩-৩ অথবা ৪-২-৩-১ কে বেছে নে। তবে ফরমেশন যাই হোক না কেন একমাত্র বুসকেটস ছাড়া সবার পজিশনই এইখানে ইন্টারচেঞ্জ হয়। এমনকি লোপেটেগুই এর অধীনে রামোসকে মাঝে মাঝে রাইট ব্যাক হিসেবে খেলতেও দেখা গিয়েছে।
স্পেন ব্যাক থেকে বিল্ড করতে পছন্দ করে। প্রতিপক্ষ হাই প্রেস দল হলে ৪-২-৩-১ শিফট করে তারা। একই কাজ করত দেল বক্সের স্পেনও। থিয়াগো অথবা কোকেকে এনে তারা রেজিস্তা হিসেবে ব্যবহার করতে পারে খেলা বিল্ড করার জন্য। আর যদি প্রতিপক্ষ ডিপে বসে থাকে সেক্ষেত্রে তাদের চয়েস হল ৪-৩-৩। তারা নিজেদের মধ্যে পাসিং অপশন সৃষ্টি করে চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের ফাইনাল থার্ডে পিন করার জন্য।
আগে বলেছি, এই স্পেন দল হাইপ্রেস করতে পছন্দ করে। বলেছিলাম তারা প্রতিপক্ষকে ভুল করাতে চেষ্টা করে। কিন্তু কোন ভাবে যদি প্রতিপক্ষ তাদের প্রেস ব্রেক করতে সমর্থ হয় তখন কি হবে? লোপেটেগুই এইখানেও তারা মেধার প্রমান রাখে। বলের অবস্থান ভেদে লোপেটেগুই এর স্পেন ৪-৪-২ এবং ৪-১-৪-১ সিস্টেমে ডিফেন্ড করে। এই থেকে বোঝা যায়, তিতে, লো, জিদানের মত লোপেটেগুই এর কোন ফিলোসফি নেই। এরা প্রাগমেটিক। এই সম্পর্কে লোপেটেগুইকে ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাস করা হলে তার উত্তর ছিল, ” পারফেকশন বলে ফুটবলে কিছু নেই।এইতা একটা ইলুইশন মাত্র। স্পেন দলটি অতীতের দলের মত খেলতে পারবে না কারণ তাদের প্রতিপক্ষরা নিজেদের সময়ের সাথে এডাপ্ট করে নিয়েছে।আমাদেরকেও সময়ের সাথে এডাপ্ট করে নিতে হবে। একটা দল তখনই ভাল হয় যখন সে সব ধরনের সিচুয়েশনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আমাদের মুল চেষ্টা হল, প্রতিপক্ষের খেলার স্টাইলের সাথে এডাপ্ট করে নিজেদের স্ট্র্যাটেজি দিয়ে ম্যাচ বের করে আনা। সেইটা এগ্রেসিভ হোক কিংবা অর্গাইনাইজড ওয়েতে।ম্যাচ জয়টাই বড় কথা। ” ঠিক একই কথা আমরা মাদ্রিদে জিদানকে বলতে শুনেছি ম্যাচের পর ম্যাচ।
ব্রাজিল নিয়ে আমার লেখায় বলেছিলাম, তিতেও ৪-১-৪-১ এবং ৪-৪-২ সিস্টেম ব্যবহার করে ডিফেন্সের জন্য। মজার ব্যাপার হল ফরমেশন একই হলেও অনেক পার্থক্য আছে ইমপ্লিমেন্টশনের সময়। তিতে ৪-১-৪-১ ব্যবহার করে নিজেদের অর্ধে বলা হারিয়ে ফেললে। আর লোপেটেগুই ব্যবহার করে বল হাফ স্পেসে খেলা হলে। এর মুল কারণ হল, হাফ স্পেসে ৪-১-৪-১ হলে প্রতিপক্ষের সামনে বল প্লে করার অপশন থাকে না।
ছবিতে দেখুন, হাফস্পেসে বল থাকা অবস্থায় কিভাবে তারা প্রেস করে। এবং মিডফিল্ডে এমন ডায়মন্ড করার মুল কারন হল বল প্লেই যাতে তারা দ্রুত ট্রাঞ্জিশন করতে পারে। এই বার দেখে আসি তাদের ৪-৪-২ কখন হয়। হাফস্পেসে প্লেয়ার যখন বাধ্য হয়ে ব্যাক পাস দিতে যায় তখনি তারা দ্রুত শিফট করে ৪-৪-২ তে।
এখন কথা হল এরা কিভাবে এত দ্রুত ফরমেশন পরিবর্তন করে শুধু মাত্র একটা বল প্লে এর মাধ্যমে। এর মুল শক্তি আসলে লুকিয়ে আছে তাদের স্কোয়াডে।আগেই বলেছি, এই স্পেন দলের মুল শক্তি হল তাদের পজিশনাল সেন্স। তারা বলের মুভমেন্ট দেখে আন্দাজ করে নিতে পারে কোথায় স্পেস খালি। ৪-১-৪-১ হয়ে তারা চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের উইং প্লে কে বাধা দিতে আর ৪-১-৪-১ হয়ে চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ যাতে কোন ভাবে সেন্টারে না খেলতে পারে। তারমানে দাঁড়াল, ফুটবলে যে দুইটা নীতি হয় উইং প্লে না হয় সেন্টার প্লে। দুইটাই কিন্তু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই দুই সিস্টেমে।
এইবার আশা যাক, এই স্পেন দল কিভাবে নিজ্রা সামাল দে এই হাই প্রেসিং। যেহেতু হাই প্রেসিং দলের বিপক্ষে তারা ৪-২-৩-১ শিফট হয়ে যায়। তাই এদের হাতে অনেক পাসিং অপশন থাকে । আর তাছাড়া স্পেন দলে প্রেশার রেসিটেন্স করার মত অনেক প্লেয়ার আছে যেমন বুসকেটস ইস্কো।এই ছাড়া এরা নিজেদের মধ্যে ওয়ান তাচ ফুটবল খেলেও বেশিরভাগ সময় প্রেস ব্রেক করে ফেলতে পারে।
সব শেষে বলা যাক, তাদের ফরওয়ার্ড লাইন নিয়ে। স্পেনের ফরওয়ার্ড লাইনটা অনেক ইন্টারেস্টিং। এইখানে কস্তার মত শারীরিক ফুটবলারও আছে আবার রুদ্রিগো, আসপাসের মত দ্রুতগতির প্লেয়ারও আছে। ডিপে বসে থাকা দল গুলো জন্য সব থেকে কার্যকর হবে কস্তা। কারন, তার শারিরিক শক্তি। তাছাড়া। তার ফিনিশিং এবিলিটি হেদ একুরেসি যেকোন মুহুর্তে ম্যাচ ঘুরিইয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে ওপেন প্লে তে কার্যকর হবে আসপাস অথবা রদ্রিগো। এর কারণ হল তারা ডিফেন্ডারের ব্লাইন্ড সাইড থেকে দৌড় দিতে পছন্দ করে। তবে যারাই ফরওয়ার্ড লাইনে থাকুক না কেন এই জায়গায় কী প্লেয়ার হল ইস্কো এবং সিলভা। স্পেন ফলস ৯ খেলতে পছন্দ করে। আর এইটাই মুলত সমস্যা সৃষ্টি করে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে। কখন কে স্টাইকার পজিশনে খেলবে স্পেন দল নিজেরা ছাড়া আমার সন্দেহ আছে তাদের কোচ জানে কিনা। বল রোটেড করতে করতে যে ফাইনাল থার্ডে স্পেস পাই সেই মুলত তখন স্টাইকার। তাই স্পেন ভক্তরা যারা স্টাইকার নেই বলে চিন্তিত তাদের জন্য আসলে চিন্তার কিছু নেই। মুলত ইস্কো সিলভাই ফলস ৯ এর রোল প্লে করে। তবে মাঝে মাঝে কোকে থিয়াগোও এই পজিশনে চলে আসে প্রেস করতে করতে। আর মিডে ইনিইয়েস্তা থাকায় আক্রমণভাগ নিয়ে তাদের চিন্তার আমি কোন কারণ দেখি না।বরং পরিসংখ্যান বলে, তাদের চান্স বেশি সৃষ্টি হয় মুলত যখন তারা ফলস ৯ ট্যাকটিস ব্যবহার করে।
সব দিকে যা বুঝা গেল এই স্পেন দলের কোন দূর্বলতা নেই। বাস্তবতা কি তাই? আসলে তা না। এই দলটি হাই প্রেস করতে অভ্যস্ত। আমি বএলছি, প্রেস করতে করতে তাদের ডিফেন্স লাইন প্রতিপক্ষের অর্ধে ও চলে আসে। আর এইখানেই সব থেকে বড় সমস্যা। আপনি যদি কোন ভাবে তাদের প্রেস ব্রেক করতে পারেন লং বল দিয়ে কিংবা দ্রুত পাসিং করে। আপনার হাতে বিশাল স্পেস পরে আছে এক্সপ্লয়েট করার জন্য। রামোস, পিকে, বুসকেসটস ৩ জনেই দলের অন্যান্যদের তুলনায় অনেক স্লো। তাই কোন ভাবে যদি আপনি প্রথম প্রেশার ব্রেক করতে পারেন আপনার হাতে যথেষ্ট সময় এবং স্পেস থাকবে গোল করার জন্য।
তবে এই স্পেন দলের আরেকটি শক্তিশালী দিক হল, তাদের মানসিকতা। এরা মানসিকভাবে খুবই স্ট্রং। তাছাড়া সবাই কোচের জন্য যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। ম্যাচ চলাকালীন অবস্থায়ও প্লেয়াররা পরামর্শ করে কোচের সাথে।এই ব্যাপারে লোপেটেগুইকে জিজ্ঞাস করলে বলা হয় , “আমার থিউরী হল communication, communication, communication. খেলোয়াড়রা মাঠে খেলছে।মাঠের অবস্থা সব থেকে ভাল বুঝবে তারাই। আমার কাজ হল তাদের মোটিভেট রাখা এবং তাদের জন্য সব থেকে উত্তম অবস্থা সৃষ্টি করা যাতে তারা নিজেদের সহজাত খেলাটা খেলতে পারে। পারে।” আর এইজন্য একটা অফফর্মের প্লেয়ারও তার অধীনে এসে ভাল খেলা শুরু করে।
সবশেষে বলা যায়, এই স্পেন দলটি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। যে কোনভাবেই হোক তারা বিশ্বকাপটি পেতে মরিয়া।লোপেটেগুই এর রেকর্ড আছে সেকেন্ড হাফে ম্যাচের পর ম্যাচ বের করে আনার। তার অধীনে সেকেন্ড হাফে এখন পর্যন্ত ২৭+ গোল করেছে স্পেন যা আতদের ফার্স্ট হাফ থেকে বেশি। স্পেন মুলত খেলেই সেকেন্ড হাফে।তাই বলা যায়, সব দল গুলোর জন্যি স্পেন একটা থ্রেড হিসেবে কাজ করবে। এই পরিসংখ্যানতা যে রামোস এসেন্সিও দের উদ্ধুদ্ধ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
“Until the referee does not whistle for the end, any comeback will always be possible” – লোপেটগুই
zetia cost
zyprexa and pregnancy
buy repaglinide 2mg – jardiance 25mg cheap buy empagliflozin 10mg generic
zofran ekЕџi