রাশিয়া বিশ্বকাপঃ স্পেন কি পারবে ২০১০ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি করতে?

1

নামি দামী দলের ভিড়ে এই দলটি কখনোই নিজেকে মেলে ধরতে পারে নি। ছিলো না সমৃদ্ধ কোন ইতিহাস, কিংবা বিশ্বসেরা প্লেয়ার। সেই দলটিই হঠাৎ একসময় পেয়ে গেলো এক ঝাঁক তারকা। পায়ের জাদুতে যারা পুরো ফুটবল বিশ্বকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলো প্রায় অর্ধযুগ। জাতীয় দলের হয়ে সম্ভাব্য সকল ট্রফিই নিজেদের করে নিয়েছিলো তারা সেই সময়ে। আবির্ভাব হয় ফুটবল বিশ্বের নতুন এক পরাশক্তির। রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙ্গে যারা নিজেদের নতুন করে ফুটবল বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো, সেই স্পেন দলের বর্তমান অবস্থা নিয়েই আজকের আলোচনা।

ফুটবল বিশ্বে স্পেন অভ্যুদয়ের প্রায় দশ বছর হতে চললো। হাটি হাটি পা পা করে হাটতে শেখানো সেই কিংবদন্তীরা এখন আর দলে নেই। তবে নতুন প্রতিভারা বারবারই প্রমাণ করে চলেছে যে, স্পেন শুধু কয়েকবছরের জন্য জ্বলে উঠা দল নয়। ঠিক আট দশ বছর আগে তারা যেমন ছিলো, এখনও ঠিক সেভাবেই শিরোপা জিতার ক্ষমতা রাখে তারা। অগ্রজদের খালী হওয়া যায়গা ভালোভাবেই পূরণ করে নিচ্ছে তরুণরা। দলের সাথে মানিয়েও নিচ্ছে দারুণ ভাবে। ফলস্বরূপ সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সে অনেকেই যেনো খুঁজে পাচ্ছেন পুরনো স্পেন কে।

দেখে নেয়া যাক, স্পেন দলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পার্ফমেন্স:

বাছাইপর্বে ইউরোপ অঞ্চলে গ্রুপ ‘জি’ তে থাকা স্পেনের সাথে ছিলো শক্তিশালী ইতালি সহ আলবেনিয়া, ইসরাইল, মেসেদোনিয়া এবং লিচটেন্সটেইন। শুধুমাত্র একটি দলই সরাসরি অংশ নিতে পারতো বিশ্বকাপে, তাই বাছাইপর্বের রাস্তা টা অতো সহজ ছিলো না। তবে বিশ্বকাপে যেতে অতোটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। কোন ম্যাচ না হেরেই গ্রুপ পর্বের টপে থেকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে তারা। দশ ম্যাচে ৯ টি জয় এবং ১ টি ড্রই বলে দেয় দলীয় রসায়ন কেমন। মোট গোল করেছে ৩৬ টি এবং হজম করেছে মাত্র ৩ টি। রক্ষণভাগের এই পারফর্মেন্সই কোচের স্বস্তির কারণ হবে বিশ্বকাপে। কেননা শিরোপা জিততে ভালো রক্ষণের কোন বিকল্প নেই। দিয়েগো কস্তা, ইস্কো, আলভারো মোরাতা, ডেভিড সিলভা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ ৫ টি করে গোল করেছেন। ম্যাচ বের করে আনার মতো যথেষ্ট খেলোয়াড় থাকায় কোচ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন।

দলে ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী স্কোয়াডের খেলোয়াড় রা থাকায় অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবতে হবে না কোচকে। সাথে আছে তরুণ উঠতি তারকা রা। তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার এই সংমিশ্রণই হতে পারে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ের চাবিকাঠি। সময়মতো প্লেয়ার রা জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষ যেকোনো দলকে নিয়ে ছেলেখেলা করার সামর্থ্য আছে বর্তমান স্পেন দলের।

দেখে নেয়া যাক স্পেনের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ স্কোয়াড কেমন হতে পারে:

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা:

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা

৩৪ বছর বয়সে পদার্পণ করলেও এই মিডফিল্ডারের পায়ের জাদু একটুও ফিকে হয়নি। এখনো যেনো ঠিক সেই পুরনো তরুণ ইনিয়েস্তা। ভিসন এবং বল কন্ট্রোল বিবেচনায় বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার তিনি। সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে তার আছে দুইটি ইউরো এবং একটি বিশ্বকাপ জিতার অভিজ্ঞতা। এছাড়াও বড় ম্যাচগুলোতে তিনি যেনো অন্যরূপ ধারণ করেন।

বিশ্বকাপ ফাইনাল, ইউরো ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল সবগুলোতেই গোল করেছেন এবং প্রতিটি ফাইনালেরই ‘ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ’ ছিলেন এই জাদুকর। অবসরের আগে নিজের অর্জনের খাতায় আরেকটা বিশ্বকাপ অবশ্যই যোগ করতে চাইবেন, তাই নিজের সেরাটা দেয়ার জন্যও মুখিয়ে আছেন তিনি। স্কোয়াডে থাকলে হয়তো বিশ্বকাপে আবারো তার জাদুকরী ড্রিবলিং দেখতে পাবে ফুটবল বিশ্ব।

সার্জিও রামোস:

সার্জিও রামোস
সার্জিও রামোস

দলের আরেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং তুরুপের তাস। কর্নার কিংবা সেট পিস মানেই প্রতিপক্ষের ত্রাস এই ডিফেন্ডার। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা হেডার তিনি। হারতে থাকা অবস্থায় গোল করে ম্যাচ জিতানোতে তার জুড়ি মেলা ভার। ডিফেন্ডার হয়েও গোল করেছেন অনেকের স্ট্রাইকারের চেয়েও বেশী। সাথে আছে বিশ্বকাপ এবং ইউরো জয়ের অভিজ্ঞতা। ডিফেন্সের অন্যতম এই কাণ্ডারি থাকা মানেই দলের শক্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

যতোটা ভালো খেলোয়াড়, ঠিক ততোটাই ভালো লিডারও তিনি। ইনজুরি তে না পড়লে দলে থাকবেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে বিশ্বকাপেও রামোস টাইমে গোল দিয়ে দলকে শিরোপাই জিতিয়ে দেন কিনা সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।

জেরার্ড পিকে:

জেরার্ড পিকে
জেরার্ড পিকে

রক্ষণভাগে সার্জিও রামোসের পার্টনার তিনি। প্রথম দিকে এই জুটি টা ঠিক ভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও, দিনকে দিন তাদের মধ্যে বোঝাপড়া টা আরো ভালো হচ্ছে। রামোসের মতো তিনিও রক্ষণের পাশাপাশি সেট পিস থেকে গোল করায় পারদর্শী। অভিজ্ঞ এই সেন্টার ব্যাক জুটিই হয়তো স্পেনকে এনে দিতে পারে আরো একটি শিরোপা।

ডেভিড ডে হায়া:

ডেভিড ডে হায়া
ডেভিড ডে হায়া

বর্তমান সময়ের সেরা গোলকিপার কে, এই প্রশ্নে ম্যানুয়েল নয়্যারের সাথে তার নামও উঠে আসবে। প্রিমিয়ার লিগের মতো কম্পিটিটিভ পরিবেশে বছরের পর বছর নিজেকে প্রমাণ করেই দলের এই গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তাকে ক্যাসিয়াসের যোগ্য উত্তরসূরি বলা হয়। টানা পাঁচ বার প্রিমিয়ার লিগ ‘টিম অফ দ্যা ইয়ারে’ জায়গা করে নিয়েছেন। চলতি মৌসুমেও আছেন দারুণ ফর্মে। ২২ টি ক্লিনশিট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সবার উপরে আছেন। বাছাইপর্বেও দেখিয়েছেন নিজের প্রতিভা। প্রতিপক্ষের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে তিনি একাই যথেষ্ট।

আলভারো মোরাতা:

আলভারো মোরাতা
আলভারো মোরাতা

সেন্টার ফরওয়ার্ড পজিশনে দলের প্রথম দিকের পছন্দ তিনি। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে চেলসি তে যোগ দেয়া এই স্ট্রাইকার প্রথম দিকে দারুণ ছন্দে থাকলেও শেষদিকে এসে যেনো কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছেন। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত করেছেন ১৫ গোল এবং ৬ এসিস্ট। বিশ্বকাপে কিছু করে দেখানোর প্রত্যয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাছাইপর্বে তার করা গুরুত্বপূর্ণ ৫ গোল নিশ্চয়ই তাকে দলে জায়গা করে দিবে। এছাড়াও স্পেনের জার্সি তে বরাবরই ভালো খেলেন তিনি।

ইস্কো:

ইস্কো অ্যালার্কন
ইস্কো অ্যালার্কন

অনেকে তাকে নেক্সট ইনিয়েস্তা বলেন। বল কন্ট্রোল ইনিয়েস্তার মতোই, কিন্তু ইনিয়েস্তার চেয়ে বেশী লিথাল তিনি। তবে কিছুটা সেল্ফিস বলে তার দুর্নাম আছে। স্পেনের জার্সি গায়ে নিয়মিত জালে বল জড়ান। বাছাইপর্বেও করেছেন ৫ গোল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়েও আছেন দারুণ ফর্মে। গুরুত্বপূর্ণ গোল এবং সতীর্থ দের গোল করিয়ে অনেক ম্যাচ বের করেছেন তিনি। ইস্কো এবং ইনিয়েস্তার একসাথে মাঠ মাতানো দেখতে টিভির পর্দার সামনে অপেক্ষা করবেন ফুটবলপ্রেমীরা।

দিয়েগো কস্তা:

দিয়েগো কস্তা
দিয়েগো কস্তা

জন্ম সূত্রে ব্রাজিলিয়ান হলেও স্পেনের নাগরিকত্ব থাকায় স্পেন জাতীয় দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড় তিনি। এমন একজন ডেডলি স্ট্রাইকার স্পেনেরও দরকার ছিলো। নিজেকে প্রমাণ করার আর কিছু নেই তার। অনেক আগেই নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন । শিরোপা জিততে এরকম একজন ডেডলি এবং ফিজিক্যাল ফিনিশারই দরকার ছিলো স্পেনের। দলের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন ভালোভাবেই। বাছাইপর্বের ৫ গোলই তার প্রমাণ। বিশ্বকাপ জিতার স্বপ্ন টা পূরণ হবে নাকি স্বপ্নই থেকে যাবে তা সময়ই বলে দিবে।

ডেভিড সিলভা:

ডেভিড সিলভা
ডেভিড সিলভা

মাঝমাঠের গুরুদায়িত্ব দেয়ার জন্য ডেভিড সিলভার চেয়ে যোগ্য কাউকে পাবেন কিনা তা ভেবে দেখতে হবে কোচকে। ম্যানচেস্টার সিটি কে লিগ জিতাতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চলতি সিজনে ৯ গোল করেছেন, সেই সাথে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ১৩ টি গোল। উড়তে থাকা এই মিডফিল্ডার দলের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাছাইপর্বেও ৫ গোল করে প্রমাণ করেছেন দল কে দেয়ার মতো এখনো অনেক কিছু আছে তার। এছাড়াও স্পেনের জার্সিতে বরাবরই ভয়ংকর তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ৩৫+ গোলই তার প্রমাণ।

মার্কো এসেন্সিও:

মার্কো এসেন্সিও
মার্কো এসেন্সিও

অল্প বয়সেই ফুটবল বিশ্বের নজর কেড়েছেন এই তরুণ ফুটবলার। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকার বা পায়ের জোরালো শট নজর কেড়েছে সবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল, ফাইনাল কিংবা এল ক্লাসিকো সহ প্রায় সব বড় ম্যাচেই গোল করে প্রমাণ করেছেন তিনি বিগ ম্যাচ প্লেয়ার। তাই বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে কোচ নিশ্চয়ই এই তারকাকে সুযোগ দিবেন।

হুয়ান মাতা:

হুয়ান মাতা
হুয়ান মাতা

এতো এতো মিডফিল্ডারের ভিড়ে দলে জায়গা পাওয়াটা কঠিন। নয়তো মাতার মতো ফুটবলারকেও স্পেনের বেঞ্চে বসে থাকার কথা না। সুযোগ পেলেই জ্বলে উঠেছেন সব সময়। বিশ্বকাপেও তাকে দেখা যেতে পারে পুরনো রূপে।

সেস্ক ফ্যাব্রিগাস:

সেস্ক ফ্যাব্রিগাস
সেস্ক ফ্যাব্রিগাস

এক সময় স্পেনের হয়ে মাঠ কাঁপানো এই ফুটবলারের সময়টা খুব বেশী ভালো যাচ্ছে না। তবে ঝুলিতে অভিজ্ঞতা থাকায়, স্পেনের জার্সিতে জ্বলে উঠা এবং প্লেয়ার দের সাথে দারুণ বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে হয়তো দলে জায়গা করেও নিতে পারেন।

দানি কার্ভাহাল:

দানি কারভাহাল
দানি কারভাহাল

রাইট ব্যাক পজিশনে নিঃসন্দেহে দলের প্রথম পছন্দ তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা নিজেকে প্রমাণ করেছেন অনেক আগেই। ডেডিকেশন, গতি এবং পারফেক্ট ক্রসিং এর জন্য তিনি রিয়াল মাদ্রিদ এবং স্পেনের প্রথম পছন্দ এই পজিশনে। বাছাইপর্বেও দারুণ খেলে বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে রেখেছেন। কোন কারণে তার ইনজুরি দলকে ভোগাবে ভালোভাবেই।

জর্দি আলবা:

জর্দি আলবা
জর্দি আলবা

রক্ষণের সাথে আক্রমণেও দারুণ ভূমিকা রাখতে পারায় লেফট ব্যাক পজিশনে তিনিই দলের প্রথম পছন্দ। দলের খেলার ধরণের সাথেও মিলে যাওয়ায় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। চলতি সিজনে বার্সেলোনার হয়ে ২ গোলের পাশাপাশি করেছেন ৬ এসিস্ট। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ফুটবলারকে তাই নিশ্চয়ই কোচ বসিয়ে রাখার বোকামি করবেন না।

সার্জিও বুস্কেটস:

সার্জিও বুস্কেটস
সার্জিও বুস্কেটস

প্রায় এক যুগ রাজত্ব করা টিকিটাকা ফুটবলের এক অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন তিনি। স্পেনের খেলার ধরণের সাথে তার খেলা মিলে যাওয়ায় এখনো দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে এখনো ঠিক আগের মতোই ভয়ংকর। অভিজ্ঞতার সাথে খেলার পরিস্থিতি পড়তে পারার অসাধারণ এই ক্ষমতার কারণেই দলে তার জায়গা এখনো কেউ নিতে পারেনি। বিশ্বকাপেও হয়তো তাকে দেখা যাবে আগের মতো মাঝমাঠ সামলাতে।

জাভি মার্টিনেজ:

জাভি মার্টিনেজ
জাভি মার্টিনেজ

ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কিংবা সেন্টার ব্যাক দুই পজিশনেই খেলতে পারার কারণে বায়ার্ন মিউনিখের এই তারকা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়ে যাবেন অটোমেটিকালি। রামোস কিংবা পিকের ইনজুরি তে রক্ষণকে সামলানোর সামর্থ্য আছে তার। প্রয়োজনের সময় মাঝমাঠের দায়িত্বও নিতে পারেন।

থিয়াগো আলকান্তারা:

থিয়াগো আলকানতারা
থিয়াগো আলকানতারা

মূল দলে জায়গা করে নিতে পারলেও সাবস্টিটিউট হিসেবে খুবই ভালো অপশন বায়ার্ন মিউনিখের এই তারকা। এটাকিং মিডফিল্ড থেকে ডিফেন্সিভ মিড দুই পজিশনেই তিনি একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। তাই স্কোয়াডে থাকবেন তা বলাই যায়।

পেদ্রো রদ্রিগেজ:

পেদ্র রদ্রিগেজ
পেদ্র রদ্রিগেজ

বড় মঞ্চের জন্য ট্যালেন্টের পাশাপাশি দরকার অভিজ্ঞতা। সেই বিচারে দলে একটা জায়গা পাওনা থেকেই যায় পেদ্রো রদ্রিগেজের। দলের সাথে খেলেছেন অনেক বছর। খেলোয়াড় দের সাথে বোঝা পোড়াটাও ভালো। এমন একজন প্লেয়ার ছাড়া রাশিয়ায় যেতে চাইবেন কি কোচ?

সিজার আজপিলিকুয়েতা:

আজপিলিকুয়েতা
আজপিলিকুয়েতা

সেন্টার ব্যাক এবং রাইট ব্যাক দুই পজিশনেই খেলতে পারেন সমান ভাবে। চলতি মৌসুমে নামের পাশে আছে ২ গোল এবং ৬ এসিস্ট। জাতীয় দলের জার্সিতেও যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজের সেরাটা দিয়েছেন। বিশ্বকাপেও সেটাই দিতে চাইবেন তিনি।

সার্জি রবার্তো:

সার্জি রবার্তো
সার্জি রবার্তো

বার্সেলোনার এই তারকা খেলতে পারেন রাইট ব্যাক লেফট ব্যাক এমন কি মিডফিল্ডেও। বার্সার হয়ে পুরো সিজন ধরেই দারুণ খেলছেন। ১ গোলের সাথে আছে ৬ এসিস্ট। ভার্সেটাইল এই প্লেয়ারকে বিশ্বকাপে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এছাড়াও মার্কোস আলোন্সো, হেক্টর বেলেরিন সহ আরো অনেক ফুটবলারই তাদের ফুটবলীয় নৈপুণ্যের কারণে দলে জায়গা করে নিতে পারেন।

২০০৮ থেকে প্রায় অর্ধযুগ ফুটবল বিশ্বে এক চেটিয়া রাজত্ব করা দলটি হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেলে। ফলস্বরূপ ২০১৪ বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফর্মেন্স এবং ২০১৬ ইউরোতেও খুব একটা সুবিধা করতে না পারা। অনেকেই বলে দিয়েছিলেন, স্পেন ফুটবলের অন্ত এসে গেছে, হয়তো ভাগ্যের জোড়ে এক ঝাঁক তারকা পেয়ে জ্বলে উঠেছিলো তারা, নিভে যাওয়া এই প্রদীপ আর জ্বলবে না কখনো। কিন্তু বর্তমান এই দল ফুটবল বিশ্বকে বলতে চায়, শেষ হয়ে যায় নি তারা। ফুটবল বিশ্ব আবারো রাজত্ব করতে প্রস্তুত তারা। স্পেনের রাজত্ব-গাথার এই ইতিহাস আরো দীর্ঘায়ত করতে চায় তারা। ২০১৪ নয়, পুনরাবৃত্তি করতে চায় ২০১০ বিশ্বকাপের।

নিজেদের কতোটুকু প্রমাণ করতে পারবে তা হয়তো সময়ই বলে দিবে। কিন্তু ফুটবল বিশ্ব আবারো সেই পুরনো স্পেনকেই দেখতে চায় বিশ্বকাপে।

 

তথ্যসূত্রঃ

Fifa.com

Whoscored.com

Source Featured Image
Leave A Reply
1 Comment
  1. Nfrgxi says

    buy generic terbinafine – buy griseofulvin 250 mg sale how to buy griseofulvin

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More