প্রাচীন ও মধ্যযুগের অনেক বাস্তব ঘটনা ও ইতিহাস রয়েছে যা রূপকথার গল্পকেও হার মানাতে বাধ্য। কিন্তু বর্তমান এই আধুনিক যুগেও দৃষ্টির আড়ালে এমন কিছু ঘটছে যা কিনা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাছে কল্পনা করাও অসম্ভব।
আমরা জেনেছি মহাবিশ্বের ইতিহাস,যেখানে ৫% এর বেশি কোন তথ্য আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয় নি। আমরা ভয়ঙ্কর বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর সঠিক তথ্য এখনও আবিষ্কার করতে পারি নি। এসব তো প্রকৃতির রহস্য। কিন্তু মানুষ সৃষ্ট এমনও অনেক রহস্য আছে যা কিনা কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে ৫% এর বেশি জানা সম্ভব হয় নি! আসলে জানতে দেওয়া হয় নি।
আমি বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম রহস্যে ঘেরা বোহেমিয়ান গ্রভের কথাই বলছি যেখানে মানব শিশুকে বিসর্জন দিয়ে উল্লাসে মত্ত হয়ে ওঠে কতিপয় পৃথিবীর ধারক ও বাহকেরা!
আসলেই কি তথাকথিত পৃথিবীর হর্তাকর্তাগণ রিফ্রেশ এর জন্যই বোহেমিয়ান গ্রভে মিলিত হয় নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোন রহস্য?
-কেনইবা মানবশিশুকে বিসর্জন দেওয়ার মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত হতে হবে?!
-তাহলে কি ফরেন রিলেশন্স এর নীতি এখানেই গ্রহণ করা হয়?!
-রহস্যে ঘেরা সেই পেঁচার রহস্যই বা কি?!
এ পর্যায়ে আমরা সেই বোহেমিয়ান গ্রভের রহস্যের বেড়াজালকে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করব।
১৮৭২ সালে গোপন সংস্থা বোহেমিয়ান প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এর সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে। এটিকে এমনই নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ক্যাপচার করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে শুধু কল্পনাতেই প্রবেশ সম্ভব। কিন্তু সময়ের স্রোতে অনেক অনুসন্ধিৎসু মানুষের অনুসন্ধানের কল্যাণে অনেক গোপনীয়তাই ক্ষণস্থায়ী হয়ে যায়।
কিন্তু কারা এই বোহেমিয়ান?
সদস্যদের সম্পর্কে জানার আগে চলুন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট Richar Nixon এর এটি সম্পর্কে বিশেষ একটি উক্তি জেনে নেই –
“Anybody can be President of the United States, but very few can ever have any hope of becoming President of the Bohemian Club.”

Source: Vox
বোহেমিয়ান গ্রোভ (Bohemian Grove)
স্থাপিত: ১৮৭২ খৃষ্টাব্দ
উদ্যোক্তা: হেনরি এডওয়ার্ড
স্থান: বোহেমিয়ান এভিনিউ, মন্টেরিও, ক্যালিফোর্নিয়া ।
এটি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরিওতে অবস্থিত বোহেমিয়ান গ্রোভ (Bohemian Grove)-এর নানাবিধ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এর একটি বিশেষ ধর্ম হচ্ছে এটি পুরুষ ভিত্তিক এক বিশেষ ক্লাব যেখানে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ তথা এই বিশেষ ক্লাবের সদস্য হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এটির ভেতরে যেতে হলে আপনাকে একজন ক্ষমতাধর মানুষ হলেই চলবে না হতে হবে একজন বিশেষ ক্ষমতাধর পুরুষ।
পাঠক! আগেই বলেছি এখানে নারীদের প্রবেশাধিকারের কোন সুযোগ নেই যদিও আপনি হোন কিনা পৃথিবীর সর্বাধিক ক্ষমতাধর নারী!
রহস্যময় এ ক্লাবটি এমন সব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত যারা মূলত উচ্চ পর্যায়ের পলিটিক্যাল ব্যক্তি। অদ্ভুত এই ক্লাবটিকে পৃথিবীর সর্বাধিক ধনীদের ক্লাবও বলা হয়ে থাকে যা প্রতি বছর উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় ২ সপ্তাহের ক্যাম্প এর আয়োজন করে। ক্যাম্পের প্রধান আকর্ষণ হল ৪০ ফুট বৃহদাকার পেঁচার মূর্তি মূলত যাকে কেন্দ্র করেই এই অদ্ভুত আয়োজন। অদ্ভুত এই আয়োজনের খুব কমই সাধারণ মানুষের নজরে আনা হয়।
রহস্যময় এ ক্লাবটি ৫ জন আমেরিকান কর্তৃক ২৭০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে। এটি সানফ্রানসিসকো থেকে ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত।
এর মধ্যে রয়েছে “Moloch” নামের দৈত্যাকৃতির বৃহৎ এক পেঁচার মূর্তি। বর্তমানে গোপনীয় এই ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ১৫০০ যাদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, হলিউড তারকা, এন্টারটেইনার,পেইন্টার, বিখ্যাত কবি মূলত যাদেরকে পুরো পৃথিবী বিশেষ ক্ষমতাধর মানুষ হিসেবেই জানে।
সবকিছুর পরেও উৎসুক মানুষের মনে উুঁকি দেয় নানান প্রশ্ন!
আসলে এই সভ্য যুগের শ্রেষ্ঠ এলিটগণ শুধু কি আনন্দ, ফুর্তি, রিফ্রেশ এর জন্যই এখানে আসে নাকি রহস্যপুরীর মধ্যে রয়েছে অন্য কোন রহস্য?!
যদি তাই না হয়ে থাকে তাহলে কেনই বা এই দুর্জন এলাকায় সানফ্রানসিসকো থেকে ৭৫ মাইল দূরবর্তী নির্জন কোন স্থানকে বেছে নেয়া হল?!
কেননা বা মিডিয়াকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়?!
আসলে কি আনন্দ কিংবা রিফ্রেশ এর বাইরে এখানে কিছুই হয় না?!
তারা বিশাল এক পেঁচা আকৃতির পাথরের মূর্তির (৪৫ ফুট দীর্ঘ) সামনে উপাসনা করে। বিশাল এই মূর্তির সামনে তারা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে উৎসর্গ করে। তারা তাদের ধর্মীয় কার্য সম্পন্ন করে যার মধ্যে রয়েছে নারীদের পোশাক পরে প্যারেড করা এমনকি তাদের মধ্যে স্পিরিট অবতীর্ণ হলে তারা নগ্নও হয়ে যায়।

Source: The Ghost Diaries
আসুন এ পর্বে জেনে নেই কে এই পেঁচা? এর ইতিহাস?
কানাতি দেবী Moloch এর অর্চনা করা হত গ্রীস, ব্যাবিলন এবং ইউরোপে যেখানে দেবীকে ষাঁড় কিংবা পেঁচার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হত এবং দেবীর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মানব শিশুকে উৎসর্গ করা হত।
কিন্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের সেই বর্বর ঘটনাকে কেনইবা সভ্য যুগের শ্রেষ্ঠ এলিটগণ এখনও সেই নির্মমতাকে চালু রেখে দেবীর সামনে জীবন্ত শিশুকে আগুনে দিয়ে উল্লাসে মত্ত হয়?
তাহলে এটা কি এলিটদেরকে একত্রিত করার একটি অভিনব কৌশল মাত্র ?

Source: Pinterest
সভ্য যুগের শ্রেষ্ঠ এলিটদের কথিত গডকে খুঁজে পাওয়া যায় আমেরিকান ডলারে। ডলারের শীর্ষে ছোট করে রয়েছে একটি ক্ষুদ্র পেঁচার ছবি।
কিন্তু আধুনিক এই আলোকিত যুগেও কেন রহস্যময় পেঁচার গন্ধ পাওয়া যায় আমেরিকান ডলারে?!
কে এই এলিটদের গড? এর রহস্যই বা কী?
ওকাল্টের মতে পেঁচা হল symbol of wisdom বা রহস্যের প্রতীক যা কিনা অন্ধকারেও দেখতে পায়। সাধারণের যা দৃষ্টির অগোচরে পেঁচার তা দৃষ্টির মধ্যেই। যেমনটি এলিটগণ যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানে তা সাধারণের থেকে গোপন রাখা হয়।
পেঁচা হল নিশাচর প্রাণী। তার তীক্ষ্ণ নখ দ্বারা শিকারকে পরাভূত করে। ছোট লেজবিশিষ্ট এ প্রাণীটিকে রহস্যময় মনে হলেও লক্ষ্য পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ
১. http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/azadju/30180934
২. https://www.google.com/amp/s/blackflagseriesinbangla.wordpress.com//
৩ .Wikipedia
buy generic dutasteride avodart online order ondansetron order online
buy levofloxacin 500mg online cheap purchase levaquin generic