ভিক্টর কোসাকোভস্কির ১০ টি নীতি যা চলচ্চিত্র অনুরাগী ও নির্মাণ শ্রমিকের আদর্শ হতে পারে

5

 

ভিক্টর কোসাকোভস্কি একজন রাশিয়ান ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকার। ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র জগতে সিনেমার নিরীক্ষাধর্মী নির্মাণে তিনি বেশ বড় ধরণের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর প্রধান প্রধান ফিল্ম ফেস্টিভালে বহু আগেই। “ডকুড্রামা” বা ফিকশনডকুমেন্টারির মিলিত রূপ নির্ভর ধারায় তিনি কাজ করেন।

ভিক্টর কোসাকোভস্কি
ভিক্টর কোসাকোভস্কি
Source: dagkrant.idfa.nl

ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকিং এ ভিক্টর কোসাকোভস্কির দেখানো ১০টি কায়দা বা নীতি রয়েছে যা চলচ্চিত্র নির্মাতা ও নির্মাণ শ্রমিকের শৈল্পিক প্রেরণার উৎস হতে পারে।

১. ফিল্ম বানাবেন না যদি আপনি ফিল্ম বানানো ছাড়াই বাঁচতে পারেন।

২. আপনার যদি কিছু বলার থাকে বা বক্তব্য থাকে, তবে ফিল্মমেকিং আপনার জন্য নয়। ফিল্মমেকিং কেবলই আপনার জন্য যদি দর্শককে আপনার কিছু দেখানোর উদ্দেশ্য থাকে। ফিল্মমেকিং বা চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি ধাপেই আপনার এই উদ্বেগটি দৃশ্যমান হবে, এমনকি আপনার চলচ্চিত্রেও।

৩. ফিল্ম বানানোর আগেই যদি আপনার জানা থাকে আপনার ফিল্মটির বার্তা, তবে আপনার একজন নির্মাতা না হয়ে উচিৎ একজন শিক্ষক হওয়া। দুনিয়া বদলানোর চিন্তা আপনার জন্য তবে নয়। বরং আপনার চলচ্চিত্রকে সমর্থ করুন আপনাকে বদলানোর ক্ষমতা অর্জনে। চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়াতেই আবিষ্কার করুন নিজেকে ও নিজের চলচ্চিত্রকে।

৪. এমন জিনিস নিয়ে ফিল্ম বানাবেন না যা আপনি ভালবাসেন। এমন জিনিস নিয়ে ফিল্ম বানাবেন না যা আপনি ঘৃণা করেন। আপনি জানেন না, আপনি ভালবাসেন কি ঘৃণা করেন এমন বিষয় নিয়ে ফিল্ম বানাতে পারেন। সংশয় যেকোনো শিল্প সৃষ্টিতেই সাহায্য করে।

৫. ফিল্ম বা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার পূর্বে ও পরে আপনার মস্তিষ্ককে কাজে লাগান, কখনোই চলচ্চিত্র নির্মাণের সময় নয়। নির্মাণের সময় ব্যবহার করুন আপনার অনুভূতি ও সহজাত প্রবৃত্তিকে।

৬. কোনো একশন বা কাজের পুনরাবৃত্তি করতে বলবেন না আপনার অভিনয়শিল্পীকে। আপনার বাস্তব জীবন পুনরাবৃত্তিহীন। অপেক্ষা করুন, দেখুন, অনুভব করুন এবং কখন আপনি ফিল্মিং শুরু করবেন তার সিদ্ধান্ত নিন আপনার নিজস্ব ধারাতেই। মনে রাখবেন, ফিল্মের সেরা সেরা দৃশ্যগুলো ফিল্ম নির্মাণ প্রক্রিয়ায় কোনো রকম পুনরাবৃত্তি ছাড়াই দৃশ্যায়িত হয়ে থাকে।

৭. সিনেমার মূলভিত্তি বা একক হল শট। সিনেমার আবির্ভাবই ঘটেছিল একটি একক শট হিসেবে যা এক প্রকার ডকুমেন্টারি এবং যেখানে ছিল না কোনো গল্প কিংবা ছিল কোনো গল্পের ছায়া যা লুকানো ছিল ঐ শটের ভিতরেই।

৮. ডকুমেন্টারির জন্য গল্প যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল দৃষ্টিকোণ। প্রথমে চিন্তা করুন আপনার শটগুলি দেখে দর্শকের মাথায় কি কাজ করতে পারে। তারপর একটা নাটকীয় গঠন বা ড্রামাটিক স্ট্রাকচার তৈরি করুন দর্শকের অনুভূতির মানচিত্রটি মাথায় রেখে।

৯. ডকুমেন্টারিই একমাত্র শিল্পমাধ্যম যেখানে প্রতিটি নান্দনিক উপাদানের একটি নৈতিক দিক এবং প্রতিটি নৈতিক উপাদানের একটি নান্দনিক দিক বিদ্যমান। রক্ত মাংসের মানুষ হয়ে চিন্তা করবেন যখন আপনি চলচ্চিত্র সম্পাদনার কাজে ব্যস্ত থাকবেন। সাথে এটাও মাথায় রাখুন, আপনি একজন নৈতিক বুদ্ধিসম্পন্ন ভাল মানুষ হলে সিনেমা বা ডকুমেন্টারি বানানো আপনার কাজ হওয়া উচিৎ নয়।

১০. আমার নিয়মগুলোকে পাত্তা না দিয়ে আপনার নিজের নিয়ম তৈরি করুন। সবসময়ই আপনার এমন কিছু করার আছে যা আপনি ছাড়া কেউই আপনার জন্য করে দিতে পারবে না।

Leave A Reply
sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More