দিগন্ত বিস্তৃত আটলান্টিক মহাসাগর। মনে করুন সেই সাগরের বুকে আপনি কোন এক জাহাজের যাত্রী। চলেছেন বাণিজ্যের জন্য দূর কোনও দেশে। জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে আপনি হয়তো সূর্যাস্ত দেখছেন অথবা এমনিই হাওয়া খাচ্ছেন, হঠাৎ দিগন্ত রেখায় দেখা গেল অন্য কোন একটি জাহাজ। আপনার জাহাজের ক্যাপ্টেন বা অন্য কেউ স্পাইগ্লাসে ওই জাহাজের উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করার আগেই যেমন করে এসেছিল,তেমনি করেই মিলিয়ে গেল আবার। আপনার ক্যাপ্টেনও আগের গতিতেই জাহাজ নিয়ে এগিয়ে চললেন। কিছুক্ষণ বিনা উপদ্রবেই চলল সবকিছু। সবাই যখন ওই জাহাজটির কথা প্রায় ভুলে যেতে বসেছে,তখনই আবার দৃষ্টি সীমায় দেখা দিল জাহাজটি। ক্যাপ্টেনও হয়তো স্পাইগ্লাসে চোখ রাখলেন।কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।কারণ সেই জাহাজের গতি আপনার জাহাজের থেকে অনেক গুণ বেশি। ক্যাপ্টেন কোনও পদক্ষেপ নেয়ার আগেই সেই জাহাজ আপনাদের জাহাজের একদম কাছে চলে এসে গতি কমিয়ে সমান্তরাল ভাবে একই গতিতে চলতে শুরু করল। ওই জাহাজ থেকে ছুটে এল লোহার আংটা লাগানো একগাদা দড়ি।আর দড়ির অন্যপ্রান্তের লোকগুলো তাদের অভিজ্ঞ কায়দায় সেই আংটাগুলোকে জায়গামত আটকিয়ে দুইটি জাহাজকে প্রায় একসাথে জোড়া লাগিয়ে ফেলল। আপনার ক্যাপ্টেন বাধ্য হলো জাহাজের গতি কমিয়ে ফেলতে। ঘটনার আকস্মিকতায় আপনি হয়ত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছেন। তাই যতক্ষণে আপনি স্বাভাবিক হবেন,ততক্ষণে দেখবেন যে, অপর জাহাজ থেকে একের পর এক লোক আপনার জাহাজে আসা শুরু করেছে। সবার শেষে এসেছে লম্বা কালো দাড়ি ওয়ালা রুক্ষ চেহারার এক লোক।হাবভাবে যাকে আক্রমণকারী জাহাজের ক্যাপ্টেন বলে মনে হচ্ছে। ততক্ষণে আপনি হয়তো বুঝে গিয়েছেন যে, কাদের পাল্লায় পড়েছেন।ভয়ে হয়তো আপনার অন্তরাত্মা কাঁপছে। কিন্তু আশপাশ থেকে কাওকে এইসময় বলতে শুনলেন যে, “যাক বাবা!বাঁচা গেল!” এরকম মন্তব্য শুনে আপনার অবস্থা হয়তো, ‘ডাঙ্গায় বাঘ,জলে কুমির’ এর মত হয়ে গেছে। আপনি আর সহ্য করতে না পেরে হয়তো জ্ঞান হারালেন।
ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এতক্ষণ আপনি প্রায় তিনশত বছর আগের ঘটনা কল্পনা করছিলেন। কল্পনা বাদ দিয়ে এখন দয়া করে অতীত থেকে বর্তমানে ফিরে আসুন।
‘জলদস্যু’ শব্দটি শুনলে আমাদের মনে প্রথমেই ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ মুভির দৃশ্য ভেসে উঠে আসে। সেই তলোয়ার/মাস্কেট গান দিয়ে মারামারি,একের পর এক জাহাজ দখল। সত্যিকারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জলদস্যুরা ছিল অস্বাভাবিক রকম বর্বর। বন্দিদের উপর তারা করত অমানুষিক নির্যাতন। বেশিরভাগ জলদস্যুই প্রমাণ লোপ করার জন্য বন্দিদের সমুদ্রে ফেলে দিত। মাঝে মাঝে জীবিত অবস্থায়। এবং লুট করা শেষে জাহাজ ডুবিয়ে দিত। অনেকে আবার যাত্রীদের বন্দি করে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দিত।
এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে,তাহলে কি মুভিতে দেখানো,গল্পের বইয়ে লিখা জলদস্যু দের বিবরণ সব মিথ্যা?কারণ অনেক বই/মুভিতেই জলদস্যুদের বর্বরতাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। হয়তো শিশু কিশোরদের উপযোগী করার জন্য। আপনারা জেনে অবাক হবেন হয়তো,আধুনিক জলদস্যু চরিত্রগুলোর অধিকাংশই নেয়া হয়েছে ৩০০ বছর আগে আটলান্টিকে রাজত্ব করা এক জলদস্যুর চরিত্রের উপর ভিত্তি করে। লেখার শুরুতে আক্রমণকারী জাহাজের ক্যাপ্টেনের কথা বলেছিলাম না? ঐযে লম্বা দাড়িওয়ালা যে। চরিত্রটি উনিই। তার ডাকনাম ব্ল্যাকবিয়ার্ড। আসল নাম এডওয়ার্ড টীচ। এছাড়াও তার কয়েকটি উপনাম ছিল। যেমনঃ থাচ,থাচি,থাক,টাক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও ভার্জিনিয়ার গভর্নর স্পটউডও ব্ল্যাকবিয়ার্ডের পিছনে অনেকদিন ধরে লেগেছিল।কয়েকবারই সে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হয়।তার এই উৎসাহের পিছনে অবশ্য ব্ল্যাকবিয়ার্ডের লুকানো গুপ্তধনের গুজবের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি।তাই সে নিজে অর্থ যোগান দিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডের পেছনে সৈন্য লেলিয়ে দেয়।যার ফলশ্রুতিতে ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর তারিখে ভয়ানক এক যুদ্ধের পর ব্ল্যাকবিয়ার্ড নিহত হয়।তার কাটা মাথা অনেকদিন ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটন নদীর কাছে খুঁটিতে গেঁথে রাখা হয় যেন তা দেখে জলদস্যু এবং ভবিষ্যৎ জলদস্যুরা ভয় পায়।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের মৃত্যুর পরও তার নাম মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি।এর পেছনে হয়তো তার ভীতি অথবা জলদস্যু হিসেবে তার ব্যতিক্রম মনোভাব দায়ী হতে পারে।
প্রারম্ভিক জীবনঃ
এডওয়ার্ড টীচের প্রারম্ভিক জীবন সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়না। এমনকি তার জন্মের সালটাও সঠিকভাবে জানা যায়না। মৃত্যুর সময়কার বয়স দিয়ে তাই তার জন্মসাল হিসাব করা হয়ে থাকে। সে হিসাবমতে মনে করা হয় যে, তার জন্ম হয় ১৬৮০ সালের কাছাকাছি সময়ে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে। একটি উৎস থেকে জানা যায় যে,তার উপাধি ছিল ড্রুমন্ড। কিন্তু এই উৎসটি তেমন বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় এই নামটি তেমন পরিচিতি পায়নি। জলদস্যুতার পেশায় নিয়োজিত থাকার ফলেই তার এমন অনেক কাল্পনিক নাম রয়েছে,সেই জন্যই টীচ তার পারিবারিক নাম ছিল কিনা,এটা নিয়েও সন্দেহ আছে।
প্রথম দিকে তিনি সম্ভবত রাণী এন’র যুদ্ধের সময় কোনও এক প্রাইভেটিয়ার জাহাজের নাবিক ছিলেন। প্রাইভেটিয়ার হলো শত্রু জাহাজ আক্রমণ ও লুণ্ঠনের অধিকারপ্রাপ্ত বেসরকারি জাহাজ।যুদ্ধের পর ১৭১৬ সালের দিকে তিনি বাহামেইন দ্বীপপুঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন হর্নিগোল্ডের বেসে জাহাজের কর্মী হিসেবে যোগদান করেন।পরবর্তীতে তার কদর বুঝতে পেরে হর্নিগোল্ড তাকে দখল করা একটি পাল তোলা ছোট জাহাজের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করে।১৭১৭ সাল পর্যন্ত এই দুইজন মিলে অনেক জাহাজ সফলভাবে লুট করেন। পরবর্তীতে তারা আরও দু’টি জাহাজের মালিক হন যার মধ্যে একটি স্টিডি বোনেট বা দ্য জেন্টলম্যান পাইরেটের অধীনে।হর্নিগোল্ড ১৭১৭ সালের দিকে জলদস্যুতা থেকে অবসর গ্রহণের পর টীচ একটি ফরাসি বাণিজ্য জাহাজ দখল করে সেটিকে নিজের মত করে সাজিয়ে “কুইন এনি’স রিভেঞ্জ” নামকরণ করে। কথিত আছে যে,সেই জাহাজে টীচ ৪০ টি তৎকালীন সময়ের আধুনিক কামান যুক্ত করে এবং জাহাজের আভ্যন্তরীণ কিছু পরিবর্তন এনে সেটিকে অত্যন্ত দ্রুতগামী একটি জাহাজে পরিণত করে।খুব অল্প সময়ের মাঝেই তার নাম সমুদ্রের বুকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি মূলত তার লম্বা কালো দাড়ির জন্য পরিচিত ছিলেন। যা তাঁকে ‘ব্ল্যাকবিয়ার্ড’ নামটি এনে দেয়।কথিত আছে যে,তিনি নাকি দাড়িতে ঘষে আগুন জ্বালাতে পারতেন।তিনি দক্ষিণ ক্যারোলিনার কার্লিস্টোন বন্দরে দস্যুদের একটি জোট গঠন করেন। এখানকার অধিবাসীদের কাছ থেকে তিনি অত্যন্ত সাফল্যের সাথে মুক্তিপণ আদায় করেন এবং তারপর উত্তর ক্যারোলিনার বিউটিফোর্টের কাছে একটি জলায় আটকে যান।যেখান থেকে তাঁকে আটক করা হয়।তিনি বাথ শহরে রাজকীয় ক্ষমা পান,কিন্তু ফের জলদস্যুতার পেশায় ফিরে যান। এ বিষয়টি ভার্জিনিয়ার তৎকালীন গভর্নর আলেক্সজান্ডার স্পটসউডের নজরে আসে। তিনি নাবিক ও সৈন্যদের সমন্বয়ে একটি বাহিনী গঠন করে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে ধরতে অভিযান চালায়।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড এর বিভিন্ন কর্মকান্ডঃ
আমরা এখন মুভিতে নায়কদের যেমন দেখি অসম সাহসের সাথে একসাথে কয়েকজনের সাথে মারামারি করতে, ব্ল্যাকবিয়ার্ড ছিল ঠিক তেমনই। সে হয়তো নায়ক ছিল না,কিন্তু সাহস বা শক্তি কোনোদিক দিয়েই সে পিছিয়ে ছিল না।সে যেমন তলোয়ার চালানোতে সিদ্ধহস্ত ছিল,ঠিক তেমনি ছিল বন্দুক চালানোতেও।এক বিবৃতি থেকে জানা যায় যে,সে নাকি একসাথে ৬ টা মাস্কেট গান বহন করত। সেই সাথে তার নিশানাও ছিল নির্ভুল। বন্দুক-তলোয়ারে এমন দক্ষতা,সেইসাথে মুখভর্তি দাড়িসহ ভয়ানক চেহারা দেখে তার শত্রুরা তার সাথে লাগতে তেমন একটা উৎসাহ বোধ করত না। আটক করা জাহাজের যাত্রীরাও তার সেই চেহারা দেখে আর বেশি কথা না বলে টাকা পয়সা যা থাকত দিয়ে দিত।
যেহেতু প্রথম জীবনে সে প্রাইভেটিয়ার ছিল,তাই রণনীতি সম্পর্কে তার ধারণাও ছিল পরিষ্কার।সে কখনই কোনও জাহাজকে সামনা সামনি আক্রমণ করত না। প্রথমে সেই জাহাজটিকে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করত,তারপর দিগন্তে হারিয়ে যেতে দিত যেন ওই জাহাজের কেউ কোনও সন্দেহ না করে। তারপর আচমকা নিজ জাহাজের গতি চরমে তুলে সামনের জাহাজকে আক্রমণ করত। যেহেতু তার জাহাজটি ছিল তখনকার দ্রুতগামী জাহাজগুলোর মাঝে একটি,তাই সেটির সাথে অন্য কোনও জাহাজ টক্কর নিয়ে পারত না।
১৭১৭ সালের শেষ থেকে ১৭১৮ সালের শুরু পর্যন্ত ব্ল্যাকবিয়ার্ডের কর্মকাণ্ড ছিল অনেকটা ধোঁয়াশার মত। অনেকে যদিও সেসময় অনেক জাহাজ লুটের পেছনে তাকে দায়ী করে,কিন্তু কারও দাবিরই দিনশেষে কোনও ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পেশা হিসেবে জলদস্যুতা কখনই সম্মানীয় কিছু হতে পারে না।কিন্তু তারপরও একজন জলদস্যু হয়ে কেন ব্ল্যাকবিয়ার্ড অন্যান্য জলদস্যুদের থেকে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে,এ বিষয়টা এতক্ষণে আপনাদের মনে জেগেছে কি? লেখার শুরুতে আমি যে একটি কাল্পনিক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলাম,মনে আছে? সেটিতে একজন লোক হাঁপ ছেড়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছিল যে? আসল কারণ হলো,ব্ল্যাকবিয়ার্ডের স্বভাব। অন্যান্য জলদস্যুরা যেখানে জিম্মিদের শিরশ্ছেদ করত অথবা দাস হিসেবে বিক্রি করে দিত,সেখানে ব্ল্যাকবিয়ার্ড জিম্মিদের গায়ে হাত পর্যন্ত তুলত না।
শুধু তাই নয়,একজন ক্যাপ্টেনের যতরকম গুণাবলী থাকা দরকার তার মাঝেও তার প্রায় সবই বিদ্যমান ছিল।উদাহরণস্বরূপ এখানে চার্লস টাউনের ব্লকেডের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।১৭১৮ সালের মে মাসের শেষের দিকে তার জাহাজের ওষুধের স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে তার প্রায় সকল নাবিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।যারফলে বাধ্য হয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ড চার্লস টাউনের পোর্টের সামনে তার জাহাজ দিয়ে ব্লকেড তৈরি করে এবং একটি জাহাজকে সেটির পুরো যাত্রীসহ জিম্মি করে এবং ঐ শহরের গভর্নরের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে বিপুল পরিমাণ ওষুধের দাবি জানায়।তার এমন অদ্ভুত দাবিতে প্রথম অবস্থায় গভর্নর ভড়কে গেলেও,পরে সেটা মেনে নেয় এবং তার শর্তমোতাবেক ওষুধের যোগান দেয়।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড এর পরিণতিঃ
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে যে,প্রায় সব জলদস্যুরই শেষ পরিণতি ভয়াবহ। এমনকি ব্ল্যাকবিয়ার্ডও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো,তারা জলদস্যু। অন্যের ধন-সম্পদ লুট করাই তাদের কাজ।প্রায় সব দেশের আইনই তখন জলদস্যুদের জন্য অনেক কড়া ছিল। প্রায় বেশিরভাগ জলদস্যুর মাথার উপরই বিশাল অংকের বাউন্টি ঘোষণা করা ছিল।বাউন্টি হলো কাউকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার অথবা কোনও ব্যক্তি প্রদত্ত পুরস্কার। তো তৎকালীন সময়ে ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য ব্ল্যাকবিয়ার্ডের উপরেও বিরাট অংকের বাউন্টি ঘোষণা করা ছিল।
এছাড়াও ভার্জিনিয়ার গভর্নর স্পটউডও ব্ল্যাকবিয়ার্ডের পিছনে অনেকদিন ধরে লেগেছিল। কয়েকবারই সে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হয়।তার এই উৎসাহের পিছনে অবশ্য ব্ল্যাকবিয়ার্ডের লুকানো গুপ্তধনের গুজবের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি।তাই সে নিজে অর্থ যোগান দিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডের পেছনে সৈন্য লেলিয়ে দেয়।
যার ফলশ্রুতিতে ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর তারিখে ভয়ানক এক যুদ্ধের পর ব্ল্যাকবিয়ার্ড নিহত হয়। তার কাটা মাথা অনেকদিন ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটন নদীর কাছে খুঁটিতে গেঁথে রাখা হয় যেন তা দেখে জলদস্যু এবং ভবিষ্যৎ জলদস্যুরা ভয় পায়।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের মৃত্যুর পরও তার নাম মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি।এর পেছনে হয়তো তার ভীতি অথবা জলদস্যু হিসেবে তার ব্যতিক্রম মনোভাব দায়ী হতে পারে।
purchase metformin generic – acarbose generic precose 50mg cost