রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ ফ্রান্সঃ গ্রিইজম্যান, পগবাদের বিশ্বজয়ের মিশন

2

সালটা ১৯৯৮। প্রতিবারের মতো সবাই মেতে উঠেছিলো বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে। ফুটবল পণ্ডিতরা বাজি রাখছিলেন ব্রাজিল, জার্মানি, ইতালি, আর্জেন্টিনার মতো বড় ঘোড়াদের উপর। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গুটিকয়েক লোক ছাড়া কেউ স্বাগতিক ফ্রান্সের উপর বাজি রেখেছিলো কিনা বলা মুশকিল। দল হিসেবে কিন্তু মোটেও খারাপ ছিলো না তারা। বরং অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের মিশেলে তৈরি দারুণ একটি দল ছিলো তারা। দিদিয়ের দ্যাশাম্প, জিনেদিন জিদান, থিয়েরী অরি, লরেন্ট ব্ল্যাংক, প্যাট্রিক ভিয়েরা, ডেভিড ত্রেজাগুয়েতের মতো তরুণ তুর্কিরা সে টুর্নামেন্টটি নিজেদের করে নেবে, তা কয়জনই বা ভেবেছিলো। যদিও ব্রাজিলের তৎকালীন ফর্ম মাথায় রেখে, অন্য কাউকে নিয়ে বাজি ধরা ছিলো নেহাৎ অপরাধ। কিন্তু সেই ব্রাজিলকেই ফাইনালে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের প্রথম এবং একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে ফ্রান্স। ভাগ্য সহায় থাকলে আর জিনেদিন জিদানের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতেই (২০০৬) আরেকটি শিরোপা ঘরে তুলতো তারা। জিদান বিহীন ফ্রান্স ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে যায় পেনাল্টি শুট আউটে। সেই ঘা এখনো কষ্ট দেয় ফ্রান্সের মানুষকে। মুখিয়ে আছে তারা আরেকটি শিরোপার জন্য।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে ফ্রান্স ফুটবল টিম
১৯৯৮ বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে ফ্রান্স ফুটবল টিম Source: fifa.com

রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ ফ্রান্সঃ

শেষ শিরোপা উত্তোলনের পর পেরিয়ে গেছে ২০ টি বছর। আবারো দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। তরুণ যোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি ফ্রান্সও। বিশ্বেরসেরা তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে সাজানো হয়েছে দলটি। কোচ হিসেবে আছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপ দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দিদিয়ের দ্যাশাম্প। বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা তাই দলকে কিছুটা সামনে এগিয়ে রাখবে। ফুটবল পণ্ডিতদের অনেকের মতেই বিশ্বকাপ জিতার দৌড়েও অনেক এগিয়ে আছে ফ্রান্স।

রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ ফ্রান্স
ফ্রান্স ফুটবল দল Source: irishmirror.ie

প্রথমেই দেখে নেয়া যাক দলটির বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডের পার্ফমেন্সঃ

বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘এ’ তে ফ্রান্সের সাথে ছিলো নেদারল্যান্ড, সুইডেন, বেলারুশ, বুলগেরিয়া, লুক্সেমবার্গ। গ্রুপ অফ ডেথই বলা চলে। কেননা গ্রুপ থেকে সরাসরি কোয়ালিফাই করবে একটি দল। সেখানে নেদারল্যান্ড, সুইডেনের মতো প্রতিপক্ষকে পিছনে ফেলে কোয়ালিফাই করাই ছিলো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রথম ম্যাচ ছিলো বেলারুশের বিরুদ্ধে। তুলনামূলক অনেক সহজ প্রতিপক্ষ। কিন্তু এই ম্যাচেই হোঁচট খায় ফ্রান্স। গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট খুইয়ে বসে। বিশ্বকাপ পথ টা তখন অনেক দূরের মনে হচ্ছিলো। পরের ম্যাচ ছিলো বুলগেরিয়ার সাথে। ম্যাচের ৬ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে হজম করে গোল। কোচের কপালে ভাজ পরার আগেই কেভিন গ্যামেইরোর গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। গ্যামেইরোর জোড়া গোল, গ্রিজমেন এবং পায়েটের গোলে ৪-১ এ ম্যাচটি জিতে নেয় তারা। পরবর্তী ম্যাচ ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেদারল্যান্ডের সাথে। এ ম্যাচটিই নির্ধারণ করে দিতো বিশ্বকাপের স্বপ্ন। আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচটি ১-০ তে জিতে নেয় ফ্রান্স। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ এই গোলটি করেন পল পগবা। এর পরের সুইডেনের সাথের ম্যাচটি তারা জিতে ২-১ এ। পরের ম্যাচে লুক্সেমবার্গ কে ৩-১ এ হারায়। এরপর সুইডেনের সাথে খেলায় ২-১ এ পরাজিত হয় তারা। পরবর্তী ম্যাচ নেদারল্যান্ডের সাথে। পা ফসকালেই বিশ্বকাপের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যেতো। কিন্তু সেরকম কিছু ভাবার আগেই শক্তিশালী নেদারল্যান্ড কে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের পথে আরেকধাপ এগিয়ে যায় তারা। পরবর্তী ম্যাচে লুক্সেমবার্গের সাথে আবারো হোঁচট খায় তারা। গোলশুণ্য ড্র করে পয়েন্ট হারায়। যদিও বেলারুশ এবং বুলগেরিয়ার সাথে পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় তারা।

দেখা নেয়া যাক বাছাইপর্বের কিছু স্ট্যাটঃ

মোট ম্যাচ- ১০

জয়- ৯

ড্র- ২

পরাজয়- ১ টি

গোল করেছে- ১৮ টি

গোল হজম করেছে- ৬ টি

ক্লিনশিট- ৫ টি

সর্বোচ্চ গোল স্কোরার- গ্রিজমেন (৪), জিরুদ (৪)

দলটির সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে স্কোরার ভ্যারিয়েশন। নির্দিষ্ট কারো উপর নির্ভরশীল নয় দলটি। বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো দেখলেই বিষয় টা স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রায় সব পজিশনের খেলোয়াড়রাই ম্যাচ বের করে আনার ক্ষমতা রাখে। সর্বোচ্চ স্কোরার গ্রিজমেন এবং জিরুদের ৪ গোলের পাশাপাশি ২ গোল করে করেছেন কেভিন গ্যামেইরো, পল পগবা, দিমিত্রি পায়েট। এছাড়াও স্কোরশিটে নাম আছে মাতুইদি এম্বাপ্পের দের। দল নির্বাচনে তাই ঘাম ঝড়তে পারে কোচের। প্রতিটি পজিশনেই আছে একের অধিক বিশ্বমানের খেলোয়াড়। যাদের প্রায় সবাই ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলোর মধ্যমণি।

নিচে ২০১৮ বিশ্বকাপে আলো ছড়াতে পারেন, এমন কিছু খেলোয়াড়ের রিসেন্ট ফর্ম তুলে ধরা হলোঃ

 

এন্তনিও গ্রিইজমেনঃ

ফ্রান্সের মূল তারকাদের লিস্ট করা হলে সবার উপরে থাকবেন তিনি। ২০১৬ ইউরোর ফাইনালে দলকে তুলতে একাই করেছিলেন ৫ টি গোল। ছিলেন ২০১৭ ব্যালন ডি অরের টপ থ্রি তে। এথলেটিকো মাদ্রিদের এই নাম্বার সেভেন আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এখন পর্যন্ত লা লিগায় করেছেন ১৮ গোল, সাথে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ৯ টি গোল। বাছাইপর্বেও এই ফর্মের প্রমাণ দেখতে পেয়েছি আমরা। ৪ গোল করে দলের জয়ে রাখেন অনবদ্য অবদান। তাই প্রতিপক্ষের চোখ রাখতে হবে এই ক্ষুদে জাদুকরের উপর। নিঃসন্দেহে ফুটবলপ্রেমীদের লাইমলাইটেও থাকবেন তিনি।

গোলের পর দলের সাথে আনন্দে মেতে উঠেছেন গ্রিইজম্যান
গোলের পর দলের সাথে আনন্দে মেতে উঠেছেন গ্রিইজম্যান
Source: goal.com

কিলিয়ান এম্বাপ্পেঃ

Source: Metro

মোনাকোতে থাকতেই নিজের গতি এবং স্কিল দিয়ে ফুটবল বিশ্বের নজরে আসেন এই তরুণ ফুটবলার। এই সামারে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। নতুন ক্লাবে গিয়েও আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন এম্বাপ্পে। চলতি সিজনে এখন পর্যন্ত করেছেন ১৭ গোল, সাথে ১১ টি এসিস্ট। বুঝাই যাচ্ছে ফর্মের তুঙ্গে আছেন এই ফুটবলার। নিজের দুর্দান্ত গতি এবং ডেডলি ফিনিশিং দিয়ে দলকে বিশ্বকাপ জিতাতে প্রস্তুত পুরোপুরি।

অলিভিয়ের জিরুদঃ

আর্সেনাল থেকে চেলসিতে যোগ দেয়া ফরওয়ার্ড অলিভিয়ের জিরুদ প্রতিপক্ষ দলের জন্য হয়ে উঠতে পারেন হুমকি হয়ে। বাতাসে তার অসাধারণ দক্ষতাই তাকে এগিয়ে রাখবে অন্যান্য ফরওয়ার্ড থেকে। সিজনে এখন পর্যন্ত করেছেন ১১ গোল এবং ৩ এসিস্ট। ফর্ম টা খুব একটা ভালো না গেলেও ফ্রান্সের জার্সি গায়ে জ্বলে উঠার রেকর্ড আছে তার। বাছাইপর্বে গুরুত্বপূর্ণ ৪ গোলই তার প্রমাণ।

গোলের পর সতীর্থদের সাথে অলিভিয়ের জিরুদ
গোলের পর সতীর্থদের সাথে অলিভিয়ের জিরুদ Source: mirror.uk

আলেক্সান্দ্রে লাকাজাত্তেঃ

Source: 90Min

ফরওয়ার্ড লাইনে থাকবেন কোচের আরেক আস্থা লাকাজাত্তে। সদ্য আর্সেনালে যোগ দেয়া এই ফরওয়ার্ড চলতি সিজনে এখন পর্যন্ত করেছেন ১১ গোল, এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ৩ টি গোল। সুযোগ পেলে প্রতিপক্ষের কাল হয়ে দাড়ানোর জন্য যথেষ্ট তিনি একাই।

পল পগবাঃ

Source: Metro

ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে মিডফিল্ড থেকে কন্ট্রোল রাখার কোন বিকল্প নেই। দারুণ বল কন্ট্রোল, অসাধারণ ভিসন, কি পাস, লং রেঞ্জ শুট, ডিফেন্স চেরা পাস, পিন পয়েন্ট ইন্টারসেপশন। ম্যাচ জিততে এসব কি এবিলিটিজের কোন বিকল্প নেই তা কোচ ভালোভাবেই জানেন। তাই মাঝমাঠের জ্বলে উঠার উপর নির্ভর করবে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ। আর মাঝমাঠের গুরুদায়িত্ব তো সামলাবেন এই পগবাই।

ওসমান ডেম্বেলেঃ

Source: Sky Sports

খুবই অল্পবয়সে গতিশীল ড্রিবলিং এবং দারুণ ফুটবলীয় সেন্সের কারণে নজরে আসে বড় বড় ক্লাবগুলোর। সেই সুবাদের এই সিজনের শুরুতে যোগ দেন ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনায়। যদিও এখনো দলের অনবদ্য অংশ হয়ে উঠতে না পারলেও, এই তুরুপের তাস কে কাজে লাগাতে নিশ্চয়ই ভুলবেন না ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দ্যাশাম্প।

কান্তেঃ

Source: sportsjoe.ie

মাঝমাঠে একজন কান্তে থাকা মানে দলে ১২ জন প্লেয়ার নিয়ে খেলা। লিস্টার সিটির রূপকথার লিগ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন এই কান্তে। পরের বছর চেলসিতে যোগ দিয়ে, চেলসিকেও লিগ জেতাতে ভূমিকা রাখেন। প্রচণ্ড স্ট্যামিনা আর পিন পয়েন্ট ইন্টারসেপশন, সাথে আছে পারফেক্ট ম্যান মার্কিং করার এবিলিটি। ডিফেন্সে তার সাপোর্টের কোন বিকল্প নেই। মাঝমাঠে কান্তে কে খেলালে পগবা অনেকটা ফ্রি স্পেস নিয়ে এটাকে সাহায্য করতে পারবে। তাই নিঃসন্দেহে কোচের প্রথম পছন্দ থাকবে এই জুটি।

এন্তনিও মার্শিয়ালঃ

Source: Bleacher Report

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই উইংগারের আছে বিগ ম্যাচে জ্বলে উঠার প্রবণতা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই গোল করে দল কে বাঁচিয়েছেন হার থেকে। এই সিজনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দেখিয়ে যাচ্ছেন নিজের প্রতিভা। তাই জায়ান্ট কিলার এই খেলোয়াড় কে নিশ্চয়ই কাজে লাগাতে চাইবেন কোচ।

আদ্রিয়েন র‍্যাবিয়টঃ

Source: 90Min

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের অন্যতম সেরা একাডেমী প্লেয়ার তিনি। খেলায় কতোটুকু ইনফ্লুয়েন্স সে রাখতে পারে, পগবার অনুপস্থিতিতে বুলগেরিয়ার সাথে ম্যাচেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। রিসেন্ট ফর্ম ও দারুণ। পিএসজির হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন ভালোভাবেই। পগবা বা কান্তের জায়গায় র‍্যাবিয়টকে দেখলেও তাই অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

দিমিত্রি পায়েটঃ

এটাকিং মিডফিল্ডে অনেক দিন ধরেই কোচের আস্থার জায়গাটা ধরে রেখেছেন তিনি। বাছাইপর্বে করেছেন দুই গোল, সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি এসিস্ট। ইনজুরি না থাকলে কোচের প্রথম পছন্দ হবেন এই পজিশনে।

বিশ্বকাপেও এভাবেই জ্বলে উঠতে চান দিমিত্রি পায়েট
বিশ্বকাপেও এভাবেই জ্বলে উঠতে চান দিমিত্রি পায়েট Source: grettyimages

মাতুইদিঃ

Source: beIN SPORTS

পগবা, কান্তে, র‍্যাবিয়ট দের ভিড়ে দলে জায়গা পাওয়াটাই চ্যালেঞ্জিং। তবে যখনই দলে সুযোগ পেয়েছেন, কোচের আস্থার মূল্য দিয়েছেন। ফিজিক্যাল এই মিডফিল্ডারকে কাজে লাগানোর কথা ভাবতেই পারেন কোচ।

থমাস লেমারঃ

Source: Metro

মোনাকোর এই উইংগার কোচকে ফেলে দিয়েছেন মধুর সমস্যায়। রিসেন্ট ফর্ম এবং পারফর্মেন্স বলে, এই প্লেয়ারকে দলের বাইরে রাখলে বোকামি করবেন দ্যাশাম্প। উইং এ অপশন হিসেবে দলের জায়গাটা তাই নিশ্চিতই বলা চলে।

রাফায়েল ভারানেঃ

রাফায়েল ভারানে
Source: SoccerTalkz

রিয়াল মাদ্রিদে খেলা এই সেন্টার ব্যাক কেই সামলাতে হবে দলের রক্ষণভাগ। দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দিয়ে ক্লাব এবং জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। ফ্রান্সের শিরোপা স্বপ্ন নির্ভর করবে রক্ষণের উপরও।

স্যামুয়েল উমতিতিঃ

স্যামুয়েল উমতিতি
Source: 101 Great Goals

বার্সেলোনার এই তরুণ সেন্টার ব্যাক প্রথমে কিছুটা হোঁচট খেলেও, নিজেকে সামলে নিয়েছেন ভালোভাবেই। স্বভাবত ভাবেই ক্লাবের রক্ষণের আস্থা তিনি এবং ইতিহাস বিবেচনায় এবারের রক্ষণের সাফল্য অনেক। জাতীয় দলেও হয়তো ভারানের সাথে তাকেই রক্ষণ সামলাতে দেখা যাবে।

লুকাস দিগ্নেঃ

লুকাস দিগ্নে
Source: FC Barcelona

বার্সার আরেক সতীর্থ লুকাস দিগ্নে। লেফট ব্যাক পজিশন থেকে রক্ষণ সামলান এবং এটাকেও সাপোর্ট দেন প্রচুর। উইং নির্ভর খেলা পছন্দ করায় কোচ হয়তো এই জায়গাটি দিগ্নে কে দিয়েই পূরণ করতে চাইবেন।

প্রেসনেল কিম্পেম্বেঃ

প্রেসনেল কিম্পেম্বে
Source: YouTube

২২ বছর বয়সী পিএসজির এই সেন্টার ব্যাক ইতিমধ্যেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। ভারানের সাথে উমতিতির পরিবর্তে কিম্পেম্বে দেখা যাবে বলেও অনেকের ধারণা।

লরেন্ট কোসিয়েলনীঃ

Source: Metro

আর্সেনাল সেন্টার ব্যাক কোসিয়েলনীও আছেন কোচের রাডারে। কয়েক ম্যাচে তাকে মাঠে দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

বেঞ্জামিন মেন্ডিঃ

বেঞ্জামিন মেন্ডি
Source: Manchester City FC

ম্যানচেস্টার সিটির রাইট ব্যাক বেঞ্জামিন মেন্ডির সুস্থতার জন্য হয়তো খোদ কোচই দোয়া করছেন স্রষ্টার কাছে। সুস্থ মেন্ডি কতোটা ভয়ংকর হতে পারে তা প্রতিপক্ষের চেয়ে কেই বা ভালো বলতে পারবে। ইনজুরি থেকে ফিরতে পারলে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে তাকে।

হুগো লরিসঃ

দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হচ্ছে গোলবার। ইতিহাস বলে, বিশ্বসেরা গোলকিপার ছাড়া কোন দল বিশ্বকাপ জিততে পারে নি। টটেনহ্যাম হটস্পারের এই গোলরক্ষকের কোন বিকল্প নেই কোচের কাছে। বাছাইপর্বে দিয়েছেন কোচের আস্থার মূল্য। সাফল্যের জন্য লরিসের জ্বলে উঠার কোন বিকল্প নেই। তাই লরিস ও প্রস্তুত বিশ্বকাপের জন্য।

হুগো লরিস
Source: The Indian Express

বিশ্বমানের দল থাকার পরও ২০১৬ ইউরোর খুব কাছাকাছি গিয়েও কাপ টা স্পর্শ করে দেখা হয় নি। এর জন্য অনেকে অভিজ্ঞতার অভাবকে দায়ী করেছেন। প্লেয়ারদের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই, ঝুলিতে অভিজ্ঞতাও হয়েছে অনেক। এবার কি পারবে না ১৯৯৮ এর পুনরাবৃত্তি করতে? তারা কি পারবে নিজেদের জিদান অরিদের পর্যায়ে নিয়ে যেতে? নাকি আরেকটি দুর্ভাগা দল হয়েই হারিয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়? উত্তর জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে জুন পর্যন্ত।

 

তথ্যসূত্রঃ

Fifa.com

Whoscored.com

Source Featured Image
Leave A Reply
2 Comments
  1. Vggbil says

    order terbinafine sale – purchase griseofulvin pills grifulvin v pills

  2. Dxzvev says

    buy metformin 1000mg pills – acarbose cheap order acarbose 50mg generic

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More