স্বাগতিকঃ
ফিফা’র প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্স। ফিফা বিশ্বকাপের স্বপ্নদ্রষ্টা জুলেরিমে ছিলেন এই ফ্রান্সেরই অধিবাসী। যাদের হাতে বিশ্বকাপ সৃষ্টি তারাই কোনদিনও জেতেনি ফুটবলের সর্বোচ্চ এই সম্মান। বিশ্বকাপের শুরু থেকে পেরিয়ে গিয়েছিল ৬৮ বছর, তখনও তাদের কাছে অধরা এই মহান শিরোপা। অপেক্ষার অবসান ঘটে ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনেই। ফাইনালে ব্রাজিলকে পরাজিত করে জিনেদিন জিদানরা। বিশ্বকাপ জিতিয়ে ফ্রান্সের নায়ক হয়ে ওঠেন জিনেদিন জিদান। এবারের ফ্রান্স দলের কোচ দেশাম্পও কিন্তু সেই জয়ী দলের সদস্য ছিলেন।
ভেন্যুঃ
১০টি শহরকে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য নির্বাচন করা হয়। মোট ১০টি স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
অংশগ্রহণকারী দলঃ
১৯৯৬ সালের মার্চ মাস থেকে এই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য ৩২টি দল নির্বাচনের লক্ষ্যে ফিফার বাছাইপর্ব শুরু হয় যা ১৯৯৭ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হয়। এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২৪টি থেকে বাড়িয়ে ৩২ দলে পরিণত করা হয়। দলের সংখ্যা বাড়াতে অঞ্চলভিত্তিক স্লটও পুনরায় বেড়ে যায়। নতুন ফরম্যাটে অঞ্চলভিত্তিক সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় ইউরোপ-১৫(স্বাগতিকসহ), কনমেবল-৫, ওশেনিয়া-০, আফ্রিকা-৫, কনক্যাকাফ-৩, এশিয়া-৪।
ফরম্যাটঃ
প্রথমবারের মত ৩২দলের বিশ্বকাপ হওয়াতে ফরম্যাটে পরিবর্তন আসে আবারও। ৩২টি দলকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতি জয়ের জন্য ৩পয়েন্ট এবং ড্র এর জন্য ১পয়েন্ট বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করা হয়। প্রতি গ্রুপের ১ম এবং ২য় দলকে নিয়ে নকআউট পর্ব হয়। সেখানে দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল এবং শেষে ফাইনাল এর নকশা করা ছিল।
নকআউট রাউন্ডঃ
রাউন্ড অফ সিক্সটিন এর একটি মাত্র ম্যাচই টাইব্রেকারে যায়। আর্জেন্টিনা বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচটি। ম্যাচটা কিছুটা বিতর্কিতও বটে। ৪৭ মিনিটের সময় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় বেকহামকে। ডিয়েগো সিমিওনের করা ফাউল এর জন্য মারতে উদ্যত হলে তাকে কার্ড দেখান রেফারি।
পরের ম্যাচেই হল্যান্ড এর কাছে হেরে বাদ পরে যায় আর্জেন্টিনা। চমক দেখায় ক্রোয়েশিয়া। রোমানিয়াকে হারানোর পর জার্মানিকে ৩-০গোলে হারিয়ে সেমিতেই উঠে যায় তারা। ফ্রান্স এর কাছে হেরে বাদ পড়লেও ৩য় হয়েই ফ্রান্স ত্যাগ করে তারা।
ফাইনালঃ
আগের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন বনাম স্বাগতিক। জমজমাট একটি ফুটবল ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল। ফুটবল ১১ জনের দলগত খেলা হলেও সেদিন খেলা দেখে মনে হচ্ছিল একজন জিদানের বিপক্ষে ১১জন ব্রাজিলিয়ান খেলছেন। জিদানের ২গোলে ১ম হাফেই হয়ত ফ্রান্সের জয়ের রূপকথা লেখা হয়ে গিয়েছিল। কর্নার থেকেই দুটি গোল করেন জিদান।
৬৮মিনিটে মার্সেই দেশাই ২য় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও ব্রাজিল আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ৯৩মিনিটে ব্রাজিলের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন পেটিট। ৩-০ গোলের এই পরাজয় ব্রাজিলের ওয়ার্ল্ড কাপ ইতিহাসেরই সবচেয়ে বাজে পরাজয়(যেটি গত বিশ্বকাপে ৭-১গোলে হারার আগ পর্যন্ত ছিল)।
সর্বোচ্চ গোলদাতাঃ
পুরো টুর্নামেন্ট এ ১১২ জন প্লেয়ার গোল করেন (মোট ১৭১টি গোল)। ৬টি গোল দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার ডেভন সুকর সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।
নতুন টেকনোলোজিঃ
৪র্থ রেফারি কার্ডবোর্ড এর পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক বোর্ড ব্যবহার করেন প্রথমবারের মত
পরিবর্তিত নিয়মঃ
- পিছন থেকে এসে পা বাড়িয়ে ফাউল করা এই বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করা হয়
- তিন জন খেলোয়াড় পরিবর্তনের নিয়ম চালু করা হয়
এক নজরে ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৮২
স্বাগতিকঃ ফ্রান্স
সময়কালঃ ১০ই জুন থেকে ১২ই জুলাই
ব্যবহৃত বলঃ Adidas Tricolore
অংশগ্রহণকারী দলঃ ২৪টি
চ্যাম্পিয়নঃ ফ্রান্স(১ম শিরোপা)
রানার্সআপঃ ব্রাজিল
তৃতীয়স্থানঃ ক্রোয়েশিয়া
চতুর্থঃ হল্যান্ড
গোল্ডেন বলঃ রোনালদো (ব্রাজিল)
গোল্ডেন বুটঃ ডেভন সুকর
ইয়াসিন অ্যাওয়ার্ড(সেরা গোলরক্ষক): ফ্যাবিয়ান বার্থেজ
উদীয়মান তরুন খেলোয়াড়ঃ মাইকেন ওয়েন(ইংল্যান্ড)
ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ডঃ ফ্রান্স, ইংল্যান্ড
থিম সং: Cup of Life
মোট ভেন্যুঃ ১০টি
মোট ম্যাচঃ ৬৪টি
মোট গোল সংখ্যাঃ ১৭১
উপস্থিতিঃ ২৭,৮৪,৬৮৭
order rybelsus 14 mg without prescription – buy generic desmopressin how to buy desmopressin