কাতালুনিয়া, নামটা বেশ অপরিচিত লাগছে। তবে যদি বলি বার্সেলোনা তাহলে কি চেনা চেনা লাগছে। বার্সেলোনা কে তো সবাই চেনেন। বিশ্বসেরা ফুটবল ক্লাবকে চিনেন না এমন লোকজন খুব কমই আছেন। অনন্য শহরের ফুটবল ক্লাবের নামগুলো যেমন শহরের নামেই হয় তেমনি ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা তার শহর বার্সেলোনার নামেই নামকরণ হয়েছে। আসলে বার্সেলোনা শহরটা কাতালুনিয়া প্রদেশের অন্তর্গত। এফসি বার্সেলোনা জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে বিশ্বের অন্যতম এবং কাতালুনিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে প্রায় সাড়ে ছয়শ কিলোমিটার দূরে বালেরিক সাগরের কোল ঘেঁসে অবস্থিত কাতালুনিয়া প্রদেশ। আর এই কাতালুনিয়া প্রদেশের রাজধানী হল বার্সেলোনা।
দ্বাদশ শতাব্দীর দিকে প্রথম কাতালুনিয়া অঞ্চল সম্পর্কে জানা যায়। ১১৫০ সালে অ্যারাগনের রাণী পেট্রোনিলিয়া এবং বার্সালোনার কাউন্ট পঞ্চম রেমন ব্যারেনগুয়ের এর বিয়ে একটি রাজবংশ তৈরি করে যার অন্তর্ভুক্ত ছিল অ্যারাগন ও কাতালুনিয়া।
এটি টিকে ছিল রাজা পঞ্চম ফিলিপের শাসন পর্যন্ত। পঞ্চদশ শতাব্দীতে অ্যারাগনের রাজা ফার্ডিনান্ড এবং ক্যাস্টিলের রাণী ইসাবেলা বিয়ের পর তাদের রাজ্য একত্রিত করেন। সেই থেকেই স্পেনের শুরু। ১৬শ শতাব্দীতে স্পেনের অন্তর্গত হওয়ার ২৫০ বছর আগে থেকে এই অঞ্চলটির অস্তিত্ব ছিল।স্প্যানিশ উত্তরাধিকারের যুদ্ধ ১৭০৭ সালে ভ্যালেন্সিয়া, ১৭১৪ সালে কাতালুনিয়াতে পরাস্ত করে। ফলে আধুনিক দিনের স্পেনের জন্ম হয়।
অনেক রাজাই স্প্যানিশ ভাষা ও আইনকে কাতালুনিয়ার উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে। তার সমাপ্তি ঘটে ১৯৩১ সাল। ১৯৩১ সালে স্পেন স্বাধীন হওয়ার সময় স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা দিতে কাতালুনিয়াকে স্পেনের অন্তর্গত করা হয়।
জেনারেল ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো কাতালান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধ্বংস করার জন্য এবং ১৯৩৮ সালে ইব্রা যুদ্ধে বিজয়ী হলে তিনি এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। ৩৫০০ জন মানুষকে হত্যা করেন এবং নির্বাসনে আরও অনেককে বাধ্য করেন।
১৯৩৯ সালে স্প্যানিশ সিভিল ওয়ারের সময় জাতীয়তাবাদীদের বিজয় হলে কাতালুনিয়ার ক্ষমতা রহিত করা হয়। ১৯৩৯ থেকে ১৯৭৫ সালের সময় স্পেনের সামরিক শাসক ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর আমলে তাদের অনেক অধিকার ও ঐতিহ্য খর্ব করা হয়। কাতালুনিয়ার নিজস্বতার প্রতীক ক্যাস্টেল বা মানব মিনার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কাতালানদের শিশুদের স্পেনীয় নাম রাখতে বাধ্য করা হয়। কাতালান ভাষার প্রতিও অনেক বিধিনিষেধ আনা হয়।
১৯৭৫ সালে ফ্রাঙ্কোর মৃত্যুর পর কাতালুনিয়ার স্বায়ত্তশাসন পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হয়। ১৯৭৭ সালে স্পেনে গণতন্ত্র ফিরে এলে কাতালুনিয়া স্বায়ত্তশাসন পুনঃ-প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালে প্রথম পার্লামেন্ট গঠিত হয়। এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেই বছরেরই ২০শে মার্চ। এর মাধ্যমে স্পেনের ১৭ টি স্বায়ত্তশাসিত সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি হয় যার মাধ্যমে নিজস্ব পুলিশ বাহিনী এবং শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং সমাজকল্যাণে নিজস্ব ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া শিক্ষক, ডাক্তার এবং পাবলিক সেক্টরের কর্মরতরা কর্মক্ষেত্রে কাতালান ভাষা ব্যবহার করার অনুমতি পায়।
স্পেনের মূল অর্থনৈতিক শক্তি বলতে যে অঞ্চল বুঝায় তা হল এই কাতালুনিয়া প্রদেশ তথা বার্সেলোনা শহর। প্রকৃত পক্ষে মাদ্রিদ স্পেনের রাজধানী হলেও অর্থনীতিক ও পর্যটন নগরী হওয়ার কারণে কাতালুনিয়া প্রদেশের রাজধানী বার্সেলোনা-ই অধিক পরিচিত কারণ । সামুদ্রিক শক্তি ও টেক্সটাইল পণ্যের জন্য এটি স্পেনের একটি প্রধান অঞ্চল। বর্তমানে বাণিজ্য এবং বিভিন্ন হাই-টেক কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগ করছে।
এর আয়তন ৩২,০৯১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ।
স্পেনের জিডিপির প্রায় ১৯ শতাংশ কাতালুনিয়া প্রদেশ থেকে আসে। এই প্রদেশের জিডিপি প্রায় ৩১৪ বিলিয়ন ডলার যা কিনা বিশ্বের ৩৪ তম অর্থনীতির কেন্দ্র হিসাবে গণ্য হয়। মাথাপিছু আয় ৩৫ হাজার ডলার যা কিনা একে দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরায়েল বা ইটালির চেয়ে বেশী।
কাতালুনিয়ার রেস্টুরেন্ট ও শেফরাও বিশ্ববিখ্যাত। El Celler de Can Roca রেস্টুরেন্টটি ২০১৩ সালে বিশ্বের সেরা রেস্টুরেন্ট হিসাবে ঘোষিত হয়। এই বছর এটি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
এই শহর টি পর্যাটকদের অধিক আকর্ষণ কারণ তার স্থাপত্য, সাগর আর পাহাড়ের কারণে। সেখানে আছে “কাতালান সঙ্গীত প্রাসাদ” (Palau de la Música Catalana), সাগ্রাদা ফামিলিয়া (Sagrada Família), পার্ক গুইল (Park Güell), মন্তুজিক যাদু ফাউন্টেন (Magic Fountain of Montjuïc), সান্তা মারিয়া দেল মার (Santa Maria del Mar), ক্যাম্প ন্যু (Camp Nou) ইত্যাদি । আর মনোমুগ্ধকর এই সমস্ত স্থাপনা গুলো শত থেকে হাজার হাজার বছরের পুরনো।
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সালভাদর দালি, জোয়ান মিরো, স্থপতি অ্যান্টনি গউদি, শেফ ফেরান আদ্রিয়া,জর্ডি ক্রুজ এবং বিশ্বসেরা কোচ পেপ গার্দিওলা এই কাতালুনিয়ারই সন্তান।
স্পেনের সংসদে ২০০৬ সালে একটি আইন প্রণয়ন করা হয় যেখানে কাতালুনিয়াকে আরো কিছু ক্ষমতা দেয়া হয়। কাতালুনিয়াকে উল্লেখ করা হয় একটি ‘জাতি’ হিসেবে। কিন্তু সংবিধানে কাতালুনিয়াকে দেয়া এমন অনেক ক্ষমতা পরে স্পেনের সাংবিধানিক আদালত বাতিল করে দেয়; যা কাতালুনিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
স্বায়ত্তশাসন কাটছাঁট করার ফলে ক্ষুব্ধ কাতালানরা। এর সাথে যুক্ত হয় বছরের পর বছর ধরে চলা অর্থনৈতিক মন্দা, সরকারি খরচ কমানো। স্বায়ত্বশাসনের জোরালো ঢেউ উঠে ২০০৮ সালে স্পেনের অর্থনৈতিক মন্দার পর পর থেকে। কাতালানরা স্স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আরো অর্থনৈতিক সহায়তা চায়। কারণ কাতালুনিয়াই স্পেনের সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী প্রদেশ। এর শক্তিশালী হওয়ার কারণেই তারা স্বাধীন হওয়ার পক্ষে জোরালো দাবী জানাচ্ছে।
২০১৪ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার প্রশ্নে একটি গণভোটের আয়োজন করে কাতালান সরকার। মোট ৫৪ লাখ ভোটারর মধ্যে ভোটে অংশ নেয় ২০ লাখেরও বেশি ভোটার এবং ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোটার কাতালুনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেন।
২০১৫ সালে কাতালুনিয়ার নির্বাচনে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জয়লাভ করার পর এমন একটি গণভোট আয়োজনের কথা বলে সেটা মানতে কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হবে এবং যার আইনি বৈধতা থাকবে । স্পেনের সংবিধানে বলা আছে, স্পেনকে ভাগ করা যাবে না। তারা এ নিষেধ অমান্য করেই এই ঘোষণা দেয়।
দুইটি প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলির দ্বারা সমর্থিত আঞ্চলিক সরকার ২০১২ সালের নভেম্বরে স্ন্যাপ নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতাসীন হয়। ২০১৪ সালে তারা স্বাধীনতার জন্য একটি অনানুষ্ঠানিক, অ-বাধ্যতামূলক ভোট গ্রহণ করে, যার মধ্যে ৮০ শতাংশ “হ্যাঁ” ভোট দেয়। স্প্যানিশ সরকার বলেছে কাতালুনিয়ার কোনও সাংবিধানিক অধিকার নেই। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসেই নতুন গণভোট এর ঘোষণা দেয় প্রাদেশিক সরকার।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গণভোট প্রসঙ্গে কাতালান পার্লামেন্টে একটি নতুন আইন তৈরি করে। হ্যাঁ অথবা না এই দুই অপশন রেখে সেখানে ভোটের জন্য রাখা হয় মাত্র একটি প্রশ্ন: আপনারা কি চান কাতালুনিয়া প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে উঠুক?
বাধ্যতামুলকভাবে ভোটের ফলাফল মানতে বাধ্য করা হবে বলে ঘোষণা দেয় এবং কাতালুনিয়ার নির্বাচন কমিশন আদেশ জারি করে যে ফলাফল প্রকাশের দুইদিনের মাঝে পার্লামেন্টে কাতালুনিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।রাজধানী মাদ্রিদে হাজার হাজার লোক এ গণভোটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগদান করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে স্পেনের সাংবিধানিক আদালত কাতালুনিয়ার ওই আইনটিকে বাতিল করে। এতে কাতালানরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার এরপর থেকে কাতালুনিয়ার অর্থনীতি ও পুলিশবাহিনীর প্রতি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা শুরু করে।
গণভোটের আয়োজনকারী কর্মকর্তাদের গ্রেফতার এর পাশাপাশি জব্দ করা হয়েছে এক কোটি ব্যালট পেপার এবং যেসব ওয়েবসাইটে এ গণভোটের প্রচারণা চালানো হচ্ছে সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
স্পেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দাবিতে স্বাধীনতার পক্ষের সমর্থকরা ১১ সেপ্টেম্বরে জাতীয় দিবস উপলক্ষে বড় রকমের সমাবেশ করেছে। দশ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল সেখানে। কাতালান সরকারের উদ্যোগে চালানো এক জনমত জরিপে দেখা যায়, ৪১ শতাংশ স্বাধীনতার পক্ষে এবং বাকিরা স্বাধীনতা চায় না।
স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করছে বার্সালোনা ফুটবল ক্লাবও। ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘকাল ধরে বার্সা কাতালুনিয়া জাতীয়তাবাদের প্রধান প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বার্সার কারণেই ধারণা পাওয়া যায় যে, স্পেন থেকে কাতালুনিয়ার স্বতন্ত্র একটি পরিচয় আছে। বিখ্যাত লেখক ম্যানুয়েল ভাসকুয়েস মোনতালবান বার্সাকে বলছেন, ‘কাতালুনিয়ার নিরস্ত্র সেনা’।
১৯১৯ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কাতালুনিয়ার জন্য বিরামহীনভাবে ‘স্বায়ত্তশাসনের আইন’ চাওয়া হচ্ছে। ১৯২০’র দশকে স্পেনের স্বৈরশাসক জেনারেল প্রমো ডে রিভারের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা ক্লাবের নীল ও লাল পতাকাটিতে জাতীয়তাবাদী প্রতিবাদের অংশে জুড়ে দেয়।
ফ্যাসিস্ট জেনারেল ফ্রানসিস্কো ফ্রাঙ্কোর শাসন অবসানের পর ১৯৬০ সালের শেষের দিকে নিষিদ্ধ কাতালান পতাকা এবং ভাষাটি প্রথমবারের মতো ক্লাবের ন্যু ক্যাম্প স্টেডিয়ামে পুনর্জন্ম লাভ করে। ফ্রাঙ্কোর শাসন পরবর্তী ৪০ বছরে কাতালোনিয়ার দাবি আরও বহুগুণ বেড়েছে।
বার্সেলোনার বেশিরভাগ ক্লাব পরিচালক ঐতিহাসিকভাবে কাতালুনিয়া সম্প্রদায় থেকেই টানা হয়। অন্যরা সবাই স্প্যানিশ ভাষায় কথা বললেও বোর্ড মিটিংয়ে বার্সার পরিচালকরা সাধারণত কাতালান ভাষাই ব্যবহার করেন।
কাতালানরা বার্সাকে ঐতিহ্য এবং ক্লাবের নীতিমালা অনুযায়ী একটি ক্লাবের চেয়েও বেশি’ বলে ধারণ করে। প্রকৃতপক্ষে, বার্সা এমন একটি শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী প্রতীক হয়ে উঠেছে যে, অনেক ইতালিয়ানও তাদের পক্ষে এমন রাষ্ট্রের জন্য আবেগগত উত্তরাধিকারী হিসাবে সমর্থন করে।
মধ্য ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্সেলোনা। ২০০৬ সালের আগে মাত্র একবার ইউরোপসেরা হলেও গত এক দশক ধরে ঈর্ষণীয় সাফল্য তাদের। ন্যু ক্যাম্প ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম এখন তাদের। ন্যু ক্যাম্পের ধারণ ক্ষমতা এখন ৯৯ হাজার ৩শ ৫৪! প্রায় প্রতি ম্যাচেই দর্শকে ভরপুর থাকে এই বিশাল স্টেডিয়ামের গ্যালারি।
সম্প্রতি ক্লাবটি স্পেনে ও সারা বিশ্বে গণভোটের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। বেশ কিছুদিন ধরে ন্যু ক্যাম্পে বার্সা ভক্তরা ‘আমাদের ভোট দিতে দাও’ এবং কেউ কেউ গান গাইতে বা স্বাধীনতার জন্য ব্যানার উড়িয়ে ঢেউ তুলেছেন।
ক্লাব থেকে প্রতিদিনই কোনও না কোনও রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। গণভোটের আয়োজনে সাহায্যকারী সরকারের কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের নিন্দা ও স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে খবরে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যখন ক্লাবের ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে অথবা সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ গার্দিওলা এটি সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, তখন বিশ্বের কোনায় কোনায় যারা কাতালুনিয়ার নামও শোনেননি তারাও এটি লক্ষ্য করেন।
গণভোটের দিন লা লিগাতে লাস পালমাসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে কাতালুনিয়ার নিজস্ব ও বিখ্যাত ‘সেনারিয়া’ পতাকার রংয়ের জার্সিতে ওয়ার্মআপ করেছে বার্সা।
ধারণা করা হয়েছিল, গত কয়েক বছরে হয়তো স্বাধীনতার সমর্থনে ভাটা পড়েছে। কিন্তু স্পেন সরকার যেভাবে দমন পীড়ন চালিয়ে গণভোট বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে অনেকে কাতালানই স্বাধীনতার দিকে ঝুঁকেও পড়েছেন। তবে আসল চিত্রটা যে কি বলা কঠিন।
স্বাধীনতার জন্য এই লড়াই চলছে, চলবেই। হয়তো একদিন বহু বছর ধরে চলা সংগ্রাম সফল হবে। সেদিন কাতালুনিয়া একটি দেশ হিসাবেই পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
সুত্রঃ উইকিপিডিয়া, বিবিসি, ব্রিটানিকা, আল জাজিরা, টেলিগ্রাফ, চ্যানেল আই।
buy glucophage 1000mg sale – precose pill order precose
[…] During the François dictatorship, due to the history of Catalan pride, the club […]