বিশ্বকাপ ফুটবলের চরম উত্তেজনাপূর্ন ম্যাচ সমূহ (২য় পর্ব)

0

প্রথম পর্বের পর-

বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই পুরো বিশ্ব জুড়ে অঘোষিত আনন্দ আয়োজন। ফেভারিট দল গুলোর প্রতি সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ  সব সবসময়ই আকাশ ছোঁয়া হয়। প্রত্যাশার চাপকে কোন দল শক্তিতে পরিণত করে আবার দেখা যায় কোন দল প্রত্যাশার চাপে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে। গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম বিশ্বকাপ ফুটবলের আলোচিত কিছু ম্যাচ নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকের পর্বেও থাকছে রোমাঞ্চকর কিছু  ম্যাচ।

  • উরুগুয়ে ১-১ ঘানা ( ২০১০ বিশ্বকাপ)

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০, কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ফেভারিট উরুগুয়ে এবং সবাইকে চমকে কোয়ার্টারে আসা আফ্রিকা মহাদেশের ঘানা। ম্যাচ শুরুর আগে যেই  রকম অনুমান করা হয়েছিল ম্যাচে তার উল্টো চিত্র দেখা যায়। দাপটের সাথে লড়াই করে ঘানা। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে দুই দলই। ডিয়াগো ফোরলানের নেতৃত্বাধীন আক্রমণভাগ বেশ ভুগাতে শুরু করে ঘানার ডিফেন্স ভাগ কে। প্রথমার্ধের একদম শেষ মিনিটে সবাইকে চমকে দিয়ে দূরবর্তী শটে অসাধারণ একটি গোল করে সুলেই মুনতারি। ১-০ লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ঘানা। বিরতির পর খেলা শুরু হলে উরুগুয়ের ম্যাচে সমতায় ফেরার নেশা চরম রূপ ধারণ করে। ফলশ্রুতিতে ৫৫ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিকের সুযোগ পায় তারা। ডিয়াগো ফোরলানের চোখ ধাঁধানো শট মুহূর্তেই বলকে জালে জড়িয়ে দেয়। সমতায় ফিরে উরুগুয়ে। একের পর এক আক্রমণ ম্যাচটিকে বেশ উপভোগ্য করে তোলে। পুরো নব্বই মিনিট জুড়ে আর কোন গোলের দেখা পায়নি দু,দল। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত মিনিটে। অতিরিক্ত মিনিটের খেলা শুরু পর সেই আগের চিত্রই দেখা যায়। ফোরলান, সুয়ারেজ, কাভানির ত্রয়ীর আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত ঘানার রক্ষণ ভাগের  খেলোয়াড়েরা, অপরদিকে মুনতারি আর জিয়ান মত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়েরাও পাল্টা জবাব দিতে থাকে। ম্যাচ শুরুর মাত্র ২ মিনিট পূর্বে নাটকীয় ঘটনার জন্ম দেয় উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ। গোল কিপারের অনুপস্থিতে নিজে গোল কিপারের দায়িত্ব পালন করে! নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় গানা। সরাসরি লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ত্যাগ করে সুয়ারেজ। খলনায়ক থেকে নায়ক হবার জন্য অল্প কিছুক্ষণ অপেক্ষে করতে হয় সুয়ারেজকে। ঘানার তারকা আসামোয়া জিয়ান পেন্টালি মিস করে বসেন! এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করে  হত বিব্রত হয়ে পড়ে ঘানা। খেলা নির্ধারণের জন্য পেনাল্টি শুট আউটের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানেই কপাল পুড়ে ঘানার। ৪-২ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে ঘানা। জিয়ান হয়ে যায় খলনায়ক আর সুয়ারেজ হয়ে যায় নায়ক। সেই সাথে আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে সেমিতে যাবার সুযোগ হাত ছাড়া হয় ঘানার।

ম্যাচের নাটকীয় মুহূর্ত, সুয়ারেজের গোল কিপারের দায়িত্ব পালন
ম্যাচের নাটকীয় মুহূর্ত, সুয়ারেজের গোল কিপারের দায়িত্ব পালন Source : Al Jazeera
  •  ব্রাজিল ১-২ উরুগুয়ে ( ১৯৫০ বিশ্বকাপ)

বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি স্বাগতিক হট ফেভারিট ব্রাজিল অপর দিকে দুই বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। ম্যাচের আগের দিনই ব্রাজিলের সকল পত্রিকায় ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত বলে সাম্বা উৎসবের প্রস্তুতি নিতে আহবান জানায়। কারণটাও খুব যৌক্তিক ছিল, পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই অপ্রতিরোধ্য ছিল জাগো বানিতোর রূপকারেরা। ফাইনালের আগের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১১ গোল দিয়ে এসেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। আর সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি ব্রাজিলের ছিল তা হল ড্র করলেই তারা চ্যাম্পিয়ন হবে, অন্যদিকে উরুগুয়ের জয়ের বিকল্প নেই। ফাইনালে মারকানার বুকে উপস্থিত দুই লক্ষ দর্শক। সবাই প্রস্তুত তাদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের সাক্ষী হবার জন্য। ম্যাচ শুরু, বেশ দাপটের সাথে খেলে যাচ্ছে ব্রাজিল। উরুগুয়ে অনেকটা রয়ে সয়ে খেলা দেখাচ্ছিল। প্রথমার্ধে কোন গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। বিরতির পর শুরু হয় খেলা, আবারো সাম্বাদের আধিপত্য। প্রথম মিনিটেই স্বাগতিকদের আনন্দে ভাসায় ফ্রিয়াকা। তার গোলেই ১-০ তে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গর্জে উঠে উরুগুয়ে, চলে সমতায় ফেরার লড়াই। তাদের সাফল্যের মুখ দেখায় শিফিয়ানো, ৬৬ মিনিটে গোল করে বিশাল সংখ্যক দর্শকদের নীরব করে দেয় উরুগুয়ে। তবে তখনো কিছু ঘটেনি, কারণ ড্র হলেও চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। উরুগুয়ে উদ্যম ফিরে পায়, তারপরও চলে ব্রাজিলের আধিপত্য। ম্যাচের ৭৯ মিনিট, ব্রাজিলের গোল কিপার বারবোসার ভুলে বল পেয়ে যায় উরুগুয়ের ঘিগিয়া আর সেখান থেকেই সরাসরি গোল করে মারাকানাকে নরকে পরিণত করে। ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি ব্রাজিল। সেই সাথে নিজেদের মাঠে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে ব্রাজিল। এই ঘটনাকে বলা  মারাকানার ট্রাজেডি বলে অভিহিত করা হয়। আজও সেই ইতিহাস ব্রাজিলের জনগণকে পীড়া দেয়। গোলকিপার বারবোসা জাতীয় ভাবে ভিলেনের পরিচিতি লাভ করে।  ব্রাজিল কখনোই তাকে ক্ষমা করে নি। ৪৩ বছর তাকে ধারাভাষ্য থেকে বিরত রাখে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন এমনকি তাকে সেই গোল পোস্টের বার দুটি উপহার দেওয়া হয়। এক সাক্ষাতকারে বারবোসা বলেছিল, “একজন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত  আসামীকেও এত শাস্তি দেওয়া হয় না, যতটা আমি পাচ্ছি”।

মারাকানার বুকে দর্শক সমুদ্র, ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফাইনালে
মারাকানার বুকে দর্শক সমুদ্র, ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ; source: StadioSport.it
  • আর্জেন্টিনা ইংল্যান্ড (১৯৮৬ বিশ্বকাপ)

১৯৮৬ সালের এই ম্যাচটি  ইতিহাসে অনন্য একটি স্থান দখল করে আছে। ম্যারাডোনার “হ্যান্ড অফ গড” খ্যাত বিতর্কিত গোলটি হয় এই ম্যাচেই। ফকল্যাণ্ড দ্বীপ নিয়ে দুই দেশের মধ্যেই চরম উত্তেজনা পূর্ণ মনোভাব বিচরণ করছিল। ম্যাচ শুরুর দিকে বেশ আক্রমণাত্মক খেলছিল দুই দল। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছিল ম্যারাডোনা। তাকে সামাল দিতেই বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। প্রথম ভাগে কোন গোল শূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পর খেলার শুরুর ৫১ মিনিটে ঘটে বিশ্বকাপ ইতিহাসের বিতর্কিত মুহূর্তটি।  ইংল্যান্ডের গোলকিপার শিলটন আর ম্যারাডোনা দু জনেই গোল বারের সামনে লাফিয়ে উঠে বলের জন্য। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল গোল জালে জড়িয়ে গেল। ম্যারাডোনা উদযাপনে ব্যস্ত অপরদিকে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা দৌড়াচ্ছেন রেফারির দিকে। তাদের দাবি হাত দিয়ে গোল দিয়েছে ম্যারাডোনা। কিন্তু রেফারি তাদের দাবি খারিজ করে দেয়। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ম্যারাডোনা হাতের স্পর্শে গোল দিয়েছিল। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা, গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। চার মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ব দেখে অন্য ম্যারাডোনাকে। অর্ধ মাঠ থেকে বল নিয়ে ড্রিবলিং করতে করতে ইংল্যান্ডের গোল বারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ম্যারাডোনা, তার জার্সি টেনে ধরছে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু না ফুটবল ঈশ্বরকে থামানো গেল না, একাই বল দিয়ে গোল দিয়ে দিলেন! অবাক হয়ে দেখল পুরো বিশ্ব। ২০০২ সালে ফিফা কর্তৃক ম্যারাডোনার এই গোলটিকে শতাব্দীর সেরা গোলের মর্যাদা দেওয়া হয়। ইংল্যান্ড অনেকটা বিমর্ষ হয়ে পড়ে। ম্যাচের ৮১ মিনিটে হেইড দিয়ে গোল করে ইংল্যান্ডের লিনেকার। তার গোল ব্যবধান শুধু কমিয়েছে। পুরো নব্বই মিনিট শেষে ২-১ গোলে জয়ী হয়ে সেমিতে যায় আর্জেন্টিনা এবং উক্ত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছিল। ম্যাচ শেষে ম্যারাডোনা বলেছিল,  ‘খানিকটা ম্যারাডোনার মাথা দিয়ে আর বাকিটা ঈশ্বরের হাত দিয়ে।’ শুরু সেই তিন শব্দের বন্ধনী, ‘হ্যান্ড অফ গড’।

ম্যারাডোনার বিতর্কিত হ্যান্ড অফ গড গোলটি
ম্যারাডোনার বিতর্কিত হ্যান্ড অফ গড গোলটি ; source: twitter.com
  • ইতালি পশ্চিম জার্মানি (১৯৭০ বিশ্বকাপ)

বিশ্বকাপ ১৯৭০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই পরাশক্তি ইতালি এবং পশ্চিম জার্মানি। মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে শুরুর ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইতালি। ইতালিকে লিড এনে দেয় রবার্তো বনিনসিগনা। গোল ফিরিয়ে দেবার নেশায় মেতে উঠে গার্ড মুলারের নেতৃত্বাধীন জার্মান আক্রমণ ভাগ। কিন্তু ইতালির শক্তিশালী প্রাচীর ভেদ করতে সক্ষম হচ্ছিল না তারা। ইতালিও আক্রমণ চালিয়ে পাল্টা জবাব দিতে থাকে। নির্ধারিত সময়ে কোন ভাবেই গোল দিতে পারছিল না জার্মানি। ইতালির জয় প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু ইনজুরি টাইমে হঠাৎ গোল করে জার্মানিকে সমতায় ফেরায় Karl SCHNELLINGER। উল্লাসে ফেটে পড়ে জার্মান সমর্থকেরা, কিন্তু ইতালি মোটেও রিদম হারায়নি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত মিনিটে, আর এখানেই ঘটে চরম নাটকীয়তা। ম্যাচের ৯৪ মিনিটে গোল করে গার্ড মুলারের গোলে লিড নেয় জার্মানি। ইতালি ও কম যায় না, ম্যাচের ৯৮ মিনিটে তারা সমতায় ফিরে। ১০৪ মিনিটেই আবারো গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দেয় গিগি রিভা। জার্মানিও আক্রমণ ধারা বজায় রাখে, ফলশ্রুতিতে ১১০ মিনিটে গার্ড মুলারের গোলে সমতায় ফিরে জার্মানি। অতিরিক্ত মিনিটের খেলায় এত রোমাঞ্চকর লড়াই আগে কখনো দেখেনি বিশ্ব। জার্মানি সমতায় ফেরার এক মিনিট পরেই আবারো গোল করে এগিয়ে যায় ইতালি। জয় সূচক গোলটি আসে জিয়ান্নি  রিভেরার পা থেকে। নির্ধারিত মিনিটে আর কোন গোল হয়নি ম্যাচে। তবে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের অভূতপূর্ব ফুটবল সৌন্দর্য উপহার দেয় দুই দল। ৪-৩ ব্যবধানে জিতে যায় ইতালি। এই ম্যাচটিতে শতাব্দীর সেরা ম্যাচ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ফুটবল বিশ্বে।

চতুর্থ গোলের পর ইতালির খেলোয়াড়দের আত্মহারা উদযাপন, অপরদিকে হতাশ জার্মান গোলকিপার
চতুর্থ গোলের পর ইতালির খেলোয়াড়দের আত্মহারা উদযাপন, অপরদিকে হতাশ জার্মান গোলকিপার; source: as.com
  •  হল্যান্ড পশ্চিম জার্মানি (১৯৭৪ বিশ্বকাপ)

গত বিশ্বকাপের গ্লানিকে পিছনে ফেলে গার্ড মুলারের দল খ্যাত পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইয়ুহান ক্রুইফের হল্যান্ড।

বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উদযাপনে ব্যস্ত পশ্চিম জার্মানী ;
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উদযাপনে ব্যস্ত পশ্চিম জার্মানী ; source: goal.com

চমৎকার একটি  লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল পুরো বিশ্ব। গার্ড মুলার আর ইয়ুহান ক্রুয়েফ লড়াইয়ের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল। যদিও পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে হল্যান্ডের ধারে কাছেও ছিল না জার্মানি। তবুও ফাইনাল ম্যাচকে নিয়ে উত্তেজনার কমতি ছিল না। ম্যাচের শুরুর মিনিটেই ক্রুইফের জাদুতে আক্রমণ করতে থাকে হল্যান্ড। পেন্টালি বক্সে তাকে মারাত্মকভাবে ফাউল করে জার্মানি। ফলাফল পেনাল্টি পায় হল্যান্ড, পেনাল্টি থেকে গোল করেন তারকা স্ট্রাইকার জোহান নিসকেন। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় হল্যান্ড। প্রথম গোল দেবার পূর্ব পর্যন্ত বলে স্পর্শ করতে পারেনি কোন জার্মান প্লেয়ার। জার্মানিও ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। তাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়াই শুরু করে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় জার্মানি, ফলাফল ১-১ গোলে সমতা। স্তিমিত হয়ে পড়ে কমলা জার্সির খেলোয়াড়েরা। জার্মানি তাদের আক্রমণ ভাগের চেয়ে রক্ষণভাগে বেশি মনোযোগী ছিল। কারণ তারকায় ভরা হল্যান্ড আক্রমণভাগ। ম্যাচের ৪৩ মিনিট,  জার্মানির তারকা গার্ড মুলারের গোলে লিড নেয় জার্মানি। আকাশে বাতাসে তখন অঘটনের গন্ধ ছড়াচ্ছে। জার্মানি আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে অন্যদিকে ডাচদের নিজেদের ফিরে পাবার লড়াই। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা হয়তো খুব করে চেয়েছেন জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হোক। ম্যাচে আর ফেরা হলো না ডাচদের, আনন্দে ভাসল পুরো পশ্চিম জার্মানি। হতাশা আর কান্নায় চোখ ভেজাল হল্যান্ডের জনগণ।

Source Featured Image
Leave A Reply
sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More