x-video.center fuck from above. azure storm masturbating on give me pink gonzo style. motphim.cc sexvideos

সোমালিয়ান জলদস্যু : সমুদ্রে ত্রাস সৃষ্টি করা ডাকাতদের উপাখ্যান

জলদস্যুতার সোনালী যুগ পেরিয়ে গেলেও জলদস্যুদের ঘিরে প্রচলিত সব কল্প-কাহিনী এখনো মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। জলদস্যু শব্দটা শুনতেই মনে ভেসে উঠে কতগুলো টুকরো টুকরো ছবি; শক্ত চোয়ালের একজন নাবিকের চেহারা, গুপ্তধনের সন্ধানে দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে ছুটে চলা সাদা পালের জাহাজ বা মাঝ সমুদ্রে নৌ-যুদ্ধ ইত্যাদি। “পাইরেট অব দ্য ক্যারিবিয়ান” সিরিজের ছবি গুলো যারা দেখেছেন তাদের জন্য কল্পনা করাটা আরো বেশি সহজ। তবে সব কল্পনাকে ছাপিয়ে যাবে আধুনিক কালের সোমালিয় জলদস্যুদের কাহিনী। সোমালিয় উপকূলে জলদস্যুতা আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় ধরণের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নিই সোমালিয় জলদস্যুতার আদ্যোপান্ত—

সোমালিয় জলদস্যুদের পরিচয়:

১৯৯০ সালের শুরুর দিক থেকে সোমালিয়ার সমুদ্র উপকূল ভাগে জলদস্যুতার ঘটনা বিশ্ব বাণিজ্য ও এর নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর হস্তক্ষেপ সত্বেও সোমালিয়ায় জলদস্যুতার ঘটনা থেমে থাকেনি। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা না থাকায় অভ্যন্তরীণ ভাবেও তারা কোন বাঁধা পায়নি। প্রকৃতপক্ষে, সোমালিয়ায় বিস্তৃত উপকূল জুড়ে জলদস্যুতার ঘটনায় দেশটির অভ্যন্তরীণ শক্তির সমর্থনও ছিলো, বিশেষ করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী “আল-শাবাব” বাহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিলো। ১৯৯১ সালে সোমালিয় সরকারের পতন, ভয়ানক গৃহযুদ্ধ ও নতুন সরকারের অদক্ষতা ইত্যাদি মিলিয়ে সোমালিয়া আধুনিক জলদস্যুতার সূতিকাগার এ পরিণত হয়। এই জলদস্যুদের বেশির ভাগই সোমালিয় যুবক। ২০১০ সালে সোমালিয় সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত একটি তালিকা অনুযায়ী জলদস্যুদের ৮০ ভাগই সোমালিয়ার দক্ষিণ অংশের বিবাদপূর্ন অঞ্চলের এবং মাত্র ২০ ভাগ রয়েছে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল উত্তরাঞ্চলের।

বন্দুক হাতে সোমালিয় কিশোর
বন্দুক হাতে সোমালিয় কিশোর
Source: SouthFront

২০০৮ সালের বিবিসি রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমালিয় জলদস্যুরা তিন আগে বিভক্ত:

স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়

সমুদ্র সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকার কারণে জলদস্যুদের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপের মস্তিষ্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় জেলেদের। স্থানীয় জেলেরা ই মূলত দস্যু গ্যাং এর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য।

সাবেক সৈনিক

দস্যুদলের পেশিশক্তি হিসেবে কাজ করে দলের অন্তর্ভুক্ত পূর্ববর্তী সরকার বা স্থানীয় সম্প্রদায়ের হয়ে যুদ্ধ করা সাবেক সৈনিক বা সেনা সদস্যরা। যুদ্ধ কৌশল ও পেশিশক্তি থাকার কারণে এরা সহজেই লক্ষ্যবস্তুর উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে।

কারিগরি বা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ

এই ধরনের ব্যক্তিরা জলদস্যুদের প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন, এরা জিপিএস ডিভাইস পরিচালনা করে থাকে।

সোমালিয় জলদস্যুদের প্রতিটি দলে এই তিন ধরণের সদস্য থাকে। “হর্ন অব আফ্রিকা” নামে খ্যাত জলভাগের কৌশলগত ভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় সোমালিয় জলদস্যুরা সহজেই ঐ পথে চলাচলকারী নৌ-যান গুলোকে আক্রমণ করতে পারে।

জলদস্যুতার কারণ:

সোমালিয় গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে, বিশেষ করে ২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী জাহাজ গুলোর জন্য রীতিমত হুমকি হয়ে উঠে সোমালিয় জলদস্যুরা। গৃহযুদ্ধের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ও উপকূল ভাগে ফলপ্রসূ কোন কোষ্টগার্ড না থাকায় সোমালিয়ার জলসীমায় বিদেশি জাহাজ প্রবেশ করে তাদের মৎস্য ক্ষেত্র দখল করতে থাকে এবং সোমালিয় উপকূলে বেআইনি ভাবে বর্জ্য পদার্থ ডাম্পিং করতে থেকে। ফলে একই সাথে দেশের অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ে। বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ ডাম্পিং এর ফলে উপকূলবর্তী পরিবেশ স্থানীয়দের জন্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো। ফলে স্থানীয় জেলেরা সশস্ত্র দলে বিভক্ত হয়ে তাদের জলসীমায় বিদেশি জাহাজের প্রবেশ ঠেকাতে পাহারা দেয়া শুরু করে। ভয় দেখিয়ে বিদেশি জাহাজ কে তাদের জলসীমা থেকে দূরে রাখতে তারা দু একটি জাহাজ ছিনতাইও করতে শুরু করে। কিন্তু ধীরে ধীরে ছোট ছোট ছিনতাই এর ঘটনা জলদস্যুতায় রূপ নেয়। বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই ও মুক্তিপণ আদায় তাদের বাড়তি আয়ের সংস্থান হয়ে যায়। ফলে এই অঞ্চলে জলদস্যুতা একটি ভয়াবহ ও স্থায়ী রূপ ধারণ করে।

সোমালিয় জলসীমা ও জাহাজ চলাচলকারী রুট
সোমালিয় জলসীমা ও জাহাজ চলাচলকারী রুট
source: wordpress.com

বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা যায় যে, উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী ৭০ ভাগ মানুষ নিজেদের জলসীমার মধ্যে বিদেশি জাহাজের অনুপ্রবেশ বন্ধে জলদস্যুতাকে সমর্থন করে আসছে। এছাড়া জলদস্যুরা বিশ্বাস করে যে তারা বিদেশিদের হাত থেকে নিজেদের মাছ ধরার অঞ্চল ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা করছে। তাদের নিজস্ব বিশ্বাস ও আর্থিক লাভের কারণে নতুন নতুন সদস্যরা দস্যুদলে নাম লেখায়। তবে যাই হোক, সব কিছুকে ছাপিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার বিষয়টিই জলদস্যুদের জন্য প্রধান হয়ে উঠে যার ফলে অই অঞ্চলে জলদস্যুতার ঘটনা বাড়তেই থাকে।

জলদস্যুদের আক্রমণ পদ্ধতি, ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র মুক্তিপণ আদায় পদ্ধতি:

২০০৫ সাল থেকে মূলত সোমালিয় জলদস্যুদের বৃহৎ পরিসরে সংঘবদ্ধ আক্রমণ শুরু হয়। সমুদ্র বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকার ফলে তারা শুধু ক্ষিপ্রগতির ই নয় বরং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিতও যা তাদের দস্যুবৃত্তিতে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। আক্রমণের সময় হিসেবে জলদস্যুরা সাধারণত রাত বা ভোরের দিকটা বেছে নেয়। যদিও তারা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকে, তবে বড় জাহাজ গুলোর কাছে পৌছাতে তারা ছোট ছোট মটর চালিত নৌকা ব্যবহার করে যা দ্রুত গতির এবং অতিরিক্ত ছোট হওয়ায় বড় জাহাজ গুলোর রাডারে সহজে ধরা পড়েনা। রাতের অন্ধকারে জলদস্যুরা যখন এই নৌকা গুলো ব্যবহার করে জাহাজের দিকে এগিয়ে আসে তা স্বভাবতই জাহাজের ক্রু’দের নজর এড়িয়ে যায়। ফলে জাহাজ গুলো তাদের নাগালে আসতেই তারা হঠাৎ আক্রমণ করে বসে।

আধুনিক অস্ত্র হাতে সোমালিয় জলদস্যু
আধুনিক অস্ত্র হাতে সোমালিয় জলদস্যু
Source: Pinterest

অতীতের আক্রমণ গুলো থেকে জানা যায় যে, জলদস্যুরা সাধারণত জাহাজের পেছন দিক থেকে আক্রমণ করে। এক মাথায় হুক লাগানো লম্বা দড়ি বেয়ে তারা দ্রুত জাহাজে উঠে যায়। অনেক সময় তারা লম্বা বাঁশ ব্যবহার করে জাহাজের পেছন দিকে লাগানো হুকের সাথে আটকে দেয় আর তা বেয়ে জাহাজে উঠে যায়। কিছু কিছু জলদস্যুরা বাঁশ বা কাঠের মই ব্যবহার করে যা তাদেরকে সহজেই জাহাজে চড়তে সাহায্য করে। এই কাজ গুলো তারা এতো দ্রুত করে যে জাহাজের ক্রু’রা কেউ কিছু বুঝে ওঠা বা এলার্ম বাজানোর আগেই তারা সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। যদিও অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে বিশালাকার কার্গো বা ট্যাংকারবাহী নো-যান গুলোতে আরোহণ করা কঠিন তবে পুরোপুরি ভর্তি অবস্থায় এগুলো অনেকটা ধীর গতিতে চলে। এই কারণে এগুলো আক্রমণ করা তাদের জন্য আরো সহজ। গভীর সমুদ্রে আক্রমণের ক্ষেত্রে তারা একটি মাদারশিপ থেকে আক্রমণ পরিচালনা করে থাকে।

জলদস্যুদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা তাদের বেশিরভাগ অস্ত্র পায় ইয়েমেন থেকে। তবে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে ও স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিকট থেকেও তারা অস্ত্রশস্ত্র পেয়ে থাকে। মোগাদিশুতে স্থানীয় অস্ত্র ডিলাররা জলদস্যুদের পক্ষ থেকে হাওয়ালা ডিলারদের নিকট থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে এবং পোর্টল্যান্ড এ নিয়া তা জলদস্যুদের নিকট হস্তান্তর করে যেখানে জলদস্যুরা তাদের দাম পরিশোধ করে দেয়। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের মাঝে রয়েছে AK47, Type56, AKM, RPK, PK, RPG-7 ও TT33. এছাড়াও তারা RGD-5 ও F1 এর মত হাত বোমা ও ব্যবহার করে থাকে।

জলদস্যুরা মুক্তিপণ আদায় করে ইউএস ডলার বিল এর মাধ্যমে। মুক্তিপণের অর্থ ডেলিভার করার জন্য তা বস্তায় ভরে হেলিকপ্টার থেকে ফেলে দেয়া হয় বা ছোট নৌকার করে ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ এ ভরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মাঝে মাঝে প্যারাসুট এ করেও মুক্তিপণের টাকা প্রেরণ করা হয়। জানুয়ারি ২০০৯ এ এমন একটি ঘটনা দেখা যায় যে এমভি সিরিয়াস স্টার নামক একটি জাহাজের ডেকে প্যারাসুট এ করে একটি কমলা রঙের কন্টেইনার ভর্তি করে ৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যমানের ক্যাশ প্রেরণ করা হয়। ব্যাংক নোটগুলো আসল কিনা তা যাচাই করতে তারা কারেন্সি-কাউন্টিং ম্যাশিন ব্যবহার করে থাকে। এই ম্যাশিন গুলো তারা দুবাই সহ বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রয় করে। জলদস্যুদের দ্বারা আটককৃত বন্দীদের মুক্ত করতে জাহাজের মালিকরা মুক্তিপণের টাকা পাঠানো পর্যন্ত সাধারণত ৪৫ দিন বা আরো বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়। যদিও মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে জলদস্যুরা বন্দীদের জীবিত রাখে, তবু তাদের বন্দীশালায়  এ পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি বন্দী মারা গিয়েছে।

জলদস্যু আক্রমণের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা:

আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সোমালিয় জলদস্যুরা এ পর্যন্ত শত শত জাহাজ আক্রমণ করেছে যদিও সবগুলোতে তারা সফলকাম হয়নি। ২০০৮ এ মোট ১১১ টি আক্রমণ হয় যার মধ্যে সফল হয় ৪২ টি আক্রমণ। তবে এই রুটে চলাচলকারী ৩০,০০০ বাণিজ্য জাহাজের মধ্যে এই সংখ্যাটি শুধু ভগ্নাংশ মাত্র। ২০০৮ সালের আক্রমণের তুলনায় ২০০৯ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে আক্রমণ প্রায় ১০ গুন বেড়ে যায় এবং মার্চ মাসে প্রায় প্রতিদিনই একটি করে আক্রমণ হতো। এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৭৯ টি আক্রমণ হয় যার মধ্যে সফল হয় ২১ টি। এদের বেশির ভাগ আক্রমণই হয় আডেন উপসাগরীয় অঞ্চলে যদিও ধীরে ধীরে জলদস্যুদের আক্রমণের পরিধি বাড়তে থাকে এবং তা ভারত মহাসাগরের কেনিয়া উপকূল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। নিচে ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে বিশেষ ভাবে মিডিয়া কভারেজ পাওয়া কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হলো-

২৮ মে ২০০৭ এ, জাহাজের মালিক মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জলদস্যুরা একজন  চীনা নাবিককে হত্যা করে। এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহল কিছুটা নড়েচড়ে বসে। ৫ই অক্টোবর ২০০৮ এ, জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল এই রুটে চলাচলকারী বাণিজ্য জাহাজ সমূহের মালিকানা রাষ্ট্রসমূহ কে নিয়ে একটি আইন প্রণয়ন করে যাতে তারা মিলিটারি ফোর্স ব্যবহার করে জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে ২০০৮ এর নভেম্বর থেকে জলদস্যুরা এডেন উপসাগর এর বাইরের অঞ্চল সমূহ দিয়ে চলাচলকারী জাহাজ গুলোকে নিশানা করে আক্রমণ শুরু করে। এই সময় তারা কেনিয়ার মুম্বাসা বন্দরের দিকে যাত্রা করা বড় বড় জাহাজ গুলোকে আক্রমণের জন্য বেছে নেয়। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী বৃহদাকার কার্গো জাহাজ,  তেল ও কেমিক্যালবাহী ট্যাংকার গুলো জলদস্যুদের টার্গেট এ পরিণত হতে থাকে।

২০০৮ এর ১৯ নভেম্বর, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ জলদস্যুদের সন্দেহভাজন একটি মাদারশিপ ডুবিয়ে দেয়। পরে অবশ্য জানা যায় যে এটি একটি থাই ট্রলার যা জলদস্যুরা ছিনতাই করে নিয়েছিলো। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয় যে তাদের উপর ঐ ট্রলার থেকে গুলি ছুঁড়া হয়। তারপর ২১শে নভেম্বর বিবিসি থেকে প্রচারিত হয় যে সোমালিয় জলদস্যুদের মোকাবেলা করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী জাতিসঙ্ঘ থেকে অনুমতি পেয়েছে।

৮ই এপ্রিল, ২০০৯ এ সোমালিয়ার বন্দর নগরী ঈল থেকে সমুদ্রের ২৪০ নটিক্যাল মাইল অভ্যন্তরে জলদস্যুরা এমভি মার্স্ক অ্যালবামা নামক একটি জাহাজ আক্রমণ করে। জাহাজটি ১৭,০০০ মেট্রিক টন কার্গো বহন করছিলো যযার মধ্যে সোমালিয়া, উগান্ডা ও কেনিয়ার জন্য ৫০০০ মেট্রিক টন রিলিফ সামগ্রী ছিলো। এই জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলো রিচার্ড ফিলিপ । তারপর ১২ই এপ্রিল ইউএস নেভী সীল  স্নাইপার লাইফ বোটে ক্যাপ্টেন রিচার্ড ফিলিপকে জিম্মি করে রাখা তিনজন জলদস্যুকে গুলি করে হত্যা করে ও আব্দুল ওয়ালি মূসা নামে চতুর্থ একজনকে গ্রেফতার করে।

২রা মে, ২০০৯ তারিখে সোমালিয় জলদস্যুরা ২৪ জন ইউক্রেনিয়ান ক্রু সহ এমভি আরিয়ানা নামে একটি জাহাজ আক্রমণ করে। তারপর ৩,০০০,০০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মুক্তিপণ দেয়ার পর ১০ই ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে জাহাজটিকে ছাড়া হয়।

জলদস্যুদের হাটে আটককৃত ট্যাংকার এরিস
জলদস্যুদের হাটে আটককৃত ট্যাংকার এরিস
source: The Conversion

২০১০ সালের মে মাসে রাশিয়ান স্পেশাল ফোর্স জলদস্যুদের নিকট থেকে ছিনতাইকৃত একটি রাশিয়ান তেল এর ট্যাংকার পুনরুদ্ধার করে। এই সময় একজন জলদস্যু নিহত হয় ও ১০ জন বন্দি হয়। তবে রাশিয়ান স্পেশাল ফোর্স জানায় যে আন্তর্জাতিক আইনে শিথিলতার কারণে তাদেরকে ছেড়ে দিতে হয় যদিও তারা সোমালিয় উপকূলে পৌঁছানোর পূর্বেই মারা যায়।

১৫ই জানুয়ারি ২০১১ সালে জলদস্যুরা মাস্কট থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ- পূর্বে মাল্টার পতাকাবাহী সামহো শিপিং এর একটি জাহাজ আক্রমণ করে। কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার চোই ইয়ং  জাহাজটিকে কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলো। ২১ জানুয়ারি তারিখে কোরিয়ান নেভী সীল ছোট ছোট নৌকায় করে সামহো জুয়েলারি নামক জাহাজটিতে আরোহণ করে । এই সময় চোই ইয়ং থেকে কভারিং ফায়ার করা হয়। এই অপারেশনে ৮ জন দস্যু মারা যায় ও ৫ জন গ্রেপ্তার হয়। জাহাজের ২১ জন ক্রু নিরাপদে ফিরলেও ক্যাপ্টেন গুলিবিদ্ধ হয় এবং পরবর্তীতে তিনিও সেরে উঠেন।

উপরোক্ত ঘটনা গুলো ছাড়াও সোমালিয় জলদস্যুরা বহু জাহাজ আক্রমণ করেছে ও মুক্তিপণ আদায় করেছে। তবে ২০১৩ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের কারণে জলদস্যুদের কার্যক্রম কিছুটা কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। সম্প্রতি ২০১৭ সালের ১৩ই মার্চ জ্বালানিবাহী ট্যাংকার এরিস   আক্রমণের মধ্য দিয়ে সোমালিয় জলদস্যুরা ৫ বছরের মাঝে আবার বড় ধরণের কোন আক্রমণ এ অংশ নেয়। তবে জাতিসংঘ, ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপের কারণে জলদস্যুদের আক্রমণের হার অনেকটাই কমে এসেছে।

 

তথ্যসুত্রঃ

১.thewayofthepirates.com

২.brighthubengineering.com

Source Featured Image
5 Comments
  1. Dqkibc says

    levaquin tablet buy levaquin 250mg pills

  2. zmozero teriloren says

    Undeniably imagine that that you stated. Your favorite justification seemed to be at the internet the simplest thing to keep in mind of. I say to you, I definitely get irked even as other folks think about concerns that they plainly do not realize about. You managed to hit the nail upon the top as neatly as outlined out the whole thing without having side-effects , people can take a signal. Will likely be back to get more. Thank you

  3. Vincze Andrea fodrász says

    Excellent read, I just passed this onto a colleague who was doing a little research on that. And he actually bought me lunch since I found it for him smile So let me rephrase that: Thank you for lunch! “Bill Dickey is learning me his experience.” by Lawrence Peter Berra.

  4. I like this post, enjoyed this one thank you for putting up. “Money is a poor man’s credit card.” by Herbert Marshall McLuhan.

  5. marizonilogert says

    Can I just say what a aid to search out someone who truly knows what theyre speaking about on the internet. You positively know how you can convey an issue to light and make it important. More individuals have to learn this and perceive this facet of the story. I cant imagine youre no more popular since you undoubtedly have the gift.

Comments are closed.

sex videos ko ko fucks her lover. girlfriends blonde and brunette share sex toys. desi porn porn videos hot brutal vaginal fisting.