মানবজাতি বিভিন্ন সময় ধর্ম, রাষ্ট্র, লিঙ্গ ও গায়ের রঙ সহ নানা অজুহাতে নিজেদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, ছড়িয়েছে ঘৃণা। কিন্তু কিছু মানুষ সব সময়েই বৈষম্যহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছেন, চেয়েছেন বদলে দিতে পৃথিবীকে তার জন্য করেছেন সংগ্রাম, বিপ্লব। আজকে সেরকম একজন মহান মানুষের সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান লিখবো।
ছোট বেলায় তাকে ডাকা হতো রোলিহ্লাহ্লা নামে, তিনি আবার তার জন্মভূমিতে মাদিবা নামে অধিক সমাদৃত। যার জন্ম ১৮ জুলাই ১৯১৮ সালে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশের ট্রান্সকেই এর রাজধানী উমতাতার নিকটবর্তী এমভেজো গ্রামে থেম্বু রাজবংশে। তার পিতা গাদলা হেনরি মপাকানইসা ছিলেন একজন গোত্রপ্রধান। শৈশবে পিতৃহারা হওয়ার কারণে তার শৈশব কাটে মাতামহের বাড়ি কুনু গ্রামে। তার পিতার অবর্তমানে তাকে পালক পুত্র হিসেবে তৎকালীন থেম্বু শাসনকর্তা জনজিনতাবা দালিনদিয়েবো তার যাবতীয় দায়িত্ব নেন এবং ৯ বছর বয়সে তাকে রাজবাড়ির পার্শ্ববর্তী মিশনারি স্কুলে ভর্তি করে দেন।
স্কুলে পড়ার সময় তার শিক্ষিকা তার ইংরেজি নাম দেন “নেলসন“, এই তিনিই পৃথিবী জুড়ে “নেলসন ম্যান্ডেলা” নামেই বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনিই ছিলেন তার পরিবারের স্কুলে পড়তে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি।
থেম্বু রীতি অনুযায়ী ১৬ বছর বয়সে ম্যান্ডেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার গোত্রে বরণ করে নেওয়া হয়। এর পর তিনি ক্লার্কবারি বোর্ডিং ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করেন। সেখানে ম্যান্ডেলা ৩ বছরের জায়গায় মাত্র ২ বছরেই জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৩৭ সালে ম্যান্ডেলা প্রিভি কাউন্সিলে তার পিতার স্থলাভিষিক্ত হন। এরপর তিনি ফোর্ট বোফোর্ট শহরের মিশনারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হেল্ডটাউন স্কুলে ভর্তি হন। এ স্কুলে পড়ার সময়েই ১৯ বছর বয়সে ম্যান্ডেলা দৌড় ও মুষ্টিযুদ্ধের মতো খেলাধুলায় নিয়মিত অংশ নিতে শুরু করেন।
স্কুল থেকে পাস করার পর ম্যান্ডেলা ফোর্ট হেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব আর্টস কোর্সে ভর্তি হন। এখানেই অলিভার টাম্বোর সাথে তার পরিচয় হয়। টাম্বো আর ম্যান্ডেলা সারাজীবন ধরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ম্যান্ডেলার আরেক বন্ধু ছিলেন ট্রান্সকেইয়ের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী কাইজার মাটানজিমা। এই বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদেই পরবর্তীকালে ম্যান্ডেলা বান্টুস্থানের রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণে জড়িত হন। তবে এসব নীতিমালার ক্ষেত্রে ম্যান্ডেলা ও মাটানজিমার মতবিরোধ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শেষে নেলসন ম্যান্ডেলা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র সংসদের ডাকা আন্দোলনে জড়িত হয়ে পড়েন। এর ফলে তাকে ফোর্ট হেয়ার থেকে চলে যেতে বলা হয়। শর্ত দেওয়া হয়, কেবল ছাত্র সংসদে নির্বাচিত সদস্য হতে পারলেই তিনি সেখানে ফেরত আসতে পারবেন।
নেলসন ম্যান্ডেলা ফোর্ট হেয়ার ছাড়ার অল্প পরেই জানতে পারেন, জনজিনতাবা তার সন্তান জাস্টিস (যুবরাজ ও সিংহাসনের উত্তরাধিকারী) এবং ম্যান্ডেলার বিয়ে ঠিক করার ঘোষণা দিয়েছেন। ম্যান্ডেলা ও জাস্টিস এভাবে বিয়ে করতে রাজি ছিলেননা। তাই তারা দুজনে জোহানেসবার্গে চলে যান। সেখানে যাওয়ার পর ম্যান্ডেলা শুরুতে একটি খনিতে প্রহরী হিসেবে কাজ নেন। তবে অল্পদিন পরেই খনির মালিক জেনে যান যে, ম্যান্ডেলা বিয়ে এড়াতে জনজিনতাবার কাছ থেকে পালিয়ে এসেছেন। এটা জানার পর খনি কর্তৃপক্ষ ম্যান্ডেলাকে ছাঁটাই করেন। পরবর্তীকালে ম্যান্ডেলা জোহানেসবার্গের আইনি প্রতিষ্ঠান উইটকিন, সিডেলস্কি অ্যান্ড এডেলম্যানে কেরানি হিসেবে যোগ দেন। ম্যান্ডেলার বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী ওয়াল্টার সিসুলু এই চাকুরি পেতে ম্যান্ডেলাকে সহায়তা করেন। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময়ে ম্যান্ডেলা ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের অধীনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এর পরে ম্যান্ডেলা ইউনিভার্সিটি অব উইটওয়াটার্সরান্ডে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শুরু করেন। এখানে তাঁর সঙ্গে জো স্লোভো, হ্যারি শোয়ার্জ এবং রুথ ফার্স্টের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে এই বন্ধুরা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে অংশ নেন। এসময় ম্যান্ডেলা জোহানেসবার্গের উত্তরের দিকের শহর আলেক্সান্দ্রিয়াতে বাস করতে শুরু করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯৪৮ সালে নির্বাচনে আফ্রিকানদের দল ন্যাশনাল পার্টি জয়লাভ করে। এই দলটি বর্ণবাদে বিশ্বাসী ছিল এবং বিভিন্ন জাতিকে আলাদা করে রাখার পক্ষপাতী ছিল। ন্যাশনাল পার্টির ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপটে ম্যান্ডেলা সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের ১৯৫২ সালের অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৫ সালের জনগণের সম্মেলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। এই সম্মেলনে মুক্তি সনদ প্রণয়ন করা হয়, যা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মূল ভিত্তি। তখন ম্যান্ডেলা ও তার বন্ধু আইনজীবী অলিভার টাম্বো মিলে নেলসন ম্যান্ডেলা অ্যান্ড টাম্বো নামের আইনি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতেন। এই প্রতিষ্ঠানটি দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের স্বল্প মূল্যে আইনগত সাহায্য প্রদান করত।
ম্যান্ডেলার রাজনৈতিক জীবনের প্রথমভাগে তিনি মহাত্মা গান্ধির দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী কর্মীরা আন্দোলনের প্রথম দিকে গান্ধির অহিংস আন্দোলনের নীতিকে গ্রহণ করে বর্ণবাদের বিরোধিতা করেছিল। ম্যান্ডেলাও প্রথম থেকেই অহিংস আন্দোলনের পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ সরকার ১৯৫৬ সালের ৫ ডিসেম্বর ম্যান্ডেলাসহ ১৫০ জন বর্ণবাদবিরোধী কর্মীকে দেশদ্রোহিতার অপরাধে গ্রেপ্তার করে। এই মামলাটি ১৯৬১ সাল পর্যন্ত চলে, মামলার শেষে সব আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হন।
১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)-এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে উগ্রপন্থী আফ্রিকানিস্ট উপদলের কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীরা বাধা দিতে শুরু করে। আফ্রিকানিস্টরা বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে চরমপন্থী আন্দোলনের পক্ষপাতী ছিল।
১৯৬১ সালে ম্যান্ডেলা এএনসি-র সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন উমখোন্তো উই সিযওয়ে (“দেশের বল্লম”, সংক্ষিপ্ত নাম MK) -এর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন এই সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বর্ণবাদী সরকার ও তার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতী ও চোরাগোপ্তা হামলা পরিকল্পনা ও সমন্বয় করেন। এতে বর্ণবাদী সরকার পিছু না-হটলে প্রয়োজনবোধে গেরিলা যুদ্ধে যাওয়ার জন্যও ম্যান্ডেলা পরিকল্পনা করেন। এছাড়া ম্যান্ডেলা বিদেশে এমকে-র জন্য অর্থ জোগাড় ও সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ শুরু করেন।
প্রায় ১৭ মাস পলাতক থাকার পর ১৯৬২ সালের ৫ অগাস্ট ম্যান্ডেলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জোহানেসবার্গের দুর্গে আটক রাখা হয়। তিন দিন পর, ১৯৬১ সালে শ্রমিক ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেওয়া এবং বেআইনিভাবে দেশের বাইরে যাওয়ার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ১৯৬২ সালের ২৫ অক্টোবর ম্যান্ডেলাকে এই দুই অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর দু-বছর পর ১৯৬৪ সালে ১১ জুন ম্যান্ডেলার বিরুদ্ধে এএনসি-র সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্বদানের অভিযোগ আনা হয় ও শাস্তি দেওয়া হয়।
ম্যান্ডেলা কারাগারে বন্দি থাকার সময়ে পুলিশ এএনসি-র প্রথম সারির নেতাদের ১৯৬৩ সালের ১১ জুলাই জোহানেসবার্গের কাছের রিভোনিয়ার লিলেসলিফ ফার্ম থেকে গ্রেপ্তার করে। “রিভোনিয়ার মামলা” নামে খ্যাত এই মামলায় ম্যান্ডেলাকেও অভিযুক্ত করা হয়। ম্যান্ডেলাসহ এএনসি-র নেতাদের অন্তর্ঘাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় । এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। ম্যান্ডেলা অন্তর্ঘাতের অভিযোগ স্বীকার করে নেন কিন্তু দেশদ্রোহিতার অভিযোগটি ম্যান্ডেলা অস্বীকার করেন। ১৯৬৪ সালের ১২ জুন দেওয়া রায়ে ফাঁসির বদলে তাদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নেলসন ম্যান্ডেলা র কারাবাস শুরু হয় রবেন দ্বীপের কারাগারে । এখানে তার ২৭ বছরের কারাবাসের প্রথম ১৮ বছর কাটে । জেলে থাকার সময়ে বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতি বাড়তে থাকে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষ্ণাঙ্গ নেতা হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেন। এর মধ্যে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায় ফলে ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে তাকে রবেন দ্বীপের কারাগার থেকে পোলস্মুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি বোথা পি ডব্লিউ বোথা তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেন কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৮৮ সালে তাকে ভিক্টর ভার্সটার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকায় ১৯৯০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ক আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসেরসহ অন্যান্য বর্ণবাদবিরোধী সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ম্যান্ডেলাকে অচিরেই মুক্তি দেওয়া হবে। ভিক্টর ভার্সটার কারাগার থেকে ম্যান্ডেলাকে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে মুক্তি দেওয়া হয়। কারামুক্তির পর ম্যান্ডেলা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই দলের নেতা ছিলেন। এই সময়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ অবসানের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এই শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার পর ১৯৯৪ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সব বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে ১৯৯১ সালে এই দলের প্রথম জাতীয় সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে ম্যান্ডেলাকে দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। ম্যান্ডেলার পুরোনো বন্ধু ও সহকর্মী অলিভার টাম্বো ম্যান্ডেলার বন্দিত্বের সময়ে প্রবাসে এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই সম্মেলনে টাম্বোকে দলের জাতীয় সভাপতি নির্বাচন করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অবদান রাখার জন্য নেলসন ম্যান্ডেলা এবং রাষ্ট্রপতি এফ ডব্লু ডি ক্লার্ককে ১৯৯৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়। তবে সব সময় এই শান্তি আলোচনা নির্বিঘ্নে চলেনি। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা ক্রিস হানিকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ম্যান্ডেলা এসময় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানান। তার এই আহ্বানে কাজ হয়। দেশের কিছু অংশে দাঙ্গা হলেও, বেশিভাগ এলাকায় শান্তি বজায় থাকে। শান্তি আলোচনা আবার জোরদারভাবে শুরু হয় এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৯৪ সালের ২৭ এপ্রিল তারিখে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই নির্বাচনে সকল দক্ষিণ আফ্রিকানের ভোটে ম্যান্ডেলা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর এই মহান নেতা মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যউৎসঃ Long Walk To Freedom (আত্মজীবনী), Wikipedia
purchase rybelsus online cheap – semaglutide sale how to buy DDAVP
terbinafine tablet – buy griseofulvin cheap buy generic grifulvin v for sale