ভারত-চীন রাজনৈতিক সম্পর্কের আদ্যোপান্ত

1

গত কিছুদিন পূর্বের ঘটনা হঠাৎ করেই নরেন্দ্র মোদি চীন সফরে গেলেন। তার আকস্মিক এই সফর বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। চীনের ঐতিহাসিক প্রদেশ  হুবাই প্রদেশের উহান শহরে। উহানকে চীনের শিকাগো বলে অভিহিত করা হয়। দুই দেশের এই বৈঠক ভারতচীনের সম্পর্কের নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। সফর থেকে ফিরেই মোদি বললেন, সি চিন পিং ভারতচীন সম্পর্ক উন্নয়নে বিষয়ে বেশ আন্তরিক। হঠাৎ করেই গত দশক থেকে ভারতচীনের মধ্যকার সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠে। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলেছিলেন ১৯৬২ সালের মত আবারো যুদ্ধে জড়াতে চলছে দুই দেশ। কিন্তু উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়া আর কোন কিছুই দেখা যায় নি। চীন, ভারতের মধ্যে কি নিয়ে এত সংঘাত? আবার তাদের মধ্যে কেনই বা এত সুসম্পর্ক! তাদের যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনা কতটুকু? এসব বিষয় নিয়ে আজকের আয়োজন, ভারতচীন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে পাঠকদের জন্য।

Source: TenagaKuda

ভারত-চীন সম্পর্কের পটভূমি:

চীনের মাও শাসন কালীন সময়ের প্রভাবশালী নেতা ডিং জিয়াও পিং জাতিসংঘে বক্তব্য কালে বলেছিল, “চীন কখনো বিশ্বের সুপার পাওয়ার হতে চায় না, কোন দিন হবেও না,  যদি চীন কখনো সুপার পাওয়ার হতে চায় তাহলে ভেবে নিও চীন তার মূল লক্ষ্য থেকে সরে গিয়েছে। তখন চীনের আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতে পুরো বিশ্ব যেন চীনকে রুখে দেয়”।

তার এই বক্তব্যই প্রমাণ করে চীনে নীতি ছিল অন্তর্মুখী। কিন্তু সময়ের পথ পরিক্রমায় চীন আজ পৃথিবীর সুপার এক নাম্বার পাওয়ার হওয়ার দ্বার প্রান্তে।

ভারত, চীন উভয়ই ব্রিটিশ শাসনের তিক্ততা অনুভব করেছে। শুরুর দিকে চীন, ভারতের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। নেহেরু যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন একটি উক্তি প্রচলিত ছিল, ‘হিন্দি চিনি ভাই ভাই’। জাতিসংঘ থেকে ভারতকে ভেটো ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তাব দিলে ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে। নেহেরুর এই সিদ্ধান্ত আজও ভারতবাসীকে পুড়ায়। নেহেরুর বক্তব্য ছিল ভারত শান্তিপূর্ণ দেশ, ভারতের ভেটো ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। এই সুযোগে এশিয়া থেকে চীন ভেটো ক্ষমতার অধিকারী হয়।

১৯৪৭-৬২ সাল পর্যন্ত ভারত তার প্রতিবেশী দেশ গুলোর সাথে সু-সম্পর্ক  বজায় রাখার চেষ্টা করে। নেহেরু সরকার ‘পাঞ্চশীল’ নামক  প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করে যা ছিল প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার নীতি। ভারত ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল বন্ধন ছিল। বলা হয়ে থাকে বৌদ্ধ ধর্ম ভারত থেকে চীনে প্রচলন হয়েছে।

Source: Sea food – seafoodnet.info

১৯৬২ সালে চীন দাবি করে ভারত তিব্বতের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, এবং তাদের উসকানি দিচ্ছে। যদিও ভারত সরাসরি তা অস্বীকার করে। তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাই লামাকে ভারত আশ্রয় দিলে দুই দেশের সম্পর্ক চূড়ান্ত তিক্ততায় পৌঁছে। পরবর্তীতে আঁকশাই চীন (একটি স্থান, যা কাশ্মীরের পাশে অবস্থিত) নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং চীন সেই যুদ্ধে জয় লাভ করে এবং আঁকশাই চীন দখল করে নেয়। যুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে চীনের সাথে বিরোধ রয়েছে ভারতের।

বিরোধ পূর্ণ বিষয়গুলো হল-

 

. ভারত চীন সীমান্ত সমস্যা:

ভারত, চীনের মধ্য কার সবচেয়ে বড় বিরোধ হচ্ছে বর্ডার সমস্যা। বর্তমান সময়েও দুই দেশের বিভিন্ন স্থান নিয়ে উষ্ণতর সম্পর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। মূলত দুই দেশের বর্ডারের তিনটি স্থান নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাশগ্রাম ভ্যালি নিয়ে চীনের সাথে বিরোধ রয়েছে। যদিও পরবর্তীতে পাকিস্তানের কাছ থেকে সাশগ্রাম ভ্যালি চীন নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। উল্লেখ্য যে, চীন ৬২ সালের যুদ্ধে আকসাই চীন দখল করে নিয়েছে, যা সাশগ্রাম ভ্যালির খুব নিকটে। বর্তমানে একই অঞ্চলের লাদাখ নিয়ে বিরোধ চলছে দুই দেশের মধ্যে।

অন্যদিকে ভারতের মধ্যবর্তী বর্ডারের সিকিমের কিছু অংশ চীন নিজেদের দাবি করছে যা আরেকটি বিরোধপূর্ণ অঞ্চল। সর্বশেষ, যে স্থানটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে তা হল ভারতের অরুণাচল প্রদেশ। চীন অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।

চীন ব্রিটিশদের ভাগ করা ‘লাইন অব কনট্রোল’ ও ‘জনসন লাইন’কে মেনে নিতে নারাজ, বরং চীনের দাবি ‘ম্যাক ডোনাল্ড লাইন’ অনুসারে বর্ডার নির্ধারণ করতে হবে। চীনের এই দাবির পিছনে বেশ কারণ রয়েছে, চীন জিনজিয়াং প্রদেশের সাথে তিব্বতের সরাসরি যোগাযোগ চায়। কিন্তু বিরোধপূর্ণ অঞ্চলগুলো চীনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। ভারত চীনের সকল দাবিকে অস্বীকার করছে।

১৯৯৩ সালে দুই দেশের মধ্যে বর্ডার বিষয়ে শান্তি চুক্তি হয়। চুক্তির শর্ত অনুসারে দুই দেশ বর্ডারে অস্ত্র ব্যবহার করবে না। ফলে চীন ভারত বর্ডারে আমরা কোন প্রকার অস্ত্রের ব্যবহার দেখি না। বর্ডার সমস্যা নিরসনে দুই দেশের মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে।

ভারত ও চীনের মাঝে অবস্থিত একটি বাঁধ
ভারত ও চীনের মাঝে অবস্থিত একটি বাঁধ; source: indiatoday.in

 

. পানি বিষয়ক বিরোধ:

আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ভারত চীনের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি পাবার জন্য! ভারতকে প্রতি বছর ৮২ লাখ টাকা দিতে হয় চীনকে ব্রহ্মপুত্রের পানির জন্য।

তিব্বত, চীনের পানির উৎস। এখান থেকেই অধিকাংশ নদীর উৎপত্তি হয়। চীনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চীনের পানির উৎস তিব্বতে অর্থাৎ পশ্চিমাঞ্চলে আর চীনের কৃষি কাজের জন্য পানি প্রয়োজন দক্ষিণ ও উত্তর অঞ্চলে। ফলে নদীর ধারাকে পরিবর্তন করে পানি প্রবাহিত করতে হয়।

১৯৪৯ সালে চীনের বাঁধ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ টি, বর্তমানে বাঁধ সংখ্যা ৮৫ হাজার। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাঁধ রয়েছে আমেরিকার, যার বাঁধ সংখ্যা মাত্র ৫ হাজার! চীন তার পানির বিষয়ে খুবই সচেতন। ব্রহ্মপুত্রের পানি নিয়ে বিভিন্ন সময় ভারত ও চীনের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি করে। একই সাথে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নেও নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। বিষয়টি বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্রহ্মপুত্রের পানি ভারত হয়ে বাংলাদেশেও প্রবাহিত হয়। ভারত চেষ্টা করছে প্রভাবিত দেশগুলোকে নিয়ে চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে। 

. বাণিজ্যিক সম্পর্ক অসামঞ্জস্য:   

ভারত ও চীনের মধ্যে গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। চীনের পণ্য ভারতের বাজার সম্পূর্ণ রূপে রাজত্ব করছে। সম্প্রতি চীনের মোবাইল কোম্পানি শাউমি ভারতের এক নম্বর মোবাইল ব্যান্ডে পরিণত হয়েছে। ২০০০ সালে চীন ভারতে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করত, বর্তমানে তা বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৭০ বিলিয়ন। চীনের অর্থনীতিতে ভারত বড় ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে ভারত চীনে মাত্র ১০ বিলিয়ন রপ্তানি করে। বিশাল এই বাণিজ্যিক বৈষম্য নিয়ে ভারতে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু ভারত চাইলেই তা বন্ধ করতে পারে না। বিভিন্ন সময় ভারতে চীনা পণ্য বর্জনের আন্দোলনও হয়। বাণিজ্যিক কারণেই চীন বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিষয়ে নমনীয়তা প্রকাশ করে।

চীন ও ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক
চীন ও ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক; source: Times Of India

 

. ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড প্রকল্প:

চীনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ প্রকল্প ভারত শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। ভারতের দাবী চীন তার প্রভাব বিস্তার করার জন্য এই প্রকল্প নিয়েছে। ভারত সার্বভৌমত্বের দোহাই দিয়ে প্রকল্প থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছে। চীন বিভিন্ন সময় ভারতকে বুঝানোর চেষ্টা  করছে। অপরদিকে, ভারতের অভিযোগ চীন স্ট্রিং অফ পিয়ার্সের (মুতি মালা প্রজেক্ট) মাধ্যমে ভারতকে এক ঘরে করার ব্যবস্থা করছে। উল্লেখ্য যে, চীন ভারত মহাসাগরে বিভিন্ন বন্দর ভাড়া/ দখল নিয়ে ভারতকে চাপ সৃষ্টি করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছে ভারত যদি এই প্রকল্পের অংশ না নেয় তাহলে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাদের পরামর্শ ভারতের উচিত  দৃঢ় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিষয়টিকে মোকাবিলা করা।

এছাড়াও ভারতের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে চীনের বিরোধ রয়েছে, যেমন- NSG তে ভারতের সদস্য পদের বিরোধিতা, মাসুদ আজহারের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

OBOR প্রকল্প, যার গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে ভারত। Source: elitetrader.ru

ভারত চীন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ:

চীনের দার্শনিক ও কূটনীতিবিদ Hu Shih বলেছিল, ভারত বিংশ শতাব্দীতে সংস্কৃতি ও সভ্যতা দ্বারা জয় করে নিয়েছে কোন সৈন্য চীনে প্রেরণ ছাড়াই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভারত ও চীনের মধ্যে বর্তমান সময়ে বিরোধ বেড়ে যাবার কারণ কি? চীন বর্তমান সময়ের ২য় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ। ২০২২ সালের মধ্যেই চীন এক নম্বর অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে। স্বাভাবিক ভাবেই চীন চাচ্ছে পুরো বিশ্বে তাদের প্রভাব তৈরি করতে। তার জন্য প্রথমে প্রয়োজন আঞ্চলিক আধিপত্য। আর এই আঞ্চলিক আধিপত্য নিয়েই ভারতের সাথে সবচেয়ে বড় বিরোধ। যেহেতু চীন দীর্ঘ দিন ধরে অন্তর্মুখী পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করত, ফলে কোন দেশের উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করত না। অপরদিকে ভারত স্বাভাবিকভাবেই আঞ্চলিক আধিপত্য উপভোগ করত। কিন্তু চীন যেহেতু আধিপত্য করতে চাচ্ছে ফলে দুই দেশের বিরোধ বৃদ্ধি পেয়েছে।

একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, ভারত একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশ গুলোর উপর তার স্পষ্ট আধিপত্য হারিয়েছে। পাকিস্তানের সাথে চীন ঐতিহাসিক সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে। OPEC ইকোনমিক করিডোর সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি পাকিস্তান, চীনা ভাষাকে তাদের অফিশিয়াল ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মালদ্বীপে চীনের আধিপত্য চলছে। নেপালের পুলিশ একাডেমী তৈরির জন্য চীন ৩৫০ মিলিয়ন টাকা উপহার দিয়েছে। শ্রীলংকার হাম্বানতোটা বন্দর ৯৯ বছরের জন্য কিনে নিয়েছে। মায়ানমারের সাথে চীনের সুদীর্ঘ কালের সম্পর্ক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন মায়ানমারকে সমর্থন দিয়েছে। একই ভাবে আফগানিস্তানের সাথেও চীনের সম্পর্ক গভীর হচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্কও বেশ গভীর, বরং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং, স্পষ্টত চীন,  ভারতকে পরাজিত করছে। যদিও ভারত চীনের সাথে বিরোধপূর্ণ দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে আমেরিকাসহ দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধপূর্ণ দেশগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে। বর্তমান সময়ে ভারত, তার সামরিক শক্তিকে বৃদ্ধি করছে এবং পারমানবিক সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করছে চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। ভারত বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে চীন নিয়েই বেশি চিন্তিত।

সম্প্রতি চীন সি চিন পিং এর ক্ষমতাকে দীর্ঘ মেয়াদী করেছে। ভারতকে চাপ প্রয়োগের জন্য চীন বিভিন্ন দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহকে ভাড়া নিচ্ছে। বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকার সমুদ্র বন্দরে চীন তার কর্তৃত্ব সৃষ্টি করেছে। ফলে ভারত মহাসাগরে ভারতের প্রভার হুমকির মুখে।

যেহেতু চীন বিশ্ব নেতৃত্বের পর্যায়ে যেতে চাচ্ছে তাই প্রতিবেশী দেশ গুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন খুবই প্রয়োজন। ভারতও একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক দেশ। ভারতের জন্যও এটি খুব ক্ষতিকর। চীনের মত শক্তিশালী দেশের সাথে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক তাদের অর্থনীতির জন্যও হুমকি স্বরূপ। এই পরিস্থিতিতে ভারত বা চীন কখনোই যুদ্ধে জড়াবে না। আবার দুই দেশই চাচ্ছে আঞ্চলিক আধিপত্য বজায় রাখতে। এই মুহূর্তে তারা চাচ্ছে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের মাধ্যমে পরস্পরের স্বার্থ রক্ষা করতে। মোদীর সম্প্রতি সফরই দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা বহন করে। একই সাথে মনে রাখা প্রয়োজন, ভারত এবং চীন ব্রিকসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেহেতু তাদের মধ্যে বিরোধ ব্রিকসের ভবিষ্যতের জন্যও ক্ষতিকর।

পরিশেষে বলা যায় যে, ভারত বা চীন তাদের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের কারণেই একে অপরের উপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যতে বিশ্বের দুই নেতৃত্ব স্থানীয় দেশের মধ্যে বিরোধ দুই দেশের অগ্রযাত্রার জন্যই অন্তরায়। কোন প্রকার যুদ্ধ নয়, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করবে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়।

 

আরও পড়তে পারেন – ভারত বনাম চীন – সামরিক শক্তিতে এগিয়ে আছে কে?

Source Featured Image
Leave A Reply
1 Comment
  1. Lqzviu says

    buy glucophage 500mg for sale – buy cheap sitagliptin precose 25mg pills

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More