প্যল জোসেফ গোয়েবলস: দ্যা মিনিস্টার অফ প্রোপাগান্ডা

5

প্রোপাগান্ডা, বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। শাব্দিক অর্থ, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা”। অর্থাৎ, এমন ধরণের পক্ষপাতমূলক ও ভ্রান্ত তথ্য যা একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি,  আদর্শ কিংবা কোনো ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্রের সম্মানহানির জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রোপাগান্ডা সাধারণত আংশিক সত্য বা আংশিক মিথ্যাকে প্রচার করে।

ঐতিহাসিকভাবে “প্রোপাগান্ডা” শব্দটি একটি নিরপেক্ষ শব্দ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই শব্দটি নেতিবাচক রূপ লাভ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা সর্বপ্রথম বৃহৎ পরিসরে এবং সুশৃঙ্খলভাবে প্রোপাগান্ডাকে নেতিবাচকরূপে ব্যবহার করে। এমনকি এডলফ হিটলারও প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান পরাজয়ের জন্য ব্রিটিশ প্রোপাগান্ডাকে দায়ী করেছিলেন। পরবর্তীতে হিটলার তার শাসনামলে ব্রিটিশদের এই কৌশল অবলম্বন করেন। ফলশ্রুতিতে তিনি গঠন করেন “মিনিস্ট্রি অব পাবলিক এনলাইটেনমেন্ট এন্ড প্রোপাগান্ডা”। সেই সময় নাৎসি বাহিনীর পক্ষে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সারাবিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেন এই মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্যল জোসেফ গোয়েবলস। “দ্য লিটল ডক্টর ” নামে পরিচিত এই ব্যক্তি প্রোপাগান্ডা শব্দটিকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। এখনো পৃথিবীজুড়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক জনপ্রিয় “গোয়েবলসীয় কায়দা”।

১৮৯৭ সালের ২৯শে অক্টোবর, জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন জোসেপ গোয়েবলস। গোয়েবলস ছোটবেলা থেকেই দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন। তার ডান পা ছিল বাম পা অপেক্ষা মোটা এবং ছোট। রোমান ক্যাথলিক পিতামাতার ইচ্ছা ছিল তিনি চার্চের যাজক হবেন। কিন্তু ধীরে ধীরে গোয়েবলস চার্চ থেকে দূরে সরে যান। তবে পড়াশুনায় বরাবরই তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। ১৯২১ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

শৈশব থেকেই গোয়েবলস ছিলেন “ক্লাব ফুট" নামক রোগে আক্রান্ত
শৈশব থেকেই গোয়েবলস ছিলেন “ক্লাব ফুট” নামক রোগে আক্রান্ত (ছবিসূত্রঃ Pinterest)

শারীরিক অক্ষমতার জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গোয়েবলস সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারেননি। কিন্তু তিনি সেই দুর্বলতা দূর করেছিলেন তার তুখোড় ভাষণ ও লেখনী শক্তি দ্বারা। ১৯২৬ সালে গোয়েবলস নাৎসি পার্টিতে যোগদান করেন। ক্রমান্বয়ে তিনি হিটলারের একজন বিশ্বস্ত সহযোগিতে পরিণত হন। তিনি তার বিশ্বাস এবং চিন্তা-চেতনা লেখনীর মাধ্যমে শক্তিশালীভাবে সকলের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম ছিলেন। আর এই গুণটি সবচেয়ে মুগ্ধ করেছিল হিটলারকে। হিটলার এবং গোয়েবলস, দুজনেই বিশ্বাস করতেন, শব্দ এবং ছবি যেকোনো আদর্শ প্রচারের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। আর সে কারণেই, গোয়েবলস প্রোপাগান্ডাকে বেছে নেন তার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে। তিনি বিশ্বাস করতেন, শুধুমাত্র হিটলারের মেধাবী এবং অতুলনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমেই জার্মানির হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়া সম্ভব। আর তাই, হিটলারকে কেন্দ্র করেই তিনি নাৎসি পার্টিকে জার্মানির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে আবির্ভুত করার চেষ্টা শুরু করেন। গোয়েবলস তার প্রখর লেখনীর মাধ্যমে তার দলের পক্ষে প্রোপাগান্ডা শুরু করেন যেখানে তিনি হিটলারকে তুলে ধরেন নতুন দিনের জার্মানির ত্রাণকর্তা হিসেবে। পাশাপাশি, তিনি আয়োজন করতে থাকেন বিশাল বিশাল সমাবেশ। এসব সমাবেশে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গোয়েবলস নেন ভিন্নধর্মী কিছু উদ্যোগ। প্রায় প্রতিটি সমাবেশ শুরু হতো প্যারেড এবং জার্মান জাতীয়তাবাদী সংগীতের মাধ্যমে। থাকত ব্যাপক আলোকসজ্জা, আতশবাজি এবং রঙিন পোস্টার। এসব পোস্টার লেখা হতো বড় বড় অক্ষরে এবং দৃষ্টিকটু রং দিয়ে। প্রতিটি সমাবেশের গুরুত্বপূর্ণ  জায়গাগুলোতে ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন স্থাপন করা হতো যাতে হিটলার কিংবা তার ভাষণ প্রতিটি জার্মানের কাছে পৌছে যায়।

১৯৩০ সালে নাৎসি পার্টির অন্যতম বিশাল সমাবেশ
১৯৩০ সালে নাৎসি পার্টির অন্যতম বিশাল সমাবেশ (ছবিসূত্র:Universal History Archive)

গোয়েবলস জনসম্মুখে ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে হিটলারকে অনুসরণ করতেন। তিনি প্রতিটি ভাষণ আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখতেন। এমনকি ভাষণ দেওয়ার সময় কি ধরনের শারীরিক অভিব্যক্তি প্রয়োগ করবেন সেটাও ছিল তার পূর্বপরিকল্পিত। প্রতিটি সমাবেশে যাওয়ার আগে তিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বার বার ভাষণ দিতেন। ফলে খুব নিখুঁতভাবে তিনি তার ভুলত্রুটিগুলো বের করে নিয়ে আসতেন। ফলশ্রুতিতে অতিদ্রুতই তিনি তার আদর্শকে জার্মানদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ভাষণ দেওয়ার সময় গোয়েবলসের বিখ্যাত শারীরিক অভিব্যক্তি
ভাষণ দেওয়ার সময় গোয়েবলসের বিখ্যাত শারীরিক অভিব্যক্তি (ছবিসূত্রঃউইকিপিডিয়া)

ধীরে ধীরে জার্মানরা বিশ্বাস করতে শুরু করে, একমাত্র হিটলার তথা নাৎসি পার্টিকে সমর্থনের মাধ্যমেই জার্মানি সারাবিশ্বে আবারো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। ফলাফলস্বরূপ এক দশকের মধ্যেই নাৎসি পার্টি জার্মানির শীর্ষস্থানীয় দলে পরিণত হয়। ১৯৩৩ সালে পার্টির দলনেতা এডলফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন। ক্ষমতা গ্রহণ করার পর হিটলার বুঝতে পারেন, সমগ্র জার্মানিতে তার দলের একচ্ছত্র আধিপত্যের জন্য প্রয়োজন তার আদর্শকে অতিরঞ্জিত করে জার্মানদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। আর তাই তিনি গঠন করলেন “মিনিস্ট্রি অফ এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড প্রোপাগান্ডা”। যার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেলেন গোয়েবলস।

গোয়েবলস
গোয়েবলস

দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই গোয়েবলস প্রথমেই মিডিয়ার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করেন। মিডিয়াকে ব্যবহার করে তিনি ব্যাপকহারে তার দলের পক্ষে প্রোপাগান্ডা শুরু করেন। এক্ষেত্রে তার প্রিয় মাধ্যম ছিল তৎকালীন সময়ে সর্বাধিক জনপ্রিয় রেডিও। এমনকি সারা জার্মানিতে বিনামূল্যে রেডিও বিতরণ কর্মসূচি ছিল তারই মস্তিস্কপ্রসূত। তার মূল লক্ষ্য ছিল সারা দেশে নাৎসি পার্টিকে একটি অপ্রতিদ্বন্দী দলে পরিণত করা। একইসাথে জার্মানি থেকে চিরতরে জার্মান জাতীয়তাবাদ বিরোধী কম্যুনিস্ট এবং ইহুদী বিতাড়িত করা। হিটলারের মতো গোয়েবলসও ছিলেন ইহুদিবিদ্বেষী। যদিও প্রচলিত আছে, গোয়েবলসের প্রিয় শিক্ষকদের অধিকাংশই ছিলেন ইহুদী। এমনকি তার সাবেক প্রেমিকাও ছিলেন ইহুদী ধর্মাবলম্বী। তাছাড়াও সেসময় সারাদেশে গুজব ছড়িয়ে পরে গোলবলেসের পূর্বপুরুষরা ছিলেন ইহুদি। যদিও গোয়েবলস এই গুজব মিথ্যা প্রমানের জন্য জনসমুক্ষে তার বংশের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করেন।

গোয়েবলসের জন্মদিনে বিনামূল্যে রেডিও বিতরণ কর্মসূচি
গোয়েবলসের জন্মদিনে বিনামূল্যে রেডিও বিতরণ কর্মসূচি (ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে ব্যাপকহারে বাড়ানো হয় গোয়েবলস নিয়ন্ত্রিত প্রোপাগান্ডা মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা। পোল্যান্ড আক্রমণের ন্যায়সঙ্গতা প্রমানের জন্য তিনি সফলতার সাথে জার্মানদের মনে ছড়িয়ে দেন পোল্যান্ডবিদ্বেষ। ফলে অধিকাংশ জার্মান জনগণ হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণকে সমর্থন জানায়। যুদ্ধের প্রাথমিকভাগে জার্মান বাহিনীর সফলতা অতিরঞ্জিত করে মিডিয়াতে প্রকাশ করতে থাকেন তিনি ।  গোয়েবলসের প্রত্যক্ষ মদদে সারা জার্মানিতে বানানো হয় অসংখ্য শর্টফিল্ম যেখানে তুলে ধরা হয় যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা, বিভিন্ন যুদ্ধে জার্মান বাহিনীর সাহসিকতার মনগড়া কাহিনী। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়কে তিনি চতুরতার সাথে রূপান্তরিত করেন জার্মান বিজয়ে।  ফলে পুরো পৃথিবী যেখানে যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে ছিল শংকিত, সেখানে জার্মান জনগণ অন্ধের মতো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলো হিটলারকে।

হিটলার এবং গোয়েবলস
হিটলার এবং গোয়েবলস
Source: Histolines

জার্মানির সেই সময়ের দোদুল্যমান অবস্থার চিত্র ফুটে ওঠে ২০১৬ সালে “দ্যা গার্ডিয়ান” এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন পোমসেল, যিনি ছিলেন গোলেবেলসের অন্যতম সেক্রেটারি। তিনি বলেছিলেন, “যারা আজকাল বলছেন তারা নাৎসিদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারতেন – আমি বিশ্বাস করি হয়তো তারা সত্য বলছেন কিন্তু অধিকাংশই সেসময় তা পারতেন না। নাৎসি দলের উত্থানের পর সমগ্র দেশটি ছিল একটি মোহের মধ্যে।” তিনি গোয়েবলস সম্পর্কে বলেন, ” অতি ভদ্র, সজ্জন একজন  মানুষ থেকে বর্বর মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার দক্ষতা তার থেকে বেশি কারো ছিল না। অফিস তিনি ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ কিন্তু বাহিরের পৃথিবীতে ঠিক তার উল্টো। ”

কিন্তু ক্রমান্বয়ে জার্মান বাহিনী বিভিন্ন যুদ্ধে মিত্র শক্তির কাছে পরাজিত হতে থাকে। হিটলার এবং গোয়েবলস দুজনেই বুঝতে পারেন যুদ্ধে তাদের পরাজয় আসন্ন। তবুও শেষ চেষ্টা হিসেবে গোয়েবলস প্রস্তাব দেন “টোটাল ওয়ার” নামক নতুন এক তত্ত্বের। নাৎসি পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এর বিরোধিতা করলেও হিটলার সমর্থন যোগান এই পরিকল্পনার। গোয়েবলস তার পুরোনো দক্ষতা ব্যবহার করে সাধারণ জনগণকেও শারীরিক কিংবা আর্থিকভাবে যুদ্ধে যোগদানের জন্য প্ররোচিত করতে থাকেন। কিন্তু খুব বেশীদিন ধোপে টেকেনি এই তত্ত্ব। এবার তিনি জার্মান জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হন। ফলে অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে জার্মান পরাজয়।

 পার্টির সমাবেশে বিশাল ব্যানারে জার্মান ভাষায় লেখা: "টোটাল ওয়ার-শর্টেস্ট ওয়ার" (ছবিসূত্র: উইকিপিডি
নাৎসি পার্টির সমাবেশে বিশাল ব্যানারে জার্মান ভাষায় লেখা: “টোটাল ওয়ার-শর্টেস্ট ওয়ার”
(ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া)

যুদ্ধের শেষ মুহূর্তে অন্যান্য নাৎসি নেতা যখন মিত্রবাহিনীর সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছিলেন সহজতর পন্থায় আত্মসমর্পনের জন্য, ঠিক সে সময় হিটলার এবং গোয়েবলস ছিলেন এর উল্টো। তারা দুজনেই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিন্ধান্ত নেন। পরাজয় অবসম্ভিক জেনে অবশেষে ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে হিটলার সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর পূর্বে শেষ উইলে তিনি তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু জোসেফ গোয়েবলেসকে জার্মানীর পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে মনোনীত করে যান। কিন্তু হতাশ এবং বিমর্ষ গোয়েবলস সেই দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বরং হিটলারের মৃত্যুর একদিন পর গোয়েবলস ছয় সন্তান এবং স্ত্রীসহ আত্মহত্যা করেন। সমাপ্তি ঘটে ৪৮ বছরের সংক্ষিপ্ত কিন্তু ঘটনাবহুল একটি জীবনের।

গোয়েবলস, তার স্ত্রী, ছয় সন্তান এবং সৎ পুত্র
গোয়েবলস, তার স্ত্রী, ছয় সন্তান এবং সৎ পুত্র (ছবিসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েক দশক পার হয়ে গেছে। এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিষ্ঠুর ভূমিকার জন্য সারা বিশ্বব্যাপী হিটলারের সমান মতোই ঘৃণিত এবং নিন্দিত গোয়েবলস। হিটলারকেন্দ্রিক একটি শক্তিশালী এবং বিশ্বজয়ী জার্মানি নির্মাণের স্বপ্নে গোয়েবলস হয়তো ব্যর্থ হয়েছিলেন কিন্তু পৃথিবীজুড়ে প্রোপাগান্ডাকে একটি জনপ্রিয় এবং বিপদজনক অস্ত্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে বহুলাংশে সফল হয়েছেন তিনি। গত কয়েক দশকে পুঁজিবাদী এবং যুদ্ধবাজ নেতারা পৃথিবীর আনাচে কানাচে যত অন্যায়, অবিচার কিংবা মানবহত্যা করেছে তার বৈধতা দানের জন্য হেঁটেছে গোয়েবলসের দেখানো পথে। আর এক্ষেত্রে অধিকাংশসময় তারা সফল হয়েছে। অর্জন করে নিয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন আরো সহজতর করেছে প্রোপাগান্ডার বিস্তারকে, যা আগত দিনের জন্য অশনিসংকেত।

পরিশেষে, গোয়েবলসের কিছু স্মরণীয় উক্তি, যা বর্তমান ভঙ্গুর সমাজ কিংবা রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য অনেকাংশেই প্রযোজ্য:

আপনি যদি একটি বিশাল মিথ্যা বলেন এবং সেটা পুনরাবৃত্তি করতে থাকেন, তাহলে মানুষজন একসময় সেটা সেটা বিশ্বাস করতে আরম্ভ করবে।”

“সংবাদমাধ্যমকে একটি বিশাল কীবোর্ড হিসেবে চিন্তা করুন যার উপর সরকার ইচ্ছামতো বাজাতে পারে।”

“আমরা ইতিহাসে ঠাই পাবো হয় সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র অধিনায়ক অথবা সর্বশ্রেষ্ঠ অপরাধী হিসেবে।”

“সত্য রাষ্ট্রের সর্বশ্রেষ্ঠ শত্রু ।”

 

Source Featured Image
Leave A Reply
5 Comments
  1. Sbflkq says

    order semaglutide 14 mg online – buy cheap glucovance DDAVP medication

  2. Uoihfp says

    prandin 2mg pill – where to buy prandin without a prescription jardiance 25mg drug

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More