১৯৩৪ সালের ২৬ শে এপ্রিল তারিখে বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে ভয়ংকর পৈশাচিক রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গেস্টাপো অফিশিয়ালি গঠিত হয়। নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধবাদ করে এমন কোন ব্যক্তি বা আদর্শকে গেস্টাপো সমূলে নির্মূল করত। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম গণহত্যা হলোকাস্টের জন্য গেস্টাপোকেই দায়ী করা হয়।
হিটলার জার্মানীর ক্ষমতায় আরোহণের পরপরই সমস্ত বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে দমন নিপীড়ন চালানো শুরু করে। এর ফলে বিরুদ্ধবাদীরা সবাই আত্মগোপনে চলে যায়। তাই এদেরকে খুঁজে বের করে নির্মূল করতে হিটলারের দরকার হয় একটি বাহিনীর। গেস্টাপো ছিল মূলত নাৎসি জার্মানির রাজনৈতিক পুলিশবাহিনী। গেস্টাপো মূলত কমিউনিস্টদের, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ চালায়। এছাড়া ছাত্রদের বিভিন্ন দলও তাদের টার্গেট ছিল।

যদিও গেস্টাপো মূলত সুৎস্টাফেই নেতা হেনরিখ হিমেলারই জড়িত তবে ১৯৩৩ সালের এপ্রিলে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হারম্যান গোয়েরিং।
জার্মানির চ্যান্সেলর হওয়ার পর এডলফ হিটলার প্রুশিয়া প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে গোয়েরিংকে দায়িত্ব দিলেন। প্রুশিয়া জার্মানির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ, যা রাজধানী বার্লিন এবং বড় শিল্প কেন্দ্রসহ দেশের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
গোয়েরিং প্রথম যে কাজটি করল তা হল রাস্তায় নাৎসি ব্রাউনশার্টের সাথে নিয়মিত ইউনিফোর্ড পুলিশকে কিছু করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া। এতে করে নির্দোষ জার্মান নাগরিকদের নাৎসি ব্রাউনশার্টওয়ালারা তাদের নতুন অর্জিত শক্তি দিয়ে মাতাল অবস্থায় জনগনকে হয়রাানি, মারধোর, অপদস্থ করা শুরু করেছিলেন। সেই সুযোগে এই নাৎসি ব্রাউনশার্টওয়ালারা দোকান লুটপাট সহ ইহুদীদের আতঙ্কের মধ্যে রাখত। যদি কারো ভুল পাওয়া যেতো, তাহলে আর রক্ষা ছিল না। গোপন অস্ত্র বহন করছে এই অজুহাতে, জার্মান নাগরিকদের প্রায়ই সাধারণ পোশাকধারী এবং ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ দ্বারা সার্চ করা হত ।
এর পরে, গোয়েরিং রাজনৈতিকভাবে অবিশ্বস্ত পুলিশ বার্লিন পুলিশ বিভাগ গোয়েন্দাদের ছাটাই করেন এবং এদের স্থলে বিশেষ পুলিশ সহায়িকা হিসেবে (Hilfspolizei) ৫০,০০০ ঝটিকা ট্রুপার শপথ নিয়ে নিয়োগ দেন। এই ঝটিকা ট্রুপারদের গ্রেফতারের বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয় এবং তারা তা ব্যবহারে বেশ উপযোগী ছিলেন। এর ফলে জেলগুলো প্রতিরক্ষামূলক হেফাজতের আওতায় বন্দীতে ভরে উঠতে থাকল। স্থান সংকুলান না হওয়ায় তাদের বাইরে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল।
ডাকাও যেটি কিনা ছিল নাজিদের প্রথম কনসেনট্রেশন ক্যাম্প সেটি গেস্টাপোই তৈরি করেছিল। এখানে অনেককেই বন্দী করে রাখা হত, চালানো হত অত্যাচার। অনেককে মেরেও ফেলা হয়েছিল।
এরপর প্রুশিয়ান পুলিশের রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা বিভাগকে আলাদা করে ফেলার পর তিনি রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা বিভাগের অধিকাংশ কর্মচারীকে ছাটাই করে, তাদের বদলে নাৎসিদের অন্তর্ভুক্ত করেন। এভাবে প্রায় ৫০০০০ নাৎসিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গোয়েরিং সাদা পোশাকের পুলিশের প্রতি মনোযোগ দিল।
পরবর্তীতে, এপ্রিল ২৬, ১৯৩৩ সালের, একটি ডিক্রি জারি করেন যা রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা বিভাগকে একত্রিত করে গোপন পুলিশ অফিস (Geheime Polizei AMT) তৈরী করে এবং দ্রুত জিপিএ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। কিন্তু “GPA” নামটির সাথে সোভিয়েত পলিটিক্যাল পুলিশ “GPU” এর নামের অনেক মিল আছে। যার কারণে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “Secret State police”। জার্মান ভাষায় “Geheime Staats Polizei”। এখন প্রশ্ন হল, গেস্টাপো নামটি আসলো কিভাবে? একজন পোস্ট অফিস কর্মকর্তা “Geheime Staats Polizei” এর নামে নতুন স্ট্যাম্প ছাপাতে গিয়ে দেখেন যে, স্ট্যাম্পের তুলনায় নামটি বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি “Geheime Staats Polizei” এর নাম সংক্ষেপে রাখেন “গেস্টাপো (Gestapo)”। মূলত তিনি “Geheime এর “Ge”, Staats এর “Sta” এবং Polizei এর “Po”কে একত্রিত করে এই নাম সৃষ্টি করেন।
গোয়েরিং সেই সময়ে বার্লিন ও তার আশেপাশের এলাকায় হিটলারের রাজনৈতিক বিরোধীদের নিষ্ক্রিয় করার কাজে সাফল্য লাভ করেন। এছাড়াও তৎকালীন সময়ের সকল মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিগত জীবনসহ সমস্ত কিছুর নথি গেস্টাপো সংগ্রহ করে রাখে।

গোয়েরিং গেস্টাপো প্রধান হিসাবে রুডলফ ডিয়েলস কে নিযুক্ত করেন। গোয়েরিং তার থেকে একটি রাজনৈতিক পুলিশ বাহিনী কিভাবে কাজ করে তার পূর্ণ জ্ঞান আহরনের সুযোগ গ্রহণ করেন। ডিয়েলস প্রধান হিসাবে থাকলেও গোয়েরিং বিভিন্ন নাৎসি নেতাদের গোপন নথি তার কাছে জমা নিতেন এবং সেই তথ্য তিনি নাৎসি পার্টিতে তার অবস্থান শক্তিশালী করার কাজে ব্যবহার করতেন ।
এর মাঝেই আরেক নাৎসি নেতা হেনরিখ হিমেলার গেস্টাপোর কর্তৃত্বের জন্য নজর রাখতে শুরু করেন । তার ফলে হিমেলার ও গোয়েরিং এর মাঝে একটা দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরই মাঝে ১৯৩৪ সালের ২০শে এপ্রিল হিমেলারের কাছে গেস্টাপোর দায়িত্ব হস্তান্তর করে গোয়েরিং । হেনরিখ হিমেলার ১৯৩৪ সালের এপ্রিল থেকে ১৭ জুন ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত গেস্টাপোকে নেতৃত্ব দেন। সেইসময়ে পুরো জার্মানির সমস্ত পুলিশ তার অধীনে চলে যায়।
১৯৩৬ সালের ২৬ই ফেব্রুয়ারি গেস্টাপো আইন পাশ হয়। যার একটি অনুচ্ছেদে লেখা ছিল যে “গেস্টাপো বিষয়াবলি প্রশাসনিক আদালত দ্বারা পর্যালোচনার জন্য উন্মুক্ত করা যাবে না”। এই অনুচ্ছেদের কারনে গুপ্ত পুলিশ গেস্টাপো আইনের ঊর্ধ্বে চলে যায় এবং কোন আইনী ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে করা যেত না। প্রকৃতপক্ষে, গুপ্ত পুলিশ নিজেই একটি আইন হয়ে ওঠে। যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ এবং কোন আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া নাগরিককে কারারুদ্ধ বা সারসংক্ষেপ সঞ্চালনের জন্য বন্দিশিবিরে গেস্টাপো পাঠাতে পারতো।

১৯৩৬ সালের শেষের দিকে গেস্টাপোকে Kriminalpolizei (or Kripo, German for Criminal Police) এর সাথে একীভূত করে ফেলা হয়। আবার ১৯৩৯ সালে, যখন যুদ্ধ সবেমাত্র শুরু হয়েছে, তখন “Sipo” এবং জার্মানির অন্যান্য গোয়েন্দা এবং অপরাধ দমন বিভাগগুলোকে একত্রিত করে গড়ে তোলা হয় “Reich main Security Office” সংক্ষেপে “RSHA”। ১৯৪২ সাল পর্যন্ত “RSHA” এর নেতা ছিলেন S.S এর দ্বিতীয় প্রধান রাইনহার্ড হাইড্রিচ। ১৯৪২ সালে তাকে শত্রুপক্ষ খুন করে। পরে “RSHA” এর প্রধান করা হয় এর্নস্ট কালটেনব্রুনারকে ।
গেস্টাপো সংগঠনটির অধীনে ৫টি ডিপার্টমেন্ট কাজ করত । প্রত্যেকের আলাদা কর্মক্ষেত্র ছিল ।
ক) ডিপার্টমেন্ট “এ” (রাষ্ট্রের শত্রু)
১) কমিউনিস্ট (এ১)
২) কাউন্টার স্যাবোটাজ বা প্রতি অন্তর্ঘাত (এ২)
৩) প্রতিক্রিয়াশীল এবং উদার ব্যক্তিত্ব (এ৩)
৪) গুপ্তহত্যা (এ৪)
খ) ডিপার্টমেন্ট “বি” (চার্চ এবং অন্যান ধর্মীয় সম্প্রদায়)
১) ক্যাথোলিক (বি১)
২) প্রোটেস্ট্যান্ট (বি২)
৩) ফ্রিম্যাসন (বি৩)
৪) ইহুদী (বি৪)
গ) ডিপার্টমেন্ট “সি”
এই ডিপার্টমেন্ট প্রশাসনের এবং অন্যান্য সকল কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় তথ্য (গোপন এবং প্রকাশ্য) সংরক্ষণ করত।
ঘ) ডিপার্টমেন্ট “ডি”
১) রাইখের বাইরে রাস্ট্রের শত্রু (ডি১: ডিপার্টমেন্ট ১ এর পুনরাবৃত্তি)
২) রাইখের বাইরে চার্চ এবং অন্যান ধর্মীয় সম্প্রদায় (ডি২: ডিপার্টমেন্ট ২ এর পুনরাবৃত্তি)
ঙ) ডিপার্টমেন্ট “ই” (কাউন্টার–ইন্টেলিজেন্স)
১) রাইখের অভ্যন্তরে (ই১)
২) নীতি নির্ধারণ (ই২)
৩) পশ্চিম ফ্রন্ট (ই৩)
৪) স্ক্যান্ডেনেভিয়া (ই৪)
৫) পূর্ব ফ্রন্ট (ই৫)
৬) দক্ষিণে (ই৬)
গেস্টাপোর প্রধান যে অস্ত্র ছিল তা হল, তারা ভয় মানুষের মনে জাগিয়েছিল। জার্মানির সাধারণ মানুষ মনে করত তারা সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে। এর জন্য তারা কাউকেই বিশ্বাস করতে পারতনা। তারা সবসময় ভয়ে থাকত এই ভেবে যে এই লোকটাই হয়তো গেস্টাপোর চর। এর ফলে অদৃশ্য ভয় ও আশংকা নাগরিক জীবনকে শাসন করা শুরু করে। বেশির ভাগ লোকই আত্ম-সেন্সরশিপ গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা শুরু করে এবং তারা সাধারনতঃ তাদের মুখ বন্ধ রাখতেই সমীচিন মনে করত। তাদের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিল যে তারা যদি দেশও ছাড়ে তাদেরকে গেস্টাপো ঠিকই ধরে ফেলবে। গেস্টাপো আদালতগুলোতেও প্রভাব বিস্তার করত। কোন ব্যক্তিকে যদি তাদের মনে হত দোষী তারা আদালতে প্রভাব বিস্তার করে তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়াতো। যদি কেউ অসাবধানতা বশতঃ নাৎসি পার্টির বিরুদ্ধে কিছু বলে বসতেন বা কোন সামান্য ঠাট্টাও করতেন, তা হলে ঐ লোক বা দলের বাড়িতে রাতে চলে আসত এই গেস্টাপো বাহিনীর লোকজন। অথবা রাস্তা দিয়ে ঐ লোক হেঁটে যাবার সময় কাধে টোকা দিয়ে এই বাহিনীর কর্মী প্রতিনিধি ঐ লোককে নিয়ে যেত তাদের বার্লিন হেড কোয়ার্টারে। যেখান থেকে হেটে যাওয়া লোকজন যন্ত্রনার চিৎকার শুনতে পেতেন বলে শেনা যায়। এই কারনে স্থানটি কুখ্যাত হয়ে ওঠে।
গেস্টাপোর নির্যাতন-জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতির মধ্যে ছিলঃ
১. বরফের মতো ঠাণ্ডা পানি ভরা বাথটাবে বন্দীকে চুবানো
২. এই প্রথা পুনরাবৃত্তি করা
৩. হাত, পা, কান এবং যৌনাঙ্গে তারের সংযোজনের দ্বারা ইলেকট্রিক শক দেয়া
৪. একটি বিশেষ ডিভাইসে পুরুষের অণ্ডকোষ পিষে ফেলা
৫. পিছনে বন্দীর দুই হাতের কব্জি বেঁধে সুরক্ষিতভাবে (যাতে বন্দী নিজে বাঁধন খুলতে না পার) ঝুলিয়ে রাখা
৬. রাবারের লাঠি এবং গাভীর চামড়ার চাবুক দিয়ে পেটানো
৭. ম্যাচ বা একটি তাতাল দিয়ে শরীরে ছ্যাক দেয়া বা পোড়ানো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে Einsatzgruppen ( Task Force, Mobile Killing Sqad) তৈরি করা হয় যারা ইহুদীদেরকে ধরার কাজে নিয়োজিত ছিল । তারা হয় ইহুদীদেরকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠাত নইলে মেরে ফেলত । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গেস্টাপো বিশেষত নরওয়ে এবং ফ্রান্সে বেশ সক্রিয় ছিল। পূর্ব ইউরোপে গেস্টাপো হলোকাস্টের সাথে জড়িত ছিল। গেস্টাপোর এজেন্টরা পলায়নরত ইহুদীদের খুঁজে বের করত। ১৯৪০ সালের শেষদিকে ইহুদীদের ঘেটোর দায়িত্বে ছিল গেস্টাপো। ঘেটো ছিল মুলত ইহুদীদের বাধ্যতামূলক একটি বাসস্থান। তারা ইহুদীদেরকে সেখানে জোর করে কাজ করাতো, খেতে দিতনা এবং নানাভাবে অত্যাচার করত। ১৯৪১ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর সিদ্ধান্ত হয় ঘেটোর সব ইহুদীদের গ্যাস চেম্বারে মেরে ফেলার। সেই সিন্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল গেস্টাপোর উপর। সেই সময়ে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার ইহুদীকে হত্যা করা হয়। এভাবে ইতিহাসের চরম ঘৃণিত একটি গণহত্যার সাথে জড়িয়ে আছে গেস্টাপোর নাম । গেস্টাপোর একজন বিখ্যাত টার্গেট হল আনা ফ্র্যাংক । তার রচিত ডায়রীর এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হিসাবে গণ্য হয়।

ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে গেস্টাপোকে সন্ত্রাসী সংগঠন দিয়ে আখ্যা দেওয়া হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে হয়তো অনেক গোয়েন্দা সংস্থাই ছিল আছে। তবে নৃশংসতার দিকে দিয়ে হয়তো গেস্টাপোর কাছাকাছি কমই যেতে পারবে। তাদের তাই যুদ্ধের হারের সাথে বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়েছে। আর মানুষের মনে তাদের জন্য এখনো ঘৃণা ছাড়া আর কিছু কাজ করেনা।
তথ্যসুত্রঃ
১. http://www.jpost.com/Features/In-Thespotlight/This-Week-in-History-The-creation-of-the-Gestapo
২. http://www.historyplace.com/worldwar2/triumph/tr-gestapo.htm
৩. http://www.historylearningsite.co.uk/nazi-germany/the-gestapo/
৪. https://www.britannica.com/topic/Gestapo
৫. http://www.jewishvirtuallibrary.org/the-gestapo
৬. https://www.ushmm.org/wlc/en/article.php?ModuleId=10008218#
৭. http://www.somewhereinblog.net/blog/moonshine/29799630