‘এরিয়া-৫১’-রহস্যের চাদরে মোড়া যে অঞ্চল

0

 

২৬০০০ হাজার বর্গমাইল জুড়ে থাকা সামরিক বাহিনীর অপারেশন ঘাঁটিটি সম্পর্কে ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত না কারোর ছিলো ধারণা আবার ওই স্থান সম্পর্কে না ছিলো মানচিত্রে কোন সুনির্দিষ্ট চিহ্ন। এমন কি রাস্তার নকশাও করা ছিলো না যার কারণে গুগল ম্যাপেও ঠাঁই দিতে পারে নি গোপন সেই স্থানটিকে।  গোপনীয়তা রক্ষার্থে তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার এতোটাই তৎপর ছিলো যার কারনে সরকারী কাগজপত্র বা দলিলে এর সম্পর্কে কোন তথ্যই রাখেনি তারা।  উক্ত স্থানের জন্য নির্দিষ্ট করা বিমান ব্যতীত আকাশসীমায় সামরিক বা বেসামরিক কোন ধরণের বিমান প্রবেশের অনুমতিও ছিলো না। বলতে গেলে ওই ঘাঁটি “নো-ফ্লাই জোন” হিসেবে অফিশিয়ালি ভাবে ঘোষিত ছিলো।

ঠিক কোন কারণে এতোটা গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে যার কারণে এতদিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্থানটির অস্তিত্বই অস্বীকার করে আসছিলো তা ছিলো অজানা রহস্যে ঘেরা।

“বুম গেইট” বা চেইন লিংকের বেড়ার মতো দুর্ভেদ্য বেষ্টনী দ্বারা সংরক্ষিত ক্ষেত্রটির সম্মুখে ‘প্রবেশ এবং ছবি তোলা নিষেধ, প্রবেশ করলে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ করা হবে’ নির্দেশনামা সম্বলিত নোটিশগুলো সাধারণের নজর কাড়ে যা দেখে যে কেউ বলতে পারবে আমেরিকার সবচেয়ে রহস্যময় অঞ্চলটি গোপন মিলিটারি বহর দ্বারা সংরক্ষিত যারা তদারকিতে কোন ভুল করে না। বিভিন্ন এঙ্গেলে বসানো ক্যামেরা দিয়ে তারা দেখছে সবকিছু, কোনকিছু দিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করছে চারিদিকে যাতে কেউ সীমানা পেরোতে না পারে। ধারণা করাই যায় যে কেউ একজন অনধিকার প্রবেশ করলে প্রাণসমেত বেরিয়ে আসতে পারবে না।

পশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে এবং লাস ভেগাস থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম ‘রেকেল’ গ্রামের ‘গ্রুম’ লেকের পাশে , যেখানে একটি ধুলোময় পদচিহ্ন হীণ রাস্তা নিয়ে যাবে সোজা ‘Area 51’(এরিয়া ৫১) নামক পৃথিবীর সেই অন্যতম রহস্যে ঘেরা স্থানটির সম্মুখে। স্থানীয়দের মতে, সীমানা প্রাচীরের ভিতর একটি সাদা পিকআপ ট্রাক আছে যা সর্বদা টহলের কাজে নিয়োজিত থাকে। একটি খরগোশ বা কচ্ছপ যদি রক্ষীপ্রাচীর টপকে যায় তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারবে টহলরত দলটি। অনেকে বলে, এখানে চলার রাস্তায় সেন্সর রাখা আছে যা দ্বারা অতীব সাবধানের সহিত রাখা প্রতিটা পদাঙ্কের শব্দ গুঞ্জিত হয় নিরাপত্তা রক্ষীদের কানে। এ দ্বারা বুঝা যায় কতোটা কঠোর তদারকি-সহিত স্থানটির দেখাশোনা, গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

এরিয়া-৫১
এরিয়া-৫১
Source: Wikipedia

সময় ২০১৩ সাল। সিআইএ রিপোর্টে ‘এরিয়া ৫১’ সম্পর্কে নথি প্রকাশের পূর্বপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার এরিয়াটি সম্পর্কে কোন ধরণের নথি বা তথ্য প্রকাশ করেনি। এমনকি তৎকালীন আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার শীতল যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও অতীব সতর্কতার সহিত চেপে যায় স্থানটির অস্তিত্ব সম্পর্কে এবং আড়ালে গোপনে উন্নতমানের যুদ্ধ বিমান এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরীর গবেষণা এবং পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হতো এই অঞ্চলে।  মজার ব্যাপার হলো আজপর্যন্ত কোন বেসামরিক সংস্থা দাবী করতে পারেনি যে তারা উক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করতে পেরেছে বা কোন ধরণের তথ্য উদঘাটন করতে পেরেছে।

১৯৫০ সাল। বিশ্ব তখনও তথ্যপ্রযুক্তিতে আজকের মতো এতো বেশি অগ্রসর ছিলো না। তাদের ছিলো না গুগলের মতো এতো বিশাল সার্চ জায়ান্ট, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। তাই চারিদিকে সাড়া জাগানো ইউএফও বা প্রাণী এলিয়েনদের সম্পর্কে গবেষণালব্ধ সত্য বা মিথ্যে তথ্য অর্জনের সুযোগ ছিলো না। যা জানতো তার পুরোটাই ছিলো কাল্পনিক ধারণা। একেকজনের একেক ধরণের জমজমাট গল্প।

১৯৮৮ সালে তেমনই রহস্য জমে উঠে আমেরিকার “এরিয়া ৫১” সম্পর্কে যখন রাশিয়ার ‘ইকন্স’ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবি দ্বারা পুরো বিশ্ব প্রথমবারের মতো এই ঘাঁটি সম্পর্কে স্যাটেলাইট ছবি দেখতে পায় এরিয়া-৫১ এ থাকা সাতটি রানওয়ে যারমধ্যে একটি বন্ধ অথবা ব্যবহৃত হয় না। তাছাড়া আছে হ্যালিপ্যাড। লোকমুখে শোনা যায় ইউ-২, এক্স-১৫ এবং এ-১২ এর মতো হরেক প্রকার আধুনিক মার্কিন সামরিক বিমান এখানে নির্মিত হয় যারমধ্যে এ-১২ নামক বিমানটি তৈরী করা হয়েছিলো ১৯৫০ এবং ৬০ দশকের দিকে। এটি রাডারের আওতার বাহিরে থেকে ঘন্টায় প্রায় ২২ মাইল (৩৫৪০ কিঃমিঃ) বেগে উড়ার ক্ষমতা রাখতো। এই এ-১২ নামের বিমানটিকে আরো অত্যাধুনিক করতে তখনকার সময়ে আমেরিকা সরকার একটি ভুল করে ফেলেন যা এরিয়া-৫১ এর বিমানের পাইলট কেন কলিন্স (এরিয়া-৫১ এ যার ছদ্ম নাম ছিলো কেন কলমার) ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন। তার দেয়া তথ্যমতে দুর্ঘটনার দিন বিমানটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন চলাকালীন ২৫০০০ ফিট উচ্চতায় আকস্মিকভাবে বিমানের সম্মুখভাগ উপরের দিকে প্রবলবেগে উঠতে থাকে এবং হঠাৎ উল্টে গিয়ে অনুভূমিক দিকে ধাবিত হয়। কেন কলিন্স বুঝে যায় এ যাত্রায় বিমানকে বাঁচানো অসম্ভব তাই নিজেকে বাঁচাতে বেরিয়ে পড়েন ককপিট হতে এবং প্যারাস্যুট দিয়ে সুস্থ ভাবে ল্যান্ড করার পর দেখেন তিনজন স্থানীয় ছদ্মবেশে লোক তারজন্য পিকআপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে ধ্বংসাবশেষের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি উল্টোপথে হাটতে থাকেন তাদের নিয়ে এবং বলেন বিমানে পারমানবিক যুদ্ধসরঞ্জাম রয়েছে। এ কথাটি বলা হয়েছিলো কারণ এ ধরণের গল্প আগে হতেই পরিকল্পিত ছিলো। সরকারি কর্মকর্তারা একটু পর এসে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতঃ ধামাচাপা দেয়ার কাজ সেরে ফেলে। এর পরের দিন প্রত্যুষে সমস্ত ধ্বংসাবশেষ ট্রাকে করে এরিয়া-৫১ এর অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় অর্ধ শতাব্দী অবধি সেই স্থানে কেউই উক্ত জায়গায় পদচিহ্ন রাখেনি।

মার্কিন স্যাটেলাইট ‘করোনা’ এবং ‘টেরা’ এরিয়া ৫১ এর ছবি তুলেছিলো যার সবকটি মার্কিন সরকার মুছে ফেলে ডাটাবেজ হতে। এখন অবশ্য গুগল ম্যাপে এরিয়া ৫১ ঠাঁই পেলেও খুব একটা তথ্যসমৃদ্ধ বা এ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান প্রদানে ব্যর্থ।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবি
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবি
Source: Southernstar

এবার, জেনে নেয়া যাক এরিয়া-৫১ সম্পর্কিত কিছু মজার তথ্য যার মধ্যে কিছু আছে কল্পিত আবার অনেক আছে আংশিক অনুমিত সত্য।

“কোন কিছু হচ্ছে এরিয়া-৫১ অঞ্চলের দিকে” জনসাধারণের এ সন্দেহ হতে দূরে রাখতে ওই অঞ্চলের কর্মরত বেশকিছু নির্বাহ কর্মচারী যাতায়াত করতো লাস ভেগাস থেকে যা ছিলো এরিয়া-৫১ হতে প্রায় ৯০ মাইল দূরে। তারা এটাকে বলতো “JANET”(জানেট ) যার পূর্ণরুপ হলো “Just Another non Existent Terminal”.

এরিয়া-৫১ নামকরন করা হয় ম্যাপে এর পদাঙ্ক দেখে যখন এটি ৫১তম এটোমিক এনার্জি কমিশনস্থ নেভাডা প্রোভাইডিং গ্রাউন্ড হিসেবে সংযুক্ত হয়।

সময় ২০০৫ সাল। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি সর্বপ্রথম তথ্য প্রকাশ স্বাধীনতা আইনের অধীনে কিছু দলিল প্রকাশের আবেদন করলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বেশকিছু তথ্য অবমুক্ত করে যা ২০১৩ সালে অবমুক্ত করা সিআইএ’র গোপন দলিলে অন্তর্ভুক্ত ছিলো যারমধ্যে উল্লেখ করা হয় এরিয়া ৫১ মূলত ইউ২ এর মতো গোপনীয়তা রক্ষা করে অন্তরালে চলা কিছু স্পাই প্লেন ও অন্যান্য গোপন মরণাস্ত্র পরীক্ষা করা হতো। পরে অবশ্য এফ-১১৭ স্টিলথ ফাইটার, ডি-২১ ট্যাগবোর্ড, এ-১২ অক্সকার্ট নামক বিমান ব্যবহৃত হয় ওই এলাকায় চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য।

অন্যান্য সব তথ্যের সাথে এও জানা যায়, সেখানের নির্মিত দালানসমূহে কোন জানালা নেই যার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে জানা যায় যেনো এক গবেষক দল আরেক গবেষক দলের কাজ সম্পর্কে জানতে না পারে। আরেক সূত্রে জানা যায়, যখন কোন বিমান উক্ত ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক চালানো হয় তখন কর্মীরা দালানের ভিতরেই অবস্থান করে যাতে উড্ডয়ন সম্পর্কিত কোন তথ্য কেউ জানতে না পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যতীত।

বিতর্ক সর্বদা সর্বক্ষেত্রে লেগেই থাকে, যেমনটা এরিয়া ৫১ এর তথ্য এতো দীর্ঘ সময় ধরে গোপন রাখার ফলে জন্মেছিলো।

সময় ১৯৪৭ সাল। নিউ মেক্সিকোর কাছে বিধ্বস্ত হয় রসয়াল বিমান ‘কিন্তু’। অনেকেই এটাকে এলিয়েন ক্র্যাফট হিসেবে ধরে নিয়েছিলো।

Source: Wonderopolis

আবার অনেকের মতে ‘এরিয়া-৫১’ সম্পর্কে এতোটা গোপনীয়তা রক্ষার পিছনে ছিল চন্দ্রাভিযানের ভুয়া কাহিনীটা চেপে যাওয়ার একটা পন্থা। আসলেই চন্দ্রাভিযান সম্পর্কে মানুষের মনে এতোটাই সন্দেহ রয়েছে যেখানে এসব সংবেদনশীলভাবে গোপনে রাখা কোনকিছু সন্দেহকে বাস্তবে রুপ দিতেই পারে। তাদের মতে, রাশিয়ার সাথে পাল্লা দিতে এরিয়া-৫১ এর ভিতরেই চন্দ্রাভিযানের নাটক সাজিয়েছিলো তারা যার কারনে অতিসূক্ষ্ণভাবে ক্ষেত্রটির গোপনীয়তা রক্ষা করা হতো। ভ্রান্ত হোক বা সত্য তবে ধারণাটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায় হলিউডের “ইন্ডিপেন্ডেন্স” সিনেমাটি যার মধ্যে পরিচালকের কল্পিত এলিয়েন গোষ্ঠী পৃথিবী আক্রমনের অংশ হিসেবে ‘এরিয়া-৫১’ এ হামলা চালায়। সেই মেক্সিকোতে বিধ্বস্ত হওয়া রসয়াল বিমানটিকে এলিয়েনদের হারিয়ে যাওয়া ক্র্যাফট হিসেবে চালিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর একই ধাঁচে নির্মিত হয় ‘সেভেন ডে’ নামক একটি ইংলিশ টিভি সিরিয়াল, বানানো হয় এরিয়া-৫১ নামক কম্পিউটার গেমস।

তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আমেরিকা সরকার ছিলো একদম কৃপণ, বলতে গেলে এক প্রকার মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলো তারা। ১৯৯৫ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন একটি কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন যেখানে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে‘ এরিয়া-৫১’কে সংরক্ষণের নিমিত্তে কোন ধরণের আইনী অথবা গবেষণা করা হতে বাঁচাতে।

তবে চুপ নেই স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবী সুনির্দিষ্ট আর সেটা হলো ‘এরিয়া-৫১’ এর আকাশে এলিয়েন চালিত ফ্লাইং সসারের মতো উড়ন্ত কিছু দেখা যায়। অনেকেই কাল্পনিক ফ্লাইং সসারকে বাদ দিয়ে বলেন তারা এমন দ্রুত গতির বিমান উড়তে দেখেছেন যার গতি যেকোন সাধারণ বা যুদ্ধ বিমানের গতিকেও সহজেই হার মানাবে। দুপক্ষের দাবীকে অনেকটা সত্যিতে রুপান্তর করে ‘এরিয়া-৫১’ এ কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী ‘বব লেজার’ এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, ওইখানে এমনসব মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা করা হয় যার আবিষ্কারের কোন ধরণের অফিশিয়াল ঘোষণা নেই।  অবশ্য তার বক্তব্যে কিছুটা গরমিল দেখা যায়। তার দাবী উক্ত গবেষণাগারে ফ্লাইং সসার তৈরীর ফর্মুলা নিয়ে তোরজোড় গবেষণা চলে। তারমতে সুপারনোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকে একধরণের মৌল সংগ্রহ করা হয়েছে যার মাত্র ২.২ পাউন্ড উপাদান দিয়েই ৪৭ টি ১০ মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্যে যথেষ্ট। ওই গবেষণাগারে রাখা একটি চাকতি ও বলের সংমিশ্রণে বানানো একধরণের যন্ত্রের সাহায্যে বলের চিপে রাখা মৌলটি এন্টিম্যাটার রিএক্টর বলয় তৈরী করে যা সময়কে স্থির করতে সক্ষম এবং বিপুল শক্তির সঞ্চয় করে যার ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বলের সৃষ্টি হয় এবং তা নিজস্ব গতিতে বিদ্যুৎবেগে ছুটতে পারে।

সবচেয়ে বড় মজার বিষয়, তিনি দাবী করেন ওইখানে পড়ে থাকা ফ্লাইং সসারের ধ্বংসাবশেষে পাওয়া একটি এলিয়েন যে এসেছিলো রেটিকুলাম-৪ নামক একটি গ্যালাক্সি হতে যার আয়তন দৈর্ঘ্যে প্রায় তিনফুট। শরীরে কোনধরনের লোম নেই। আরো বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয় তার বড় বড় চোখ এবং কৃশকায় শরীর যার দেহ ছেদ করে হৃৎপিন্ডের বদলে দেখা যায় একটি বিশালাকৃতির পতঙ্গ।

এরিয়া-৫১ এর আসল নাম অবশ্য অন্যকিছু। অনেকে স্থানটিকে “দ্য ড্রিম ল্যান্ড বা স্বপ্নের ভূমি” অনেকে “দ্য রেকেল অফ হেভেন বা বেহেশতের রেকেল” হিসেবে জানে। যেহেতু স্থানটির চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া দ্বারা পরিবেষ্টিত তাই পাইলটেরা এই সীমানা প্রাচীরকে “বক্স” নামে ডাকে।

বিভিন্ন ধরনের রহস্য, সত্য-মিথ্যে কাহিনী দিয়ে ঘেরা এই ‘এরিয়া-৫১’ নামক অঞ্চলটি আজও পুরোটা খোলাসা নয় কারণ এখানে আজও সাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ এবং “শ্যুট এট সাইট” নির্দেশনা সম্বলিত বোর্ডটি চোখে পড়বে অনুসন্ধিৎসুদের। কড়া নিরাপত্তায় বেষ্টিত নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে ভিতরে গবেষণা করা চাট্টিখানি কথা নয়। দেখা যাক সামনে আরো কি কি বিস্ময়ের জন্ম দেয় এই ‘এরিয়া-৫১’ অঞ্চলটি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More