‘মিয়োকি ইশিকাওয়া’ – ধাত্রি যখন হত্যাকারী

2

 

একটি শিশুর জন্ম নেয়া প্রকৃতির মতই একটি প্রাচীন ব্যাপার। মানব ইতিহাসের শুরুর কাল থেকেই গর্ভধারন এবং জন্মদানের ব্যাপারটি চলে আসছে। এটি যেমন খুবই পরিচিত এবং স্বাভাবিক একটি ব্যাপার তেমনি এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে কিছু জটিলতা এবং অসহনীয় প্রসব বেদনা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে একজন গর্ভবতী মায়ের জটিলতা ও কষ্টের পরিমাণও কমে এসেছে বেশ খানিকটা। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান যখন কেবল মাত্র প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল তখন গর্ভবতী মায়েদের সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় তাদেরকে সাহায্য করতেন ধাত্রীরা। ঐ সময় ধাত্রিরাই ছিলেন সদ্য মা হওয়া নারীদের অনেকটা নির্ভরতার জায়গা।

কিন্তু আপনি যদি ১৯৪০ সালের দিকে জাপানে একটি শিশু জন্ম দিতেন এবং আপনার ধাত্রী থাকতো মিয়োকি ইশিকাওয়া, তাহলে আপনার চেয়ে মন্দভাগ্য আর কারোর থাকতো না। কারণ সে ১০০ এর বেশি নবজাতককে হত্যা করেছিল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। কথায় বলে ক্রোধোন্মত্ত নারীর কাছে নাকি নরকের শাস্তিও নগণ্য, এই বিষয়টা কি মিয়োকির ক্ষেত্রেও সত্যি ছিল? সে কি নিজের উপর হওয়া কোন অন্যায়ের ক্রোধ ঢালছিল ঐ শিশুদের উপর? নাকি সে শুধুই একজন ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের খুনি অথবা অতি দ্রুত পয়সা কড়ি কামানোর উদ্দেশ্য ছিল তার? নাকি সে পাগল বা শয়তান বা শুধুমাত্র একজন হৃদয়হীন ব্যক্তি ছিল? তার বিষয়ে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কেউ জানতে পারেনি পৃথিবীতে আর হয়তো কখনও পারবেওনা যেহেতু মিয়োকি নিজেও আর বেঁচে নেই এই পৃথিবীতে।

কিন্তু একজন মানুষ ঠিক কতটা নিষ্ঠুর হলে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুদেরকে হত্যা করতে পারে তা হয়তো আমি বা আপনার মত সাধারণ মানুষেরা কল্পনাও করতে পারিনা। তার উপর সেই খুনি যদি হয় একজন ধাত্রী যে নিজে ঐ শিশুগুলোর জন্মের সময় সাহায্য করেছে তাহলে সেটা আরও বেশি অকল্পনীয় ও অসম্ভাব্য মনে হয় আমাদের কাছে। এইজন্যই মিয়োকি ইশিকাওয়া, ইতিহাসের অন্যতম জঘন্যতম, ঘৃণ্য সিরিয়াল কিলার যে পিশাচ ধাত্রী হিসেবে পরিচিতি পায়। এই পিশাচিনীর সম্পর্কে কিছু ব্যাপার তুলে ধরা হল এখানেঃ

মিয়োকির জীবন শুরু হয়েছিল ১৯০০ সালের জাপানের আর পাঁচটা আটপৌরে জীবনের মতই। ১৮৯৭ সালে জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলের হিগাশিমোরোকাটা জেলার কুনিমোটো শহরে জন্মগ্রহন করে যখন জাপানে সামন্তবাদ খুব জোরালো ভাবে ছিল। তার জন্মের সাল জানা গেলেও জন্মের তারিখ রয়ে গেছে অজানা। ঐসময় জাপানে সংযোগশীলতা বাড়ছিলো এবং ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছিল। কিন্তু তখনও খাবারের ঘাটতি ছিল, বিশেষ করে ছোট শহরের লোকজন জীবিকার জন্য পার্শ্ববর্তী নদী কিংবা জলাশয়ের উপর নির্ভর করতো। জীবন তখন কঠিন ছিল, একটা কাজ খোঁজে পাওয়া জীবন ধারনের জন্য খুব জরুরী ছিল। তবুও জাপানে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা হামলা হওয়ার আগে পর্যন্ত বেশ শান্তিপুর্ণ পরিবেশ ছিল। এমন একটি সময়ে যখন জাপানের অধিকাংশ নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের কপালে ছিল বাইজি হওয়া, ঐ সময়ে মিয়োকি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেছিল। যা দেখেই অনুমান করা যায় যে সে বেশ প্রভাবশালী পরিবার থেকেই এসেছিল। পরবর্তীতে পরিবারের পছন্দে তাকেশি ইশিকাওয়ার সাথে বিয়ে হয় তার এবং সে একজন ধাত্রী হয়। উল্লেখ্য যে, ঐ সময় জাপানে ধাত্রী হওয়ার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা থাকতে হতোনা বা কোন কাগজপত্রেরও দরকার পরতোনা।

মিয়োকি
মিয়োকি ইশিকাওয়া
Source: Klik.gr

কোটোবুকি ম্যাটার্নিটি হাসপাতালের একজন অভিজ্ঞ ধাত্রী ছিল মিয়োকি, এবং পরে সে ঐ হাসপাতালের পরিচালক হয়। ১৯৪০ সালে তার হাসপাতালে জন্মগ্রহন করে যাদের প্রায় সবার বাবা মা ছিল অত্যন্ত দরিদ্র এবং এই নবজাতকদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়ার সামর্থ্য তাদের ছিলনা। যার ফলে তারা বাচ্চা জন্ম নেয়ার পরই তাদের কে হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যাচ্ছিলো। তখন জাপানের সরকারি পক্ষ থেকেও এমন পরিত্যাজ্য বাচ্চাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়া হতোনা। তখন মিয়োকি ঐ বাচ্চাদের কে হত্যা করা শুরু করে। শুধুমাত্র শিশু হত্যা করেই থেমে থাকেনি সে। এক পর্যায়ে সে আর তার স্বামী তাকেশি মিলে বাচ্চা হত্যা করে দেয়ার বদলে বাচ্চার বাবা মায়ের কাছ থেকে বিরাট অংকের টাকা দাবি করে। এইক্ষেত্রে তাদের যুক্তি ছিল যে ঐ বাচ্চাকে মেরে না ফেললে তাদেরকে লালন পালন করতে অনেক বেশি টাকা দরকার, তাই অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তাদেরকে মেরে ফেলাই উত্তম। তাদের এই ঘৃণ্য কার্যক্রমে আরেকজন সহযোগী ছিল ডঃ শিরো নাকাইয়ামা যে হত্যা হওয়া ঐ বাচ্চাদের মিথ্যা মৃত্যু সনদ দিতো। ঐ হাসপাতালে কর্মরত অন্যান্য ধাত্রীরা এইসব কর্মকান্ড আন্দাজ করা শুরু করলে পরোক্ষ ভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রশাসন সব বুঝেও অভিযোগগুলো এড়িয়ে যায়। অনেক বিবেকবান ধাত্রী তখন ঐ হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে চলে যায়।

মিয়োকি এতগুলো শিশু হত্যা করার পরও সরকার কেন বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছে সেটা অনেকটা অনুমান করা যায় তৎকালীন জাপানের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করলে। ১৯৪০ সালে জাপানে গর্ভপাত করানো অবৈধ ছিল আর জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি তখন সহজলভ্য ছিলনা, সত্যি বলতে তখন তারা জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতোই না। তাই দরিদ্র পরিবারে ২য় সন্তানের পর সন্তান হলেই তাদেরকে জন্মের পর হত্যা করে ফেলা হতো। মেয়ে শিশু হলে হয়তো হত্যা করতো না কারণ মেয়েকে বিয়ে দেয়ার বিনিময়ে তারা কিছু টাকা পেতো কিন্তু ছেলে শিশুদের কে বাঁচিয়ে রাখতো না।

শিশু
Source: therichest.com

যখন জাপানে বিনা বিচারে শত শত শিশু হত্যা হচ্ছিলো তখন জাপান সরকার কোন ভ্রুক্ষেপই করেনি সেদিকে। ঐ সময় জাপানে নবজাতক ও শিশুদের অধিকার রক্ষা করার জন্য কোন আইন ছিলনা, তাদের পক্ষে কেউ কথা বলার মত ছিলনা। বিষয়টা এমন না যে জাপানের আইনের চোখ অন্ধ ছিল। আসলে জাপান ঐ সময় অনেক সংকট পুর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো তাই শিশুদের জন্য আলাদা করে কোন আইন করা তখন তাদের কাছে তেমন জরুরী মনে হয়নি। জাপানে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয় ১৮৮০ সালে, যদিও ধাত্রীদেরকে গর্ভপাতে সাহায্য করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় ১৮৬৮ সালেই। তৎকালীন রাজা মনে করেছিল যে অধিক জনসংখ্যা তাঁর বিশাল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের সময় কাজে আসবে। কিন্তু কয়েক বছর পর স্বৈরাচারী শাসকদের আমলে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের ফলে জাপানের আর্থসামাজিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। ১৯৪৬ সালে জাপানের ১০ মিলিয়ন লোক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে বলে আশংকা করা হয়। গর্ভপাত অবৈধ হওয়ায় ১৯৪৫ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১১ মিলিয়নে পৌছায়। এই থেকে আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি যে কেন ১৯৪০ সালের দিকে বাবা মায়েরা সন্তান জন্ম দিয়েই তাদেরকে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলো বা মিয়োকির মত খুনিকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে হত্যা করাচ্ছিল। এক কথায় ঐ সময়টা যেকোনো শিশুর জন্য নিকৃষ্টতম সময় ছিল জাপানে জন্ম নেয়ার।

মিয়োকি নির্বিকারভাবে শিশু হত্যা করে যাচ্ছিলো যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ধরা পড়েছিল ওয়াসেদা পুলিশ বাহিনীর কাছে। কাকতালীয়ভাবে ওয়াসেদা পুলিশ এক জায়গায় ৫টি নবজাতকের মৃতদেহের অংশবিশেষ খোঁজে পায় এবং সেগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় যে তাদের কোন স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। যার ফলে একটি অনুসন্ধান শুরু হয় এবং অনুসন্ধানের সুত্র ধরে পুলিশ মিয়োকি, তার স্বামী এবং তার হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায়। এরপর সারা শহর জুড়ে খোঁজার কাজ শুরু হয় এবং এক ময়নাতদন্তকারির বাড়ি থেকে ৪০ নবজাতকের লাশের অংশ বিশেষ পাওয়া যায় এবং ঐ ময়নাতদন্তকারিকে মিয়োকির সহযোগী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আরও অন্যান্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে আরও ৩০ টা লাশের সন্ধান পাওয়া যায় এক মন্দিরে। এ ছাড়াও যে লাশগুলো পরে পাওয়া যায় সেগুলোর বয়স অনেক দিন হয়ে যাওয়াতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশেষে ১৯৪৮ সালে মিয়োকি, তার স্বামী, ডঃ নাকাইয়ামা ও অন্য সহযোগীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে জন্ম নেয়া এবং খুন হওয়া ঐ নবজাতকরা ন্যায় বিচার পায়নি।

গ্রেফতার করে পুলিশ।
Source: http://unknownmisandry.blogspot.com

যখন বিচার কাজ শুরু হয়েছিল তখন মিয়োকি মোটেও বিচলিত বা অনুতপ্ত ছিলনা তার কৃত কর্মের জন্য।

তার মতে, “অপ্রত্যাশিত ভাবে জন্ম নেয়া ঐসব শিশু যাদেরকে তাদের বাবা মা ফেলে চলে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে তার জন্য সে কোনভাবে দায়ি না। এইসব নবজাতক তাদের বাবা মার দায়িত্ব, কিন্তু বেশিরভাগের বাবা মাই সন্তান জন্মের পর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যেতো। তার উপর কিছু কিছু মা আবার অবিবাহিত ছিল যাদের পক্ষে বাচ্চার ভরণপোষণ করা কোনভাবেই সম্ভব না। আর হাসপাতালেরও অফুরন্ত সম্পদ ছিলনা ঐ বাচ্চাদের লালন পালন করার, এমন কি কোন হৃদয়বান ব্যক্তিও এগিয়ে আসেনি তাদের দায়িত্ব নিতে। ঐ বাচ্চারা মারা গিয়েছে নিজেদের কপাল দোষে”।

বিচারের সময় তার পক্ষের যুক্তি ছিল যে একটি নবজাতকের নিরাপত্তা ও দেখাশুনার দায়িত্ব তার পরিবারের, যদি সেই বাবা মা ই তাদের সন্তান কে ত্যাগ করে থাকে এবং সে সন্তান মারা যায় তবে তার দোষ কোনভাবেই মিয়োকির উপর আসেনা বলে দাবি করে সে। তার এই যুক্তি অনেক মানুষের সমর্থন পেতে তাকে সহায়তা করে। লোকজন তার যুক্তির পক্ষে মত দিতে থাকে যার ফলে মিয়োকির এই ঘৃণ্য অপরাধের তুলনায় সে নামমাত্র শাস্তি পায়। বিচারে তার ৮ বছর, তার স্বামী আর ডঃ নাকাইয়ামার ৪ বছর করে জেল হয়। পরবর্তিতে সে ও তার স্বামী উচ্চ আদালতে আপিল করলে তার শাস্তি কমে মাত্র ৪ বছর আর তার স্বামীর মাত্র ২ বছরের জেল হয়। তারা যে জঘন্য অপরাধ করেছে সে তুলনায় তাদের কোন শাস্তিই হয়নি। তবে জাপানে এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ১৯৩০ সালে জাপানে একসাথে ৪১ জন ফস্টার শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠে ইতাবাশির অধিবাসিদের বিরুদ্ধে। ১৯৩৩ সালে আরও ২৫ জন ফস্টার শিশু হত্যা করার দায়ে গ্রেফতার হয় হাতশু কামাওয়াতা নামে এক ব্যক্তি। জাপান সরকার তখন সব জেনেও চুপ  ছিল।

তবে মিয়োকির ঘটনার পর জাপানে গর্ভপাত বৈধ করা হয় এবং সন্তান জন্মদানে বাবা মায়ের মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে এই মর্মে আইনও পাশ করা হয়।

মিয়োকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ
মিয়োকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ
Source: NY Daily News

মিয়োকির প্রথম জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে তার পুরো জীবনটাই রহস্যে ঘেরা ছিল।

প্রথমত, সে যে হাসপাতালের ধাত্রী ছিল অল্প কিছুদিনের তফাতে সেই হাসপাতালের পরিচালক সে কিভাবে হল তা জানা যায়নি।

দ্বিতীয়ত, সে যে সময়ে একজন বেশ সুন্দরী নারী হিসেবে বেড়ে উঠছিল তখন জাপানের অধিকাংশ মেয়েকেই দাসি হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হতো বা বড় সরকারি কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর উচু পর্যায়ের লোকদের বাইজি হওয়ার জন্য প্রশিক্ষন দেয়া হতো। কিন্তু মিয়োকি এই সবকিছুকে পিছনে ফেলে বেশ ভাল মতই টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় এবং স্নাতকও পাশ করে, কিন্তু কিভাবে সেটা জানা যায়নি কখনও।

তৃতীয়ত, তার দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান জন্ম দেয় নি সে। সে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম ছিল নাকি অন্য কোন কারণ রয়েছে সে ব্যাপারে অনেকের সন্দেহ আছে। কারণ মিয়োকি যেমন শিশু বিদ্বেষী তাতে তার নিজে সন্তান জন্ম দেয়া থেকে বিরত থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না। অনেকের তো দাবি এই যে যেহেতু সে নিজে একজন ধাত্রী ছিল তাই সে খুব ভাল করেই জানতো কি করে সন্তান ধারন রোধ করা যায় বা গর্ভপাত করা যায়।

চতুর্থত, মিয়োকি কিভাবে মারা গিয়েছিল, কবে মারা গিয়েছিল তা আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। এমন কি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে একদম নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল যেন মিয়োকি নামে কেউ কখনো ছিলই না। এরপর আর কেউ কখনও তার চেহারা দেখেনি।

যাই হোক, যত অজানা রহস্যই এই কুখ্যাত খুনিকে ঘিরে থাকুক না কেন এমন ভয়ানক আর জঘন্য মানসিকতার মানুষ নামী পিশাচ যেন আর কোথাও জন্ম না নেয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

রেফারেন্সঃ

https://en.wikipedia.org/wiki/Miyuki_Ishikawa

http://www.absolutecrime.com/miyuki-ishikawa.html#.WlSa0LCTPIU

Leave A Reply
2 Comments
  1. Gfdtnf says

    buy semaglutide tablets – cost semaglutide buy desmopressin sale

  2. Tinwul says

    order prandin pills – buy empagliflozin online cheap buy empagliflozin online

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More