বিশ্বসেরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ধ্বংসাত্মক ১০টি যুদ্ধজাহাজ

0

মানুষের স্বভাবজাত একটি বৈশিষ্ট্য হলো পুরাতনকে ভেঙ্গে আরো আধুনিক, আয়তন ও শক্তির দিক দিয়ে আগের চেয়ে বেশী উন্নততর করে নতুন আঙ্গিকে সৃষ্টি করার প্রবল ইচ্ছেশক্তি। এই নিমিত্তে প্রতিনিয়ত চলছে ভেঙ্গে গড়ার প্রতিযোগিতা। সামরিক বিশ্বে প্রতিটি জাতির কাছে একের চেয়ে অধিকতর উন্নত যুদ্ধ সরঞ্জাম নির্মাণের প্রতিযোগিতা প্রবল। উদাহরণস্বরূপ এর নমুনা দেখা যায় বিশ্বের নৌ সামরিক খাতে। যে দেশ নৌ খাতে যতো উন্নত সে জাতি ততো বেশি শক্তিশালী। তাছাড়া এটি একটি দেশের অন্য দেশের উপর প্রভাব বিস্তারের স্বরূপ হিসেবেও আখ্যায়িত হয়ে থাকে। চালিকাশক্তি, পরমাণু শক্তি এবং মহাকাশ প্রযুক্তির মধ্য দিয়েও বর্তমানে নৌ খাত শক্তি পাল্লা দিয়ে আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী হচ্ছে। তথা বলাই চলে, একটি দেশের নৌ বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নিজের দেশের শক্তি সারাবিশ্বে প্রদর্শন করার এবং অন্য দেশের পানিপথ দখলের অথবা অন্য রাষ্ট্রকে কূটনৈতিক বার্তা প্রদানের ক্ষেত্রে।

আর্টিকেলে উল্লেখিত যুদ্ধজাহাজগুলো হয়তো দেশীয় প্রযুক্তি অথবা বাহির হতে আমদানি করা প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মিত। এগুলোর সেরা দশের তালিকায় থাকার ব্যাপারে সর্বমোট কার্যক্ষমতা, বহু কার্য সম্পাদনের ক্ষমতা, যুদ্ধ বিমান অবতরণের সুবিধার ভিত্তিতে করা হয়েছে। তবে জেনে নেয়া যাক বিশ্বের সেরা দশটি যুদ্ধজাহাজ সম্পর্কে।

১. কিং সেজং দ্যা গ্রেট ক্লাস (দক্ষিণ কোরিয়া) – King Sejong the Great Class (South Korea)

দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর যুদ্ধ জাহাজের নির্মাতা দেশ এবং গর্বিত মালিক। তাদের থাকা বৃহৎ জাহাজ নির্মাণের কারখানা যা আমেরিকা এবং ইউরোপকেও ছাড়িয়ে যায়। ১১ হাজার টন ভার বহন ক্ষমতা সম্পন্ন বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ এই যুদ্ধজাহাজ টি তৈরি হয়েছিলো মাত্র দুই বছরের মতো সংক্ষিপ্ত সময়ে। ৯২৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে জাহাজটি নির্মাণ করে হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রি এবং ডাওয়ে শিপবিল্ডিং ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।

কিং সেজং দ্যা গ্রেট ক্লাস
Source: WT Live – War Thunder

একটি মাত্র বাক্যই যথেষ্ট এর কার্যক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা দিতে আর তা হলো, এই শ্রেণীর একটি যুদ্ধ জাহাজ পুরো উত্তর কোরিয়ার ভূগর্ভের উপরিস্থ এবং নিচস্থ নৌবহর সম্পূর্ণরূপে চোখের নিমিষেই ধ্বংস করতে সক্ষম। এটির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা বহির্দেশের আকাশযান এবং ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করতে সক্ষম। বহু কার্যক্ষমতার অধিকারী এই যুদ্ধজাহাজ টি COGAG প্রযুক্তি দ্বারা ৪ গুণ শক্তিসম্পন্ন GE LM2500 প্রযুক্তি 75 MW শক্তি সঞ্চার করে। সেন্সর হিসেবে এতে রয়েছে SPY-1D যা প্যাসিভ ইলেক্ট্রনিক্যালি স্ক্যানিং এর‍্যে (PESA) রাডার যার চারটি কপাট রয়েছে। প্রায় ৩৫০ কিঃমিঃ অবধি এই রাডার দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র সন্ধানে সক্ষম। তাছাড়া SPY-1D (V) ট্রান্সমিটার এবং MK-99 এর মতো অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদিতে সজ্জিত। মিসাইল ক্ষেপণের জন্য রয়েছে MK-41 উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা যা বহুদিক হতে আসা আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম। এর সবধরনের প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয় যা নিজেই কো সাহায্য ছাড়াই লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা এবং নিশানা তাক করতে পারে। ৩০ নট গতিসম্পন্ন এই যুদ্ধজাহাজ টি প্রায় ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং তাতে ৩০০ নাবিক বহনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এই জাহাজটিতে দুইটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধা রয়েছে।

এতে রয়েছে:

  • রণসরঞ্জাম হিসেবে ১x১২৭ মি.মি. Mk45 গান, ১x৩০ মি.মি. গোলকিপার সি.আই.ডব্লিউ.এস অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ২১ টি ১xRAM (রোলিং এয়ারফ্রেম মিসাইল), ১৫০ কিঃমিঃ সীমার 80 cell Mk41 পদ্ধতি, 16 x SSM 700K এন্টি-শিপ মিসাইল, 32 Hyunmoo III ভূমি আক্রমণে সক্ষম ক্রুজ মিসাইল-সহ 48 cell K-VLS cells এবং ১৬টি রেডশার্ক এন্টি সাবমেরিন ধ্বংসে সক্ষম মিসাইল সম্পন্ন।

২. আর্লেহ বোর্কে ক্লাস (ইউ.এস.এ) – Arleigh Burke Class (USA) 

১.৮৪৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ১৯৮০০ kW শক্তি উৎপন্ন করা 4 x LM2500 গ্যাস টার্বাইনযুক্ত ১৫৪ মিটার দৈর্ঘ্যের আর্লেহ বোর্কে ক্লাস যুদ্ধজাহাজ টির মালিক আমেরিকা। ১৯৮৮ সালে ইনগালস শিপবিল্ডিং ও বাথ আয়রন ওয়ার্ক্স কোম্পানি দ্বারা নির্মিত এতে ২৭৬ জন ক্রোসহ প্রায় ৯৮০০ টন ভার বহনের ক্ষমতা এবং গতিবেগ ৩০ নট। এটির আদলেই কিং সেজং দ্যা গ্রেট ক্লাস নির্মিত এবং রণসরঞ্জামও প্রায় একই। সাথে দুইটি হেলিকপ্টার অবতরণ সম্ভব।

আর্লেহ বোর্কে ক্লাস (ইউ.এস.এ)
Source: YouTube

এতে রয়েছে:

  • 96xcell Mk 41 VLS যার মধ্যে বেশ ধ্বংসাত্মক মিসাইলও যুক্ত রয়েছে।
  • 8x হারপোন এন্টি শিপ মিসাইল।
  • 1 x 127 mm Mk45 মেইন গান।
  • রয়েছে 2×25 mm বুশ মাস্টার কামান যা হঠাৎ আক্রমণ নিধনে বেশ কার্যকরী।
  • 2x ট্রিপল টার্পেডো টিউবস।

৩. এটাগো ক্লাস (জাপান) – Atago Class (Japan)

জাপানিজ যুদ্ধজাহাজ টি আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ হতে আয়তনে বেশ বড়। ৭৫০০০ kW শক্তি উৎপন্ন করা 4 x LM2500 গ্যাস টার্বাইনযুক্ত এই জাহাজটি অটোমেটেড সেন্সরড রাডারসম্পন্ন। ১৪০ বিলিয়ন ইয়ান ব্যয়ে নির্মিত এই জাহাজটি দৈর্ঘ্যে ১৬৫ মিটার যা ৩০০ নাবিকসহ ১০ হাজার টন ভার বহনের ক্ষমতা সম্পন্ন। জাহাজটিতে একটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধা রয়েছে।

এটাগো ক্লাস (জাপান)
এটাগো ক্লাস (জাপান)
Source: Pinterest

এতে রয়েছে:

  • 96 x cell Mk41 VLS যার মধ্যে রয়েছে SM-2, ESSM, SM-3, ASROC (এন্টি সাবমেরিন মিসাইল) নামের মিসাইলসমূহ।
  • 8 x টাইপ ৯০ টি এন্টি শিপ মিসাইল।
  • 1 x 127 mm Mk45 মেইন গান।
  • 2 x Phalanx 20 mm CIWS প্রযুক্তি।
  • 2 x টাইপ 68 ট্রিপল টার্পেডো টিউবস।

৪. টাইপ – ৫২ ডি / কানমিং ক্লাস (চায়না) – Type – 52D/ Kunming Class (China)

১৫৭ মিটার দৈর্ঘ্যের যুদ্ধজাহাজ টি ২৮০ জন ক্রু সমেত ৭৫০০ টন ভার বহনে সক্ষম আর একটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধাসমেত জাহাজটি ছুটে চলে প্রায় ৩১ নট গতিতে। 28 MW গতিসঞ্চার করা জাহাজটির ইঞ্জিন CODOG (Combined Diesel or Gas) প্রযুক্তি দ্বারা নির্মিত। এতে যুক্ত হয়েছে অটোমেটেড সেন্সরড রাডার।

টাইপ – ৫২ ডি / কানমিং ক্লাস (চায়না)
টাইপ – ৫২ ডি / কানমিং ক্লাস (চায়না)
Source: Pinterest

এতে রয়েছে:

  • 1 x 130 mm মেইন গান।
  • 2 x 30 mm গানস।
  • 1 x Type 1130 11 – ব্যারেলড 20 mm CIWS.
  • ২৪ টি 1 x FL3000N শর্ট রেঞ্জ SAM লঞ্চার।
  • 2 x ট্রিপল লাইটওয়েট টার্পেডো টিউবস।
  • 64 cell ইউনিভার্সাল ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম

৫. হোবার্ট ক্লাস (অস্ট্রেলিয়া) – Hobart Class (Australia)

এতে রয়েছে CODOG পরিচালিত 2 x GE LM 2500 গ্যাস টার্বাইনস যা প্রত্যেকে 17.5 MW শক্তি সঞ্চার করে এবং সাথে রয়েছে ২ টি ক্যাটারপিলার ব্র্যাভো ডিজেল ইঞ্জিন যা প্রত্যেকে 5.7 MW শক্তি সঞ্চার করে। ইন্টিগ্রেটেড সোলার সিস্টেম এবং SPY-1D রাডার সম্বলিত জাহাজটি সম্পূর্ণ অটোমেটেড। ৯.১ বিলিয়ন ডলারে নির্মিত তিনটি জাহাজ প্রত্যেকটি ২৩৪ জন ক্রুসহ মোট ৭০০০ টন ভার বহনে সক্ষম এবং প্রায় ৩০ নট গতিতে ছুটে চলে এবং একটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধাসম্পন্ন।

হোবার্ট ক্লাস (অস্ট্রেলিয়া)
হোবার্ট ক্লাস (অস্ট্রেলিয়া)
Source: USNI News – US Naval Institute

এতে রয়েছে:

48 x cell Mk 41 VLS, 8 x হারপোন এন্টি শিপ মিসাইলসহ অত্যাধুনিক রণসরঞ্জাম।

৬.  কলকাতা ক্লাস (ইন্ডিয়া) – Kolkata Class (India)

১৬০ মিটার দৈর্ঘ্যে CGAG পদ্ধতিতে 4 x Zorya Mashproekt DT-59 reversible গ্যাস টার্বাইনস সমৃদ্ধ জাহাজটি ৩৫০ জন ক্রুসহ প্রায় ১৮ নট গতিতে ৭৫০০ টন ভার বহনে সক্ষম। অপট্রোনিক সেন্সর, LW08, MF-Star সেন্সর এতে যুক্ত রয়েছে। এতে রয়েছে একসঙ্গে দুইটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুযোগ।

 কলকাতা ক্লাস (ইন্ডিয়া)
কলকাতা ক্লাস (ইন্ডিয়া)
Source: Pakistan Defence

এতে রয়েছে:

2 x 8 cell ইউনিভার্সাল ভার্টিকেল লঞ্চিং সিস্টেম, 4 x 8 cell VLS, 1 x 76 mm Oto melara super rapid gun mount, 2 x RBU – 6000 রকেট লঞ্চার।

৭. হরিজোন/অরিজন্টে ক্লাস (ফ্রান্স/ইতালি) – Horizon/Orizzonte Class (France/Italy)

COGAG পদ্ধতিতে এতে 2 x LM2500 গ্যাস টার্বাইন যুক্ত রয়েছে যা প্রত্যেকে 20.5 MW শক্তি সঞ্চার করে 2 x Pielstick diesel ইঞ্জিন প্রত্যেকে 4.7 MW শক্তি সঞ্চার করে। এতে রয়েছে 1 x EMPAR সিঙ্গেল ফেইসড প্যাসিভ ইলেক্ট্রোনিকাল স্ক্যানিং রাডার। ১.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজ ২৩৬ জন ক্রুসহ সর্বমোট ৭০০০ টন ভার বহনে সক্ষম। একটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধা রয়েছে।

হরিজোন/অরিজন্টে ক্লাস (ফ্রান্স/ইতালি)
হরিজোন/অরিজন্টে ক্লাস (ফ্রান্স/ইতালি)
Source: Wikipedia

এতে রয়েছে:

  • 48 x cell vertical launce system যাতে সংযুক্ত রয়েছে 48 Aster-12 এবং Aster-30 মিসাইল।
  • এন্টি শিপ মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য রয়েছে 8 x Inclined tube launchers.
  • 2 x OTO Melara 76 mm সুপার র‍্যাপিড গানস।

৮. টাইপ– ৪৫ ডেয়ারিং ক্লাস (ব্রিটেন) – Type – 45 Daring Class (Britain)

ব্রিটেনের এই দানবের শক্তি সঞ্চারের জন্য যুক্ত হয়েছে Type – 45s যাতে রয়েছে IEP এর মতো উন্নত প্রযুক্তি। ডিজেল ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে ইঞ্জিন সক্রিয় রাখে। ১৮ নট গতিতে ১৯১ জন ক্রুসহ এই জাহাজ ৮০০০ টন ভার বহনে সক্ষম এবং এতে একটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুযোগ রয়েছে।

টাইপ– ৪৫ ডেয়ারিং ক্লাস (ব্রিটেন)
টাইপ– ৪৫ ডেয়ারিং ক্লাস (ব্রিটেন)
Source: Pinterest

এতে রয়েছে:

  • মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য 48 x cell vertical লঞ্চ সিস্টেম যুক্ত রয়েছে।
  • হারপোন এন্টি শিপ মিসাইলের জন্য রয়েছে 8 x inclined tube লঞ্চার।
  • 1 x BAE Mk8 114 mm গান এবং 2 x 30 mm বুশ মাস্টার ক্যাননস।

৯. টাইপ-৫২ সি/ লুয়াং II ক্লাস (চায়না) – Type -52c/ Luyang II Class (China)

চায়নার এই দৈত্যের সাথে সংযুক্ত হয়েছে ইলেক্ট্রোনিক্যালি স্ক্যানিং রাডারস, লং রেঞ্জ SAM সিস্টেম এবং সাথে ভুস্থলে আঘাত হানার সক্ষমতা। CODOG প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজেল ইঞ্জিন এবং গ্যাস টার্বাইনের সহায়তায় গতিতে এনেছে অন্যমাত্রা। এতে রয়েছে Type 346 ডুয়েল ব্যান্ড এক্টিভ ইলেক্ট্রোনিক্যালি স্ক্যানিং এর‍্যে রাডার। ১৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজ ৩২ নট গতিতে ২৮০ জন ক্রুসমেত ৭০০০ টন ভার বহনে সক্ষম এবং একটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধাসম্পন্ন।

টাইপ-৫২ সি/ লুয়াং II ক্লাস (চায়না)
টাইপ-৫২ সি/ লুয়াং II ক্লাস (চায়না)
Source: Pinterest

এতে রয়েছে:

  • 1 x 100 mm Type 210 মেইন গান যার রেঞ্জ ১৫-২০ কিলোমিটার।
  • সাথে রয়েছে HQ-9 লং রেঞ্জ SAM সিস্টেমের জন্য 48 x ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম সেলস। এছাড়া 16 x স্লান্ট লঞ্চার রয়েছে YJ-62 এন্টি শিপ মিসাইলের জন্য।

১০. আকিজুকি ক্লাস (জাপান) – Akizuki Class (Japan) 

OPS-50 dual band মাল্টিমোড রাডার এবং C-Band AESA রাডার যুক্ত জাপানী এই বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ COGAG প্রযুক্তি ব্যবহার কর 4 Rolls Royce Spey SM1C গ্যাস টার্বাইনস দ্বারা 78MW শক্তি সঞ্চার করে। ৩০ নট গতিতে ২০০ জন ক্রুসহ এই জাহাজটি ৬৮০০ টন ভার বহনে সক্ষম। সাথে রয়েছে দুইটি হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধা।

আকিজুকি ক্লাস (জাপান)
আকিজুকি ক্লাস (জাপান)
Source: Pinterest

এতে রয়েছে:

  • ESSM, RUM-139 ASROC এবং Type 7 VL ASROC মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য 32 cell Mk41 ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম।
  • 2 x 20 mm Phalanx Block 1B Close-In ওয়েপন সিস্টেম এবং 1x 127 mm Mk45 মেইন গান।

গড়াভাঙ্গার এই বিশ্বে সামনে আরো নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন যুদ্ধ জাহাজ হয়তো আসবে তবে প্রতিবারই বিস্ময় নিয়ে দেখেই যাবো অবাক বিশ্বের সৃষ্টিগুলোকে যা নিমিষেই শত্রু নিধন করতে পারে আবার মুহূর্তেই হয়ে যেতে পারে শত্রু।

Source Featured Image
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More