১৯৭৪ সালের মিউনিখ অলিম্পিক এর আসর অন্যান্য অলিম্পিক আসর গুলোর মতই আনন্দের একটি উপলক্ষ হওয়ার কথা ছিল। পুরো মিউনিখ শহর একটি শান্তির উৎসব পালন করার অপেক্ষায় ছিল। প্রায় পৌনে এক শতাব্দী ধরে চলা নাৎসি বাহিনীর বিধ্বংসী যুদ্ধের পর জার্মানি বহির্বিশ্বের কাছে নিজেকে একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার প্রয়াস থেকেই এই অলিম্পিক গেমসের আয়োজন করেছিল।
গেমস শুরু হওয়ার পর ১০ দিন পর্যন্ত বেশ ভালই চলছিল সব কিন্তু বিপত্তি ঘটলো ১৯৭২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ভোর ৪.৩৫ মিনিটে ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ এর ৮ জন সদস্য অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ইজরায়েলি এথলেটদের বাসস্থান আক্রমণ করে এবং তাদেরকে জিম্মি করে। জিম্মির বদলে তারা ২৩২ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দিতে বলে এবং তার সাথে কয়েকজন বামপন্থি জঙ্গি যেমন: আন্দ্রেয়াস বেডার, জার্মানির মাইনহফ ও জাপানের কোজো ওকামোতো, যারা ইজরায়েলের কাছে বন্দি ছিল।
জার্মান মধ্যস্থতাকারীরা অনেকটা রাজি হয়ে গিয়েছিল ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরের দাবি মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে, কিন্তু ইজরাইল সরকার কোনভাবে রাজি হয়নি জিম্মির বদলে জেল বন্দি ছেড়ে দিতে। তৎকালীন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে এইভাবে সন্ত্রাসীদের কথায় বন্দি ছেড়ে দিলে ইজরাইলের নাগরিকরা পৃথিবীর কোথাও নিজেদেরকে নিরাপদ মনে করবেনা। যার ফলস্বরূপ দিন শেষে খুবই দুর্বল একটি উদ্ধার অভিযানের ফলাফল হয় ১১ জন ইজরায়েলি অলিম্পিক এথলেট, ৫ জন ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর ও একজন জার্মান পুলিশের মৃত্যু।
মিউনিখ পুলিশের তৎকালীন প্রধান ম্যানফ্রেড শাইবা স্বীকার করেছিলেন যে তখন তাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত ছিলনা। তিনি বলেন “আমাদের কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় দৈনন্দিন ঘটে এমন ছোটখাটো অপরাধ সামাল দেয়ার জন্য, নিরস্ত্র হয়ে লোকজনের কাছে গিয়ে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য, আধা সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য নয়”।
কিন্তু শাইবার এই দাবি পুরোপুরি সত্য না বলে অনেকের দাবি কেননা পুলিশ চাইলেই এই হামলার আগেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারতো বলে তাদের দাবি। বার্লিনের ইতিহাসবেত্তা মাত্থিয়াস ডালকে বলেন যে ১৯৭০ সালের দিকে এইরকম সন্ত্রাসী হামলা খুব সাধারণ একটা ঘটনা হয়ে পড়েছিল, তখন নিয়মিত বিমান হাইজ্যাক করার মত ঘটনা ঘটতো। এছাড়া বাড়তি পাওনা হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বিদ্রোহী বাহিনী আইআরএ, ফ্রান্স ও স্পেনে ইটিএ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ তো ছিলই। মিউনিখ অলিম্পিকের আসর শুরু হওয়ার আগেই মিউনিখ পুলিশের মনস্তত্ববিদ জর্জ সিবার ২৬ টি সম্ভাব্য সন্ত্রাসী আক্রমণের কথা বলেছিলেন যার মধ্যে ২১ নাম্বার টি এই জঙ্গি হামলার সাথে অনেক বেশি মিলে যায়। এক সাক্ষাৎকারে সিবার বলেন শুধু তিনিই না বরং আরও অন্যান্য এজেন্সি যেমন: আমেরিকা ও চীনের গোয়েন্দা সংস্থা গুলিও এমন কিছু হতে পারে বলে আগেই মিউনিখ পুলিশকে সতর্ক করেছিল।
মিউনিখ ম্যাসাকারের এতদিন পর এসেও সিবার শাইবারকে সবচেয়ে বেশি দোষারোপ করেন ঐ ঘটনার জন্য কারণ শাইবার ঐ অলিম্পিক আয়োজনের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। সিবারের মতে শাইবার কে যখন হামলার ব্যাপারে সতর্ক করা হয় তখন তার উক্তি নাকি এমন ছিল “আমরা প্রতিদিন ঝুড়ি ঝুড়ি হুমকি পাই এমন হামলার। এখন সব হুমকিকে যদি গুরুত্ব সহকারে দেখা শুরু করি তবে এই অলিম্পিকের আয়োজন করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কমপক্ষে আরও ২০ বছর”।
এছাড়া গেমস শুরুর আগে সিবার এটাও সুপারিশ করেছিলেন যেন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী এথলেটদের জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে একসাথে থাকতে দেয়া না হয় বরং একই গেমসে অংশ নিবে এমন এথলেটদের দেশ, জাত নির্বিশেষে একসাথে রাখা হয়। কিন্তু তাঁর সে সুপারিশ টাও মানা হয় নি। কে জানে হয়তো তাঁর কথাটা আমলে নিলে এত সহজে হয়তো ইজরায়েলি এথলেটদেরকে জিম্মি করতে পারতোনা সন্ত্রাসীরা।
অলিম্পিক জ্বরে আক্রান্ত মিউনিখ শহর হঠাৎ করেই এমন একটি আন্তর্জাতিক বিপর্যয়ের ধাক্কাটা ঠিক সামলাতে পারছিল না। বিভ্রান্তিকর তথ্য ছিল অনেক বড় একটি সমস্যা তখন। এই ঝামেলা মোকাবেলা করতে অনেক গুলো দল জড়িয়ে পড়েছিল। তাই একেক দল একেক রকম তথ্য জানতো। যার ফলস্বরূপ অনেক পুলিশ স্নাইপার সেখানে অবস্থান করা সত্বেও কিছু করতে পারছিলনা কারণ তারা জানতোই না যে সেখানে কতজন সন্ত্রাসী বর্তমান ছিল। ডালকে বলেন “ঐখানে একটি রাজনৈতিক দল, একটি পুলিশ বাহিনী ও অনেক গুলো বিশেষ বাহিনী একসাথে বসেছিল সমস্যা সমাধান করার জন্য কিন্তু তাদের কাছে কোন পরিকল্পনা ছিলনা”।
অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার পিছনে অনেক বড় একটি কারণ ছিল যে জার্মানির অঙ্গরাজ্যগুলো নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল তখন যা রাজ্য ও ফেডারেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে কারা উদ্ধার তৎপরতা চালাবে সে ব্যাপার নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিল। তার উপর সন্ত্রাসীরা মিডিয়ার বদৌলতে বাইরের পরিস্থিতি সম্পর্কে সব খবরাখবর পেয়ে যাচ্ছিল কারণ কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত বিল্ডিঙের বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করতে ভুলে গিয়েছিল আর সাংবাদিকদের ঐ এলাকা থেকে বের করতে ব্যর্থ ছিল। এর ফলে সন্ত্রাসীরা বিল্ডিং এর বাইরে ও আশপাশে স্নাইপারদের অবস্থান জানতে পেরে যায় এবং তার ফলে একটি উদ্ধার অভিযান বাতিল করতে হয়।
একটা সময় এসে মনে হচ্ছিল হয়তো কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসীদের সহ জিম্মিদেরকে কায়রো পর্যন্ত পৌঁছে দিতে রাজি হয়েছে। সন্ত্রাসী ও জিম্মিদের বহনকারী হেলিকপ্টার ২ টি আক্রমণ স্থল থেকে ১৫ মাইল পশ্চিমে ফুস্টেনফ্রেডবুক বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যায় যেখানে পুলিশ আগে থেকেই ঘাপটি মেরে ছিল। যদিও জার্মান সেনাবাহিনীর অনেক উন্নত প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রপাতি ছিল কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী পশ্চিম জার্মানির সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনী অসামরিক পুলিশ বাহিনীকে কোন সাহায্য করতে পারতোনা। যে সকল পুলিশ স্নাইপারদের ঐখানে স্থাপন করা হয়েছিল তাদেরকে গুলি চালানোর কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। একে তো তারা সংখ্যায়ও অনেক কম ছিল তার উপর তাদেরকে ঠিক যায়গায় রাখা হয়নি, এমন কি একে অন্যের সাথে বা কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রেডিও ছিলনা তাদের হাতে। আর তাদের কাছে যে বন্দুক ছিল সেগুলো ছিল সাধারণ বন্দুক, কোন স্নাইপার বন্দুক ছিল না যেটা দিয়ে অনেক দূর থেকে গুলি করা যেতো বা রাতের বেলা সব স্পষ্ট দেখা যেতো।
বিমান ঘাঁটিতে যে বিমান টি জিম্মি দের নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল তাতে ১৭ জন পুলিশ সদস্য কে বিমানের ক্রু এর ছদ্মবেশে রাখা হয় এবং বলা হয় যখন সন্ত্রাসীরা সবাই বিমানে উঠবে তখন যেন তাদের উপর হামলা করে। কিন্তু সর্বসম্মতিক্রমে পুলিশ সদস্যরা সেই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ান।
রাত ১০.৩০ এ যখন হেলিকপ্টার গুলো ঘাঁটিতে পৌছায় তখন ২ জন সন্ত্রাসী নেমে তাদের জন্য অপেক্ষারত বিমানটি পরীক্ষা করতে যায় এবং সেটা একদম খালি দেখে পুলিশের ছল বুঝতে পেরে যায় এবং তাদের দলের নেতাকে জানায়। ঐ মুহূর্তে পশ্চিম জার্মান পুলিশ তাদের উপর গুলি চালানো শুরু করে। প্রায় ২ ঘণ্টা চলে এই গুলিবর্ষণ। এতে করে অধিকাংশ সন্ত্রাসী, একজন পুলিশ ও কিছু এথলেট গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
ইসরায়েলিদের উদ্ধার করার জন্য যে অস্ত্রসজ্জিত গাড়ি গুলো আসার কথা সেগুলো ঠিক সময়ে যাত্রা শুরু না করার দরুন যানজটে আটকে যায় এবং আসতে অনেক দেরী করে ফেলে। যখন ঐ গাড়ি এসে পৌছায় তখন একজন সন্ত্রাসী জিম্মিরা যে হেলিকপ্টারে ছিল সেটিকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে মারে যা একই সাথে হেলিকপ্টার আর জিম্মিদের ভস্মীভূত করে দেয়।
এই হামলায় ৩ জন সন্ত্রাসী বেচে যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল ৩ সপ্তাহ পরে তারা মুক্তি পায়। কারণ জার্মান লুফটহান্সা বিমান হাইজ্যাক হয় এবং তা ছাড়ানোর জন্য এই ৩ জন কে মুক্তি দেয়া হয়।
একে তো অলিম্পিকে এসে ইসরায়েলের এত গুলো এথলেট নির্মম ভাগ্যের শিকার হয় তার উপর মাত্র ৩ সপ্তাহ পরই এর সাথে জড়িত অপরাধীরা মুক্তি পায় এইসব বিষয় ইসরায়েলের লোকজনদের চরম ভাবে ক্ষুব্ধ করে তুলে। তাছাড়া তৎকালীন জার্মান সরকারের মুখপাত্র এত বড় একটা ব্যর্থ উদ্ধার অভিযান ও এতগুলো ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যুর পর ও মিডিয়ার কাছে যখন দাবি করে যে উদ্ধার অভিযান সফল হয়েছে তখন সেটা ছিল ইসরায়েলিদের কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার সমান।
ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠনের এই হামলার পর চুপ থাকেনি ইজরায়েল। মিউনিখ হামলার ২ দিন পরই সিরিয়া ও লেবাননে ‘ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ এর ১০ টি ঘাঁটি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয় ইজরাইল। ইজরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডে মেয়ির তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে দায়ান, মোসাদ বাহিনীর পরিচালক যামির সহ আরও কয়েকজন কে নিয়ে একটি কমিটি গড়ে তুলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মিউনিখ ম্যাসাকারে যারা জড়িত ছিল বা সহায়তা করেছে তাদের কে নাটকীয় ভাবে হত্যা করা যেন ভবিষ্যতে কেউ ইজরাইলের উপর হামলা করার আগে কয়েকবার ভেবে নেয়। এই কমিটির প্রথম কাজ ছিল যারা মিউনিখ ম্যাসাকারে জড়িত ছিল তাদের গুপ্তহত্যার জন্য একটি তালিকা তৈরি করা। এই তালিকা তারা সহজেই তৈরি করতে পেরেছিল কারণ ‘ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ এ এমন লোক ছিল যারা মূলত মোসাদের হয়ে কাজ করতো, আর তাছাড়া বিভিন্ন ইউরোপীয় মিত্র গোয়েন্দা সংস্থা তো ছিলই সাহায্য করার জন্য। ঐ তালিকায় ঠিক কতজনের নাম ছিল তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি কখনো। তবে আনুমানিক ২০-৩৫ জনের নাম ছিল তাতে। তালিকা তৈরি হয়ে যাওয়ার পর মোসাদ বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয় ঐ তালিকার লোকদের অবস্থান নিশ্চিত করে হত্যা করার জন্য, জন্ম হয় ‘Operation Wrath of God’ এর।
এই গুপ্তহত্যার অপারেশন এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল যে কোনভাবেই হত্যা গুলোকে সরাসরি মোসাদ কিংবা ইজরাইলের সাথে কেউ যুক্ত করতে পারবেনা। এই অপারেশন করা হয়েছিল মূলত ফিলিস্তিনের লোকদের মনে ভয় ঢুকানোর জন্য। এমন কি মোসাদের প্রাক্তন প্রধান ডেভিড কিমচি বলেন “আমাদের উদ্দেশ্য কোন কিছুর প্রতিশোধ নেয়া ছিলনা, বরং আমরা তাদের (ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী) ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম। যেন তারা কোন কিছু করার আগে হাজারবার ভেবে দেখে। আর সেজন্যই আমরা দিনে দুপুরে রাস্তা ঘাটে মানুষকে গুলি করে বেড়ায় নি”।
এই অপারেশনের প্রথম গুপ্তহত্যা টি সংঘটিত হয় ১৯৭২ সালের ১৬ অক্টোবর যখন ফিলিস্তিনের ওয়ায়িল রোমে রাতের খাবার খেয়ে ফেরার সময় তার জন্য অপেক্ষারত মোসাদ সদস্যরা তাকে গুলি করে ১২ বার আর তারপর আলাদা হয়ে সেফ হাউজে চলে যায়। ঐ সময় ওয়ায়িল ‘ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ এর কর্মী ছিল।
মোসাদের দ্বিতীয় শিকার ছিল মাহমুদ হামশারি, যে ঐ সময় ফ্রান্সে ‘ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ এর হয়ে কাজ করছিল। একজন মোসাদ সদস্য তাকে সাংবাদিকের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তাঁর হোটেল কক্ষ থেকে বাইরে নিয়ে যায় এবং সেই সুযোগে অন্য মোসাদ সদস্যরা হামশারির কক্ষের টেলিফোন এর টেবিলের নিচে বোমা লাগিয়ে আসে। তারপর হামশারি কক্ষে ফিরলে আরেকজন মোসাদ সদস্য তাকে টেলিফোনে ফোন করে জিজ্ঞেস করে সে হামশারি কিনা। হামশারির হ্যাঁ বাচক উত্তর শুনে ঐ মোসাদ সদস্য তার সঙ্গীকে ইশারা করে এবং ঐ সঙ্গীটি বোমা বিস্ফোরণের সিগনাল প্রদান করে এবং বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে হামশারি গুরুতর আহত হলেও তৎক্ষণাৎ মারা যায়নি তাই সে পুলিশকে সব বলে যেতে পেরেছিল। কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।
১৯৭৩ সালের ৬ এপ্রিল বাসিল আই কুবাইশি আর ২৮ জুন বাউদিয়া, ১৯৭৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর আলি সালেম ও ইব্রাহিম আব্দুল আজিজ, ১৯৮২ সালের ১৭ জুন নাজায়ি মেয়ার ও ২৩ জুলাই ফাদি ড্যানি, ১৯৮৬ সালের ১০ জুন খালেদ আহমেদ নজরুল ও ২১ অক্টোবর মুনযার আবু গাজাল এবং ১৯৮৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আবু হাসান কাশেম ও হামদি আদওয়ান সহ আরও অনেক ফিলিস্তিনি নেতা ও ‘ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ এর সদস্য, ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরের সদস্য ও আনুমানিক প্রধানদের হত্যা করে মোসাদ নানান রকম নাটকীয় কায়দায়।
শুধু এই গুপ্তহত্যাই না, ইজরাইলের উপর ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন যেন আর হামলা করার সুযোগ না পায় সে জন্য আরও অনেক রকম ব্যবস্থা নেয় মোসাদ যেমন: ‘Letter bomb’ এর প্রচলন করে মোসাদ। অবশ্য এরপর ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর ও থেমে থাকেনি। তারাও এই ‘letter bomb’ পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং একজন ইজরায়েলি কর্মকর্তাকে হত্যা করতেও সক্ষম হয়।
১৯৭২ সালের মিউনিখ ম্যাসাকার দিয়ে শুরু এই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ আজও চলছে ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর আর মোসাদের মধ্যে। এবং তাদের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব কমেনি একটুও বরং বেড়েই চলেছে সময়ের সাথে।
রেফারেন্সঃ
https://en.wikipedia.org/wiki/Operation_Wrath_of_God
https://www.britannica.com/event/Munich-Massacre
http://100photos.time.com/photos/kurt-strumpf-munich-massacre
মিউনিখ ম্যাসাকার: ইতিহাসের ভয়ংকর হামলা ও মোসাদের’ দুনিয়া কাঁপানো এক প্রতিশোধের গল্প! – ইতিবৃত্ত
https://www.idrottsexperten.se/2022/12/04/basta-fotbollskorna-2023/
মিউনিখ ম্যাসাকার: ইতিহাসের ভয়ংকর হামলা ও মোসাদের’ দুনিয়া কাঁপানো এক প্রতিশোধের গল্প! – ইতিবৃত্ত
https://www.mariafernandezfernandez.es/2020/04/11/mis-rituales/
http://mexicoph24.life/# buying prescription drugs in mexico online
http://indiaph24.store/# world pharmacy india
https://mexicoph24.life/# mexico drug stores pharmacies
mexico pharmacy Mexican Pharmacy Online mexico pharmacy
indianpharmacy com: Cheapest online pharmacy – india pharmacy mail order
https://mexicoph24.life/# purple pharmacy mexico price list
http://mexicoph24.life/# mexican online pharmacies prescription drugs
mexican pharmacy mexico pharmacy buying prescription drugs in mexico
http://indiaph24.store/# buy prescription drugs from india
reputable indian online pharmacy Cheapest online pharmacy mail order pharmacy india
https://canadaph24.pro/# buy drugs from canada
https://canadaph24.pro/# canadian valley pharmacy
reputable indian pharmacies buy medicines from India top 10 online pharmacy in india
india pharmacy mail order: indian pharmacy fast delivery – п»їlegitimate online pharmacies india
https://indiaph24.store/# indian pharmacy
online shopping pharmacy india Generic Medicine India to USA india pharmacy mail order
http://indiaph24.store/# indian pharmacy online
legit canadian pharmacy Licensed Canadian Pharmacy legal canadian pharmacy online
http://indiaph24.store/# reputable indian pharmacies
http://indiaph24.store/# indian pharmacies safe
medication from mexico pharmacy Mexican Pharmacy Online mexico drug stores pharmacies
buying prescription drugs in mexico online: Mexican Pharmacy Online – mexican mail order pharmacies
order terbinafine online – buy griseofulvin sale griseofulvin for sale
http://indiaph24.store/# mail order pharmacy india
http://mexicoph24.life/# mexico pharmacies prescription drugs
purple pharmacy mexico price list Mexican Pharmacy Online purple pharmacy mexico price list
https://indiaph24.store/# world pharmacy india
best online canadian pharmacy Prescription Drugs from Canada canadian pharmacy review
mexico drug stores pharmacies: cheapest mexico drugs – pharmacies in mexico that ship to usa
https://indiaph24.store/# buy medicines online in india
http://mexicoph24.life/# mexican pharmaceuticals online
mexican rx online Online Pharmacies in Mexico п»їbest mexican online pharmacies
https://canadaph24.pro/# the canadian drugstore
https://canadaph24.pro/# canadian pharmacy drugs online
https://canadaph24.pro/# trusted canadian pharmacy
canadian pharmacy online Licensed Canadian Pharmacy www canadianonlinepharmacy
http://indiaph24.store/# indian pharmacy paypal
india pharmacy indian pharmacy fast delivery india pharmacy mail order
https://indiaph24.store/# top 10 pharmacies in india
cross border pharmacy canada canadian compounding pharmacy northwest pharmacy canada
http://indiaph24.store/# top 10 pharmacies in india
https://mexicoph24.life/# pharmacies in mexico that ship to usa
canadapharmacyonline com canadian pharmacies best rated canadian pharmacy