বর্তমান ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল তারকার লিস্টে নিঃসন্দেহে মেসি-রোনালদো সবার উপরে থাকবেন। থাকবেনই বা না কেনো, বর্তমানে ফুটবল মানেই যেনো মেসি আর রোনালদোর ব্যক্তিগত দৈরথ। কিন্তু এই মেসি রোনালদোর যুগেও কেউ যদি লাইমলাইট টা নিজের দিকে টেনে আনতে পারেন, তিনি আর কেউ নন, ইজিপ্টিয়ান মেসিখ্যাত মোহাম্মদ সালাহ।
বিশ্ববিখ্যাত সকল খেলোয়াড়েরই সমর্থক যতো ছিলো, নিন্দুকও তার কম ছিলো না। এখন ও তার ব্যতিক্রম নয়। মেসি কিংবা রোনালদোর ক্ষেত্রেও তাই। প্রতি দুইজন মানুষে একজন তাদের নিন্দুক। এই জায়গাটাতেই অন্য এক মাত্রা যোগ করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরাও তাকে পছন্দ করেন। সুন্দর ব্যবহার আর মাঠে অতিমানবীয় পার্ফমেন্স দিনকে দিন তাকে নিয়ে যাচ্ছে অন্য এক উচ্চতায়। যেটা পরিসংখ্যানের পাতায়ও এবং সমর্থকদের মনেও। একের পর এক ভেংগে যাচ্ছেন রেকর্ড। মাঠের এবং মাঠের বাইরে দুই জায়গাতেই সবার মন কেড়ে নিচ্ছেন এই তারকা। চারিদিকে এখন শুধুই তার নাম। মেসি রোনালদোর সঙ্গে টেক্কা দিয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। ফর্ম এভাবে ধরে রাখলে হয়তো ইতিহাসে অন্যভাবেই লেখা থাকবে এই ফুটবলারের নাম।
হালের এই অন্যতম সেরা ফুটবলার জন্ম নেন ১৫ জুন ১৯৯২ সালে মিশরে। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি একটা অন্যরকম টান অনুভব করতেন। সময় পেলেই মাঠে নেমে পড়তেন ফুটবল নিয়ে। তখনও কেউ বুঝতে পারে নি, এই ছোট্ট ছেলেটিই একসময় ফুটবলের এতো বড় তারকা হবে।
ক্লাব ক্যারিয়ারঃ
মোহাম্মদ সালাহ তার সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন তারই হোমটাউন ক্লাব এল মাকাউলুনের হয়ে। এখানেই তার ইজিপ্টিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয়। প্রথম দিকের সময়গুলো বেঞ্চে বসে কাটালেও আস্তে আস্তে তিনি মাঠে বেশী সময় পেতে লাগলেন। জাত চিনাতে অবশ্য দেরী করেননি তিনি। গোল কম পেলেও দলের খেলায় তার ভূমিকা ছিলো চোখে পড়ার মতো। উইং থেকে তার গতির কাছে পরাজিত হতো ডিফেন্ডার রা। সাথে তার অসামান্য ভিশন এবং ইঞ্চ পার্ফেক্ট ক্রসিং নজর কেড়েছিলো অনেক ক্লাবের। ২০১২ তে পোর্ট সেইড স্টেডিয়াম ডিজেস্টারের কারণে ইজিপ্টিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তী তে ঐ সিজনের সব ম্যাচকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনাটিই যেনো সুইস ক্লাব বাসেলের জন্য শাপে বর হয়ে গেলো। অনেকদিন থেকেই তারা মোহাম্মদ সালাহ’র উপর নজর রাখছিলো। পোর্ট সেইড স্টেডিয়াম ডিজেস্টারের পর তারা আরো উঠে পড়ে লাগলো। শীঘ্রই মিশর অনুর্ধ-২৩ দলের সাথে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচের আয়োজন করলো তারা। ম্যাচটি বাসেলের স্ট্যাডিয়ন র্যানকনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমার্ধে মাঠে নামেননি মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু বিশ্বসেরা রা নাকি জাত চিনাতে বেশী সময় নেন না। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই অতি গুরুত্বপূর্ণ দুই গোল করে দলকে জেতান ৪-৩ এ। বাসেল কোচ হয়তো কখনো ম্যাচ হেরে এতো খুশী হননি। রত্ন চিনতে ভুল করেননি তিনি। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন, এই প্লেয়ার কে তিনি যেকোন মূল্যেই সাইন করাবেন। এরপর মোহাম্মদ সালাহকে এক সপ্তাহের জন্য ট্রেনিং করতে বাসেলে নিমন্ত্রণ করা হয়। সেখানে মেডিকেল এবং যাবতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর বাসেলের হয়ে ৪ বছরের চুক্তি সাক্ষর করেন।
বাসেলের হয়ে রেগুলার স্টার্টার হয়েই খেলেছেন তিনি। মূল দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছিলেন অল্প দিনেই। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফানাইলে টটেনহ্যামের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ গোল করে দলকে সেমি ফাইনালে উঠতে সহায়তা করেন। সেমিফাইনালে চেলসীর বিরুদ্ধেও একটি দৃষ্টিনন্দন গোল করেন তিনি। যদিও তার দল দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ এ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। ইউরোপা লিগ থেকে বাদ গেলেও বাসেল খুব সহজেই জিতে নেয় সুইস সুপার লিগ সিজন ২০১২-১৩ চ্যাম্পিয়নশিপ টাইটেল। এবং সুইস কাপেও রানার্স আপ হয় তারা।
পরের সিজনেও যথারীতি লিগে দারুণ পার্ফমেন্স করেই যাচ্ছিলেন। এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বেই তিনি নজর কাড়েন ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলোর। শক্তিশালী চেলসির সাথে এওয়ে ম্যাচে সমতাসূচক গোল করে দলের ২-১ গোলে জয়ে ভুমিকা রাখেন। ফিরতি লেগে তারই একমাত্র গোলে চেলসীকে আবারো পরাজিত করে বাসেল। সালাহ’র অতিমানবীয় এই পার্ফমেন্সে মুগ্ধ হয়ে তাকে দলে ভেড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লাগে চেলসী কোচ হোসে মরিনহো।
সেই সিজনেই সামার ট্রান্সফার উইনডোতে মোহাম্মদ সালাহকে দলে ভেড়ায় চেলসী। তারকাসমৃদ্ধ চেলসী দলে জায়গা পাওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছিলো তার জন্য। বেশীরভাগ ম্যাচ বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়। নিজের সেরা টা দেয়ার সুযোগই হয়ে উঠে নি প্রথম সিজনে। এর মধ্যেও যতোটা পেরেছেন নিজের সেরা টা দিয়েছেন। পরবর্তী সিজনে চেলসীর হয়ে লিগ জিতেন। যদিও মাত্র তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। পর্যাপ্ত খেলার সুযোগ না পাওয়ায় তিনি কোচের সাথে কথা বলে লোনের আবেদন করেন। চেলসী থেকে ফিওরেন্তিনায় ১৮ মাসের জন্য লোনে পাঠানো হয় তাকে।
ফিওরেন্তিনার হয়ে প্রথম ম্যাচ শুরু করেন সাসৌলোর বিপক্ষে। প্রথমার্ধেই দৃষ্টিনন্দন এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তার কিছুক্ষণ পরেই সতীর্থকে দিয়ে করান আরেকটি গোল। সালাহ ময় সে ম্যাচে ফিওরেন্তিনা জয় পায় ৩-১ গোলে। এর কিছুদিন পরেই ইউরোপা লিগের শেষ ষোল’র খেলায় টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে গোল করেন এবং ফিওরেন্তিনা এগ্রিগেটে থেকে ৩-১ এ জিতে। এছাড়াও সিরি আ তে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল করে দলকে জিতান। ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে এক গোল করে জিতিয়েছিলেন দলকে। লিগ লিডার জুভেন্টাসকে তার দুই গোলেই হারায় ফিওরেন্তিনা। এমন অতিমানবীয় পার্ফমেন্সের পর লোনের বদলে তাকে পার্মামেন্ট খেলোয়াড় হিসেবে দলে ভেড়াতে চায় ফিওরেন্তিনা। কিন্তু এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তিনি জয়েন করেন আরেক ইতালিয়ান ক্লাব এ এস রোমায়।
এ এস রোমায় যোগ দেয়ার পর যেনো মোহাম্মদ সালাহ আরো ভয়ংকর হয়ে উঠেন। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই তার উপর ভর করেই দল জিতে যাচ্ছিলো। প্রয়োজনীয় ম্যাচে গোল করার প্রবণতাই তাকে বাকিদের থেকে আলাদা করেছিলো। পুরো পৃথিবীকে তিনি ততোদিনে জানিয়ে দিয়েছেন তার আগমণী বার্তা। সে সিজনেই ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন ১৫ গোল করে এবং সাথে আরো ৬ টি গোল করিয়েছিলেন সতীর্থদের দিয়ে। এই অনন্য পার্ফমেন্সের কারণে সে বছর সিরি আ প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার এওয়ার্ডও জিতে নেন তিনি।
প্রকৃত সালাহ কে দেখা তখনও বাকী ফুটবল বিশ্বের। পরের সিজনেই রোমা থেকে যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে। নিজের সেরা টা দেয়ার জন্য মনে হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। অভিষেক ম্যাচেই গোল দিয়ে শুরু করলেন, সেই গোলের আর কোন থামাথামি নেই। প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন। এই অসামান্য পার্ফমেন্সের কারণে প্রথম মাসেই সমর্থকদের ভোটে লিভারপুলের প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ নির্বাচিত হন। এছাড়াও প্রিমিয়ার প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ ও নির্বাচিত হয়েছেন।
লিগের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এই ধারা বজায় রাখেন। গোল করার পাশাপাশি করানোতেও তার জুড়ি মেলা ভার। চলতি সিজনে ৪০ গোলের পাশাপাশি করেছেন ১১ এসিস্ট। সরাসরি ৫১ টি গোলে অবদান। তার অতিমানবীয় পার্ফমেন্সের কারণেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেষ্টার সিটি কে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুই উইকের সেরা গোল নির্বাচিত হয় তার গোল। এছাড়াও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এক সিজনে সর্বোচ্চ ৪ বার প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ এওয়ার্ড জিতে রেকর্ড করেন। লিভারপুলের হয়ে কোন সিজনে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও ভেংগে দেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এক সিজনে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও তার ঝুলিতে। এই মোহাম্মদ সালাহ’র উপর ভর করেই নিজেদের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিততে চায় লিভারপুল।
দেখে নেয়া যাক তার ব্যক্তিগত কিছু অর্জনঃ
- সিএএফ আফ্রিকান প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার (২০১৭)
- বিবিসি আফ্রিকান ফুটবলার অফ দ্যা ইয়ার (২০১৭)
- আরব ফুটবলার অফ দ্যা ইয়ার (২০১৩,২০১৭)
- উয়েফা গোল্ডেন বয় (২০১২)
- এসএএফপি গোল্ডেন প্লেয়ার (২০১৩)
- রোমা প্লেয়ার অফ দ্যা সিজন (২০১৫-১৬)
- গ্লোব সকার বেস্ট আরব প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার (২০১৬)
- সিএএফ টিম অফ দ্যা ইয়ার (২০১৬,২০১৭)
- সিএএফ মোস্ট প্রমিজিং প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার (২০১২)
- সিএএফ আফ্রিকা কাপ অফ ন্যাশন্স টিম অফ দ্যা টুর্নামেন্ট (২০১৭)
- প্রিমিয়ার লিগ প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ (নভেম্বর ২০১৭, ফেব্রুয়ারী ২০১৮, মার্চ ২০১৮, এপ্রিল ২০১৮)
- পিএফএ প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ (নভেম্বর ২০১৭, ডিসেম্বর ২০১৭, ফেব্রুয়ারী ২০১৮, মার্চ ২০১৮)
জাতীয় দলঃ
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মোহাম্মদ সালাহ ইজিপ্ট অনুর্ধ-২০ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। আফ্রিকা অনুর্ধ-২০ কাপ অফ ন্যাশনস এ ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে তার দল। এছাড়াও ২০১১ ফিফা অনুর্ধ-২০ বিশ্বকাপ এবং সামার অলিম্পিকেও জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১২ তে সিএএফ মোস্ট প্রমিজিং আফ্রিকান প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার এওয়ার্ড জিতেন তিনি।
২০১৩ তে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন এই তারকা। এছাড়াও আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গোল করেন তিনি বাছাইপর্বে। ছয় গোল নিয়ে আফ্রিকান টিম গুলোর মধ্যে যৌথভাবে টপ স্কোরার হয়েছিলেন তিনি।
২০১৭ তে গ্যাবনে অনুষ্ঠিত আফ্রিকান কাপ অফ ন্যাশনস টুর্নামেন্টে তিনি দলের একজন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ছিলেন। ঘানার বিপক্ষে তার একমাত্র গোলে জয় পেয়ে গ্রুপ পর্বের টপে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করে মিশর। এছাড়াও ২ গোল এবং দুই এসিস্টের মাধ্যমে দলকে ফাইনালে তুলতে ভুমিকা রাখেন এবং ফলস্বরূপ সিএএফ টিম অফ দ্যা ইয়ারে জায়গা করে নেন। যদিও শিরোপা জিতা হয়নি তবুও মিশরের কাছে এটাই অনেক বড় এক সাফল্য।
২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৫ গোল করে আফ্রিকান দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। বিশ্বকাপে যেতে শেষ ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প ছিলো না তাদের। কংগোর সাথে ম্যাচটির দিকে তাই তাকিয়ে ছিলো পুরো মিশর জাতিটি। প্রথমে মোহাম্মদ সালাহ’র গোলেই এগিয়ে যায় মিশর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে পারে নি তারা। গোল খেয়ে বসে। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে খেলার শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় মিশর। পুরো জাতির প্রেসার তখন মোহাম্মদ সালাহ’র কাধে। তার একটি শটের উপর নির্ভর করছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন লোকের হাসি-কান্নার ভবিষ্যৎ। শট নিতে কোন ভূল করলেন না তিনি। গোলকিপার কে পরাস্ত করে ২-১ এ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের জন্য মিশর কে কোয়ালিফাই করান। এখন সময়ই বলে দিবে মোহাম্মদ সালাহ’র উপর ভর করে দল কতোদূর যেতে পারে বিশ্বকাপে।
অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞের মতে, কয়েকবছর পর বিশ্বসেরার মুকুট পড়বেন মোহাম্মদ সালাহ। ফুটবল মাঠে ছড়ি ঘুড়াবেন তিনি। যদিও শেষ দশ বছরে মেসি রোনালদোর আধিপত্যের যুগে অনেক খেলোয়াড়ই সম্ভাবনা নিয়ে উকি দিয়ে আবার ঝরে গেছেন অচিরেই। মোহাম্মদ সালাহ’র নাম ও কি তাদের সাথেই উচ্চারিত হবে? নাকি নিজেকে অন্যান্য লিজেন্ড দের কাতারেই নিয়ে যাবেন তিনি?
তবে যাই করুক না কেনো, ফুটবল বিশ্ব মোহাম্মদ সালাহ কে কতোদিন মনে রাখবে তা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও, মিশরের মানুষের মনে যে তিনি আজীবন বেচে থাকবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে। শত দুঃখ কষ্টের মাঝেও তাদের মুখে হাসি ফোটানো এই মোহাম্মদ সালাহ কে কখনো ভোলা সম্ভব না তাদের পক্ষে। এটাই ফুটবলের সৌন্দর্য্য। শুধুমাত্র এই খেলার মাধ্যমেই পুরো জাতি ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে আনন্দে মেতে উঠে। এই ফুটবলের জন্যই থেমে যায় যুদ্ধ। এখানেই ফুটবলের সার্থকতা।
এজন্যই ফুটবলকে সেরা খেলা বলা হয়। এই সেরা খেলার সেরা খেলোয়াড় হতে এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে মোহাম্মদ সালাহকে। সেই পর্যন্ত না হয় আমরা উপভোগ করতে থাকি এই তারকার জাদুকরী ফুটবলকে।