ইতিহাসের ঘৃণিত শাসকের তালিকায় উপরের দিকেই যার নামটি আসে তিনিই হলেন আফ্রিকার অবহেলিত দেশ উগান্ডার সাবেক স্বৈরশাসক ইদি আমিন দাদা। নিজের ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ অপব্যবহার করে, হিংস্র দানবে পরিণত হয়েছিল। অশিক্ষিত, অজ্ঞ জেনারেল থেকে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধীন হয়ে রচনা করেছিলেন উগান্ডার ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্ক জনক অধ্যায়।
বাল্যকালঃ
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনস্থ পশ্চিম আফ্রিকার পশ্চাদগামী দেশ উগান্ডার,কোকাকো প্রদেশে ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন ইদি আমিন।মুসলিম উপজাতি “কাকওয়া” নামক গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন আমিন। বাল্যকাল থেকেই অত্যন্ত দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠে ইদি আমিন। শৈশবেই বাবা হারানো ইদি বেড়ে উঠেন মায়ের কাছে। বাল্যকালে ইদি আমিন কোন শিক্ষা গহন করতে পারে নি।
কিংস্ আফ্রিকান রাইফেলঃ
বাল্যকাল থেকেই পরিবারের অভাব অনটন দূরে করার জন্য কাজে যোগদান করেন ইদি আমিন। তার ছিল ব্যাপক পেশি শক্তি আর অদম্য সাহস। ১৯৪৬ সালে তৎকালীন কিংস আফ্রিকান রাইফেল তথা (কেএআর) যোগদান করেন।কেকেআর ব্রিটিশ কলোনির অধীনস্থ দেশগুলো নিয়ন্ত্রন করার জন্য সামরিক বাহিনী। বাহিনীর সদস্য হিসেবে আমিনের আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এখানেই প্রত্যক্ষ করেছেন আফ্রিকার জনগনের উপর কেএআরের অমানবিক অত্যাচার। বিশেষ করে কেনিয়ার বিদ্রোহী সংগঠন “মাউ মাউ” বিদ্রোহীদের উপর অত্যাচার তার মনে বিশেষভাবে দাগ কাটে।

বিশেষ প্রতিভাঃ
ইদি আমিন ছিল পেশি শক্তির অধিকারী। তার প্রমাণ স্বরূপ ইদি আমিন পরপর ৯ বছর “উগান্ডা লাইট হেভিওয়েট বক্সিং” প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। তাছাড়া বিভিন্ন পেশি শক্তির কসরতে ইদি আমিন ছিল অপ্রতিরোধ্য। তার এই বিশেষ গুন সেনাবাহিনীতে তার পদোন্নতিতে বিশেষ অবদান রাখে। সাতারেও তার বিশেষ দক্ষতা ছিল। তবে ইদি আমিন তার বর্বর মানসিকতার জন্য অধিক পরিচিত ছিল।
পদোন্নতি লাভঃ
বর্বর ইদি আমিন সেনাবাহিনীতে তার ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ধীরে ধীরে পদোন্নতি লাভ করতে থাকেন। বিশেষ করে কেনিয়ায় বিদ্রোহী দমনে তার বর্বর ভূমিকার কারণে তাকে তৎকালীন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদা সম্পন্ন “ইফেন্ডি” পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। যা ব্রিটিশ কলোনির অন্তর্গত সৈনিকদের জন্য সর্বোচ্চ পদ। মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে সার্জেন্ট থেকে লেফটেন্যান্ট পদে উন্নতি করেছিলেন। যদিও উগান্ডা স্বাধীন হবার পর ব্রিটিশ সরকার ইদি আমিনের কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করে। ১৯৬১ সালে লেফটেন্যান্ট পদে অধিষ্ঠিত হবার পরের বছরই উগান্ডা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ স্বাধীন হবার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যাপোলো মিল্টন ওবাতে তাকে ক্যাপ্টেন পদে মনোনীত করেন। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ইদি আমিনের সখ্যতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আকস্মিক ভাবে পরের বছর ১৯৬৩ সালে মেজর পদে উন্নত হন নর ঘাতক ইদি আমিন। বন্ধুত্বের মাত্রা আরও গাঢ় হলো। সময়ের পরিক্রমায় এক সময় হলে গেলেন মেজর জেনারেল।

Source: gettyimages.com
সামরিক অভ্যুত্থান ও ক্ষমতা গ্রহণঃ
ক্ষমতার লোভ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে আমিনের মনে। আমিন সেনাবাহিনীতে তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে থাকেন। নিজের সমর্থনে একটি বিশেষ গোষ্ঠী গড়তে থাকেন নীরবে। একই সময়ে ইসরায়েলি গুপ্তচরদের সাথেও তার সখ্যতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধীরে ধীরে আমিন তার ক্ষমতা ও প্রভাব সেনাবাহিনীতে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছিল। ইতিমধ্যে তার গোপন অভিলাষের খবর পৌঁছে বন্ধু ওবাতের কাছে। সার্বিক বিবেচনায় তিনি তাকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তার প্রভাবের কারণে তাকে গৃহবন্দী করে রাখতে ব্যর্থ হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে আমিনকে বে-সামরিক পদে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু আমিনের প্রচেষ্টা বাড়তেই থাকে। তিনি সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। অবশেষে আসল সেই সুযোগ ২৫ শে জানুয়ারি ১৯৭১, প্রধানমন্ত্রী তখনসিংগাপুরে রাষ্ট্রীয় সফরে ব্যস্ত, ইদি আমিন ঘটালেন সামরিক অভ্যুত্থান। ক্ষমতার সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন এবং শুরু হয় উগান্ডার ইতিহাসের অন্ধকারময় এক অধ্যায়ের।

অন্ধকার যুগের শুরুঃ
ক্ষমতায় বসেই নিজেকে সর্বেসর্বা ঘোষণা শুরু করেছিল। প্রাথমিকভাবে উগান্ডার জনগণ তাকে সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও আসে সহযোগিতার আশা। সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের সহমর্মিতা আদায় করার চেষ্টা করেন। ধীরে ধীরে খোলস থেকে বের হয়ে আসে আমিনের আসল রূপ। দেশের পুলিশ বাহিনীকে অপসারণ করে সৃষ্টি করেন নিজস্ব প্রহসনের বাহিনী। শুরু করেন হত্যাকাণ্ড, বিরোধী হত্যাকাণ্ড নেতাদের গ্রেপ্তার শুরু করেন।
গ্রেপ্তার পরবর্তীতে নির্মমভাবে হত্যা করে। মৃত লাশগুলো উন্মুক্ত স্থানে ঝুলিয়ে রেখে জনমনে ভয়ের সঞ্চার সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। অব্যর্থর সমর্থকদের নির্মমভাবে হত্যা করে তাদের নিঃচিহ্ন করে দেয় উগান্ডা থেকে। ক্ষমতা গ্রহণের পর বক্তব্যে নিজেকে ডক্টর উপাধিতে ভূষিত করে।যদিও তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা ছিল না। নিজের নামের শুরুতে জুড়ে দেন ইংরেজি পদবি “His Excellency, President for Life”.

Source: chimpreports.com
ওবাতোর ব্যর্থ প্রতিরোধঃ
ক্ষমতা হারানোর পর ওবাতে পার্শ্ববর্তী দেশ তানজানিয়াতে আশ্রয় গ্রহণ করে। তার সমর্থিত সেনাদের নিয়ে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাতে চেষ্টা করেছিল। উগান্ডার স্থানীয় “ল্যাংগো” সম্প্রদায়ের কিছু সামরিক কর্মকর্তারা যোগ দেয়। কিন্তু হিতে বিপরীত হল। ওবাতোর সামরিক চেষ্টা ব্যর্থ হল, ইদি আমিন বিদ্রোহী সেনাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেন।নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় তাদের পরিবারের সদস্যদের।একই সাথে ল্যাংগো সম্প্রদায়কে সেনাবাহিনীতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। শুরু হয় বর্ণবাদের বিষাক্ত ছোবল,ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে জনসাধারণের মধ্যে।
তার একচ্ছত্র ক্ষমতায় ছন্দ পতন ঘটায় আমিন ক্ষেপে যায়। শুরু করলেন হত্যাযজ্ঞ,গঠন করা হল টর্চারসেল। একই সাথে তৎপরতা শুরু হয় “ ‘পাবলিক সেফটি ইউনিটের”। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় দশ হাজার সাধারণ ও বেসামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে আমিন। তার প্রত্যক্ষ নির্দেশেই চলতে থাকে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। নিহতদের মধ্যে ছিল বিচারপতি,কলেজের অধ্যাপক, ওবাতো মন্ত্রী সভার সাবেক মন্ত্রী বৃন্দ। রক্তের স্রোত প্রবাহিত হয়ে নীল নদের পানিকে রক্তিম করে তোলে।

ইদি আমিনের সৃষ্ট অভিধানঃ
ইদি আমিন নর হত্যার জনক বিশেষ অভিধান তৈরি করেছিলেন।যেমন- “ভিআইপিকে সম্মান দাও” বলতে বুঝায় তাকে হত্যা করে ফেল। আবার “চা পান করতে দাও” বলতে বুঝাতো তাকে বেত্রাঘাত কর ; “তাকে ঘুমানোর স্থানে নিয়ে যাও” বলতে বুঝায় তাকে বন্দি করে রাখো। আমিন এই বিশেষ অবিধানের মাধ্যমেই তার বাহিনীর সদস্যদের কমান্ড করত।
অর্থনীতির বেহাল দশাঃ
ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে ব্যস্ত থাকা ইদি আমিন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছেন। উগান্ডার জনসাধারণ ভুগতে থাকে নানা বিদ সমস্যায়। খাদ্যের সংকট প্রকট হতে থাকে। কিন্তু ইদি আমিনের সেই দিকে কোন মনোযোগ নেই।
হঠাৎ আমিন “ইকোনমিক ওয়্যার” ঘোষণা করে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল উগান্ডায় অবস্থান রত ব্রিটিশ ও ইন্ডিয়ান ব্যবসায়ীদের দূর করা।তার এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিকে আরও বিপর্যস্ত করে। অজ্ঞ নাগরিকেরা ব্যবসায়ের কোন জ্ঞান ছিল না। মুদ্রাস্ফীতি চরম আকার ধারণ করে। দ্রব্য মূল্যের দাম জনসাধারণের নাগালের বাইরে চলে যায়। চরম খাদ্যাভাবে হাজার হাজার উগান্ডার নাগরিকরা মরতে শুরু করে। এর মধ্যে ইদি আমিন রাশিয়া এবং লিবিয়ার সাথে সখ্যতা তৈরি করে । ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক চরম ভাবে অবনতি লাভ করে। তিনি সামরিক বাহিনীতে ব্যাপক রদ বদল করেন। নিজের মিত্রদের ভালো পদে অধিষ্ঠিত করে।
ফিলিস্তিনকে সমর্থনঃ
ইদি আমিন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করতেন। ১৯৭৬ সালের,২৭ জুন গ্রীসের রাজধানী এথেন্স থেকে ছিনতাই হওয়া ইসরায়েলী যাত্রীবাহী বিমান A-300B আমিনের মদদেই ছিনতাই করা হয় এবং এনটিবেত,উগান্ডায় অবতরণ করতে বাধ্য করে। হাইজাক্যার দের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বিমানের ২৫৬ জন যাত্রীর পরিবর্তে পিএলও (PLO) এর আটক ৫৩ বন্দিকে ইসরায়েলের মুক্তি দিবে হবে। কিন্তু ইসরাইল এ দাবী প্রত্যাখ্যান করে। তারা বিমান বন্দর আক্রমণ করে এবং আটক যাত্রীদের মুক্তি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় উগান্ডার বিমান বাহিনীর প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। উগান্ডার ৮ টি যুদ্ধ বিমান ধ্বংস হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত জীবনঃ
ইদি আমিন ব্যক্তিগত জীবনে বহু পত্নীক ছিলেন। তার পাঁচ জন বিবাহিত স্ত্রী ছিল। যারা বিভিন্ন সময় ফার্স্ট লেডির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিল। মালামো আমিন ছিল তার প্রথম স্ত্রী।
এদের মধ্যে প্রথম তিন জনকে তিনি সরাসরি তালাক প্রদান করেন। যা বেতার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে জনসাধারণকে অভিহিত করেন। তার প্রায় ৪৩ জন সন্তান ছিল যারা বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করছে।

আমিনের কিছু কুখ্যাত উক্তিঃ
- “আমি আফ্রিকার রাজা”
- “রাজনীতি বক্সিংয়ের মত, যেখানে আপনাকে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হয়”
- “আমি নিজেকে পৃথিবীরে ক্ষমতা ধর ব্যক্তি মনে করি”
- “আপনি বুলেটের চেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারবেন না”
- “যদিও কিছু মানুষ মনে করে হিটলার খারাপ লোক, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সে একজন বীর, এজন্য মানুষ তাকে স্মরণ করে”
- “আমি নিজেকে একজন রাজনীতিবিদের চেয়ে, সামরিক অফিসার ভাবতে পছন্দ করি”
ইদি আমিনের পতনঃ
ইতিহাসের সকল অত্যাচারী শাসকদের পরিণতি অত্যন্ত নির্মম হয়, ইদি আমিন তার ব্যতিক্রম ছিল না। কুকর্মের জন্য তাকে “আফ্রিকার কসাই” উপাধি দেয়া হয়। আমিন সামরিক বাহিনীতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করত। আর জনসাধারণের মৌলিক অধিকার হরণের ফলে মানুষের মনে ক্ষোভ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৭৫ সালে দেশের অর্থনীতি প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতি হাজার গুন অতিক্রম করে। সাধারণ সাবানের দাম গিয়ে দাড়ায় ৩০০ টাকায়।
সাল ১৯৭৮, তানজানিয়ার সাথে বিরোধ বাড়তে থাকে আমিন সরকারের। পাশাপাশি দেশে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আমিন। তার কুকর্ম বিশ্ব মহলে প্রকাশিত হতে থাকে। ফলশ্রুতিতে তার আন্তর্জাতিক সমর্থন শূন্যের পর্যায়ে চলে যায়। সেনাবাহিনীর অবস্থাও নাজুক হতে থাকে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমিন, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। হঠাৎ তানজানিয়া আক্রমণ করে। প্রতিরোধ গড়ে তোরে তানজানিয়া। তাদের সাথে যোগ দেয় উগান্ডার ক্ষুব্ধ জনগণ। সম্মিলিত প্রতিরোধে ব্যর্থ হয় আমিন বাহিনী। পিছু হটতে শুরু করে সেনাবাহিনী। এক সময় পরাজয় মেনে নিয়ে শান্তির ঘোষণা দেয় ইদি আমিন। কিন্তু তানজানিয়া মেনে নেয় নি। তারা উগান্ডার বিভিন্ন শহর দখল করতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইদি আমিন তার মিত্র লিবিয়ার গাদ্দাফির কাছে আশ্রয় গ্রহণ করে।
জীবনাবসানঃ
ইদি আমিন তার শাসন কালে কত সংখ্যক লোক হত্যা করে তা নিয়ে মতভেদ থাকলেও কোন গবেষণায় ১ লক্ষের নিচে নামেনি। ইতিহাসের কুখ্যাত খল নায়ককে পরিণত হয় ইদি আমিন।লিবিয়ায় দশ বছর কাটানোর পর ১৯৮৯ সালে আমিন সৌদি আরবে চলে যান। সৌদি আরবে অনেকদিন নীরব থাকার পর ২০০৩ সালের ১৬ই আগস্ট কুখ্যাত ইদি আমিন মৃত্যু বরন করে। ডেথ রিপোর্টে বলা হয় তার মৃত্যুর কারণ “অর্গান ফেইলর”।

source: history.com
তার মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে তার স্ত্রী উগান্ডার সরকারের কাছে অনুরোধ করেন তাকে দেশে ফেরার অনুমতি দিয়ে কিন্তু সরকার তা দেয় নি। সাথে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল আমিন দেশে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে মৃত্যু দণ্ড দেয়া হবে। তবে তার মৃত্যুর পর তার লাশ উগান্ডায় দাফন করার অনুমতি দিয়েছিল উগান্ডা সরকার। কিন্তু পরে তাকে সৌদি আরবে দাফন করা হয়। এভাবে শেষ হয় ইতিহাসে খল নায়ক ইদি আমিন দাদার।
তথ্যসুত্রঃ
১. https://www.theguardian.com
৩. http://www.history.com/topics/idi-amin
৫. https://kwekudee-tripdownmemorylane.blogspot.com
Comments are closed.