ব্যক্তিজীবনে ইহুদী বিরোধী থাকলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের আর ইজরায়েলের সম্পদশালী নেতাদের সাহায্যে একটি বড় সামরিক শক্তি গড়ে তুলার আশায় ব্রিটেনের তৎকালীন ফরেন সেক্রেটারি বেলফোর তার ৮৪ শব্দের সেই ঐতিহাসিক বেলফোর ঘোষণা দেন ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইহুদিদের জন্য রাষ্ট্র এবং পদক্ষেপ নেয়া হয় ফিলিস্তিনি জাতিকে ধ্বংসের। বেলফোর তা জানুন আর নাই জানুন, ব্রিটেনের ইহুদি সমাজের নেতা ওয়াল্টার রথচাইল্ডের কাছে দেয়া তার এই সংক্ষিপ্ত বিবৃতির ব্যাপ্তি ছিল এমন যে, এটি মূলোৎপাটন করবে পুরো ফিলিস্তিনি জাতিটিকে তাদের পৈতৃক বাড়িঘর থেকে এবং পরবর্তী কয়েক দশক ধরে অব্যাহতভাবে চলবে ফিলিস্তিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধ্বংসের কাজ অমীমাংসিতভাবে। এবং আসলে হয়েছেও তাই। বেলফোরের এই ঘোষণার জের ধরে ফিলিস্তিনের অ-ইহুদিরা নির্যাতিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর।
বেলফোর ঘোষণা নিয়ে যত মতভেদঃ
বেলফোর ঘোষণা কে অন্যান্য জাতির পক্ষ থেকে ইজরায়েল কে রাষ্ট্র হিসেবে বৈধতা দেয়ার দলিল মনে করা হলেও বেলফোর ঘোষণার নিজের বৈধতা নিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রশ্ন।
এই ঘোষণার বিষয়বস্তু নিতান্তই বিভ্রান্তিকর বলে মনে করেন অনেকে। বিখ্যাত ইহুদি বুদ্ধিজীবী আর্থার কস্টলার বারবার বলেছেন “ এই ঘোষণা হল বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম একটি অসম্ভব বা অকল্পনীয় রাজনৈতিক দলিল” যেখানে “ একটি জাতি অঙ্গীকার করেছিল অন্য একটি জাতিকে একটি দেশ দেয়ার যা ছিল তৃতীয় একটি জাতির” । উপরন্তু এই ঘোষণায় বলা হয়নি কেন এই ঘোষণা টি যৌক্তিক। এর ফলে এই ঘোষণার পিছনে এর রচয়িতার অকীর্তিকর ইচ্ছা আছে এই সন্দেহ আরও বিস্তৃত হয়। যাই হোক, এই ঘোষণা টি জারি করা হয়েছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের দ্বারা। ব্রিটিশ আরবিস্ট এলিজাবেথ মন্রো এর মতে “ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় একটি ভুল”।
পুরাতন ঘরানার সাম্রাজ্যবাদের এক ঝলক ব্যাখ্যা করে কেন কিছু ইজরায়েলি এবং ইজরায়েলের সমর্থক বেলফোর ঘোষণার অবদান কে বেশি মুল্যায়ন করতে আগ্রহী ছিলনা। কেউ কেউ এই ঘোষণার টাকে লীগ অব নেশনের ফিলিস্তিনের জন্য করা আদেশপত্রের উপর সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন, যেটা ১৯২২ সালে ব্রিটেনের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। এই আদেশপত্রে শুধু বেলফোর ঘোষণাকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এর পিছনের যৌক্তিকতাকেও তুলে ধরেছিল। এবং সেই যুক্তি হল “ ফিলিস্তিনের সাথে ইহুদিদের ঐতিহাসিক বন্ধন” যা “ ফিলিস্তিন কে ইহুদিদের দেশ” হিসেবে ঘোষণা দেয়ার একটি ভিত্তি দিয়েছিল।
বেলফোর ঘোষণার প্রায় ৬০ বছর পর আমেরিকান উকিল সোল লিনওয়িটয দাবি করেন যে এই ঘোষণা নিজেই ভিত্তিহীন । কারণ গ্রেট ব্রিটেনের ফিলিস্তিনের উপর কোন অধিকার ছিল না, কোন মালিকানার সম্পর্কও ছিলনা তাই এই দেশের অংশ বিন্যাস করার কোন অধিকার ও ব্রিটেনের নেই। শুধুমাত্র লীগ অব নেশনের আদেশপত্র অনুযায়ী “ বিজয়ী মিত্রশক্তি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞাপনপত্রে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল”। এবং তাঁরা এটা করেছিলো “ একটি আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক দলিলের মাধ্যমে, যে দলিল টি বৈধ”।
বেলফোর ঘোষণা দেয়ার পিছনের ব্রিটেনের নানাবিধ উদ্দেশ্য ছিল বলেও অনেকের দাবি।চলুন জেনে নেয়া যাক কি ছিল সেই উদ্দেশ্য গুলো
১৯১৬ এবং ১৯১৭ সালে মিত্র বাহিনী (ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, রাশিয়া। ইটালি ও পরবর্তীতে আমেরিকা) একটি বিধ্বংসী যুদ্ধে লিপ্ত ছিল কেন্দ্রীয় শক্তির (জার্মানি, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, ও অটোম্যান সাম্রাজ্য) সাথে এবং তাদের আশংকা ছিল হয়তো তাঁরা জয়ী হতে পারবেনা এই যুদ্ধে। বেলফোর ঘোষণার পিছনে ব্রিটেনের উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত হল “ ব্রিটিশ সরকার দুই দেশের মধ্যে দুদোল্যমান ইহুদিদের প্ররোচিত করতে চাইছিলেন যেন তাঁরা যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে থাকে। ব্রিটিশ রা ভেবেছিল ইহুদিদের সমর্থন তাদের কে যুদ্ধে জয়ী হতে সহায়তা করবে এবং ফিলিস্তিনে ইহুদিদের পুনর্দখল স্থাপন করে দেয়ার অঙ্গিকারের মাধ্যমে ইহুদিদের প্ররোচিত করাকে তাঁরা উত্তম মনে করেছে। কারণ ব্রিটিশ রা ভয়ে ছিল যে, জার্মানি তাদের এই মিত্র পক্ষকে নিয়ে নিতে পারে তাদের “প্রোজায়নিস্ট ঘোষণা” র মাধ্যমে। তবে বর্তমানে মনে করা করা হয় ঐ সময় ইহুদিদের ক্ষমতা নিয়ে নিয়ে একটু বেশিই বাড়িয়ে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হল, ব্রিটিশ রা তাড়াহুড়া করে জায়নিজম কে সাদরে গ্রহন করতে চাচ্ছিল কারণ ফিলিস্তিন কে ইহুদিদের দেশ হিসেবে তাদের ঘোষণা কে সমর্থন করার জন্যই। ব্রিটিশ রা তখন চাইলেই ফ্রান্স কে ফিলিস্তিন থেকে বাদ দিয়ে দিতে পারতো। যেহেতু প্রথম ব্যাখ্যার সাথে দ্বিতীয় ব্যাখ্যার মিল পাওয়া যায়না, সেহেতু অনুমান করে নেয়া যায় যে, নিজেদের দরকারে জায়নিজম কে ব্যবহার করার জন্য ব্রিটিশ দের কাছে বেলফোর ঘোষণা দেয়ার জন্য অন্য কারণ না হলেও চলতো।
তবে জায়নিস্ট এবং ইজরায়েলিদের ইতিহাস কিন্তু বলে ভিন্ন কথা। বলা হয়ে থাকে যে, বেলফোর ঘোষণার পিছনে চাইম ওয়িজম্যান নামে একজন অতি বুদ্ধিমানের প্ররোচনা কাজ করেছে। প্রচলিত আছে যে, চাইম ওয়িজম্যান যিনি একজন বিখ্যাত জৈবরসায়নবিদ ছিলেন এবং পরবর্তীতে “ইংলিশ জায়নিস্ট ফেডারেশন” এর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন,তিনি একাই ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং মতামত প্রণেতাদের কে চালিত করেছিলেন জায়নিস্ট ধারনার দিকে। এই ওয়িজম্যান নামা থেকে জানা যায়, এই লোকটি একজন রাশিয়ান ইহুদি অভিবাসী, যিনি ১৯০৪ সালে ইংল্যান্ডে এসেই বেলফোর, মার্ক সাইকেস, আলফ্রেড মিলনার, এবং ডেভিড লয়েড দের মত লোক যাদের হাতে ছিল নিকট ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যের ভাগ্য নিরধারন করার ক্ষমতা তাদের কে প্ররোচিত করেন। সে হিসেবে “ ঐতিহাসিক বেলফোর ঘোষণা” একজন মাত্র মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং মুষ্টিমেয় কয়জন ব্রিটিশ কূটনীতিকের উপর তাঁর প্রভাবের জয়জয়কার।
যেভ জাবতিনিস্কি ১৯১৮ সালের জানুয়ারি তে ওয়িজম্যান কে এই ঘোষণার নায়ক আখ্যায়িত করে বলেন,“ এই ঘোষণা টি একজন মানুষের ব্যক্তিগত অর্জন, তিনি হলেন ডঃ চাইম ওয়িজম্যান।তাঁর দীর্ঘ চার বছরের অধ্যাবসায় এবং সুবিবেচিত কাজ আমাদের আর কূটনীতিক দের মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপন করতে সহায়তা করেছে। ইংল্যান্ডের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি রা ওয়িজম্যানের ব্যক্তিগত কমনীয়তা কে জায়নিস্ট প্রচারণার পিছনে সবচেয়ে কার্যকারী উপাদান হিশেবে স্বীকার করেন। লন্ডনে রথচাইল্ডের জায়নিজমের প্রচারণাও ওয়িজম্যানের দ্বারা প্রভাবিত ছিল……আমাদের ইতিহাসে, এই ঘোষণার সাথে আজিবন ওয়িজম্যানের নাম যুক্ত থাকবে”।
বেলফোর ঘোষণার পর কয়েক দশক ওয়িজম্যান একজন বিখ্যাত নেতা, মুখপাত্র এবং জায়নিজম এর কূটনীতিক হিসেবে ছিলেন এবং অবশেষে ইজরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৪৯ সালে তিনি তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশ করেন, “Trial and Error” নামে, যা পরবর্তী ২ বছরে হিব্রু, জার্মান, ডাচ, সুইডিশ, নরয়েজিয়ান, স্প্যানিশ, ইটালিয়ান এবং আরও কিছু বছর পর ফ্রেঞ্চ ভাষায় অনূদিত হয়। এই বই এ স্পষ্ট ভাবে উল্লেখিত আছে জায়নিস্ট প্রচারনায় তাঁর অবদান, যে বেলফোর ঘোষণার অগ্রদূত ছিলেন। তিনি ১৯৫২ সালে মারা যান। ১৯৬৭ সালে বেলফোর ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইজরায়েল ২ টি স্ট্যাম্প বের করে, যার একটি তে ছিলেন বেলফোর আরেকটিতে ওয়িজম্যান।
ইয়াড ওয়িজম্যান নামে একটি ওয়েবসাইট যা ওয়িজম্যানের সব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে রাখে, তা ঘাঁটতে গিয়ে একজন আবিষ্কার করেন যে “ ওয়িজম্যান এর সাফল্যে আরও সঙ্গি ছিল”। এখন পর্যন্ত বেলফোর ঘোষণার সাফল্য কে শুধুমাত্র ওয়িজম্যানের সাফল্য হিসেবে ধরা হয় যিনি ঐ ঘোষণার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে জায়নিস্ট নেতা হিসেবে খ্যাতি পান।
”তাহলে কারা এই অতিরিক্ত সঙ্গী”? ওয়িজম্যানের এই সঙ্গীদের অবদান প্রায় ভুলেই যাওয়া হয়েছে। কিন্তু যখন বেলফোর ঘোষণার পুরো গল্প তা পড়া হয়, তখন এই ঘোষণা কে প্রচলিত তথ্যের চেয়ে অনেক আলাদা মনে হয়। তখন এটা কে আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দখল মনে হয়না, বরং তখনকার গনতন্ত্রের একটি সুপরিকল্পিত ঐক্যমত মনে হয়। এটিকে আর কোন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মনে না হয়ে একটি মতধারার জয় বলে মনে হয়। এবং এটা কে আর কোন গোপন লেনদেনের বৃদ্ধি মনে হয়না, বরং প্রকাশ্য কূটনীতির প্রথম উদাহরণ মনে হয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে, এটি ১৯ শতকের প্রত্যাগমন না, বরং ২০ শতকের দিকে খুলে যাওয়া একটি দরজা।
ফিলিস্তিনের ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে ব্রিটেন একা কোন কিছু করতে পারছিলনা কারণ, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার তাদের মিত্রবাহিনীর বিশেষ করে ফ্রান্স ও রাশিয়া ও ছিল। আর তাছাড়া ব্রিটেন এমন একটি অঞ্চল নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারতোনা যেটা তখনও তাঁরা জয় করেনি এবং যেটাকে জয় করার জন্য তাঁর মিত্রবাহিনীর সাহায্য দরকার,তাই যুদ্ধকালীন সেই মিত্রবাহিনীর সাথে সমন্বয় না করে ব্রিটেন একা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারতোনা। কিন্তু এই বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে উপেক্ষিত হয়েছে বেলফোর ঘোষণা পত্রে। বেলফোরের এই ঘোষণা টি লিখা হয়েছিল তৎকালীন রাজের সরকারের পক্ষে, এবং ঘোষণাটি অনোমুদিত হয়েছিল ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার দ্বারা। এটি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব দ্বারা।
ওয়িজম্যানের অজানা সঙ্গীদের সম্মান প্রদর্শন করতে চাইলে, যে নামটি অবশ্যই নিতে হবে সেটি হল নাহোম সকোলভ এর নাম। কে এই সকোলভ? অধিকাংশ ইজরায়েল বাসিই সকোলভ স্ট্রিটের সাথে পরিচিত। অনেক গুলো পুরানো ইজরায়েলি শহরেই সকোলভ স্ট্রিট খুজে পাওয়া যাবে। ওয়িজম্যানের মত কোন প্রতিষ্ঠান বা স্মৃতিস্তম্ভ সকোলভের নাম উল্লেখ করেনা বেলফোর ঘোষণার নায়ক হিসেবে, কোন মুদ্রা বা স্ট্যাম্পেও ছাপা হয়না তাঁর ছবি। এমন কি মৃত্যুর পর ও তাঁকে নিয়ে তেমন লিখালেখি হয়নি। তাঁর মৃত্যুর প্রায় ৮০ বছর পর, এখন অল্প সংখ্যক ইতিহাসবিদ সকোলভের ব্যাপারে কথা বলে থাকেন মাঝে মাঝে। কিন্তু কেউ ই সকোলভ কে নিয়ে কোন পাণ্ডিত্যপূর্ণ জীবনী লিখার চেষ্টা করেন নি কখনও।
“তাহলে কে ছিলেন এই সকোলভ”? সকোলভ ১৮৫৯ এবং ১৮৬১ এর মাঝমাঝি সময়ে জন্ম নেয়া একজন ব্যক্তি যিনি পোল্যান্ডে ইহুদিদের রাব্বিনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ধর্মনিরপেক্ষতার অনেক বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেন এবং একজন বহু ভাষায় পারদর্শী একজন উচ্চমানের লেখক হিসেবে পরিচিতি পান।
সকোলভ ইউরোপ, আমেরিকা, অটোম্যান সাম্রাজ্য ভ্রমন করেন এবং জায়নিস্ট ধারনার পক্ষে সুপারিশ, কূটনীতি এবং প্রচারনা করেন। ১৯১১ সালে তাঁকে জায়নিস্ট নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ব্রিটেন এ অবস্থান নেন এবং চাইম ওয়িজম্যানের দলে যোগ দিয়ে জায়নিস্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ শুরু করেন।
সকোলভ কে বেলফোর ঘোষণার প্রবেশ মুখ বলা হয়ে থাকে। ঐ সময়কার অনেক ইহুদি তাঁকে ওয়িজম্যানের এর চেয়ে বেশি বাহবা দিয়েছিলেন তাঁর ভুমিকার জন্য। এর কারণ হল তিনি হিব্রু সাংবাদিক হিসেবে, রসায়নবিদ ওয়িজম্যানের চেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন। আর তাছাড়া ঐ সময় সকোলভ, ওয়িজম্যানের তুলনায় বয়সে এবং জায়নিস্ট উভয় হিসেবেই অগ্রজ ছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাহবা দেয়ার আরও একটি কারণ হল, তিনি প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার কে সম্ভব করেছিলেন। সেই অসম্ভভ কাজ টি হল, তিনি ১৯১৭ সালে ব্রিটেনের পৃষ্ঠপোষকতায় ইটালি, ফ্রান্স এমন কি ক্যাথলিক পোপ এর স্পষ্ট সম্মতি নিয়েছিলেন বেলফোর ঘোষণার পক্ষে। কিন্তু সকোলভের এই অর্জন সবাই কীভাবে ভুলে গেলো? সেটি একটি রহস্যের ব্যাপার।
সম্প্রতি শতবর্ষ পূরণ হল এই ঐতিহাসিক ঘোষণার, কিন্তু একে ঘিরে তরক বিতর্ক যেন শেষ ই হচ্ছেনা। বরং সময়ের সাথে সাথে নতুন নতুন তথ্যের আবিষ্কারের পাশাপাশি বেরেই চলেছে একে ঘিরে গড়ে উঠা বিতর্কের পরিমান।
Reference:
Wikipedia
https://www.britannica.com/event/Balfour-Declaration
buy rybelsus 14 mg pill – semaglutide price buy generic DDAVP