যে রাঁধে, সে নাকি চুলও বাঁধে। কিন্তু সে যে চুলে সঠিকভাবে শ্যাম্পুও করতে পারবে তা বলা যায় না। কারণ বিউটিশিয়ানরা বলছেন, প্রতিদিনের ধুলো-ময়লায় বিপর্যস্ত চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করাটা অপরিহার্য। সবাই প্রতিদিনই চুলে শ্যাম্পু করেন। অথচ এ কাজে প্রায় সবারই ১০টি সাধারণ ভুল হয়ে থাকে।
১. শ্যাম্পু করার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্যাম্পুর সাথে মিক্স করে ব্যবহার করুন যাতে ফেনা বেশী হয় আর চুলের গোঁড়ায় শ্যাম্পু ভালোভাবে যায়।
২. ফেনাযুক্ত চুল হালকা ভাবে ৫-১৫ মিনিট আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ঠিকঠাক মাসাজ করুন। এভাবে শ্যাম্পু করলে আপনার মাথার তালুতে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হবে।
৩. বেশিভাগ সময়ই আমরা একই ব্র্যান্ড সারা বছর ব্যবহার করি। কিন্তু চুল বিশেষজ্ঞ মারিও রুশো বললেন, প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু নেওয়া ভাল এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। একেক শ্যাম্পু একেক কাজে ভালো। তাই দু’মাস পরপর শ্যাম্পু বদলান।
৪. শ্যাম্পু করার আগে চুল ভেজা থাকে না, শ্যাম্পু চুলে লাগানোর আগে গোটা মাথা ভালোভাবে ভিজিয়ে নেওয়া উচিত। নয়তো শ্যাম্পু পুরোপুরি মেশে না। তাই চুল ভিজিয়ে নিন।
৫. মাথার একই স্থানে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা । খেয়াল করে দেখবেন, আমরা সাধারণত মাথার একেবারে মাঝখান থেকে শ্যাম্পু লাগানো শুরু করি। অথচ মাথায় এ অংশের ত্বক অনেক শুকনো এবং পাতলা থাকে। তাই অন্য কোথাও থেকে শ্যাম্পু লাগানো শুরু করুন।
৬. শ্যাম্পু করার মাঝে খুব বেশী দিন গ্যাপ দেয়াও ঠিক নয়। এতে ময়লা জমে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে আবার চুল পড়া সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭. চুলের ময়লা ভালোভাবে তুলতে অনেকেই জোর প্রয়োগ করে চুলে শ্যাম্পু ঘষতে থাকেন। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল ভেঙে যায়। তাই আঙুলের জোর দিয়ে শ্যাম্পু ম্যাসেজের প্রয়োজন নেই। হাতের তালু দিয়ে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন।
৮. অতি গরম পানিতে মাথা ধুলে ত্বক শুকনো হয়ে যায়। এতে উকুন এবং খুশকি জন্মাতে পারে। তাই স্বাভাবিক উষ্ণতার পানি দিয়ে গোসল করুন ।
৯. ভিজা চুল বেশিক্ষন রাখবেন না। চুল মোছার জন্য পরিস্কার নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন।
১০. যতটা কম সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নেয়াটাই সবচেয়ে ভাল।