বাকিংহাম প্যালেস: অস্তমিত না হওয়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাজপ্রাসাদ
লন্ডনের স্বরাষ্ট্র এবং প্রশাসনিক সদর দপ্তর বাকিংহাম প্যালেস। ওয়েস্ট মিনিস্টার শহরে অবস্থিত এই রাজপ্রাসাদ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদি এবং আতিথেয়তার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচ্য। জাতীয় কোন আনন্দের দিন অথবা কোন শোক দিবসে ব্রিটিশদের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত বাকিংহাম প্যালেস। বিশাল ভবন, বিস্তীর্ণ বাগান বিশিষ্ট এই রাজপ্রাসাদ যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান এবং একই সাথে পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণের বিষয়। কিন্তু হাজার বছর ধরে চলে আসা রাজতন্ত্রের তুলনায় বাকিংহাম প্যালেস তুলনামূলক নতুন এক সংস্করণ।
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় স্থান হওয়ার পাশাপাশি বাকিংহাম প্যালেস যুক্তরাজ্যের জাতীয় অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। ব্রিটিশ সংস্কৃতি যেখানে স্থির হয়ে আছে, সেই বাকিংহাম প্রাসাদেরই নিজস্ব কিছু রহস্য এবং ইতিহাস আছে যা খুব কম মানুষেরই জানা। রাজকীয় এই ভবন ইংল্যান্ডের ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে- রাজকীয় বিবাহ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোম্বিং পর্যন্ত। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক বাকিংহাম প্যালেস সম্পর্কে কিছু তথ্য।
বাকিংহামের পূর্বের ইতিহাস
ব্রিটিশ শাসনের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা প্রাপ্ত বাকিংহাম প্যালেস সবসময় এই ভূমিকা পালন করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ১৫৩১ সালে থেকে ১৮৩৭ সাল পর্যন্ত ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ড এর রাজার আনুষ্ঠানিক বাসভবন ছিল রাজধানীতে অবস্থিত সেইন্ট জেমস’স প্যালেস। বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত এই প্রাসাদ আজও দাঁড়িয়ে আছে এবং রাজপরিবারের কিছু সদস্যের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকিংহাম প্যালেসের মত এই প্রাসাদও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার শহরের যে জায়গা জুড়ে বাকিংহাম প্যালেস অবস্থিত, তা প্রায় ৪০০ বছর ধরে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের দখলে। টাইবার্ন নদী বরাবর জলাভূমিগুলোর উপরই মূলত এই প্রাসাদ দাঁড়িয়ে আছে এবং জলাভূমিগুলো ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন যাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন উইলিয়াম দ্য কনকারার এবং ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে এর সন্ন্যাসীগণ। বলা হয়ে থাকে, জায়গাটি নির্বাচন করেছিলেন রাজা ১ম জেমস এবং জায়গাটিতে প্রাথমিকভাবে রাজকীয় বাগান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এই স্থানটিতে আরো ছিল ৪ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত মালবেরি গাছের বন, যা রাজা ১ম জেমস ব্যবহার করতেন রেশম চাষের জন্য। সেসময় এই জমিতে একটি বাড়ি ছিল যা ১৬৯৮ পর্যন্ত বংশানুক্রমে হাতবদলের পর জন শেফিল্ড নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়, যিনি পরবর্তীতে বাকিংহামের ডিউক হন এবং তাঁর নামানুসারে বাড়িটির নামকরণ করা হয়।
বাকিংহাম হাউস
প্রকৃত বাড়িটি বেশ পুরনো হওয়ার কারণে ১৭শ শতাব্দীর শুরুর দিকে ডিউক শেফিল্ড বাড়িটিকে পুনর্নির্মিত করেন। ভবনের মুল কাঠামোর নকশাকার ছিলেন উইলিয়াম উইন্ড এবং জন ফিচ। “বাকিংহাম হাউস” নামের ভবনটি নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল ১৭০৫ সালের মধ্যে। ভবনটির নকশা করা হয়েছিল বিশাল তিন তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের আদলে যার পাশে ছোট দুটি সেবা প্রদানকারী কক্ষ ছিল। অবশেষে ১৭৬১ সালে ২১,০০০ পাউন্ড এর বিনিময়ে রাজা ৩য় জর্জ এর কাছে বাকিংহাম হাউস বিক্রি করে দেন স্বয়ং স্যার চার্লস শেফিল্ড।
দ্য কুইন হাউস
১৭৬১ সালে বাকিংহাম হাউস কেনার পর রাজা ৩য় জর্জ ৭৩,০০০ পাউন্ড বরাদ্দ করেন প্রাসাদের সংস্কারের জন্য। রাজা ৩য় জর্জ ভবনটি কিনেছিলেন রানি শার্লেট এবং তাঁর সন্তানদের বাসভবন হিসেবে ব্যবহারের জন্য। সংস্কারের পর যখন তারা সপরিবারে ভবনটিতে উঠলেন, তখন থেকে ভবনটির নাম “বাকিংহাম হাউস” থেকে “কুইন’স হাউস” নামে পরিচিতি লাভ করে। ভবনটি সাজানোর জন্য আসবাব আনা হয়েছিল কার্লটন হাউস থেকে এবং কিছু কেনা হয়েছিল ফ্রেঞ্চ রেভল্যুশন পরবর্তী ফ্রান্স থেকে।
১৮২৯ সালে রাজা ৩য় জর্জের মৃত্যুর পর রাজার ছেলে ৪র্থ জর্জ সিংহাসনে বসেন। ৪র্থ জর্জ রাজা হওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ৬০ বছর এবং তিনি দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন। নতুন রাজা সিংহাসনে বসার পর পুনরায় ভবনটির সংস্কারকাজ শুরু হয় এবং এবারে ভবনটির নকশার কাজ করেন স্থপতি জন ন্যাশ। রাজা ৪র্থ জর্জ প্রথমে চেয়েছিলেন ছোট এবং আরামদায়ক করে ভবনটির সংস্কার করতে। কিন্তু ১৮২৬ সালে যখন সংস্কার কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে, তখন তিনি ভবনটিকে ইউ-আকৃতির বিশাল প্রাসাদে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেন। রাজার রুচি অনুযায়ী প্রাসাদের নকশা করেন ন্যাশ যেখানে ফ্রেঞ্চ নিও-ক্লাসিকাল নকশার প্রাধান্য ছিল এবং আরো অনেকগুলো ভবন ও সেবাদানকারী কক্ষ জগ করা হয়েছিল। নতুন নকশায় তৈরি ভবনে ছিল বিশাল এক কোর্টরুম এবং প্রাসাদের কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছিল বিজয়ের চিহ্ন বহনকারী খিলান।
এই নকশা অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে সংস্কার কাজের পেছনে খরচ অনেক বেড়ে যায়, যার ফলে ১৮৩০ সালে রাজা ৪র্থ জর্জ এর মৃত্যুর পরই স্থপতি হিসেবে জন ন্যাশ কে অব্যাহতি দেয়া হয়। ৪র্থ জর্জ এর মৃত্যুর পর তাঁর ভাই ৪র্থ উইলিয়াম সিংহাসনে বসেন। কিন্তু প্রাসাদ সংস্করণে তাঁর কোন মনোযোগ ছিলনা, নতুন প্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসের তুলনায় ক্লেরেন্স প্যালেস কেই তিনি শ্রেয় মনে করতেন।
১৮৩০ সালে এক অগ্নিকান্ডে ইংল্যান্ডের হাউস অব পার্লামেন্ট ধ্বংস হয়ে গেলে রাজা ৪র্থ উইলিয়াম প্রস্তাব করেন বাকিংহাম প্যালেসকে নতুন হাউস অব পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করার। যদিও তাঁর এই প্রস্তাবনা অত্যন্ত ভদ্রভাবে অগ্রাহ্য করা হয়। ১৮৩৩-৩৪ সালে পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, প্রধান রাজকীয় ভবন হিসেবে বাকিংহাম প্যালেস ব্যবহৃত হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রাসাদের অন্দর সজ্জায় পরিবর্তন আনা হবে। তবে ১৮৩৭ সালে প্রাসাদটি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই উইলিয়াম ৪র্থ এর মৃত্যু হয় এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ভাতিজি ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে বসেন এবং বাকিংহাম প্যালেসের প্রথম রাজকীয় বাসিন্দা হিসেবে বাস করা শুরু করেন।
স্টেট কক্ষগুলো সোনায় মোড়ানো ছিল অথচ নতুন প্রাসাদে বিলাসীতার চেয়ে বরং বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন একটা বিষয় তা হল, নতুন প্রাসাদের চিমনি থেকে এত পরিমাণ ধোঁয়া নির্গত হত, যার ফলে আগুন জ্বালানোই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল এবং ফলস্বরূপ, পুরো কোর্টরুম বরফের মত ঠাণ্ডা হয়ে যায়। বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে ঘরের ভিতরে একটা গন্ধ ছড়িয়ে থাকতো। যখন গ্যাস ল্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তখন সকলের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিচের তলা গুলোতে গ্যাসের সৃষ্টি। এও বলা হয়ে থাকে যে, প্রাসাদের রক্ষণাবেক্ষণে যে সকল কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তারা তাদের দায়িত্ব ঠিক মত পালন করত না এবং এর কারণে প্রাসাদ নোংরা থাকতো। ১৮৪০ সালে রানীর বিয়ের পর তাঁর স্বামী, প্রিন্স আলবার্ট নিজেই স্বরাষ্ট্র দপ্তর এবং কর্মীদের পুনর্গঠনের কাজে লেগে পরেন। একই সাথে তিনি প্রাসাদের নকশার বিভিন্ন সমস্যাগুলো নিয়েও কাজ করা শুরু করেন। ১৮৪০ এর শেষের দিকে প্রাসাদের নকশা সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান হয়। তবে, যে নির্মাণ শ্রমিকেরা প্রাসাদের কাজ করেছিল তাদের সবাইকে ১ দশকের মধ্যে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
১৮৪৭ এর দিকে রাজকীয় দম্পতি অনুভব করে যে, প্রাসাদটি তাদের কোর্ট হল এবং ক্রমবর্ধমান পরিবারের জন্য বেশ ছোট, এবং একই সাথে এডওয়ার্ড ব্লোর দ্বারা নকশা করা কক্ষ নির্মাণ করেন থমাস কিউবিট; যে কক্ষ টি কেন্দ্রীয় চতুর্ভুজকে আবদ্ধ করে ছিল। ভবনের যে দিকটিতে হাঁটার স্থান ছিল সেই দিকে মুখ করা বৃহৎ ইস্ট ফ্রন্ট ছিল বাকিংহামের “বাইরের চেহারা” যেখানে সেই ব্যালকনি আছে যে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন উৎসবের সময় রাজপরিবারের সদস্যবৃন্দ জনগণের অভিবাদন গ্রহণ করেন। নবনির্মিত ভবনটিতে আরো ছিল নাচের ঘর এবং স্টেট কক্ষগুলোর স্যুট, যার নকশা করেছিলেন ন্যাশ এর ছাত্র জেমস পেনিথর্ন।
প্রিন্স আলবার্টের মৃত্যুর আগে রাজপ্রাসাদে প্রায়ই গানের আসরের আয়োজন করা হত এবং বিখ্যাত সব সংগীত শিল্পীরা এই আয়োজনে অংশ নিতেন। ১৮৪৯ সালের প্রিন্সেস অ্যালিসের জন্মদিনে স্ট্রাউস এর “অ্যালিস পোলকা” প্রথম প্রদর্শিত হয়। রানী ভিক্টোরিয়ার বাকিংহাম প্রাসাদে প্রচলিত রাজকীয় অনুষ্ঠানাদি ছাড়াও বিলাসবহুল কস্টিউম বলের আয়োজন করা হত।
১৮৬১ সালে রাজার মৃত্যুর পর জনসমাগমের প্রতি রানী ভিক্টোরিয়ার এক ধরনের বিতৃষ্ণা চলে আসে যার ফলে তিনি একা থাকার জন্য বাকিংহাম প্যালেস থেকে উইন্ডসোর ক্যাসেল, ব্যালমোরাল ক্যাসেল এবং অসবর্ন হাউস এ চলে আসেন। এ কারণে অনেক বছর ধরে বাকিংহাম প্যালেস স্বল্প ব্যবহৃত, এবং কিছু ক্ষেত্রে অবহেলিত হয়ে পড়ে ছিল। একা থাকাটা পছন্দ করলেও জনগণের কারণে রানী আবার লন্ডনে ফিরে আসেন। লন্ডনে ফিরলেও রানী সম্ভব হলেই অন্য স্থানে চলে যেতেন। কোর্টের কাজগুলো বেশিরভাগ সময়েই উইন্ডসোর ক্যাসেলে সম্পন্ন হত এবং যে সময় রানী কালো পোশাক পড়ে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর জন্য শোক পালন করতেন, সে সময় বাকিংহাম প্যালেস প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ ছিল।
অন্দর সজ্জা
বাকিংহাম প্রাসাদটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে ১০৮ মিটার (৩৫৪ ফিট) এবং ১২০ মিটার (৩৯০ ফিট)। প্রাসাদটি ৭৭,০০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। প্রাসাদটিতে মোট কক্ষ সংখ্যা ৭৭৫ টি যার মধ্যে কর্মচারীদের কক্ষ ১৮৮ টি, ৯২ টি কার্যালয়, ৭৮ টি বাথরুম, ৫২ টি প্রধান কক্ষ এবং ১৯ টি স্টেট রুম রয়েছে। প্রাসাদের দরজা এবং জানালার সংখ্যা পর্যায়ক্রমে ১,৫১৪ টি এবং ৭৬০ টি। এই প্রাসাদে আরও আছে একটি পোস্ট অফিস, সিনেমা হল, সুইমিং পুল এবং জুয়েলারির কারখানা। এছাড়াও এই প্রাসাদে সংরক্ষিত আছে ভিন্ন ভিন্ন রাজতন্ত্রের ইতিহাস বহনকারী নিদর্শন। রানীর গ্যালারিতে রয়েছে বিখ্যাত সব চিত্রশিল্পীর কাজ- ভারমির, রুবেন্স, কানালেতো, দুচিয়ো এবং দুরের। এছাড়া প্রদর্শনীর জন্য রাখা আছে বিভিন্ন সময়ে সংগ্রহ করা রানীর মূল্যবান মনি-মুক্তা গুলোও। সম্পূর্ণ সংগ্রহের সামান্যই সবার দর্শনের জন্য উন্মুক্ত। প্রাসাদের ছবির কালেকশনের মধ্যে আছে ৭০০০ টি পেইন্টিং, ৫০০,০০০ টি প্রিন্ট এবং ৩০,০০০ টি ওয়াটার কালার এবং ড্রয়িং।
বাকিংহাম প্রাসাদের সামনে যে রাস্তা রয়েছে তার রং লাল করা হয়েছে যাতে মনে হয় পুরোটা রাস্তা জুড়ে লাল গালিচা বসানো হয়েছে। বাকিংহাম প্রাসাদের রাজকীয় বাগানটাও দৃষ্টি নন্দন। বাগানে রয়েছে ২৫ টি ভিন্ন ভিন্ন জাতের গোলাপ ফুল, যাদের মধ্যে একটা জাত উইলিয়ামের নামে নামকরণ করা হয়েছে রয়াল উইলিয়াম। ৪২ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বাগানে আরও আছে একটি টেনিস কোর্ট এবং ৩ একর জলাশয়। মেমোরিয়াল গার্ডেন নামে পরিচিত বাকিংহামের ফুলের বাগানে ফুল গুলো অর্ধবৃত্তাকারে সাজানো এবং ফুল ছাড়াও বাগানে এমন সব গাছ আছে যা ইংল্যান্ড এ জন্মায় না, যেমন- স্কারলেট জেরানিয়াম, স্পাইডার প্ল্যান্ট এবং উইপিং ফিগ এর মত গাছ। আরও আছে সেই মালবেরি গাছগুলো যা বাকিংহাম প্রাসাদের অতীত থেকে আজ অবধি রয়ে গেছে।
বর্তমান চিত্র
১৮৫৩ সালে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। ১৯০১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রানী ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে ছিলেন। মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ৭ম এডওয়ার্ড সিংহাসনে বসেন এবং প্রাসাদের অন্দর সজ্জায় পরিবর্তন আনেন যা আজ পর্যন্ত দেখা যায়। বর্তমানে বাকিংহাম প্যালেসের শাসক হিসেবে ১৯৫২ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন রানী ২য় এলিজাবেথ এবং তাঁর পরিবার।
ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। ব্রিটেনের সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে রাজা অথবা শাসক রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হন। যদিও, রাষ্ট্রের বিধি বিধান তৈরি করার ক্ষমতা কেবল সংসদে সম্ভব এবং রাষ্ট্রের সব ধরনের কার্যকলাপ সম্পন্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাকিংহাম প্যালেস এখনও রাজতন্ত্রের দায়িত্ব পালনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্রিটেনে বিদেশী নেতাদের আগমনের সময় রানী নিজ প্রাসাদে তাঁদের স্বাগত জানান এবং এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনাও হয়ে থাকে বাকিংহাম প্যালেসে।
buy terbinafine 250mg sale – buy cheap generic terbinafine cheap grifulvin v