আধুনিক ফুটবলে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফরমেশন। ফরমেশন পরিবর্তন করে আপনি যে কোন মুহূর্তে ম্যাচের গতিপথ পালটে দিতে পারেন। আর এই ফরমেশনগুলো গড়ে উঠে ফুটবলের বিখ্যাত চিন্তাবিদদের দ্বারা। এরা ফুটবলকে নিয়ে পড়াশুনা করে, ফুটবলই তাদের জীবন। আমার এই ৩ পর্বের নতুন সিরিজে আমি যুগ যুগ ধরে সেই ফরমেশনের বিবর্তন নিয়ে লিখব। আমার এই লেখা মূলত সেই সব ফুটবলপ্রেমীদের জন্য যারা জানতে চান কিভাবে কখন কোন ফরমেশন আবিষ্কৃত হয়েছিল। আমি চেষ্টা করব আমার ৩ পর্বের সিরিজে বিস্তারিতভাবে সব কিছু তুলে ধরতে।
ফরমেশন নিয়ে কথা বলতে গেলে, আমাদের প্রথমে ফিরে যেতে হবে ফুটবলের অতীত ইতিহাসে। ফিফা.কমের মতে, ফুটবলের আদি ভার্সন ছিল কুজু যেইটা খেলা হত চীনে। তাছাড়া ইতিহাস বলে, রোমান আর গ্রীকদেরও এই খেলার ব্যাপারে কিছু নিদর্শন দেখা যায়। ফুটবল খেলাটা মূলত জনপ্রিয় হয় ইউরোপে মিডল এইযে।
উনবিংশ শতাব্দীর দিকে এইটি আরো অত্যধিক জনপ্রিয় হয় ইংল্যান্ডের পাবলিক স্কুলগুলোতে। ওই সময় প্রতিটা স্কুলের আলাদা করে রুল ছিল ফুটবল খেলার। ১৮৬৩ এর দিকে এই স্কুলের প্রতিনিধিরা একত্র হয়ে গঠন করে FA যেইটা এখনো ইংল্যান্ডে প্রচুর জনপ্রিয় একটি কাপ। FA এর পুরো নাম হল FOOTBALL ASSOCIATION। আর এরাই প্রথম সবার জন্য ফুটবলের নিয়ম ঠিক করে। বাকী স্কুলগুলোকে বলা হয় হয় ‘তুমি আমাদের নিয়ম মেনে চলবে, না হয় তোমাদের সাথে আমাদের কোন খেলা হবে না’। এর ফলে যে সুবিধে হল, নিয়ম নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন করার সুযোগ থাকল না আর সবাই একত্রিত হয়ে খেলার সুযোগ পেল।
এইভাবে বছর কয়েক যাওয়ার পর ক্লাবের ধারণাটা সবার মাথায় আসতে থাকে। সে সময় ক্লাবগুলো ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার এই সব কিছুতেই বিশ্বাস করত না। তারা শুধু জানত ফুটবল গোলের খেলা। তাই শুধু ফরওয়ার্ড কিনত। এই সময়ে প্রচলিত বিশ্বাস ছিল, তোমাকে গোল করতে হলে ড্রিবলিং জানতে হবে। দলের কোন একজন বল পেলে তার কাছে বলটি রাখত এবং যে কোন মূল্যে সে ড্রিবলিং করে গোল দিতে চাইত। ততক্ষণ তার পায়েই বল থাকবে যতক্ষণ না প্রতিপক্ষের কোন খেলোয়াড় তার থেকে বল কেড়ে নিতে পারছে অথবা সে গোল দিতে পারছে। শৈশব কালে যে কোন খেলোয়াড়ই সম্ভবত এইভাবেই এখনো খেলে খেলে অভ্যস্ত।
অবাক করার মত ব্যাপার ছিল ফুটবলে যে পাস দেওয়া যায় এই ধারণাটুকু তখন কারো মধ্যেই ছিল না। ওই সময় আরো একটি নিয়ম ছিল, আপনি আপনার থেকে সামনের দলের কোন খেলোয়াড়কে পাস দিতে পারবেন না। পাস দিলে সেইটা ফাউল হিসেবে গণ্য হবে। ভুতুড়ে নিয়ম তাই না? আর এই সব কারণেই তখন খেলোয়াড়রা কাউকে পাস দিতে চাইত না নিজেরাই ড্রিবলিং করে গোল দিতে ইচ্ছুক ছিল। কিন্তু এই ড্রিবলিং তখন মূলত শারীরিক বেশি ছিল, ট্যাকনিক্যাল কম ছিল। এর ফলে যেই সুবিধাটা ছিল আপনার দলে লম্বা লম্বা দৈত্য থাকলে আপনার জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যেত।
১৮৬৬ সালে, নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনা হল। অফসাইড রুল আর পাস ফরওয়ার্ড কে FA ফুটবলের নিয়মের অন্তর্ভুক্ত করল। তবে তখনকার অফসাইড নিয়ম আর এখনকার নিয়মের মধ্যে অনেক পার্থক্য। বর্তমানে আপনার সামনে প্রতিপক্ষের কোন খেলোয়াড় না থেকে শুধু গোলকিপার থাকলে অফসাইড হবেন কিন্তু সে সময় আপনার সামনে গোলকিপার বাদে প্রতিপক্ষের অন্তত দুইজন খেলোয়াড় আপনার সামনে থাকতে হবে। এই নিয়মটি প্রায় ৬০ বছরের মত ফুটবলে ছিল।
১৮৭২ সালে ইংল্যান্ড আর স্কটল্যান্ড এর মধ্যে ম্যাচ দিয়ে ফুটবলের আন্তর্জাতিকিরণ শুরু হয়। আর প্রথম ম্যাচেই ফুটবল প্রায় তার প্রথম ট্যাকটেক্যাল স্বাদ। ইংল্যান্ড দলের ফরমেশন ছিল ১-২-৭। বিশ্বাস হয় ৭টা ফরওয়ার্ড!! আর এই ফরওয়ার্ড লাইনকে ডিফেন্স করার জন্য স্কটল্যান্ডের ফরমেশন ছিল ২-২-৬। ম্যাচটি ড্র হয় 0-0 তে। কিন্তু এই ম্যাচটি নিয়ে স্কটিশরা পড়াশুনা শুরু করে। তারা দেখতে পারে, তাদের মূল সমস্যা ছিল ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা। তাদের বিশাল শরীরের জন্য স্কটিশ প্লেয়াররা কোন ভাবেই তাদেরকে ড্রিবল করতে পারছিল না। যেইটা আগেই বলেছি ওই সময় শারীরিক ড্রিবলটাই মূল ছিল। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্কটিশদের পাস দেওয়া ছাড়া কোন সুযোগ থাকল না। লং পাস আর শর্ট পাসের ধারণা আসল তখন। স্কটিশ স্কুলগুলোতে তখন শুধু পাস প্র্যাকটিস করাতে লাগল। ফুটবল দেখল তার নতুন দিগন্ত।
১৮৭৮ সাল, ওয়েলশ ক্লাব WREXMAN সর্বপ্রথম বারের মত কোন ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন আনল। আমি আগেই বলেছি, ওই সময় সাধারণত সবাই ফরওয়ার্ডের ব্যবহার করত আর পাসের ধারণাটিও সবার মধ্যে এসে গিয়েছে। যেহেতু ২-২-৬ ফরমেশন ছিল তাদের। মূল সমস্যা ছিল ফরওয়ার্ডরা ফাইনাল থার্ডে গিয়ে কোন স্পেস খুঁজে পেত না আর। একজন আরেকজন এর সাথে গায়ে লাগালাগি করে ফাইনাল থার্ড নিজেরাই ওভারলোড করে রাখত। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য WREXMAN ফাইনাল থার্ড থেকে একজন কে মিডে নিয়ে আসল। এর ফলে দুইটা সুবিধে হল। এক, এখন সেন্টার ফরওয়ার্ড দুই দিকেই মুভ করার স্পেস পেল। দুই, সেকেন্ড বল উইন ট্যাকটিসের ধারণার জন্ম হল। মিডেও ব্যালেন্স আসল।
WREXMAN ক্লাবটি আরো একটি কাজ করেছিল সেইটা হল দুইজন সেন্টার মিডকে একটু ওয়াইড করে খেলানো যেইটা এখন রিয়ালের মদ্রিচ আর ক্রুস করে থাকে। হাফস্পেসের ধারনা তাদের তখনো না থাকলেও তারা ব্যাপারটি সম্পর্কে অনুধাবন করতে পেরেছিল। তাদের দুই ওয়াইড মিড ডিফেন্সের সময় ওয়াইড এরিয়া কভার দিত ফলে ডিফেন্স করার সময় তারা হয়ে যেত ৪-১-৫ আর এটাকিং এ আসত ২-৩-৫ পিরামিড ফরমেশন। আর এই ফরমেশনে সব থেকে ক্রিয়েটিভ এন্ড ইফেক্টিভ প্লেয়ার ছিল সেন্টার মিড। এই সেন্টার মিডের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করত দল কেমন খেলবে। এই দলটাই ছিল ইতিহাসের প্রথম আনবিটেন এবং ইনভিন্সিবেল দল।
এখন দেখে আসা যাক, এই ২-৩-৫ ফরমেশনে খেলোয়াড়দের জার্সি কিভাবে কিসের উপর ভিত্তি করে নাম্বারিং করা হত। এই অংশটুকু খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এইটাই আমাদের পরবর্তীতে ফুটবলের গভীরে যেতে সাহায্য করবে।
১- দলের গোলকিপার
২- রাইট ফুল ব্যাক
৩- লেফট ফুলব্যাক
৪- রাইট হাফব্যাক অথবা রাইট সেন্টার মিড
৫- সেন্টার হাফব্যাক অথবা সেন্টার মিড
৬- লেফট হাফব্যাক অথবা লেফট সেন্টার মিড
৭- রাইট উইংগার
৮- ইনসাইট রাইট ফরওয়ার্ড
৯- সেন্টার ফরওয়ার্ড
১০- ইনসাইট লেফট ফরওয়ার্ড
১১- লেফট উইংগার
এইভাবে আলাদা করার মূল কারণ ছিল ১৯৬৫ এর আগ পর্যন্ত ফুটবলে কোন সাবস্টিউটশান ছিল না।
১৯২০-৩০ এর দিকে ম্যানেজাররা আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করে ফুটবলে মিড আর ডিফেন্সের গুরুত্ব কতখানি। আগেই বলেছি ওই সময় অফসাইড নিয়মটি এত জটিল ছিল যে, ফরওয়ার্ডের জন্য গোল করাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আর যেহেতু সামনে প্রতিপক্ষের ৩ জন প্লেয়ার থাকে, তাই ডিফেন্ডারদের জন্য কাজটা হয়ে গিয়েছিল সহজ। এর ফলে গোলের সুযোগ কিংবা গোল দেওয়ার প্রবণতা দুইটা কমে গিয়েছিল। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯২৫ সালে FA অফসাইড নিয়মে পরিবর্তন আনল। এখন ফরওয়ার্ডের সামনে প্রতিপক্ষের শুধুমাত্র ১ জন খেলোয়াড় মানে গোলকিপার থাকলেই অফসাইড বলে বিবেচিত হবে। যেইটা এখনো কার্যকর।
ওই সময়ের সেরা একজন কোচ ছিলেন হান্ডারসফিল্ডের চ্যাম্পম্যান। পরবর্তীকালে তার অধীনেই আর্সেনাল তাদের ইতিহাসের সেরা সময়টুকু পার করে। এই কোচের হাত ধরেই ফুটবলে প্রথম আসে কাউন্টার এটাকিং সিস্টেম। তো চলুন দেখে আসা যাক কিভাবে সে ২-৩-৫ পজিশনাল সিস্টেম কে কাউন্টার এ রূপান্তরিত করল।
অফসাইড নিয়ম পরিবর্তনের পর সব থেকে বড় সমস্যায় পড়ল ডিফেন্ডাররা। তাদের ২ জনের বিপরীতে ৫ জনকে আটকানো খুবই কঠিন কাজ ছিল। চ্যাম্পম্যান যে কাজটি করল ডিফেন্সের স্টাবিলিটির জন্য হাফব্যাককে বলল ডিফেন্সে যোগ দিতে। অন্যান্য মহাদেশে নাম্বার ৪ কে দেওয়া হয় সেন্ট্রাল হাফের দায়িত্ব কিন্তু ইংল্যান্ডে সেই দায়িত্বটা পরে নাম্বার ৫ এর উপর। এই জন্য খেয়াল করলে দেখবেন এখনো ইংল্যান্ড ডিফেন্ডারদের কমেন্টটাররা সেন্টার হাফব্যাক হিসেবেই অভিহিত করে। আর এই সময় ফরমেশনটি দাঁড়ায় ৩-২-২-৩ যেইটা ফুটবল বিশ্বে পরিচিত WM ফরমেশন নামে। এই ফরমেশনটি প্রায় ৩০ বছরের মত রাজত্ব করে ফুটবলে। এই ফরমশনে আর্সেনাল ওই সময়ের রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙ্গেছিল। তাদের এই কাউন্টার বেসড সিস্টেম বাকী দলগুলোর কাছে বিভীষিকা হয়েছিল। এই ফরমেশনের জোরেই আর্সেনাল শেষ ৮ বছরে ৫ বার লীগ জিততে সক্ষম হয়।
আর এই কাউন্টার সিস্টেমকে খুব মনে ধরে ইতালির কোচ পোজ্জোর। এই ফরমেশনটিকে একটু মডিফাই করে বানানো হয় ২-৩-২-৩। যা METEDO নামে ফুটবল বিশ্বে পরিচিত। তার দলটি পরপর দুইবার ’৩৪ আর ’৩৮ এর বিশ্বকাপ জিতে নিতে সক্ষম হয়। বলা হয়ে থাকে মিউনিখ আর গার্দিওলার উপর এই ফরমেশনের প্রভাব রয়েছে।
পরবর্তীতে সবাই এই ফরমেশন নিয়ে গবেষণা শুরু করে। আর সেই সুবাদে ১৯৫০ তে আমরা পরিচিত হই আরেকটি রিভুলাশনারী চিন্তার। ১৯৫৪ এ হাঙ্গেরির কোচ Márton Bukovi ডিফেন্ডারদের বিভ্রান্তি করার জন্য তার ফ্রন্ট লাইন কে বলে পজিশন ইন্টারচেঞ্জ করতে। ১০ নাম্বার ও ফ্রন্ট থ্রি এর সাথে যোগ দেওয়ায় ৪টা প্লেয়ার ক্রমাগত নিজেদের পজিশন ইন্টারচেঞ্জ করতে থাকে। এই সময় ফরমেশনটা হয় অনেকটা ww এর মত। 2-3-2-3। আর এইটা ডিফেন্ডারদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি শুরু করে। এই ট্যাকটিসে সব থেকে বড় সাফল্য ছিল হাঙ্গেরির ফাইনাল খেলা। আর ফাইনালে যাওয়ার পথে তারা হারায় ইংল্যান্ডকে ৬-৩ গোলে, ওয়েস্ট জার্মানিকে ৮-৩ (রিজার্ভ বেঞ্চ)। তবে ফাইনালেই তারা হেরে বসে ওয়েস্ট জর্মানির কাছে ৩-২ গোলে। এই ম্যাচটিকে বলা হয় “The Mircale of Bern”. ওই ম্যাচের সব থেকে আবেগঘন মূহুর্ত ছিল খেলা শেষ হওয়ার ৬ মিনিট পূর্বে জর্মান রেডিও স্টেশনে Herbert Zimmermann বলছিল, “Rahn should shoot from deep”। আর এর মিনিট কয়েক পরেই ঘটে গেল ফুটবলের সেই অবিস্মরণীয় ঘটনা। রানের গোল ফ্রম ডিস্টেইনস। জার্মানরা যারা রেডিওতে খেলা শুনছিল কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না। হার্বাট তো রেডিওতে কেঁদে ফেলেছিল।
হয়ত পরবর্তী কোন এক সিরিজে আমি তুলে ধরব হাঙ্গেরি কেন হেরে গিয়েছিল এবং কিভাবে জার্মানরা এই দৈত্য বধে সক্ষম হয়েছিল।
এইদিকে WM ফরমেশনকে টেক্কা দেওয়ার জন্য প্রথম মডিফাই এবং মধ্যযুগে ঢুকল ফুটবল। আর সেই কাজটা করল ব্রাজিল। তাদের লিজেন্ডারি ৪-২-৪ সিস্টেম। তো এই সিস্টেমে ব্রাজিল যা করল তা হল ৬ নাম্বার হাফব্যাককে নিয়ে আসল ডিফেন্স লাইনে । যেহেতু ব্রাজিলে হাফব্যাকরা খুবই গতিময় ছিল, তাই কোচ নাম্বার ৬ কে লেফটব্যাকের দায়িত্ব দিল আর এইজন্য এখনো ব্রাজিল দল দেখলে আমরা দেখি আমাদের লেফট ব্যাকরা খুবই গতিময়, আর স্কিলফুল হয়। কিন্তু ইংল্যান্ডে সেইটা সম্ভব ছিল না। তাই তারা যেইটা করল নাম্বার ৬ কে সেন্টার ব্যাক হিসেবে শুরু করল। আর ৩ কে দেওয়া হল ফুলব্যাকের দায়িত্ব। আর নাম্বার ৮ কে নিয়ে আসা হল মিডে। আবার মধ্য ইউরোপে জার্মানিতে তারা যেইটা করল ৫ নাম্বারকে দায়িত্ব দিল সেন্টার ব্যাকের। অন্যদিকে নাম্বার ৬ তখনও মিডে থাকবে। তো আমরা এই পর্যন্ত যেটা বুঝলাম দক্ষিণ আমেরিকা নাম্বার ৬ কে ব্যবহার করত লেফটব্যাক হিসেবে। ইংল্যান্ড ব্যবহার করত সেন্টারব্যাক হিসেবে আর জার্মানি নাম্বার ৫ কে সেন্টার ব্যাক হিসেবে। তারমানে হল, জার্মানির নাম্বার ৬ দক্ষিণ আমেরিকার নাম্বার ৫(fernando redondo) আর ইংল্যান্ডের ৪ (rio)।
১৯৫০ সাল। হাঙ্গেরি তখন ফুটবলে রাজত্ব করছে। Márton Bukovi এর WW ফরমেশন তখন জনপ্রিয়। তখন বুখবির দেখানো পথে পা বাড়াল ব্রাজিলের কস্তা আর গাটম্যান। গাটম্যান আর কস্তা নিজেদের মত করে আলাদা ভাবে ৪-২-৪ সিস্টেম ডেভেলপ করেছিল। কিন্তু কস্তার ৪-২-৪ সিস্টেমটাই পরবর্তীতে ব্রাজিলের জন্য পারফেক্ট সিস্টেম হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। এইটার প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে গাটম্যান নিজে এসে ৫০ এর দিকে এই ধারণা ব্রাজিলেই কাজ শুরু করে দে। কস্তার ৪-২-৪ এর পিছনে মূল ধারনা ছিল “diagonal system”। এই ৪-২-৪ সিস্টেমে দলের ৬ জন প্লেয়ার একসাথে এটাকে যেতে পারত আবার ৬ জন একসাথে ডিফেন্ড করতে পারত। এর ফলে WM সিস্টেমের গুরুত্ব কমে যেতে লাগল। কস্তার ৪-২-৪ সিস্টেমের আরেকটি কারণ ছিল ব্রাজিলের ফুলব্যাকের ব্যবহার। ব্রাজিলের ফুলব্যাকরাই মূলত দলের সব থেকে বেশি স্ট্যামিনা বহন করে। তাই তাদের ফুলব্যাককে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য ৪-২-৪ এ ছিল ব্রাজিলের জন্য পারফেক্ট। এই ব্রাজিল দল শুধু মাত্র এই ৪-২-৪ ফরমেশন দিয়ে জয় করে নে ৩টি বিশ্বকাপ।
ব্রাজিলের তখন ফুটবল বিশ্বে জয়জয়কার। এখন দরকার নতুন আইডিয়ার। নতুন ধারনা ৪-২-৪ কে রুখে দেওয়ার জন্য। আসবে কি কেউ সামনে? জানতে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
পরবর্তী দ্বিতীয় পর্ব
canada drugs online Certified Canadian Pharmacies canadian pharmacies online
https://indiaph24.store/# indian pharmacy
http://canadaph24.pro/# 77 canadian pharmacy
india pharmacy Generic Medicine India to USA top online pharmacy india
http://mexicoph24.life/# mexican online pharmacies prescription drugs
pharmacy website india buy medicines from India best india pharmacy
https://canadaph24.pro/# buying from canadian pharmacies
http://indiaph24.store/# indian pharmacy paypal
buy terbinafine tablets – buy fluconazole 200mg for sale buy griseofulvin for sale
canada pharmacy online legit canadian pharmacies canadian mail order pharmacy
http://indiaph24.store/# indian pharmacy paypal
mail order pharmacy india Generic Medicine India to USA pharmacy website india
https://canadaph24.pro/# reliable canadian pharmacy
https://mexicoph24.life/# purple pharmacy mexico price list
medication from mexico pharmacy mexico pharmacy mexican rx online
http://canadaph24.pro/# online canadian pharmacy
rybelsus 14 mg ca – order desmopressin buy DDAVP paypal
mexican rx online Mexican Pharmacy Online pharmacies in mexico that ship to usa
https://canadaph24.pro/# best canadian pharmacy to order from
top online pharmacy india Cheapest online pharmacy best india pharmacy
https://mexicoph24.life/# mexican rx online
http://indiaph24.store/# top 10 online pharmacy in india
mexico drug stores pharmacies Online Pharmacies in Mexico medicine in mexico pharmacies
https://indiaph24.store/# buy medicines online in india
http://indiaph24.store/# top 10 pharmacies in india
reputable indian online pharmacy Generic Medicine India to USA Online medicine home delivery
http://canadaph24.pro/# safe canadian pharmacy
india pharmacy mail order indian pharmacy paypal best india pharmacy
https://indiaph24.store/# indian pharmacy online
http://mexicoph24.life/# medication from mexico pharmacy
mexican border pharmacies shipping to usa Mexican Pharmacy Online mexican online pharmacies prescription drugs
https://indiaph24.store/# legitimate online pharmacies india
india pharmacy Generic Medicine India to USA top online pharmacy india
https://canadaph24.pro/# canadian discount pharmacy
cheapest online pharmacy india Cheapest online pharmacy mail order pharmacy india
https://indiaph24.store/# indian pharmacies safe
mexican border pharmacies shipping to usa Mexican Pharmacy Online mexican border pharmacies shipping to usa
mexican border pharmacies shipping to usa mexican pharmacy best online pharmacies in mexico
http://indiaph24.store/# india online pharmacy
https://indiaph24.store/# india online pharmacy