গতির প্রতি মানুষের টান আজন্ম। মানুষ যেমন উড়তে চায়, তেমনি মানুষ দ্রুত গতিতে ছুটতে চায়। অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং মানুষের দ্রুত গতিতে ছুটে চলা ইচ্ছা পূরণ করে সেটা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মানুষ এখন চোখের পলকে এক স্থান থেকে অন্য স্থান থেকে ছুটে চলতে পারে। তবে দ্রুত গতির যতগুলো যানবাহন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয় মোটর বাইক কারণ মোটর বাইকের দাম মানুষের হাতে নাগালে এবং সে নিজে চালিয়ে এক গতির রোমাঞ্চ অনুভব করতে পারে। দ্রুতগতির বাইক চালানো অনেক মানুষের কাছে, কারো কারো কাছে প্যাশন। সবাই চায় সুপার বাইকের মালিক হতে। কিন্তু কি আছে সেই সুপার বাইকগুলোতে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১০. BMW K 1200S
সর্বোচ্চ গতি: ১৭৪ মাইল/ঘন্টা
বিএমডব্লউ কারের কথা আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু খুব মানুষই জানতেন বিএমডব্লই মোটরবাইকও তৈরি করে। বিএমডব্লউ কোম্পানির তৈরি এই বাইকটি তার সাসপেনশন এবং গতির সাথে সাথে শক্তিশালী ব্রেকের জন্যও বিখ্যাত। দূর্দান্ত গতিতে চলার সময় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাইকটি থামানোর জন্য রয়েছে কার্যকরী ব্রেক। বিএমডব্লই গাড়ীর মতো এই বাইকেরও রয়েছে নজরকাড়া ডিজাইন। এই বাইকটিতে রয়েছে ১১৫৭ সিসির ১৬ ভাল্বের চারটি সিলিন্ডার যুক্ত DOHC ইঞ্জিন এবং ৬-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন। এই বাইকের সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতা ১০২৫০ রাউন্ড পার মিনিট বা আরপিএমে ১৬৪ হর্স পাওয়ার এবং চাকার সর্বোচ্চ ঘূর্ণন হয় ১২৯ নিউটন-মিটার, যখন ইঞ্জিনের আরপিএম থাকে ৮২৫০। এই বাইকের সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতিঘন্টায় ১৭৪ মাইল। এই বাইকটি মাত্র ৩ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টা গতিবেগ তুলতে পারে।
৯. Aprilia RSV 1000R Mille
সর্বোচ্চ গতিবেগ: ১৭৫ মাইল /ঘন্টা
Aprilia RSV 1000R Mille মডেলের বাইকটি Aprilia কোম্পানির তৈরি করা সবচেয়ে দ্রুত গতির বাইক। বাইকটি রয়েছে ৯৯৮ সিসির ভি-টুইন ইঞ্জিন যেটি ১০০০০ আরপিএমে সর্বোচ্চ ১৪১.১৩ হর্স পাওয়ার শক্তি অর্জন করতে পারে এবং চাকার সর্বোচ্চ ঘূর্ণন ১০৭ নিউটন-মিটার যখন আরপিএম থাকে ৫৫০০। এই বাইকটি মাত্র ১০ সেকেন্ডে শূন্য থেকে প্রতি ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতিঘন্টায় ১৭৫ মাইল। বাইকটি আরও রয়েছে অসাধারণ ডিজাইন, সেরা মানের সিট এবং লিকুইড কুলার সিস্টেম।
৮. MV Agusta F4 1000R
সর্বোচ্চ গতিবেগ: ১৮৪ মাইল/ঘন্টা
MV Agusta F4 1000R বাইকটি ইতালিয়ান বাইক নির্মাতা কোম্পানির F4 1000 এর দ্বিতীয় সিরিজ এবং এই মডেলের খুবই অল্পসংখ্যক বাইক তৈরি করেছে কোম্পানিটি। তারা এই বাইকে ব্যবহার করেছে ১৬ ভাল্বের লিকুইড কুলিং সিস্টেম যুক্ত ১০০০ সিসির ইঞ্জিন যেটি ১৭৪ হর্স পাওয়ার পর্যন্ত শক্তি অর্জন করতে পারে, সেই সাথে এই মোটর বাইকের চাকার ঘূর্ণন ১০ হাজার আরপিএমে ১১৫ নিউটন-মিটার। এই বাইকটি মাত্র ৩.১ সেকেন্ডে শূন্য থেকে প্রতি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি অর্জন করতে পারে। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতিঘন্টায় ১৮৪ মাইল।
৭. Yamaha YZF R1
সর্বোচ্চ গতি: ১৮৬ মাইল/ঘন্টা
জাপানি মোটর বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ামাহার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাইক এটি। ১৯৯৮ সালে ইয়ামাহা সর্বপ্রথম R1 সিরিজের বাইক তৈরি করে এবং ২০১৭ সালে সর্বশেষ YZF R1 মডেলটি বাজারে এনেছে। এই বাইকটিতে রয়েছে চারটি সিলিন্ডার যুক্ত ১৬ বাল্বের লিকুইড কুলিং সিস্টেম যুক্ত ৯৯৮ সিসির DOHC ইঞ্জিন, যেটি ১৩৫০০ আরপিএমে ২০০ হর্স পাওয়ার পর্যন্ত শক্তি অর্জন করতে পারে এবং ১১৫০০ আরপিএমে চাকার সর্বোচ্চ ঘূর্ণন হয় ১১২.৪ নিউটন-মিটার। এই বাইকটি প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৮৬ মাইল বেগে ছুটতে পারে। বাইকটিতে আরো রয়েছে অ্যাডভান্সড অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম।
৬. Honda CBR 1100XX Super Blackbird
সর্বোচ্চ গতি: ১৯০ মাইল/ঘন্টা
Honda CBR 1100XX মডেলের বাইকটি হোন্ডা কোম্পানির সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইক। হোন্ডা এই সিরিজের বাইকগুলো ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তৈরি করেছে। ১৯৯৭ সালে হোন্ডা কোম্পানি Kawasaki ZX-11 কে পিছনে ফেলে সবচেয়ে দ্রুতগতির এই বাইকটি তৈরি করে। এই বাইকটিতে রয়েছে ১৫২ হর্স পাওয়ারের ১১৩৭ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন যেটি প্রতি ঘন্টায় ১৯০ মাইল পর্যন্ত গতি তুলতে পারে।
৫. Suzuki Hayabusa
সর্বোচ্চ গতি: ১৯৪ মাইল/ঘন্টা
সুজুকির এই বাইকটির নাম দেওয়া হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির পাখি পেরেগ্রিন ফ্যালকনের জাপানি নাম Hayabusa থেকে। এই পাখিটি ঘন্টায় ২০৩ মাইল বেগে উড়তে পারে, সুজুকির এই বাইকও প্রায় কাছাকাছি গতিতে ছুটতে পারে। এই বাইকটি সুজুকির সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইক, যেটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৯৪ মাইল গতি তুলতে পারে। এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ৪টি সিলিন্ডার যুক্ত ১৬ ভাল্বের ৪ স্ট্রোকের ১৩৪০ সিসির DOHC ইঞ্জিন, যেটি ৯৫০০ আরপিএমে সর্বোচ্চ ১৯৭ হর্স পাওয়ার শক্তি অর্জন করতে পারে এবং ৭২০০ আরপিএমে চাকার সর্বোচ্চ ঘূর্ণন হয় ১৫৫ নিউটন -মিটার। মাত্র ২.৫ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে এবং সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ১৯৪ মাইল।
৪. Kawasaki Ninja ZX-14R
সর্বোচ্চ গতি: ২০৮.১ মাইল/ঘন্টা
Kawasaki Ninja ZX-14R বাইকটি এই কোম্পানির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গতির বাইক যেটি প্রতি ঘন্টায় ২০৮.১ মাইল গতি তুলতে পারে এবং শূন্য থেকে প্রতি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সময় লাগে মাত্র ২.৭ সেকেন্ড, ৭.২ সেকেন্ডে ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪৪১ সিসির চার ভাল্বের লিকুইড কুলড ইঞ্জিন, যেটি ১০০০০ আরপিএমে ব্রেক হহর্স পাওয়ার ১৯৭.৩ এবং ৭৫০০ আরপিএমে চাকার ঘূর্ণন ১৫৮.২ নিউটন মিটার।
৩. MTT Turbine Superbike Y2K
সর্বোচ্চ গতি: ২২৭ মাইল/ঘন্টা
মেরিন টার্বাইন টেকনোলজির তৈরি এই বাইকটি বাজারে বিক্রির জন্য উৎপাদন করা হয়নি কিন্তু গিনেজ বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডসে এই বাইকটি ‘দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল প্রোডাকশন মোটরবাইক’ হিসেবে নাম লিখিয়েছে।এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে রোলস-রয়েস ২৫০-সি১৮ টার্বোশ্যাফট ইঞ্জিন, যেটি ৫২০০০ আরপিএমে সর্বোচ্চ শক্তি ৩২০ হর্স পাওয়ার অর্জন করতে পারে এবং বাইকটির চাকার সর্বোচ্চ ঘূর্ণন ৫৭৬.৫ নিউটন-মিটার, যখন আরপিএম ২০০০ থাকে। এই বাইকটি প্রতি ঘন্টায় ২২৭ মাইল বেগে ঝড়ের গতিতে ছুটতে পারে।
২. Kawasaki Ninja H2R
সর্বোচ্চ গতি: ২৪৯ মাইল/ঘন্টা
Kawasaki Ninja H2R বাইকটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গতির বাইক এবং এই কোম্পানির সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইক। এই বাইকটি ৩১০ হর্স পাওয়ার পর্যন্ত শক্তি অর্জন করতে পারে এবং প্রতি ঘন্টায় ২৪৯ মাইল পর্যন্ত গতি তুলতে পারে। এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ৩০০ হর্স পাওয়ারের সুপারচার্জড ৯৯৮ সিসি DOHC ইঞ্জিন, যেটি ১৪০০০ আরপিএমে সর্বোচ্চ ৩১০ হর্স পাওয়ার শক্তি অর্জন করতে পারে এবং ১২৫০০ আরপিএমে চাকার সর্বোচ্চ ঘূর্ণন হয় ১৫৬ নিউটন মিটার। বাইকটিকে আরো ব্যবহার করা হয়েছে MotoGP এবং F1 রেসিং বাইকের ডগ রিং ট্রান্সমিশন, যেটির সাহায্যে দ্রুত এবং মসৃণভাবে শ্যাফটিং করতে পারে।
১. Dodge Tomahawk
সর্বোচ্চ গতি: ৪২০ মাইল/ঘন্টা
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির বাইকের খেতাব পেয়েছে Dodge Tomahawk বাইকটি। এটির দানবীয় ৪২০ মাইল গতিবেগের জন্য এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইক। Dodge কোম্পানি সর্বপ্রথম ২০০৩ সালে এই বাইকটি বাজারে ছাড়ে, তারপর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯টি বাইক বিক্রি হয়েছে। এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে 8.3 Liter V-10 SRT Dodge Viper ইঞ্জিন, যেটি সর্বোচ্চ ৫০০ হর্স পাওয়ার পর্যন্ত শক্তি অর্জন করতে পারে। এই বাইকটি অন্য সকল বাইকের থেকে আলাদা, এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে চারটি চাকা। পিছনে দুইটি আর সামনে দুইটা চাকা রয়েছে এই বাইকের। এই বাইকটি শূন্য থেকে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে সময় নেয় মাত্র ১.৫ সেকেন্ড। এই বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন এবং এটির চাকার ঘূর্ণন ৪২০০ আরপিএমে ৭১২ নিউটন-মিটার।
order semaglutide 14mg online – how to get DDAVP without a prescription buy desmopressin medication