পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দুই হাত ছড়িয়ে যিশু রিও ডি জেনেরিও শহর কে যেন আলিঙ্গন করছে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও শহরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ যিশুর এই প্রতিকৃতির নাম ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার। বিশ্বের খুব বেশী মানুষের কাছে অচেনা বা অজানা নয় এই ভাস্কর্য। ব্রাজিল বিশ্বের বুকে বিখ্যাত তাদের ফুটবল,সাম্বা নৃত্য,আমাজন বন আর একটি বিশালাকার মূর্তি ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এর জন্য। যারা ব্রাজিলের ফুটবলের সাথে পরিচিত তারা ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের সাথে পরিচিত। ব্রাজিলের পরিচয় করিয়ে দিতে যদি কোন ভাস্কর্য কে দেখানো হয় তবে একমাত্র এই ভাস্কর্যের মাধ্যমেই সম্ভব।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও শহরের তিজুকা বনের জাতীয় পার্কে করকোভাদো পাহাড়ের চূড়ায় মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে যিশু ক্রিস্টের প্রতিকৃতির এই মূর্তি। সারা বিশ্বের খ্রিস্টানদের ধর্মীয় প্রতীক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার সাথে সাথে রিও ডি জেনেরিও ও ব্রাজিলের প্রতীক হিসেবে বিশ্বব্যাপী ব্রাজিল কে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার। রিও ডি জেনেরিও শহর সারা বিশ্বে বিখ্যাত তাদের কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকত ও ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের জন্য। পৃথিবীর নতুন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারও অন্যতম। ২০০৭ সালে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার কে পৃথিবীর নতুন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে একটি হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং সেই সাথে এটি কে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।ব্রাজিলের বিখ্যাত শহর রিও ডি জেনেরিওয়ের বিখ্যাত এই মূর্তির রয়েছে অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাস। সেই সব তথ্য ও অজানা ইতিহাস নিয়েই ইতিবৃত্তের এই আয়োজন।
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার সম্পর্কিত তথ্য
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান যিশু খ্রিস্টের একটি প্রতিকৃতি। এই প্রতিকৃতি টি তৈরি করেন ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি। পল ল্যান্ডোস্কির ভাবনায় বিশাল আকৃতির অপূর্ব এই মূর্তি কে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের ডিজাইন করেন ব্রাজিলিয়ান প্রকৌশলী হেইটর ডা সিলভা কস্তা। তাকে সহযোগিতা করেন অপর এক ফরাসী প্রকৌশলী আলবার্ট ক্যাকুয়ত। ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের মুখের অংশ তৈরি করেন রোমানিয়ান ভাস্কর হোর্হে লিওনাইদা। ৭১৩ মিটার বা ২৩৪০ মিটার উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি করা ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট উঁচু এই ভাস্কর্যের ওজন ৬৩৫ মেট্রিক টন। ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার কে যে বেদীর উপর বসানো হয়েছে সেই বেদীর উচ্চতা ৮ মিটার বা ২৬ ফুট। ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের এক হাত অন্য হাতের দূরত্ব ২৮ মিটার বা ৯২ ফুট। মূর্তিটি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে রিইনফোর্সমেন্ট কনক্রিট ও সাজিমাটি বা সোপস্টোন। বিশালাকার এই মূর্তিটি আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন অংশ তৈরি করে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
ইতিহাস
ষষ্ঠদশ শতকের দিকে ব্রাজিল যখন পর্তুগিজ শাসনের অধীনে ছিল তখন করকোভাদো সকলের কাছে ছিল এক অদ্ভুত পাহাড়। তখন এই পাহাড়ের নাম ছিল ” প্রলোভনের চূড়া”। এই পাহাড়ের নাম টি বাইবেলেও পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এই পাহাড়ের নাম হয় করকোভাদো পাহাড় যেটি এসেছিল “Bosse” শব্দ থেকে। এই পাহাড় টি ছিল তখন একদম দুর্গম ও ঘন জঙ্গল দ্বারা বেষ্টিত। ১৮২৪ সাল পর্যন্ত এই পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছানোর কোন রাস্তা ছিল না। ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা তারও অনেক পরে। ১৮৫৯ সালে এখানে আসেন পেদ্রো মারিয়া বস নামের একজন খ্রিস্টান পাদ্রি। তিনি এই জায়গাটির সৌন্দর্যে এত বেশী বিমোহিত হয়েছিলেন যে তিনি করকোভাদো পাহাড়ের চূড়ায় একটি যিশুর মূর্তি তৈরি করার জন্য ব্রাজিলের রাণী ইজাবেলার সাথে দেখা করেন। পরবর্তীতে তিনি রাণী ইজাবেলার সম্মানে রাণীর মূর্তি তৈরি করা প্রস্তাব দেন কিন্তু অর্থের কোন ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে তার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এর কয়েক বছর পরে করকোভাদো পাহাড়ে রেললাইন তৈরি করা হয়। ১৯৮৪ সালে ৯ অক্টোবর ব্রাজিলের রাজা দ্বিতীয় পিটার ৩৮২৪ মিটারের রেলপথ তৈরির কাজ উদ্বোধন করেন। এই রেলপথ তৈরি শুধুমাত্র কোন টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জ ছিল, সেই সাথে এই পাহাড়ে বলতে গেলে তেমন কিছু ছিল না এবং এটি পর্যটনের জন্যও তৈরি করা হয় নি কারণ সেই সময় পর্যটনের জন্য অর্থব্যয় ছিল উদ্ভাবনী চিন্তা কিন্তু সেই সময় ব্রাজিলে ছিল কৃষি নির্ভর অর্থনীতি।
নির্মাণের কারণ
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার ভাস্কর্য টি তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল ব্রাজিলের স্বাধীনতার একশ বছর কে স্মরণীয় করে রাখা। তখন বিশ্বের বেশ কয়েক টি দেশে তাদের স্বাধীনতার একশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশাল আকারের মূর্তি অথবা স্থাপনা তৈরি করেছিল। যেমন আমেরিকার স্বাধীনতার একশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রান্স “স্ট্যাচু অব লিবার্টি” উপহার দেয় এবং ফ্রান্স নিজেও একই ভাবে তাদের দেশের স্বাধীনতার একশ পূর্তি উপলক্ষে ১৮৮৯ প্যারিসে আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করে। পর্তুগাল হতে ব্রাজিলের স্বাধীনতা প্রাপ্তির একশ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বের বছর ১৯২১ সালে স্মারক হিসেবে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ব্রাজিল খ্রিস্টান প্রধান দেশ হওয়ার কারণে সে দেশের চার্চগুলো থেকে প্রস্তাব করা হয় যে যিশু খ্রিস্টের একটি মূর্তি করার জন্য। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ হওয়ার অনেক পূর্বে চার্চ ও প্রশাসন আলাদা হয়ে যায় এবং সেটা আলাদা ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ব্রাজিলের অনেক মানুষ চার্চের পুরোপুরি ধর্মীয় এই প্রস্তাব কে সমর্থন করেনি। কিন্তু চার্চের ক্ষমতার কাছে সবাই কে হার মানতে হয় এবং যিশু মূর্তি নির্মাণ করার জন্য করকোভাদো ও সান্তো আন্তোনিও স্থান দুইটি প্রাথমিক পছন্দ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে করকোভাদো কে তার উচ্চতার জন্য সর্ব সম্মতিতে বেছে নেওয়া হয়।
ফান্ড ও খরচ
১৯২৩ সালে ব্রাজিলের এই প্রকল্পের জন্য প্রকৌশলী বেছে নেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ব্রাজিলের স্থানীয় একজন প্রকৌশলী, হেইটর ডা সিলভা কস্তা কে সেই বছরের সেপ্টেম্বরে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে তিনি ” পারসোনালিটি অব দ্য টাইম” খেতাবে ভূষিত হন। তিনি প্রকল্পের জন্য যিশুর বিশাল আকৃতির একটি মূর্তি ডিজাইন করেন যেখানে একহাতে একটি ক্রস শরীরের সাথে জড়িয়ে ধরে অন্য হাতে একটি স্বর্গীয় পৃথিবী বা গোলক ধরে দাড়িয়ে আছেন। তিনি সকল ড্রইং,প্রজেক্টের জন্য আনুমানিক ব্যয়,প্রয়োজনীয় সময় এবং বিশেষ ভাবে কন্সট্রাকশন প্রক্রিয়াসহ সকল কিছু নির্ধারণ করেন কিন্তু প্রকল্প টি আর্থিক সংস্থান ও কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে শুরু হয় নি।
প্রকল্পের জন্য ফান্ড গঠন খুব ই কঠিন ছিল এবং চার্চের নাম করে একটি চ্যারিটেবল ফান্ড গঠনের চেষ্টা করা হলেও কোন উন্নতি হচ্ছিল না। সে সময় ব্রাজিলের চার্চ গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। চার্চ থেকে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয় যাতে করে যিশুর প্রতিকৃতি তৈরির এই প্রকল্পের জন্য সম্পূর্ণ অর্থের ব্যবস্থা হয়। তবে এখানে মনে রাখতে হবে ফান্ড গঠনের জন্য যে প্রচারণা চলছিল সেটা শুধুমাত্র ব্রাজিলে, সারা বিশ্বে না। এই ভাবে মানুষের বদান্যতার মাধ্যমে ফান্ড গঠন হচ্ছিল। আবার কখনো মানুষের কাছে থেকে কিছুটা জোর পূর্বক অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে ছিল “উইক অব দ্য মনুমেন্ট”। এই ইভেন্ট টি ১৯২৩ সালে সেপ্টেম্বরের ২-৯ তারিখ পর্যন্ত চলেছিল এবং জাতীয় পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ কে সমবেত করার চেষ্টা করা হয়। এই প্রকল্পের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমী একজন মানুষ ছিলেন কার্ডিনাল লিম। তিনি এ সময় তার প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেন বেশী সংখ্যক মানুষের কাছে যিশুর মূর্তি নির্মাণের জন্য দান করার অনুরোধের খবর টি পোঁছে দিতে । এই প্রচারণায় দাতাদের কে অনুরোধ করা হয় ১০ হাজারের বেশী ব্রাজিলিয়ান অর্থ দান করতে কিন্তু ক্যাম্পেইন শেষে দেখা যায় মাত্র অর্ধেক অর্থ সংগ্রহ হয়েছে।ফলে আরও একটি নতুন ক্যাম্পেইন এর প্রয়োজন দেখা দেয়।
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের খরচ ছিল আড়াই লাখ ডলার। কিন্তু এটি প্রকৃত হিসাব নয়। কারণ কারো কাছে এই প্রকল্পের তৈরির নির্মাণ উপাদান এবং বিভিন্ন কাজের ব্যয় জানা নাই। কিছু কিছু মানুষ বলে থাকেন যদি বর্তমান সময়ে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার তৈরি করা হতো তাহলে এটির নির্মাণ ব্যয় দাঁড়াত ৩.২ মিলিয়নে ডলারে যেটা এই স্মৃতিস্তম্ভের আকার অনুযায়ী তবু কম মনে করা হয়।
ডিজাইন পরিবর্তন
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের কাজ ১৯২২ সালের ৪ এপ্রিল শুরু করা হলেও তখন শুধু এই কাজের উদ্বোধন করা হয়েছিল। প্রকৃত কোন কাজ তখন শুরু হয় নি। এর পরের দুই বছর কেটে গেছে মূর্তির কিভাবে উন্নতি করা যায় এবং মূর্তি নির্মাণের উপকরণ পছন্দ করতে। ১৯২৬ সালের দিকে কাজ শুরু হলেও তারা খুব ধীরে কাজ টি করছিল। প্রকৌশলীরা বিভিন্ন মাপের কাঠের মডেল তৈরি করেছিল কাজের জন্য। ১৯২৮ সাল ছিল খুব ই গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। এই বছর প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশ রিভিউ করা হচ্ছিল। কিন্তু কিছু মানুষ ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের ডিজাইনে গঠন কে অনুপযুক্ত মনে করছিল। এমনকি তারা ক্রস এবং হাতের উপর গোলকের ডিজাইন দেখে হাসত। তারা এটির নাম দিয়েছিল ” বেলুন হাতে যিশু”। সে জন্য প্রকল্পের প্রকৌশলী তার ডিজাইন টি নিয়ে ভাবতে শুরু করলেন। সে কারণে তিনি করকোভাদো পাহাড় ও শহর থেকে পাহাড়ের উপর যে ভিউ সেটা নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করলেন। পরে তিনি শিল্পী কার্লোস অলওয়াল্ডের একটি প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। কার্লোস প্রস্তাব করেন যিশু নিজেই ক্রস হবেন এবং তিনি তার দুই হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাকে ক্রুশবিদ্ধ করা মানবজাতি কে ক্ষমা করেছেন এমন বোঝাবেন। কিন্তু নতুন ডিজাইনে একটি সমস্যা দেখা দেয় কারন দা সিলভা কস্তা চাচ্ছিলেন যিশুর এই মূর্তিটি যেন শহরের ৪ কিলোমিটার দূরের কেন্দ্র থেকে যে কোন ভাবে যেন দেখা যায়। কিন্তু এর জন্য মূর্তিটির হাতের জন্য শক্তিশালী সাপোর্ট দরকার। সে জন্য তিনি ব্যবহার করেন রিইনফোর্সড কনক্রিট যাকে বলা হতো ভবিষ্যতের নির্মাণ সামগ্রী।
কিন্তু আরেক সমস্যা দেখা দিল। রিইনফোর্সড কনক্রিট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান দরকার। সে জন্য তিনি ইউরোপে যান। সেখানে তিনি আন্তোনি বোর্ডালের সাথে দেখা এর সমাধান বের করেন। এখানেই শেষ নয় এরপর ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি কে পছন্দ করেন যার উপর দায়িত্ব ছিল স্মৃতিস্তম্ভ টি তৈরি করার। তিনি রোমানিয়ান ভাস্কর হোর্হে লিওনিদা কে অনুরোধ করেন যিশুর প্রতিকৃতির মুখাকৃতির কাজ করে দিতে। ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের ডিজাইনার ছিলেন সিলভা কস্তা,ড্রাফটসম্যান ছিলেন কার্লোস অসওয়াল্ড এবং ভাস্কর ছিলেন পল ল্যান্ডোস্কি ও হোর্হে লিওনিদা। তবে এত উঁচু তে কনক্রিটের স্থাপত্য তৈরি করার জন্য সিলভা কস্তা ফরাসি ইঞ্জিনিয়ার আলবার্ট ক্যাকুয়ত কে কনক্রিটের কাজ টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন। এভাবে ই তৈরি হয় বিশ্বসেরা একটি প্রকল্পের জন্য বিশ্বসেরা একটি নির্মাণ দল।
বিশেষজ্ঞ দল গঠন করার পর কাজ শুরু করা হয়।সবার প্রথমে পল ল্যান্ডোস্কি অসওয়াল্ডের ড্রইং কে মডিফাই করেন। তারপর তিনি কাঁদামাটি দিয়ে মূর্তির মাথা ও হাত তৈরি করেন। মূর্তির প্রতিটি অংশ প্যারিসে তৈরি করে নৌকায় করে রিও তে পাঠানো হতো এবং প্রকল্পে স্থানে যারা থাকতেন তারা সিমেন্ট দিয়ে তৈরির জন্য মাটির মডেল গুলো গ্রহণ করতেন যে কারণে সময় বেশী লাগত। এরপর করকোভাদো পাহাড়ে মূর্তির স্টিল ফ্রেম ও বেস তৈরি করা হয়। কিন্তু কি সিমেন্ট নির্মিত মূর্তিটি কি দিয়ে ঢাকা হবে সেটার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়। পরে কোটিং হিসেবে সাজিমাটি বা সোপস্টোন ব্যবহার করা হয়।
উদ্বোধন
১৯৩১ সালে ১১ অক্টোবর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার কে প্রাদেশিক গভর্নর ভারগাস ও কার্ডিনাল দম সেবাস্তিয়াও লিম কে দিয়ে উদ্বোধন করা হয়। সেই থেকে সগৌরবে দাড়িয়ে আছে ক্রাইস্ট ডি রিডিমার।
তথ্যসূত্র:
১. https://www.wonders-of-the-world.net/Christ-the-Redeemer/History-of-Christ-the-Redeemer.php
২. http://www.softschools.com/facts/wonders_of_the_world/christ_the_redeemer_facts/76/
৩. https://en.m.wikipedia.org/wiki/Christ_the_Redeemer_(statue)