নিকোলাস জেমস : জীবন-যুদ্ধে জয়ী নির্ভীক এক জীবন্ত কিংবদন্তি
“ ঈশ্বর আমাকে এভাবে জন্ম দিয়েছেন এবং আমার সঙ্গে যা যা হয়েছে , তার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো পরিকল্পনা রয়েছে । তুমি তোমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাও এবং ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখো , তিনি তোমাকে ফেরাবেন না ।”
এমনই অটুট বিশ্বাস নিয়ে জীবন যুদ্ধে প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছেন অআত্মবিশ্বাসে ভরপুর অদম্য এক যোদ্ধা ৷ সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের নানা অজুহাতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিশ্ব দরবারে অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী নাম নিকোলাস জেমস ৷ পুরো নাম নিকোলাস জেমস ভয়েইচিচ ৷
নিক পেশায় একজন প্রেরণা সৃষ্টিকারী বক্তা এবং খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক ৷ কণ্ঠ দিয়েই বিশ্ব জয় করেছেন তিনি ৷ এখন পর্যন্ত পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ৬০টি দেশে ঘুরে প্রেরণা যুগিয়েছেন চল্লিশ লক্ষাধিক মানুষের মনে ৷ নিজে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে গেলেও ছোটবেলায় বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন। বিদ্যালয়ে, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সর্বদা তাকে লাঞ্ছনার শিকার হতে হতো দেহের আকৃতির জন্য। কারণ তিনি জন্মেছিলেন হাত-পা বিহীন একজন বিকলাঙ্গ শিশু হিসেবে ৷
১৯৮২ সালের ৪ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বরিস-ডিউসকা দম্পতি অন্য আর আট-দশটা বাবা- মায়ের মতোই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানের মুখ দেখবেন বলে ৷ কিন্তু হায় ! অদৃষ্টের পরিহাসে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া শিশুটি যে অস্বাভাবিক এক রূপ নিয়ে পৃথিবীতে আসে ৷ হাত-পা বিহীন শুধু দেহ নিয়ে জন্ম নেয় শিশুটি ৷ টেট্রা অ্যামেলিয়া সিনড্রোম (tetra-amelia syndrome) নামে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে হাত-পা ছাড়াই জন্ম হয় শিশুটির ৷ এই শিশুটিই হচ্ছে আজকের নিকোলাস জেমস বা সংক্ষেপে নিক ৷
একটি শিশু জন্মের পরে যেখানে বাবা-মা পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে ধরেন সেখানে নিককে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তাঁর বাবা-মা৷ কিন্তু নিজের সন্তান বলে কথা৷ নিকের বাবা তাঁর মাকে বোঝায় – দেখ, সে দেখতে কতো সুন্দর ! পরবর্তীতে “ঈশ্বরের ইচ্ছে” হিসেবেই মেনে নেন ছোট্ট শিশুটিকে তাঁরা ৷ বাবা-মা নিজেদের কষ্টকে চাপা দিয়ে ছেলের মুখ চেয়ে শুরু করলেন এক নতুন জীবন যুদ্ধ ৷
নিকের বাবা ছিলেন প্রথম থেকেই তাঁর সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ৷ বাবা তাঁকে বলতেন; “তুমি বিধাতার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য উপহার, শুধুমাত্র একটু ভিন্ন মোড়কে ৷”
কিন্তু সমাজের কটু দৃষ্টি আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁর জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল ৷ হাঁপিয়ে উঠছিল নিক ৷ এমনকি তৎকালীন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের আইনের কারণে মূল ধারার স্কুলেও ভর্তি হতে পারছিল না ৷ পরবর্তীতে আইন পরিবর্তিত হলে স্কুলে ভর্তি করাতে সক্ষম হয় তাঁর বাবা-মা ৷ প্রথমদিকে স্কুল জীবন মোটেও সুখকর ছিল না তাঁর ৷ সহপাঠীদের হাসাহাসি আর অবজ্ঞায়, কোন বন্ধুও ছিল না ৷ এরই ফলশ্রুতিতে ৮ বছর বয়সেই চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন ছোট্ট নিক ৷ যে বয়সে একটা শিশুর রঙিন শৈশব শুরু হয় সেই বয়সেই নিকোলাস সম্মুখীন হয় কঠিন বাস্তবতার ৷ জীবনের প্রতি ঘৃণা জন্মে যায় তার ৷ পরিণামে ১০ বছর বয়সে সে নিজেকে বাথটাবে ডুবিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ কিন্তু বাবা-মা আর ভাইবোনের (মিশেল এবং অ্যারোন নামে পরবর্তীতে তাঁর আরও দুইজন ভাইবোনের জন্ম হয়) ভালোবাসার কাছে হার মানতে বাধ্য হয় শেষ পর্যন্ত ৷ যদিও হতাশাগ্রস্ত নিক তাঁর আত্মহত্যার নোটে ছোটবেলাকে “আশ্চর্যজনক স্বাভাবিক শৈশব” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ৷
নিক সবসময় মনে-প্রাণে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন যেন দৈববলে হাত-পা সৃষ্টি হয়ে যায় তাঁর ৷ অভিমানভরে বলতেন, “তুমি যদি আমার অনুরোধ না শোনো, তবে আর কখনো আমি তোমার সাহায্য প্রার্থনা করবো না।” নিকের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটে যখন তাঁর মা পত্রিকায় একটি খবর পড়তে দিলেন তাঁকে ৷ এটা ছিল ভয়াবহভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে নিয়ে লেখা। তখন নিক বুঝতে পারলেন, পৃথিবীতে শুধু তিনি একা নন, আরও অনেকেই তাদের নিজেদের জীবনে অনেক সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছেন, এগিয়ে চলেছেন।
এরপরেই তিনি নিজের জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করতে শুরু করেন। শুরু হয় তার নতুন পথচলা ৷ আর থামতে হয়নি তাকে ৷
কুইন্সল্যান্ডের রানকর্ন স্টেইট হাইস্কুলে তিনি ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হন ও সেই সময় থেকেই নিজের বন্ধুদেরকে নিয়ে বিভিন্ন দাতব্য কাজ শুরু করেন ৷
পূর্ণাঙ্গ হাত পা না থাকলেও বাম কোমরে দুই আঙুল বিশিষ্ট অপরিণত একটি পা রয়েছে তাঁর ৷ সফল অস্ত্রোপচার দ্বারা পায়ের আঙ্গুল দুটিকে পৃথক করা হয় যাতে তিনি ভারসাম্য রক্ষা করে চলাফেরা করতে পারেন ৷ দুটি আঙ্গুলকে তিনি নিজেই অভিহিত করেছেন “চিকেন ড্রামস্টিক” হিসেবে ৷ এই ড্রামস্টিক দিয়েই তিনি নিজেই পানির গ্লাস নিয়ে পানি খেতে পারেন, টেনিস বল ছুঁড়ে মারতে পারেন, নিজের চুল নিজেই আঁচড়ান ও দাঁত ব্রাশ করেন, শেভ করেন। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, নিক গলফ খেলেন, সাঁতার কাটেন, এমনকি স্কাই-ডাইভিং করার মত রেকর্ডও আছে তাঁর! সম্প্রতি সার্ফিং করতেও দেখা গেছে তাঁকে ৷
মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁর হাইস্কুলের এক দারোয়ান তাঁকে জনসম্মুখে তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বক্তৃতা দেয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। তখন থেকেই হয় তাঁর জাদুকরী বক্তৃতার সূচনা ৷ তিনি প্রথম দিকে বাচ্চাদের স্কুলে এবং চার্চে বক্তৃতা দিতেন ৷ একবার এক বক্তৃতা কালে এক বাচ্চা মেয়ে হঠাৎ এসে বললো, আমি কি তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারি। নিকের অবশ্যই উত্তরটা শোনার সাথে সাথেই বাচ্চাটা নিককে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে বলে, “ কেউ কখনোই আমাকে বলেনি আমি দেখতে যেমন তাতেই আমাকে সুন্দর দেখায় ৷” তখনই তিনি অনুধাবন করেন প্রত্যেকটি মানুষই ভালোবাসা এবং অনুপ্রেরণা চায় ৷
নিক দমে যাননি কখনোই ৷ তিনি বলেন –
“আমি উঠে দাঁড়াবার জন্য শতবার চেষ্টা করবো, যদি শতবারই ব্যর্থ হই তবুও ব্যর্থতা মেনে নিয়ে সেটা ছেড়ে উঠবো না। আমি আবার চেষ্টা করবো এবং বলবো, এটাই শেষ নয় ৷”
একবার স্নাতক করতেই যেখানে গলদঘর্ম অবস্থা হয় নিকোলাস ২১ বছর বয়সেই গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব কমার্স ডিগ্রি ও পরে ‘ডাবল মেজর ইন একাউন্টেসি এন্ড ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানিং’ এর উপর ডিগ্রি লাভ করেন ৷ ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের পর অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ শুরু করেন।
ধীরে ধীরে মানুষের কাছে তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন যে ঘন্টায় এক হাজার আটশত লোককে বুকে জড়িয়ে ধরার জন্য গিনেজ বুকেও নাম উঠেছে তাঁর। তিনি কারো বোঝা হয়ে জীবন ধারণ করতে শিখেন নি৷ বরং দেখিয়েছেন কিভাবে শুধু ইচ্ছা শক্তির জোরে জয় করা যায় সবকিছু ৷ মাত্র দুইটি আঙ্গুল থাকা সত্ত্বেও তিনি কম্পিউটারে “hill and toe” পদ্ধতিতে মিনিটে ৪৫টি শব্দ টাইপ করতে পারেন, যা একজন সুস্হ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষেও কষ্টকর বটে৷
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন “Life Without Limbs” নামে নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন ৷ পরবর্তীতে ২০০৭ সালে “Attitude is Attitude” নামে আরেকটি মোটিভেইশনাল স্পিকিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন ৷
এছাড়াও যুব সমাজকে লক্ষ্য করে “No Arms, No Legs, No Worries!” নামের একটি ডিভিডি প্রকাশ করেন। অভিনয় করেন “The Butterfly Circus” নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও ৷
বদলে যেতে শুরু করে নিকের জীবন ৷ খ্যাতি, যশ, মানুষের ভালোবাসা সবকিছু ছাপিয়ে তাঁর মনের গহীনে কষ্ট ছিল একটাই, একজন সঙ্গীর ৷ যত যোগ্যতাই থাকুক, অঙ্গহীন একজন মানুষকে কোন মেয়ে সজ্ঞানে ভালবাসবে না এই আতঙ্ক আচ্ছন্ন করে রাখতো তাঁকে সবসময় ৷
কিন্তু সৃষ্টিকর্তার লীলাখেলা বুঝার সাধ্য কি সবার আছে! নিকের সেই ধারনা ২০০৮ সালে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে তাঁর জীবনে আসে এক রমণী । জাপানী বংশোদ্ভূত আমেরিকান ওই নারীর নাম “ক্যানায়ে মিয়াহারা”। প্রথম দেখাতেই নিকের হৃদয় জয় করে নেয় ক্যানায়ে ৷
ভালোবাসার সামনে পৃথিবীর সব প্রতিবন্ধকতাই নস্যাৎ তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে নিক-ক্যানায়ে দম্পতি ৷ ২০১১ সালে নিক মিয়াহারকে খ্রিষ্টান প্রথা অনুযায়ী রিং পরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় ৷ সবাই ভেবেছিল নিকের পক্ষে রিং পরানো সম্ভব হবে না ৷ সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটিও ঘটিয়ে দেখায় নিকোলাস ৷ নিক যখন ক্যানায়েকে বলে “ আমি কি তোমার হাতে চুমু খেতে পারি?” নির্দ্বিধায় হাত এগিয়ে দেয় ক্যানায়ে ৷ হঠাৎ করে সে অনুভব করে নিক তাঁর আঙ্গুলে কামড়ে দিয়েছে৷ এরপর নিক মুখ খুলে ফেললে ক্যানায়ে লক্ষ করে তার আঙ্গুলে মুখ দিয়ে রিং পরিয়ে দিয়েছে নিক! আবেগে ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলেন ক্যানায়ে ৷
অতঃপর ২০১২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন ৷ নিকের ব্যক্তিত্ব আর রসবোধের কাছে শারীরিক অক্ষমতা ঠুনকো মনে হয়েছিল ক্যানায়ের কাছে ৷
ক্যানায়ের ভাষায়, “নিক যেমন আছে তা দেখেই আমি তাঁকে ভালবেসেছি ৷ একজন জীবনসঙ্গী হিসেবে যে গুণ গুলো আমি সবসময় চাইতাম তার সবই আমি খুঁজে পেয়েছি নিকের ভেতর ৷ আমি মনে করি সে-ই আমার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। তাঁকে বিয়ে করে আমি কোন ভুল করিনি ৷”
একবার সাংবাদিকরা ক্যানায়েকে প্রশ্ন করেছিলো – “আপনার সন্তানও যদি ভয়েইচিচ এর মতো হয় তাহলে…. !” প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন “তবে আমি তাকে আরেকজন নিক ভয়েইচিচ হিসেবে তৈরি করবো।”
সবচেয়ে আনন্দের সংবাদটি হচ্ছে, তাঁদের ঘরে ফুটফুটে দুটি পুত্র সন্তান আছে ৷ ২০১৩ সালে তাদের প্রথম পুত্র কিয়োশি ও ২০১৫ সালে তাদের দ্বিতীয় পুত্র দিজান ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসে ৷ স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিক বর্তমানে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া তে বসবাস করছেন ৷
সম্প্রতি ২০১৭ সালের বাবা দিবসে অভূতপূর্ব এক সংবাদ পাওয়া যায় নিকোলাসের ফেইসবুক পেইজ থেকে, তিনি এবং ক্যানায়ে যমজ কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা-মাতা হতে যাচ্ছেন ৷
জীবনের শুরুটা অপ্রাপ্তি দিয়ে শুরু করলেও প্রাপ্তির খাতাটা ক্রমশ বেড়েই চলেছে তাঁর ৷
বর্তমানে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত মোটিভেইশনাল স্পিকার হিসেবে । তার বক্তৃতা শুনে হাজার হাজার মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে । স্রষ্টায় বিশ্বাসী এই মানুষটি এখন আর সৃষ্টিকর্তাকে দোষারোপ করেন না৷ উল্টো বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তার প্রত্যেকটি কাজের পেছনেই কোন উদ্দেশ্য থাকে যার ফলাফল সবসময়ই ভালো হয় ৷
তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল, যখন আমি সব জায়গায় ধাক্কা খাচ্ছিলাম। কিন্তু ব্যর্থতা আমাকে পরাজিত করতে পারেনি। আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি ৷”
তিনি শুধু একাই এগিয়ে যাননি, চারপাশের হতাশাগ্রস্ত মানুষদেরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হচ্ছে তাঁর জীবনের মতো ৷
নিজের কাজ, জীবন দর্শন, অভিজ্ঞতা সবকিছু়ই তিনি টিভি শো এবং লেখার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেন। ২০১০ সালে তাঁর রচিত প্রথম বই “Life Without Limits: Inspiration for a Ridiculously Good Life” প্রকাশিত হয়। এটি প্রায় ৩০ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে বেস্ট সেলার খেতাব অর্জন করে ৷ পরবর্তীতে আরও বই বের করেন যেগুলোও প্রায় সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করে ৷ বইগুলো হচ্ছে –
Your Life Without Limits (2012),
Limitless: Devotions for a Ridiculously Good Life (2013),
Unstoppable: The Incredible Power of Faith in Action (2013),
The Power of Unstoppable Faith (2014), Stand Strong (2015),
Love Without Limits (2016)
এছাড়াও বর্তমানে তিনি “Be the Hands and Feet: Living Out God’s Love for All His Children” নামে আরেকটি বইয়ের পাণ্ডুলিপির কাজ করছেন যা ২০১৮ সালে প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
কেবল লেখক হিসেবেই সমাদৃত হননি নিক , ঝুলিতে যুক্ত আছে সেরা অভিনেতার পদকও ৷ “The Butterfly Circus” এ “উইল” চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য “Method Fest Independent Film Festival” এ পুরষ্কার পান তিনি ৷ চলচ্চিত্রটি “Doorpost Film Project” এ প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।
এছাড়াও ২০০৫ সালে “Young Australian of the Year Award’” পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হন ৷
নিক তাঁর পরিবারের সহায়তায় সমস্ত ভয়, প্রতিকূলতা, লাঞ্ছনা সবকিছুকেই জয় করতে পেরেছেন ৷ তাইতো তিনি আজ নিকোলাস জেমস ৷ তিনি হয়তো কখনো কখনো ভেঙ্গে পড়েছেন কিন্তু বিশ্বাস হারান নি ৷ ৩৫ ছুঁই ছুঁই এই নির্ভীক কিংবদন্তি আজো আশায় থাকেন অলৌকিক কিছু ঘটার তাইতো তিনি তাঁর কাভার্ডে এক জোড়া জুতা সবসময়েই রেখে দেন ৷
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি একটি চিঠিতে বলেন –
“Dream big my friend and never give up. We all make mistakes, but none of us are mistakes. Take one day at a time. Embrace the positive attitudes, perspectives, principles and truths I share, and you too will overcome.”
তথ্যসূত্র :- Wikipedia , IMDb.com,
http://motivation-inspiration.weebly.com/nick-vujicic.html
http://ipost.christianpost.com/post/the-beautiful-love-story-of-nick-vujicic-and-his-wife-kanae-miyahara, Youtube, সময়ের কণ্ঠস্বর