ইতিহাসের কিছু রহস্যজনক গণনিখোঁজ এর ঘটনা – যা আজ অবধি অমিমাংসিত
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে , মানুষ নিখোঁজ হয় সব সময়। আর প্রিয় মানুষের হাজার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কখনও কখনও হারিয়ে যাবার পেছনের কারণগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু একই সাথে যখন অনেক মানুষ নিখোঁজ হয়ে যায়, তখন বিষয়টা আমাদের একটু ভাবায়। আবার এমনও হতে পারে যে দৃঢ় কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই একটা পুরো সভ্যতা গায়েব হয়ে গেল। এমনই কিছু রহস্যময় নিখোঁজ সংবাদ নিয়ে আজকের আয়োজন ।
S S Waratah জাহাজটির ঘটনা
১৯০৯ এর জুলাই মাসে S S Waratah মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া থেকে সাউথ আফ্রিকার কেপ টাউনে যাবার সময় ডারবান এ থামে। যাত্রী আর নাবিকদল সহ মোট ২০০ জন মানুষ ছিল জাহাজটিতে কিন্তু ডারবান ছেড়ে যাবার সময় ক্লদ সয়ার নামের এক যাত্রী রয়ে যায় জাহাজটিতে। ২৬ জুলাই সকাল ৮টায় কেপ টাউন বন্দর ছেড়ে সমুদ্রে যাত্রা করে Waratah। পরেরদিন সকাল ৬টায় Clan McIntyre নামের আরেকটি জাহাজকে পার করে সামনে এগিয়ে যায় এবং হারিয়ে যাবার আগে পর্যন্ত বার্তা আদান প্রদান করে।
Clan McIntyre জাহাজের প্রধান নাবিকের তথ্যানুযায়ী, যখন Waratah তাদের জাহাজ অতিক্রম করে তখন সমুদ্রে ভয়ানক ঝড়ের কারণে নয় মিটার উচু ঢেউ ছিল। আরো দুই জাহাজ এর প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সমুদ্রে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আর মৃতদেহ দেখা গিয়েছিল, যদিও পরবর্তীতে কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। ১৯৮০ সালে লেখক ক্লাইভ কাস্লার এর অর্থায়নে পরিচালিত এক অভিযান দাবি করে যে তারা S S Waratah এর খোঁজ পেয়েছে। যখন জাহাজের ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়া হল তখন দেখা গেল যে জাহাজটি আসলে ২য় বিশ্বযুদ্ধে পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত জাহাজ এর ধ্বংসাবশেষ ছিল। S S Waratah এর ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছিল তা এখনও রহস্য হয়ে আছে।
আজটালান ইন্ডিয়ানস
সাউথ সেন্ট্রাল উইসকন্সিন এর ছোট শহর লেক মিলস থেকে একটু দূরে ক্রফিশ নদীর ধারে ছিল আমেরিকান আদিবাসীদের শহর আজটালান। ১৮৩৬ সালে Wisconsin এ যারা বসতি স্থাপন করে তারা ধরে নেয় যে সেই জায়গায় যারা থাকতো তাদের সাথে অ্যাজটেকদের হয়ত কোন সম্পর্ক আছে। তাই সেই জায়গার নামকরণ করা হয় আজটালান। এই প্রাচীন শহরের আদিবাসিন্দাদের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে পাওয়া গেছে ধাপযুক্ত পিরামিড, মোচাকৃতির ঢিবি, বাড়ীর আলামত , মাছ ধরার এবং জমিচাষের আলামত। আর খোঁজ মিলেছে প্রায় ৩০ টি পাহারা দেয়ার দালানের ধ্বংসাবশেষ যেগুলো প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হত।
লোক কাহিনী মতে লেক মিলস এর রক লেক এর নিচে আজটালান ইন্ডিয়ানরা পাথরের বড় বড় পিরামিড বানিয়েছিল যা পরে পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল যে কারণে এই কাহিনীর সত্যতা প্রমাণ করা কিছুটা দুষ্কর। ধারণা করা যায় যে, আজটালান শহের ৭০০ থেকে ১০০০ বছর আগে প্রায় ৫০০ জন মানুষের কোলাহলে সরব ছিল। কিন্তু ১৩০০ সালের কিছু পরে এই জায়গা থেকে মানুষজন কোন এক রহস্যময় কারণে একেবারে চলে যায়। Wisconsin Natural Resources Magazine এর এক প্রবন্ধে আজটালান সভ্যতা বিলুপ্ত হওয়ার পেছনে খরা, খাদ্যদ্রবের অভাব, আর নিকটবর্তী আদিবাসীদের নাশকতাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে এই সভ্যতার বিলুপ্তি এখন লোককথা আর স্থানীয় ইতিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে ঘুরে আসুন নিচের এই লিংক থেকে –
হারানো শহর আজটালান: অ্যাজটেক সংস্কৃতির জন্মস্থান
দ্য নাইন্থ লিজন
ব্রিটেন যখন রোমানদের শাসনে, তখন দ্য নাইন্থ লিজন ইংল্যান্ড এর ইয়র্ক এ অবস্থান করছে। রোমান এই বাহিনীতে প্রায় ৫০০০ সৈন্য ছিল। সৈন্যবাহিনীর এই দল বর্তমান স্কটল্যান্ড এবং উত্তর ইংল্যান্ডের বর্বর নিবাসীদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিল। ১০৮ সালে এই বিশাল সৈন্যদলকে ইয়র্ক থেকে সরিয়ে অন্য এক শহরে পাঠানো হয়। তবে ৫০ বছর পর যখন জরিপ করা হয় তখন তালিকায় এই নবম সৈন্যদলের কোন তথ্য প্রকাশিত হয়নি। এমন কি হয়েছিল যে এতগুলো সৈন্যের অস্তিত্বের কোনরকম চিহ্ন রাখা হয় নি? রোমান এক লেখকের মতে, ২য় শতাব্দীর প্রথম দিকে ব্রিটেন এ অনেক রোমান সৈন্যকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর ৬ষ্ঠ বাহিনিকে আনা হয় ১২২ সালের দিকে। আর এই সৈন্যরাই পরে ইয়র্ক এ বসতি গড়ে।
তবে নবম দলটির কি ঘটেছিল তার কোন বিবরণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। অনেকের মতে এই দলকে অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছিল যদিও এই তথ্যের কোন প্রমাণ নেই। সেই একই সময়ে ২য় শতাব্দীতে সম্রাট হেদ্রিয়ান ব্রিটিশ আইল পরিদর্শনে আসেন। ব্রিটেন এর উপর রোমানদের অত্যাচার শিথিল করার উদ্দেশে রোমান আর ব্রিটিশ অধ্যুষিত এলাকার মাঝ বরাবর ৭৩ মাইল লম্বা ১৫ ফুট উঁচু শক্তিশালী দেয়াল স্থাপন করা হয়। হেদ্রিয়ান এর দেয়াল এখনও আছে কিন্তু সেই সৈন্যদলের ভাগ্যে কি ঘটেছিল টা আজও অজানা- হয়ত চিরকাল অজানাই থেকে যাবে।
ফ্লাইং টাইগার লাইন ফ্লাইট ৭৩৯
১৯৬২ সালের ১৬ই মার্চে সেনাবাহিনীর ৯৬ জন কর্মকর্তা বহনকারী ফ্লাইং টাইগার লাইন ফ্লাইট ৭৩৯ ইউএস থেকে ভিয়েতনাম এ যাত্রা করার কথা ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার ত্রাভিস এয়ার বেইস থেকে যাত্রাপথে ফ্লাইটটি বেশ কিছু স্থানে জ্বালানি নেয়ার জন্যে থামার কথা ছিল। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু গুয়াম থেকে ফিলিপাইন এ যাবার পথে সবকিছু উলট পালট হয়ে গেল।
গুয়াম থেকে ছেড়ে যাবার পর ফ্লাইট এর দিক ১০,০০০ফিট থেকে ১৮,০০০ ফিটে পরিবর্তনের আবেদন আসে । পরিবর্তনের ২ ঘণ্টা পরে ফ্লাইট ৭৩৯ অথবা ফ্লাইট এ অবস্থানরত সেনা কর্মকর্তাদের আর কোন খবর পাওয়া যায় নি। তাদের নিখোঁজ হবার পেছনে নির্ভরযোগ্য কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। নানা মত অনুযায়ী হাইজ্যাক অথবা নাশকতাকে কারণ হিসেবে মনে করলেও এর কোন ভিত্তি নেই। যে বিষয়ে সকলে একমত তা হল, ফ্লাইট গায়েব হওয়ার ব্যাপারটা অনেকটাই নাটকীয় এবং ঘটনা এত দ্রুত ঘটে গেছে যে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ সাহায্য প্রার্থনার সুযোগটুকুও পাননি। ফ্লাইট ৭৩৯ এর মত করে ঘটনার পেছনের আসল সত্যটাও হারিয়ে গেছে ।
জিম্বাবুয়ের হারিয়ে যাওয়া জনপদ
“জিম্বাবুয়ে” শব্দটি একটি আফ্রিকান শব্দের ইংরেজিকরণ যার মানে হল “পাথরের বাড়ি” আর এই শব্দের উৎস এক রহস্যময় শহর: গ্রেট জিম্বাবুয়ে । ধরেই নেয়া হয় যে কোন বিশাল জনগোষ্ঠী কোনরকম চিহ্ন না রেখে উধাও হয়ে যেতে পারেনা। কিন্তু গ্রেট জিম্বাবুয়ে এর জনগনের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে আর এই কারনেই ঘটনাটি বিশাল এক রহস্য হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। ১৮,০০০ মানুষের বিশাল এই জনসংখ্যা ৪০০ বছর আগে কেন এবং কিভাবে হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল তা আজও অজানা।
পরিত্যক্ত শহরটি সম্পূর্ণ গ্রানাইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। ধ্বংসস্তূপ থেকে বেশ কিছু হাতে তৈরি জিনিস, তামা, লোহা আর দস্তার তৈরি সামগ্রী পাওয়া গেছে যা সেই জনগোষ্ঠীর বাণিজ্য আর ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে ধারণা বহন করে। কিন্তু এত কিছুর পর ও জিম্বাবুয়ের হারিয়ে যাওয়া এই বিশাল জনপদের আসল পরিচয় এবং এই জায়গা ত্যাগ করার কারণ সম্পর্কে কোন তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।
এস এস পোয়েট
এস এস পোয়েট নামের এই জাহাজটি ২য় বিশ্বযুদ্ধে সেনা পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হলেও যুদ্ধের পর প্রায় ২০ বছর আর ব্যবহৃত হয়নি। জাহাজটি পুরনো হলেও ভাল অবস্থায় থাকার ফলে একে মালবাহী জাহাজ হিসেবে পুনরায় ব্যবহার করা শুরু হয় । ১৯৮০ সালে ৩৪ জন অভিজ্ঞ নাবিক আর ৪১ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্যাপ্টেন সমেত জাহাজ রহস্যময় ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়।
১৯৮০ সালের ২৪ অক্টোবর সকালে ফিলাডেলফিয়া থেকে ভুট্টার চালান নিয়ে মিশরে যাবার পথে কেপ হেনলপ পার করার পর আটলান্টিকের দিকে এগোনোর সময় পোয়েট থেকে শেষ বার্তা পাঠানো হয়। পরেরদিন আটলান্টিকের উত্তরে ঝড় আঘাত হানে যার ফলে সমুদ্রে ৩০ ফিট উঁচু ঢেউ তৈরি হয়।তবে পোয়েট এর মত জাহাজের কাছে এই ঝড় কোন বিষয়ই ছিল না। কিন্তু তারপর ঝড়ের পর পোয়েট কে আর সমুদ্রের কোথাও দেখা গেলও না। পোয়েট এর কোন চিহ্নই আর কোথাও ছিল না- ছিলনা কোন ধ্বংসাবশেষ । নিখোঁজ হওয়ার কারণ হিসেবে জাহাজের কাঠামোর অনাবিষ্কৃত ছিদ্রের কথা প্রচলিত যদিও এই তথ্যের শক্ত কোন ভিত্তি পাওয়া যায় নি। তবে যে জিনিসটা মেনে নেয়া যায় না তা হল, অভিজ্ঞ নাবিক দিয়ে সঞ্চালিত কোন সুগঠিত জাহাজের এমনি এমনি গায়েব হয়ে যাওয়াটা। হয়ত আসল কারণ কখনই জানা যাবেনা।
ফ্লাইট ১৯
১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের দিকের ঘটনা, তখন ২য় বিশ্বযুদ্ধ কয়েক মাস হল শেষ হয়েছে। ফ্লোরিডায় নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ইউ এস নৌ বাহিনীর ৫জন টর্পেডো বম্বার আকাশে উড়েছিল । তখনও বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল আবিষ্কৃত হয়নি। বাহামাস এ সফল প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার পথে ফ্লাইট ১৯ পথ হারিয়ে ফেলে এবং ভুল পথে যাবার সময় ঝড়ের কবলে পরে। এর পর ফ্লাইট ১৯ এর আর কোন খবর পাওয়া যায় নি।
ফ্লাইট ১৯ গায়েব হবার পর সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান চালান হয় নিখোঁজ বম্বারদের খোঁজে । কয়েকশ বিমান আর জাহাজ দিয়ে ২০০,০০০ বর্গ মাইল পর্যন্ত তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ফ্লাইট ১৯ এর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সেইদিন বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল এর বলি কেবল ফ্লাইট ১৯ ই ছিল না। জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর নৌ বাহিনীর দুইটি বিমান ফ্লাইট ১৯ এর সর্বশেষ অবস্থানে পাঠানো হয়। এই দুই বিমানের একটি যেখানে ১৩ জন অবস্থান করছিল, ফ্লাইট ১৯ এর মতই যেন বাতাসে মিলিয়ে গেল ! আর এই ঘটনার পর আরও অনেক জাহাজ,বিমান, মানুষ বারমুডা ত্রিভুজের রহস্যে তলিয়ে গেছে।
মোকে সভ্যতা
পেরুর উত্তর উপকুলে ১ থেকে ৮০০ সালের মাঝে মোকে সভ্যতার পদচারনা ছিল। পুরাতত্ত্ববিদদের মতে মোকে জাতিরা ছিল অভিজ্ঞ ধাতুশিল্পী এবং তারাই প্রথম রাংঝালাই ও সোনালি বার্নিশের কাজে দক্ষতা অর্জন করে। নরবলি দেওয়ার ক্ষেত্রেও তারা ছিল অন্যতম। যাদের বলি দেবার জন্যে নির্বাচন করা হত , বলি দেওয়ার আগে তাদেরকে সমাজচ্যুত করা হত আর বলি দেয়া হত গলা কেটে। কৃষিক্ষেত্রেও তারা বেশ দক্ষ ছিল। এতটাই দক্ষ ছিল যে তারা অনায়েশে ২৫,০০০ মানুষের খাদ্যের জোগান দিতে সক্ষম ছিল ।
বহুল আলোচিত এক জনমত অনুযায়ী , মোকে সভ্যতা বিলুপ্তির পেছনে ছিল এক সুপার-এল নিন, অর্থাৎ ৩০ বছরের বৃষ্টিপাত আর ৩০ বছরের খরা যা মোকাদের বসতভিটা আর কৃষিকাজের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে যার ফলে তারা সেই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১৯৯০ পর্যন্ত এই তত্ত্বই ছিল একমাত্র। ১৯৯০ এর পর গবেষণার পর নতুন তথ্য বের হয় যে মোকা সভ্যতা সেই সুপার-এল নিন এর আঘাত কাটিয়ে উঠে নতুন করে জীবন শুরু করেছিল এবং আরও শক্ত কাঠামো সম্পন্ন ঘর তৈরি করেছিল। কিছু তত্ত্ব মতে, মোকারা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধে জড়িয়ে পরেছিল। তবে প্রকৃতপক্ষে মোকাদের অদৃষ্টে কি ঘটেছিল তা কখনও জানা যাবে কিনা , কে জানে।
৫ম ব্যাটালিয়ন নোরফোকস রেজিমেন্ট
১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ড এর স্যানডিংহ্যাম অঞ্চলের রাজার কর্মচারীদের নিয়ে এই রেজিমেন্ট গঠিত হয়। প্রশিক্ষন নেওয়ার পর নোরফোকস রেজিমেন্ট তুর্কিদের বিরুদ্ধে গালিপলির ক্যাম্পেইন এ যোগ দেয়। ১৯১৫ সালের ১০ আগস্ট তারা গালিপলি তে পৌছায় এবং যাত্রার ধকল না কাটতেই তাদের যুদ্ধে পাঠিয়ে দেয়া হল- প্রথম এবং শেষ বারের মত। ভুল ম্যাপ, অপর্যাপ্ত তথ্য এবং শক্তিশালী শত্রুর বিপরীতে নোরফোকস রেজিমেন্ট এর প্রস্তুতি কোন কাজেই লাগল না। হামলার ফলে রেজিমেন্ট এর সদস্যবৃন্দ একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নোরফোকস রেজিমেন্ট তুর্কিদের অনুসরণ করে জ্বলন্ত বনের দিকে এগিয়ে যায় এবং পরে তাদের আর দেখা যায় নি। ফিফথ নোরফোকস রেজিমেন্ট এর কোন সদস্যই যুদ্ধের পর ফিরে না আসার কারণে ধরে নেয়া হয়েছিল যে তাদের বন্দী করে ফেলা হয়েছে। যুদ্ধের পর খুঁজে পাওয়া মৃতদেহগুলো রেজিমেন্ট এর সদস্যদের ছিল বলে মনে করা হলেও কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর মত, নিখোঁজ সৈন্যদের চারপাশে মেঘ এসে তাদের গায়েব করে দিয়েছে এবং তাদের অস্তিত্বের কোন চিহ্ন পর্যন্ত রেখে যায়নি । এইসকল কাহিনী প্রাথমিক অবস্থায় উড়িয়ে দেওয়ার মত হলেও হয়ত তৎকালীন সময়ের কোন বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের দিকে নির্দেশ করছে যা অনেকটা বিভ্রান্তিকর। ফিফথ নোরফোকস রেজিমেন্ট এর নিখোঁজ হওয়ার পেছনের আসল ঘটনা আজ পর্যন্ত অমীমাংসিত।
purchase rybelsus online – order rybelsus 14 mg online cheap buy DDAVP