হিজরি তৃতীয় বর্ষ
তিন হাজার সশস্ত্র কুরাইশ সেনাদের দল তাদের নেতা আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে যুদ্ধংদেহী মনোভাবে মদিনার দিকে আগাচ্ছে। ৭০০ বর্মধারী এবং ২০০ অশ্বারোহীর এ সামরিক বাহিনী পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, সংঘবদ্ধ। বালুকাময় মরুভূমিতে কুরাইশদের এ যুদ্ধদলে দেখা দিয়েছে অভাবনীয় রোমাঞ্চ৷ কারন এবার তাদের সাথে যুদ্ধে যোগ দিয়েছে মক্কার নারীরাও। আর আরবের সামরিক ইতিহাস বলছে যুদ্ধে নারীদের অংশগ্রহণ যুদ্ধজয়ের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। যুদ্ধযাত্রার পেরিয়েছে নয়দিন। আর একদিন পরই তারা পৌছে যাবে যুদ্ধক্ষেত্রে৷ আবু সুফিয়ান শেষবারের মত তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিচ্ছে, যেভাবেই হোক এবার মুসলিমদের কাবু করে আসতেই হবে। নয় মক্কার মান সম্মান বলে অবশিষ্ট আর কিছু থাকবে না।
ওহুদের যুদ্ধ ইসলামের সামরিক ইতিহাসে মুসলিমদের জন্য যতটা না পরাজয়মূলক একটা হতাশার যুদ্ধ ঠিক ততটাই ছিল শিক্ষামূলক এক নাটকীয় পরীক্ষা। ইতিপূর্বে নাজুক শক্তি দিয়ে বদরের যুদ্ধে কুরাইশদের পরাজিত করে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিল মদিনার মুসলিমরা। কিন্তু সহসাই সেই উদ্বেলতায় ছেদ পড়ে মুসলিমদের৷ প্রথমদিকে জয়ের পথে থেকেও শেষার্ধে এসে যে দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছিল মুসলিম বাহিনী সেই অবহেলার মাশুল দিতে হয়েছিল ওহুদের যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার মাধ্যমে। এই যুদ্ধের ভুল অবশ্য পরবর্তীতে কাজে দিয়েছিল। আর সেজন্যেই ওহুদের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
কেন সংঘটিত হয়েছিল ওহুদের যুদ্ধ?
বদরের যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনী শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। আবু জাহেল ও উতবার মত পরাক্রমশালী আরব যোদ্ধার মৃত্যুতে যারপরনাই ফুঁসে উঠেছিল মক্কার কুরাইশরা। স্বাভাবিকভাবেই এ পরাজয়ের বদলা নিতে তারা আরেকটি যুদ্ধের উত্থান ঘটাতে প্রয়াসী হয়। প্রতিশোধ গ্রহণের এ আকাংখা মক্কার যুবকদের বিদ্রোহী করে তোলে৷ কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান তার দলবল নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করতে থাকে। নতুন যুদ্ধের জন্য মক্কাবাসীকে উস্কাতে থাকে। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে নারীরা পর্যন্ত যুদ্ধে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। বদরের যুদ্ধের প্রতিশোধ না নেয়ার পর্যন্ত মক্কার পুরুষগণ তেল ও নারী স্পর্শ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়৷ বদরের যুদ্ধের পরাজয়ের গ্লানি তাদের এতটাই পেয়ে বসেছিল যে একটি যুদ্ধ আয়োজন না করে যেন তারা শান্তি পাচ্ছিল না।
বদরের যুদ্ধের অব্যবহিত পর মদিনায় ইসলামের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। পাশাপাশি মদিনা নগরীর শান শওকাতও একই পাল্লায় বৃদ্ধি পায়৷ আর মদিনায় বানু হাশেম গোত্রের ধারাবাহিক উন্নতিতে মক্কার উমাইয়ারা ক্রোধান্বিত হয়। মদিনা নগরী এবং মদিনার নাগরিকদের ওপর সমানভাবে বীতশ্রদ্ধ মক্কার কুরাইশরা মদিনাকে ধূলোর সাথে মিশিয়ে দেয়ার শপথ গ্রহণ করে।
মক্কায় ধারাবাহিক নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হয়ে হযরত মুহাম্মদ (স) যখন তার অনুসারীদের নিয়ে মদিনায় একটি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন তখন থেকেই তার ক্ষমতা এবং প্রভাব বাড়তে থাকে। চিরশত্রু মুহাম্মদের এমন প্রতিপত্তি কিছুতেই সহ্য হচ্ছিল না মক্কাবাসীর। আর তার এই প্রভাব চিরতরে খর্ব করে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়।
আরবদের যুদ্ধে অংশ নিতে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করত তাদের হৃদয়স্পর্শী কবিতা।
আমর জাহমী ও মুসাফ নামের দুই কুরাইশ কবি তাদের কবিতার মাধ্যমে তাদের গোত্রে যথেষ্ট তেজ সঞ্চার করে দেয়। কুরাইশদের বীরত্ব এবং মুসলিমদের সম্ভাব্য পরাজয় নিয়ে তারা পৃথক কবিতা রচনা করে। তাদের জ্বালাময়ী কাব্য কুরাইশদের নতুন করে যুদ্ধে জড়াতে ব্যাপকভাবে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। মক্কার নারীরাও এ যুদ্ধে অনেকাংশে ভূমিকা পালন করে। বদর যুদ্ধে নিহত যোদ্ধাদের স্ত্রী, কন্যা ও অন্যান্য নারী আত্মীয়রা ওহুদের যুদ্ধে অংশ নিতে সম্মতি প্রকাশ করে। আর আরবের যেকোন যুদ্ধে নারীদের উপস্থিতি থাকলে যোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করার চেষ্টা করত।
ইহুদিদের কুমন্ত্রণাও এ যুদ্ধ সংঘটিত করতে ভূমিকা পালন করেছিল। মদিনার ইহুদিরা কুরাইশদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। ইহুদি কবি কাব বিভিন্ন সময়ে কবিতা ও রম্যরচনার মাধ্যমে কুরাইশদের উস্কানি দিতে থাকে।
ওহুদ পাহাড়ের অবস্থান
পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ওহুদ পাহাড় মদিনা শহরের উত্তরে অবস্থিত৷ শহর এবং এ পাহাড়ের মাঝ বরাবর একটি অর্ধবৃত্তাকার বক্র স্থান ছিল৷ এটা খুব প্রশস্ত হওয়ার কারনে এখানে অনায়াসে সহস্র মানুষের স্থান সংকুলান হয়ে যেত৷ পাহাড়ের আরো গভীরে এমন আরেকটি প্রশস্ত খোলা জায়গা ছিল এবং একটি সংকীর্ণ পথ দ্বারা এ দুটি জায়গা যুক্ত ছিল। ওহুদ পাহাড়ের দক্ষিণাংশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া ওয়াদি কানাত এর দক্ষিণে রয়েছে আইনায়েন নামের আরেকটি ছোট পাহাড়। এই আইনায়েন পাহাড়েই মুহাম্মদ (স) তার তীরন্দাজ বাহিনীকে পাহারায় রেখেছিলেন।
মুখোমুখি কুরাইশ- মুসলিম বাহিনী
৭০০ বর্মধারী এবং ২০০ অশ্বারোহী সমেত তিন হাজার সশস্ত্র কুরাইশ বাহিনী ২১ মার্চ ৬২৫ সালে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওহুদ পাহাড়ের পাদদেশে তাদের যুদ্ধশিবির স্থাপন করে। এ খবর তৎক্ষনাৎ মদিনায় পৌছে যায়৷ কুরাইশদের আগমনের খবর পেয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন মুহাম্মদ (স)। তিনি শহরের ভেতর থেকে শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে মত দেন। কিন্তু মদিনার অতি উৎসাহী তরুণ যোদ্ধারা শহরের বাইরে গিয়ে প্রতি আক্রমনের ইচ্ছা পোষণ করেন। অন্যান্য সাহাবীরাও তাদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। হযরত মুহাম্মাদ (স) এ পরিকল্পনা পছন্দ করেননি তবুও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের কারনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নগরীর বাইরে গিয়েই কুরাইশদের মোকাবেলা করা হবে। বদরের যুদ্ধের তুলনায় আরো দক্ষ ও অভিজ্ঞ ১০০০ সেনা নিয়ে মুহাম্মাদ (স) ওহুদ অভিমুখে যুদ্ধযাত্রা করেন। এরই মাঝে ছোট্ট একটি দুর্ঘটনা ঘটে, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই তার ৩০০ সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ থেকে সটকে পড়ে। সে যুক্তি দেখায় মদিনা সনদে আক্রমন হলে প্রতিরোধের কথা বলা হয়েছে নগরের বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করতে বলা হয়নি।
ইবনে উবাইর এমন সিদ্ধান্তে মুসলিম বাহিনী কিছুটা দমে যায়৷ নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হয় মুহাম্মাদ (স) কে। যথারীতি মুসলিম বাহিনী ওহুদের পাদদেশে বালুকাময় সমতল ভূমিতে তাদের শিবির স্থাপন করে। এ যুদ্ধে নারীদের নানাভাবে অংশগ্রহন নতুন মাত্রা যোগ করে। হযরত আয়েশা সহ অনেক মুসলিম নারী যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন। যাইহোক, মুহাম্মাদ (স) পাহাড়ের বৃত্তাকার অংশের বাইরে থেকে আক্রমনের জন্য সিদ্ধান্ত নেন এবং সে অনুযায়ী আইনাইন পাহাড়ের শীর্ষভাগে তীরন্দাজ বাহিনীর ৫০ টি ক্ষুদ্র দলকে নিয়োজিত করেন। কুরাইশরা পেছনদিক থেকে যাতে আক্রমন না করতে পারে এজন্য ওহুদ ও আইনাইন পাহাড়ের মধ্যবর্তী সংকীর্ণ পথের দায়িত্ব তীরন্দাজ বাহিনী এবং আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের অশ্বারোহী দলের ওপর ন্যস্ত করা হয়। তীরন্দাজ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে হযরত মুহাম্মাদ (স) সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেন কোন অবস্থায়ই যাতে তাঁর নির্দেশ উপেক্ষা করে তারা এই স্থান ত্যাগ না করে। তিনি তাদেরকে এও বলেন, “এমনকি যদি দেখো আমরা পরাজিত হয়েছি, আমাদের মৃতদেহ পশু ভক্ষণ করছে তবুও আমি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তোমরা এ স্থান ত্যাগ করবে না”।
২১ মার্চ (কোন বর্ণনামতে ২৬ মার্চ) মুসলমানদের উপস্থিতির সংবাদ পেয়ে কুরাইশ বাহিনী তাদের প্রধান পদাতিক দল এবং ইকরামার অশ্বারোহী দল মুসলিমদের দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিতে অগ্রসর হয়৷ খালিদ বিন ওয়ালিদকে পশ্চাতদেশ হতে আক্রমনের জন্য নিয়োজিত রাখা হয় কিছুসংখ্যক অশ্বারোহী দিয়ে। অবশেষে উভয় বাহিনী সম্মুখ সমরে নামে। যুদ্ধের প্রথা অনুযায়ী মল্লযুদ্ধে কুরাইশ বীর তালহা এবং মুসলিম বীরকেশরী হযরত হামযা অবতীর্ণ হন। তালহা হযরত হামযার কাছে পরাজিত হলে শুরু হয় সাধারন যুদ্ধ৷ শুরু থেকেই মুসলিমদের কাছে মক্কার কুরাইশরা কোণঠাসা হতে শুরু করে৷ ধারাবাহিকভাবে পর্যুদস্ত হতে থাকলে কুরাইশরা দিগ্বিদিক পালাতে শুরু করে। বিজয় নিশ্চিত না হয়ে মুসলিম বাহিনী এক ভুল করে বসে।
নিজেদের বিজয় হয়েছে ভেবে যুদ্ধাস্ত্র ও শত্রুশিবির লুন্ঠন করতে থাকে প্রধান সেনাদল৷ মূল বাহিনীর এহেন কাজ দেখে প্রতিরক্ষায় থাকা তীরন্দাজ বাহিনী এবং আব্দুল্লাহ যুবাইরের অশ্বারোহী দল মুহাম্মাদ (স) এর নির্দেশ বেমালুম ভুলে লুন্ঠনযজ্ঞে যোগ দেয়। হঠাৎ করে যুদ্ধ নতুন বাঁক নেয়, পেছন দিক হতে পুরোপুরি অরক্ষিত হয়ে পড়ে মুসলিম বাহিনী৷ এই সুযোগ শতভাগ কাজে লাগালেন কুরাইশদের অশ্বারোহী সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ৷ দুর্ধর্ষ এ দূরদর্শী নেতা মুহূর্তেই যুদ্ধের গতি বুঝে ফেলেন এবং পালিয়ে যাওয়ার ভান করে পেছন দিক হতে মুসলিম শিবিরে অতর্কিত আক্রমন শুরু করে দেন। আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর শত চেষ্টা করেও খালিদকে প্রতিরোধ করতে না পেরে প্রাণ দেন। ছত্রভঙ্গ মুসলিমদের উপর তখন পালিয়ে যাওয়া কুরাইশরা আবার নতুন করে আক্রমন শুরু করে দেয়। দিশেহারা বাহিনীকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকেন মুহাম্মাদ (স)।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই কাজটি করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এরই মধ্যে কুরাইশ যোদ্ধা ইবনে কামিয়া প্রবল আক্রোশে মুহাম্মাদ (স) কে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। এতে তাঁর দুটি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন৷ এরই মধ্যে মুসলিম বাহিনীর পতাবাহক হযরত মুসয়াব (রা) নিহত হলে কুরাইশরা রটায় যে হযরত মুহাম্মদ (স) যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।এখানে বলা প্রয়োজন যে হযরত মুসাবের চেহারার সাথে মুহাম্মাদ (স) এর চেহারার কিছু মিল ছিল। এ গুজবে মুসলিম বাহিনী পুরোপুরি আশাহত হয়ে পড়ে। হযরত মুহাম্মাদ (স) নিহত হয়েছেন এবং মুসলিমরা পরাজিত হয়েছে ভেবে মহা আনন্দে কুরাইশরা যুদ্ধ ময়দান ত্যাগ করে৷ এ যুদ্ধে কুরাইশরা চরম পৈশাচিকতার পরিচয় দেয়। নিহত মুসলিমদের নাক ও কান ছিড়ে বীভৎসতার ন্যাক্কারজনক উদাহরন টানে৷ আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা হযরত হামযার হৃদপিণ্ড চিবিয়ে চূড়ান্ত পৈশাচিকতা প্রদর্শন করে।
দ্বিতীয় বদর যুদ্ধ
যুদ্ধ ময়দান ত্যাগ করার পর আবু সুফিয়ান জানতে পারে মুহাম্মদ (স) মারা যাননি৷ তাই সে অপার সাহসে বদরের প্রান্তরে আবার মুসলিম বাহিনীকে ধ্বংস করে দিতে তার বাহিনী নিয়ে আসে। ইতিমধ্যে মুহাম্মাদ (স) তার সৈন্য সংগঠিত করে ফেলেন এবং আবু সুফিয়ানের আগমন সংবাদ পেয়ে আহত বাঘের মত রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেয় মুসলিম যোদ্ধারা৷ মুসলিমদের ভয়ংকর যুদ্ধসাজ দেখে ভীত আবু সুফিয়ান যুদ্ধ না করেই ফিরে যায়৷ ইতিহাসে এ ঘটনা দ্বিতীয় বদর নামে পরিচিত।
ওহুদের যুদ্ধের ফলাফল কী ছিল?
দ্বিতীয় বদরের যুদ্ধে কুরাইশদের তাড়িয়ে দেয়া কার্যত মুসলিমদের জয় নির্দেশ করে। কিন্তু জয় পরাজয়ের সরাসরি হিসেবে কোন পক্ষকেই জয়ী না ধরলেও সেনা সদস্য নিহতের সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসেবে মুসলমানদের পরাজিত হিসেবে দেখানো হয়৷ কারন কুরাইশদের ২৩ জন নিহত হওয়ার বিপরীতে ৭৪ জন মুসলিম সৈন্য এ যুদ্ধে নিহত হন। ওহুদের যুদ্ধ মুসলমান এবং ইসলামের জন্য ছিল এক কঠিন পরীক্ষা। নেতার নির্দেশ অমান্যের ফলাফল কী হতে পারে তা ভালভাবেই টের পেয়েছিল তারা যা পরবর্তীতে বহুলাংশে কাজে লাগে। অন্যদিকে জয়ী হয়েও কুরাইশরা এ যুদ্ধে তুষ্ট থাকতে পারেনি। অধিক সংখ্যক সামরিক ক্ষয়ক্ষতি এবং মুহাম্মাদ (স) কে হত্যা করতে না পারায় জয়ী হয়েও বিশেষ খুশি হতে পারেনি তারা।
zofran advil interaction
generic semaglutide – buy generic desmopressin desmopressin online order
zyprexa review
order repaglinide 1mg sale – buy repaglinide 2mg online empagliflozin order online