x-video.center fuck from above. azure storm masturbating on give me pink gonzo style. motphim.cc sexvideos

তুতেন খামেন ও তার মমির অভিশাপ

2

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা ও স্থাপত্যশৈলীকে ঘিরে চমকের শেষ নেই। সবচেয়ে চমকপ্রদ মনে হয় হাজার বছরের পুরনো পিরামিডগুলোকে যা মূলত মিশরীয় রাজা-রাণীদের সমাধিক্ষেত্র ছিল। এক-একটা পিরামিড বা সমাধিক্ষেত্র যেন এক-একটা ইতিহাসের স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাণ্ডার। ফারাও তুতেন খামেন এর সমাধিটিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই তুতেন খামেন এর সমাধি আবিষ্কৃত হওয়ার সাথে সাথে সারা পৃথিবীতে সাড়া পড়ে যায়।

ফারাও তুতেন খামেন

তুতেন খামেন ছিলেন প্রাচীন মিশরের একজন ফারাও। “ভ্যালি অব দ্য কিং” বা কিং উপত্যকা নামে পরিচিত মিশরীয় রাজাদের সমাধিস্থলে ফারাও তুতেন খামেন এর সমাধি ছিল একমাত্র অক্ষত সমাধি যা কেউ খুঁজে পায়নি। কারণ কিং উপত্যকায় আবিষ্কৃত প্রায় সবগুলো সমাধিই অনেক পূর্বে চোর ডাকাতদের দ্বারা লুট হয়ে গিয়েছিল। ১৯২২ সালে কে.ভি-৬২ নাম দেয়া তুতেন খামেন এর সমাধিটি আবিষ্কার করে ব্রিটিশ গবেষক হাওয়ার্ড কার্টার ও তার পরিচালিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক দল। স্বর্ণ-নির্মিত বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস পত্রে পরিপূর্ণ ছিল তুতেন খামেন এর বিলাস বহুল সমাধিক্ষেত্র। তার সমাধি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে অনুমান করা হয় যে, ফারাও তুতেন খামেন অনেকটা রুগ্ন ছিলেন এবং তার অল্প সময়ের রাজত্বকালে তিনি তার পিতার শুরু করা ধর্মীয় সংস্কার বাতিল করতে চেয়েছিলেন।

 

তুতেন খামেন
তুতেন খামেন
source: Cairo360.com

ফারাও তুতেন খামেন ছিলেন মিশরীয় ফারাওদের ১৮তম বংশের রাজা যিনি খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৩২-১৩২৩ অব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। ফারাও তুতেন খামেন তার এই নামটি ছাড়াও “তুতেন খামুন”, “তুতেন খাতেন” বা শুধু “রাজা তুত” নামেও পরিচিত ছিলেন। নামটি তার কফিনের উপর প্রাচীন মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক ভাষায় লেখা ছিল। এই ভাষায় কোনো vowel না থাকায় নামের সঠিক উচ্চারণটি পাওয়া সম্ভব হয়নি। তুতেন খামেনের জন্ম খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৪১ অব্দের আশেপাশে। তার বাবা ছিলেন ফারাও আখেন-আতেন যিনি “আতেন” বা সূর্য দেবতার পূজা প্রচলনের মাধ্যমে একটি নতুন ধর্মীয় সংস্কার প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেন। ঐ সময়ে মিশরীয়রা মূলত বায়ু বা শ্বাস-প্রশ্বাসের দেবতার পূজা করতো। নিজের ধর্মমত প্রতিষ্ঠা করতে তিনি অন্যান্য সকল ধর্মের উপাসনালয় ও দেব-দেবীদের প্রতিকৃতি ধ্বংসের নির্দেশ দেন। ফলে রাজ্য জুড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এই সময় অজানা কারণে হঠাৎ তার বাবা মারা যায়। ফলে অল্প বয়সেই তুতেন খামেন কে রাজ্য পরিচালনার ভার গ্রহণ করতে হয়।

খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৩২ অব্দে, মাত্র ৯ বছর বয়সে তুতেন খামেন সিংহাসনে আরোহণ করেন। এত অল্প বয়সে রাজা হওয়ায় তিনি “কিশোর রাজা” নামে পরিচিতি পান। ফলে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাকে উপদেষ্টাদের উপর নির্ভর করতে হত। একটা সময় এসে তিনি তার বাবার শুরু করা ধর্মীয় সংস্কার বাতিল করতে চেষ্টা করেন। তিনি তার পিতার এই কাজের নিন্দা করেন। এমনকি তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে তার নাম থেকে “আতেন” শব্দটি বাদ দিয়ে দেন।

তুতেন খামেন এর মৃত্যু

তুতেন খামেনের মায়ের নাম ছিল তিয়ো এবং রাণী নেফারতিতি ছিল তার সৎ মা। তুতেন খামেনের বিয়ে হয় নেফারতিতির মেয়ে ও তার সৎ বোন রাণী আনখেসেনপাতেন এর সাথে। তাদের দুটি মৃত যমজ কন্যা সন্তান হয়েছিল যাদের কে পাত্রে ভরে ফারাও এর সমাধিক্ষেত্রেই সমাধিস্থ করা হয়। মৃত্যুর সময় তুতেন খামেন কোনো উত্তরাধিকারী রেখে যাননি। কোনো বংশধর না থাকায় ক্ষমতা দখলের লোভে তাকে হত্যা করা হয় বলে অনেকে মনে করেন।

 চিত্রে তুতেন খামেন ও তার স্ত্রী
চিত্রে তুতেন খামেন ও তার স্ত্রী Image source: News4c

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জীবদ্দশায় ফারাও তুতেন খামেন দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন। তিনি ম্যালেরিয়া ও পায়ের হাড়ের সমস্যা সহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে ভুগছিলেন। তার সমাধি থেকে প্রাপ্ত অসংখ্য ছড়ি থেকে অনুমান করা হয় যে প্রায়ই তার হাঁটতে সমস্যা হতো। তবে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা জানা যায়নি। অনুমান করা হয় যে, তুতেন খামেন কে হত্যা করা হয়েছিলো। হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী এবং তার ঘোড়ার গাড়ির চালক জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। ঘোড়ার গাড়ির দুর্ঘটনায় তুতেন খামেনের পা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এই মতের পেছনে অবশ্য অনেক কারণও আছে। সমাধি আবিষ্কারের পর তুতেন খামেনের মমি এক্সরে করে তার পায়ের হাড় ক্ষতিগ্রস্ত ও হাড়ে চিড় দেখা যায় যা মূলত কোনো দুর্ঘটনার ফলেই হয়েছে। এছাড়া তার মৃত্যুর পর পর সমস্ত রাজকীয় দলিল পত্র থেকে তার নাম মুছে দেয়া হয় ও তার সাথে জড়িত জিনিসপত্র ধ্বংস করে দেয়া হয়। এমনকি তার মৃত্যুর পর খুব দ্রুত তাকে সমাধিস্থ করে ফেলা হয়। ইতিহাস থেকে তুতেন খামেন কে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয় কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত কিছু দালানে এবং জিনিস পত্রে তার নাম খোঁদাই করা রয়ে যায়। এসব থেকেই তুতেন খামেনের ইতিহাস উন্মোচিত হয়।

তুতেন খামেনের সমাধি

তুতেন খামেনের সমাধি নিয়ে গবেষণার সাম্প্রতিক ফলাফল থেকে যানা যায় যে, প্রাচীন মিশরীয় বহু ঈশ্বরবাদী ধর্মে তুতেন খামেন ও তার উপদেষ্টাদের এতোটাই ভক্তি ছিল যে মৃত্যুর পর তাকে একটি অস্বাভাবিক উপায়ে মমিতে পরিণত করা হয় যা মূলত পরলোকের দেবতা ওসাইরিস এর সাথে সম্বন্ধ পাওয়া যায়। তথ্য অনুযায়ী, তুতেন খামেনের শরীর কালো রঙের তেলে ডোবানো ছিল, তার হৃদপিণ্ড শরীর থেকে বের করে নেয়া হয়েছিলো এবং তার পুরুষাঙ্গ ৯০ ডিগ্রি কোণে মমিকৃত করা হয়। পুরাণ অনুযায়ী, ওসাইরিস এর শরীরের চামড়া কালো, তার প্রচণ্ড প্রজনন ক্ষমতা ছিল এবং তার ভাই সেথ তার শরীর থেকে হৃদপিণ্ড চুরি করে বের করে নেয়।

তুতেন খামেনের মমির সারকোফ্যাগাস
তুতেন খামেনের মমির সারকোফ্যাগাস Image source: El Debate

গবেষণায় পাওয়া যায় যে, খুব তাড়াতাড়ি করে তুতেন খামেন এর সমাধিক্ষেত্রটি প্রস্তুত করা হয় এবং সমাধির দেয়াল থেকে প্রাপ্ত নমুনা অনুযায়ী, দেয়ালের রং শুকানোর আগেই সমাধিটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া মমিতে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য তেল থাকায় সমাধির কিছুক্ষণের মধ্যেই মমিটিতে আগুন ধরে যায়।

তুতেন খামেনের মমি রহস্য

ফারাও হিসেবে তুতেন খামেন খুবই স্বল্প পরিচিত ছিল। ফলে অনেকেই তার সমাধিক্ষেত্রের সন্ধান পায়নি বা করেনি। কিন্তু হাওয়ার্ড কার্টার ও তার দল কর্তৃক তুতেন খামেনের সমাধিটি আবিষ্কারের পর চারিদিকে হইচই পরে যায়। এর মূল কারণ ছিল এই যে, সমাধিটি তখনো পর্যন্ত অক্ষত এবং এর ফলে এতে প্রাপ্ত ধন সম্পদ।

দীর্ঘ পাঁচ বছর খুঁড়াখুঁড়ির পর হাওয়ার্ড কার্টার এই সমাধির সন্ধান পান। তার লোকজন ১৯২২ সালের ৪ঠা নভেম্বর সমাধির প্রবেশ পথের সন্ধান পান এবং ২৬শে নভেম্বর সমাধিক্ষেত্রের ভেতরে প্রবেশ করেন। সমাধির ভেতরের মূল্যবান জিনিস পত্র দেখে সকলের চোখ কপালে উঠেছিলো। সমাধি ও তার আশেপাশের কক্ষ গুলোতে পাওয়া যায় স্বর্ণের তৈরি অসংখ্য মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রী। এছাড়া তুতেন খামেনের মমিটি সংরক্ষিত ছিল সোনার তৈরি কফিনে। সমাহিত কারার পর থেকে কেউ তুতেন খামেনের সমাধির সন্ধান পায়নি বলে সমাধিতে রক্ষিত সমস্ত সম্পদই অক্ষত থেকে যায়।

সমাধির চিত্র
সমাধির চিত্র Image source: Pinterest

ফারাও তুতেন খামেনের সমাধির একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল এর স্থান স্বল্পতা। ধন সম্পদের প্রাচুর্য থাকলেও সমাধিটির আকৃতি ছিল মাত্র ১১০ বর্গফুট যা অন্যান্য ফারাওদের সমাধির তুলনায় ক্ষুদ্র। ধারনা করা হয় যে, তুতেন খামেনের সমাধিতে আরও দুটি চেম্বার আছে যা এখনো খোরা হয়নি। এছাড়া প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তুতেন খামেনের সমাধিতে ব্যবহৃত অনেক জিনিসপত্র নেফারতিতির সমাধি থেকে পুনঃব্যবহার করা হয়েছে। তুতেন খামেনের মমিতে যে সোনার মুখোশটা ছিল সেটা হয়তো নেফারতিতির জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। এছাড়া অন্যান্য অনেক জিনিস থেকে নেফারতিতির নাম মুছে দিয়ে  তুতেন খামেনের নাম লেখা হয়। আরও বলা হয় যে, সমাধিটি মূলত নেফারতিতির জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছিলো এবং যখন তুতেন খামেন মারা যায় তাড়াহুড়ো করে নেফারতিতির সমাধির মুখে দেয়াল তুলে বন্ধ করে অবশিষ্ট স্থানেই তুতেন খামেন কে সমাধিস্থ করা হয়। তবে সেখানে আর কোনো সমাধি এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 সমাধি কক্ষের আসবাব পত্র
সমাধি কক্ষের আসবাব পত্র Image source: Blogspot.com

তুতেন খামেনের অভিশাপ

তুতেন খামেনের মমি সম্পদের সাথে সাথে অভিশাপও বয়ে এনেছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। প্রচলিত রয়েছে যে, কিং উপত্যকায় তুতেন খামেনের মমি আবিষ্কারের সাথে যারা জড়িত ছিল তারা প্রত্যেকেই তুতেন খামেনের অভিশাপ এর স্বীকার হয়ে রহস্যময় ভাবে মৃত্যু বরণ করেছেন।

তুতেন খামেনের অভিশাপের গল্প মূলত শুরু হয় হাওয়ার্ড কার্টারের একটি পোষা ক্যানারি পাখির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। যেদিন তিনি সমাধির সন্ধান পান সেদিনই বাসায় ফিরে জানতে পারেন যে তার পাখিটিকে একটি কোবরা খেয়ে ফেলেছে। বিশ্বাস করা হতো যে কোবরা এবং শকুন ফারাওদের সুরক্ষার প্রতীক।

এছাড়া সমাধি আবিষ্কারের কিছুদিন পরেই এই খনন কার্যে অর্থায়নকারী লর্ড কার্নার্বন একটি মশার কামড়ে রহস্যজনক ভাবে মারা যান। অনেকের মতে, মমির অভিশাপেই তার মৃত্যু হয়েছে। যে রাতে তিনি মারা যান সেই একই রাতে হাজার মাইল দূরে থাকা তার কুকুরটিও গর্জন করতে করতে মারা যায়। এমনকি শার্লক হোমসের স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েলও অভিশাপের পক্ষে মত দেন। তবে অনেকে অভিশাপের বিষয়টির বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, কোনো ধরনের ইনফেকশন থেকে কার্নার্বন এর মৃত্যু হয়।

আরও অনেক গুলো মৃত্যুর সাথে তুতেন খামেনের অভিশাপ জড়িত বলে বিশ্বাস করা হয়। কার্নার্বন এর মৃত্যুর কিছুদিন পরেই এই অভিযানের সাথে জড়িত আরেকজন প্রত্নতত্ত্ববিদ আর্থার ম্যাইস হঠাৎ ক্লান্তি অনুভব করেন এবং কিছুক্ষণের মাঝেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এছাড়া লর্ড কার্নার্বনের এক বন্ধু তার মৃত্যুর খবর শুনে মিশরে আসেন এবং সমাধি পর্যবেক্ষণের ১২ ঘণ্টার মাঝেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

তুতেন খামেনের সমাধি আবিষ্কারের চার মাসের মাথায় লর্ড কার্নার্বনের সহকারীর মৃত্যু হয়। তাকে মৃত অবস্থায় তার বিছানায় পাওয়া যায় এবং তার মৃত্যুর খবর শোনার পর তার বাবা আত্মহত্যা করেন। একই ভাবে সমাধি অনুসন্ধানের সাথে জড়িত প্রায় ৮ জন লোক বিভিন্ন কারণে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু বরণ করেন।

তবে, তুতেন খামেনের অভিশাপকে অনেকেই শুধুমাত্র সংবাদ পত্রের কারসাজি বলে মনে করেন। সমাধি আবিষ্কারের শুরুর দিকে আবিষ্কারের সাথে জড়িত কয়েক জনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংবাদ পত্রের কাটতি বাড়াতে তারা অভিশাপের গুজব ছড়ায় বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া শোনা যায় যে, সমাধি আবিষ্কারের পর চোর-ডাকাতদের সমাধি থেকে দূরে রাখতে হাওয়ার্ড কার্টার নিজেই অভিশাপের কথা ছড়িয়ে দেন। এক গবেষণায় দেখা যায় যে, সমাধি উন্মোচিত করার সময় সেখানে ৫৮ জন লোক উপস্থিত ছিলেন যার মধ্যে মাত্র ৮ জন পরবর্তী ১০/১২ বছরে মারা গিয়েছেন। এছাড়া বাকি সবাই দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন। তার মধ্যে সমাধির আবিষ্কারক হাওয়ার্ড কার্টার ৬৪ বছর বয়সে মারা যান যিনি বেঁচে ছিলেন ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত, তার মেয়ে, যিনি সমাধিতে সর্বপ্রথম প্রবেশকারীদের মাঝে ছিলেন, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। এছাড়া অন্য সকলেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।

Source Featured Image
Leave A Reply
2 Comments
  1. Eszudo says

    order avodart 0.5mg pills avodart 0.5mg brand order zofran 4mg online

  2. Tyeyzx says

    order levofloxacin 250mg without prescription levaquin 250mg usa

sex videos ko ko fucks her lover. girlfriends blonde and brunette share sex toys. desi porn porn videos hot brutal vaginal fisting.