গজনীর সুলতান মুহাম্মদ ঘুরীর সেনাপতির কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিফল মনোরথে সেনানিবাস থেকে বের হলেন বখতিয়ার খলজী। তার মনটা ইদানিং কোন কারণ ছাড়াই খারাপ থাকে। তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না কি করবেন, অনেকদিন হল আফগানিস্তান থেকে এসেছেন। তার সাথের অন্য জাতিভাইরা কেউ কেউ ভাল চাকরি পেয়ে গেছে। এদের দেখে তিনি কষ্ট পান। মাঝে মাঝে সৃষ্টিকর্তার উপর তার রাগ হয়। পৃথিবীতে যখন পাঠিয়েছ খোদা কেন তবে কালো, কুৎসিত, হাটু পর্যন্ত লম্বা হাত দুখান দিয়ে পাঠালে? নিজের চেহারা সুরতের জন্য একটা চাকরি পেয়েও পাচ্ছেন না অথচ তার দৃঢ় বিশ্বাস যে কারো সেনাদলে যদি একটা চাকরি পেয়ে যেতেন তবে তার সামর্থ্যের ষোলকলা দেখিয়ে দিতেন। এসব ভাবতে ভাবতেই তার দিনকাল যায়।
পাঠক, কালো-কুৎসিত, হাত দুখান হাটু পর্যন্ত প্রসারিত বখতিয়ার খলজীর ভাগ্য ফিরেছিল, খুব ভালভাবেই ফিরেছিল। তেরো শতকের প্রারম্ভে তিনি একটা ঘটনা ঘটিয়ে বসেন। সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে বাংলা জয় করে ফেলেন। তার ঘটনাবহুল জীবন, বাংলা বিজয় ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের পেছনে তার হাত আছে কিনা তার আদ্যোপান্ত আপনাদের জানাব আজ।
পরিচয় ও প্রাথমিক সংকট
জাতিতে তুর্কি ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী ছিলেন বর্তমান আফগানিস্তানের দশত-ই-মার্গের বাসিন্দা। তার পরিবার কিংবা বাল্যকাল নিয়ে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। অর্থকষ্টে ও দুঃখদৈন্যে নিজ এলাকায় সুবিধা করতে না পেরে পাড়ি জমান ভিনদেশি সাম্রাজ্যগুলোতে। উল্লেখ্য, সমসাময়িক সময়ে অনেক যুবকই ভাগ্য উন্নয়নে ভারতবর্ষে এসে থিতু হতে চাইত। কেউ চাকরি পেতে সফল হত, কেউ ভাগ্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে হারিয়ে যেত। তেমনিভাবে বখতিয়ার খলজীও তার যৌবনের একটি সময় ফেরি করে বেড়িয়েছেন সাম্রাজ্য থেকে সাম্রাজ্যে। উদ্দেশ্য ছিল কোন রাজবংশের সেনাবাহিনীতে কাজ করার। সে সূত্রে প্রথমেই তিনি হানা দেন গজনীর সুলতান মুহাম্মদ ঘুরীর দরবারে। আবেদন করেন একটা চাকরির জন্য। কিন্তু ঘুরীর প্রধান সেনাপতি খলজীর শারীরিক অক্ষমতার প্রশ্ন তুলে এড়িয়ে যান। এ যাত্রা ব্যর্থ্য হয়ে তার চোখ যায় দিল্লির দিকে। দিল্লির মসনদে তখন কুতুবউদ্দিন আইবেক। দুর্ভাগ্য এবারো তাকে ছাড়ল না। এখানেও তাকে হতাশ করা হয়। ততক্ষণে বখতিয়ার পণ করে ফেলেছেন তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। এবার তার গন্তব্য বদায়ুন। বদাউনের শাসনকর্তা মালিক হিজবর উদ্দীনের বদান্যতায় অবশেষে চাকরি হয় তার। যারপরনাই খুশি বখতিয়ার খলজী নগদ বেতনে বদাউনের সেনাবাহিনীতে চাকরি পেলেন।
বখতিয়ারের উত্থান
বেটে বখতিয়ার সামান্য বেতনের চাকরিতে সন্তুষ্ট থাকতে পারলেন না। অবশ্য লক্ষ্য যার আকাশ ছোঁয়ার সে কি আর দমে থাকে। তাইতো ভাগ্যও এবার তার পক্ষ নেয়। বদাউন ছেড়ে তিনি চলে যান অযোধ্যায় এবং সেখানকার শাসনকর্তা হুসামউদ্দিন তাকে মির্জাপুরের ভাগবত ও বিউলি পরগণার জায়গির প্রদান করেন। এখান থেকেই উত্থান হয় ভাবী বাংলা বিজয়ের নায়কের। ভাগবত আর বিউলি হয়ে উঠে বখতিয়ারের প্রধান শক্তির জায়গা। এরই মধ্যে নিজের অধীনে তিনি কিছু সৈন্য জোগাড় করতে সমর্থ হোন। এদেরকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলোতে লুন্ঠনকার্য অব্যাহত রাখেন। হিন্দু রাজ্যগুলোতে ধারাবাহিক আক্রমণের সুবাদে বখতিয়ার খলজীর খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভাগ্যান্বষী অনেক যুবক বিশেষ করে খলজী যুবকগণ মহাসমারোহে তার দলে নাম লেখাতে থাকে। যার ফলে বখতিয়ার খলজীর সৈন্যসংখ্যা আগের তুলনায় বাড়তেই থাকে। বখতিয়ারের চিন্তা তখন রাঘব বোয়াল শিকারের। ভাগ্যও যেন কোনরূপ শর্ত ছাড়াই তাকে সমর্থন দিতে থাকল।
উদন্তপুর বিহার জয়
এমনি একদিন হিন্দু রাজ্যগুলোতে লুণ্ঠন চালানোর সময় বখতিয়ারের বাহিনী একটি বৌদ্ধবিহার জয় করে ফেলে। প্রকৃতপক্ষে এই বিহার ছিল একটি মহাবিদ্যালয়। বখতিয়ারের বাহিনী একে সামরিক দুর্গ ভেবে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়। বিহারে অবস্থানরত ন্যাড়া মাথার সনাতনী ব্রাহ্মণদের সবাইকে হত্যা করা হয়। বখতিয়ারের বাহিনী বিহার গুঁড়িয়ে দেয়ার পর যখন দেখল সেখানে প্রচুর বইপত্র ছাড়া অন্যকিছু নেই তখন তাদের বোধোদয় হল যে তারা আসলে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। এই বিহার ছিল ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন মহাবিদ্যালয়, উদন্তপুর মহাবিহার। উদন্তপুর বিহার জয়ের অব্যবহিত পর বখতিয়ার খলজী দিল্লির কুতুবউদ্দিন আইবেকের সুনজর লাভের আশায় কাড়ি কাড়ি অর্থ ও সোনাদানা নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। কুতুবউদ্দিন তাঁকে রাজকীয় সম্মানের মাধ্যমে অভিনন্দন জানান। এই উদন্তপুর বিহার জয়ই তাঁকে বাংলা বিজয়ে উদ্বুদ্ধ করে এবং শেষপর্যন্ত লক্ষণ সেন বখতিয়ারের লকলকে জিহ্বার গ্রাস হয়ে যান।
বাংলা বিজয়
১২০৪ সালে বখতিয়ার খলজী কর্তৃক বাংলা বিজিত হয়েছে এমন কথা বরাবরই শুনা গেলেও তিনি কিন্তু পুরো বাংলা জয় করতে পারেননি। শুধুমাত্র নদীয়া ও তার আশপাশের এলাকা তার আয়ত্তে ছিল। বখতিয়ার ঠিক কবে বাংলা জয় করেছিলেন তা নিয়ে আছে বেশ দ্বিমত। ১১৯৪ থেকে ১২০৪ পর্যন্ত কয়েকটি সালকে নদীয়া বিজয়ের সাল হিসেবে নির্দেশ করেছেন ঐতিহাসিকগণ। তবে ১২০৪ কেই মোটামুটিরকম বাংলা জয়ের সাল হিসেবে ধরা যায়। বখতিয়ার খলজী যখন বাংলা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন বাংলাদেশের রাজা সেন বংশের শেষ শাসক লক্ষণ সেন অবস্থান করছিলেন রাজধানী নদীয়ায়। ঐতিহাসিক মিনহাজের তবাকাত-ই-নাসিরী থেকে জানা যায় বিহার জয়ের খবর পেয়ে লক্ষণ সেনের সেনানিবাসে বখতিয়ার ভীতি কাজ করেছিল। এমনকি সেন বংশের দৈবজ্ঞ ও পুরোহিতরা লক্ষণ সেনকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, এক তুর্কি সৈনিকের হাতে সেন সাম্রাজ্য ধ্বংস হবে। তারা লক্ষণ সেনকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, তাদের শাস্ত্রে ঐ সৈনিকের যে চেহারার বিবরণ দেয়া আছে তা অনেকটা বখতিয়ার খলজীর সাথে মিলে যায়। তাই রাজার উচিত পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা নচেত পালিয়ে যাওয়া। এমনকি ঐসব পুরোহিত নিজেরাও পালিয়ে যায়। এদিকে সন্ত্রস্ত বৃদ্ধ রাজা পরিকল্পনামাফিক প্রতিরক্ষা বুহ্য গড়ে তোলেন।
পশ্চিম দিক থেকে বাংলা প্রবেশের একমাত্র পথ ছিল রাজমহলের নিকট তেলিয়াগড়ের গিরিপথ। লক্ষণ সেন সেখানেই তার সৈন্য নিয়োজিত করেন। কিন্তু চতুর বখতিয়ার লক্ষণ সেনকে বোকা বানিয়ে তেলিয়াগড় হয়ে না এসে ঝাড়খণ্ডের জংগলাকীর্ণ পথ বেছে নেন। দুর্গম পথ দিয়ে গমনের ফলে সৈন্যদলের মধ্যে দূরত্বের পার্থক্য সৃষ্টি হয় এবং বখতিয়ার নিজে এত ক্ষিপ্রতার সাথে ঘোড়া নিয়ে চলছিলেন যে সাকুল্যে ১৮ জন সৈন্য শেষপর্যন্ত তার সাথে মিলিত হতে পেরেছিল। নগরবাসী সৈন্যদলকে ঘোড়া ব্যবসায়ী ভেবে কোনরূপ বাধা দেয়ার চেষ্টা করেনি। ইতিমধ্যে বখতিয়ার নগর রক্ষীদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ শুরু করে দিলে বাকি সৈন্যগণও এসে আক্রমণে যোগ দেয়। বৃদ্ধ রাজা তখন মধ্যাহ্ন ভোজে ব্যস্ত। আক্রমণের খবর শুনে তিনি স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিয়েছিলেন যে নিশ্চয়ই বখতিয়ার খলজী তেলিয়াগড়ের প্রতিরক্ষা ভেদ করেই চলে এসেছেন। এই ভেবে তিনি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। প্রায় বিনাযুদ্ধেই নদীয়া দখল হয়ে যায় এবং সেথায় তিনদিন ধরে বখতিয়ারের বাহিনী লুন্ঠন চালায়। নদীয়া ত্যাগ করে বখতিয়ার অত:পর লক্ষণাবতীর দিকে যান এবং তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন লখনৌতি। এই লখনৌতিতেই তিনি তার রাজধানী স্থাপন করেন। তারপরেই গৌড় জয় করে উত্তরবঙ্গ নিজ অধিকারে নিয়ে আসেন এবং সেই অঞ্চলগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগে একজন করে সেনাপতি নিয়োগ করে সেখানকার শাসনকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন। পূর্বে তিস্তা ও করতোয়া নদী, দক্ষিণে বার্মা, উত্তরে দিনাজপুর হয়ে রংপুর শহর পর্যন্ত এবং পশ্চিমে আগের অধিকৃত বিহার পর্যন্ত তার আধিপত্য বিস্তৃত ছিল।
তিব্বত অভিযান
বাংলাদেশের অনেকাংশ তার আয়ত্তের বাইরে থাকা সত্ত্বেও বখতিয়ার খলজী সেদিকে দৃষ্টিপাত না করে ঠিক কি কারণে তিব্বত আক্রমণের প্রস্তুতি নিলেন ঐতিহাসিকদের কাছে তা অধরাই রয়ে গেছে। তবে ধারণা করা হয় তুর্কিস্তানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্যই তিনি তিব্বত জয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিব্বতের পথঘাট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকার কারণে বখতিয়ারকে বিশেষ বেগ পেতে হয়। সৌভাগ্যক্রমে একজন মেচ উপজাতির সন্ধান পেয়ে যান যে কিনা তিব্বতের পথঘাট সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে পারবে। বখতিয়ার খলজী তাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন এবং তার নাম দেন আলী মেচ। এই আলী মেচের সাহায্যেই তিনি তিব্বত অভিমুখে পূর্ণ রণসাজে দশ হাজার সৈন্যসমেত লখনৌতি ত্যাগ করেন। বর্ধনকোট নামক শহরে এসে বখতিয়ারের বাহিনী প্রথম বাধার সম্মুখীন হয়। ইতিমধ্যে কামরূপের রাজা বখতিয়ার খলজীকে তিব্বতের প্রতিকূল পরিবেশ সম্পর্কে অবহিত করে তাকে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং সাথে তিনি এও বলেন যে পরের বছর তিব্বত আক্রমণে তিনি বখতিয়ার খলজীকে সর্বাত্মক সাহায্য করবেন। কিন্তু তিনি তাতে কান না দিয়ে বর্ধনকোট শহরের উত্তর দিকে একটি সেতুর উপর তার দুই সেনাপতিকে পাহারাদার রেখে তিব্বতের পথে যাত্রা শুরু করেন।
পনের দিন পর একটি উন্মুক্ত প্রান্তরে বখতিয়ারের বাহিনীর সাথে যুদ্ধ হয় স্থানীয় তিব্বতিদের। এ যুদ্ধে বখতিয়ার বাহিনী জয়ী হলেও তাদের সৈন্যবাহিনীর সমূহ ক্ষতি সাধিত হয়। বখতিয়ারের বাহিনী আগাতে থাকে। ইতোমধ্যে তিনি খবর পেলেন যে অদূরেই করমবত্তন নামক শহরে লক্ষাধিক সৈন্য প্রতিরোধের জন্য অপেক্ষমাণ। সন্ত্রস্ত বখতিয়ার পেরে উঠবেন না ভেবে পিছু হটেন। দুর্গম সব পথ পাড়ি দিয়ে তার সৈন্যরা যখন পূর্বের পাথরের সেতুতে পৌছল ততক্ষণে পার্বত্য লোকেরা সেতুটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং তৎক্ষণাৎ উপুর্যুপুরি আক্রমণে দিশেহারা বখতিয়ার খলজী তার সেনাদের নিয়ে সাঁতরে নদী পার হন। দশহাজার সেনাদের মধ্যে অবশিষ্ট কয়েকজন কোনরকমে বেঁচেবর্তে ফিরেছিল। গৌহাটির ব্রম্মপুত্র নদীর তীরে প্রাপ্ত শিলালিপিতে ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজীর সেনাবাহিনীর বিধ্বস্তের প্রমাণ পাওয়া যায়।
বখতিয়ারের প্রয়াণ
তিব্বত অভিযানের ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে দেবকোটে অজানা এক রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২০৬ সালে ধুকে ধুকে মারা যান বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার এ অগ্রদূত।
বখতিয়ার কি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেছিলেন?
সহজপাঠ ইতিহাসের অন্যতম একটি মুখরোচক বিষয় হচ্ছে বখতিয়ার খলজী নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। কিন্তু একপাক্ষিক ঐতিহাসিকদের এই দাবিটি যে ডাহা মিথ্যা একটু খোঁজ নিলেই সেটা জানা যাবে। উল্লেখ্য নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় মোট ধ্বংস হয় দুইবার এবং তার পেছনে প্রতিবারই কলকাঠি নেড়েছিল ব্রাহ্মণ্যবাদী ও বৌদ্ধদের দ্বন্দ্ব। প্রথমবার ৪৪৫-৪৬৭ খ্রিষ্টাব্দে স্কন্দগুপ্তের আমলে মধ্য এশিয়ার হান জাতি দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। বলাই বাহুল্য তাদের নেতা মিহিরাকুলার ছিলেন প্রচণ্ড রকমের বৌদ্ধ বিদ্বেষী। দ্বিতীয়বারে মত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয় রাজা শশাঙ্ক দ্বারা। ব্রাহ্মণ্যবাদী রাজা শশাঙ্ক বৌদ্ধনুরক্ত রাজা হর্ষবর্ধণের সাথে সর্বদাই বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত থাকতেন।
রাজা হর্ষবর্ধনকে হত্যার জন্য অনেকবার ব্রাহ্মণরা চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। পরে কোন এক সময় তারা সফল হয় এবং ব্রাহ্মণ দুর্বৃত্তের হাতে প্রাণ হারান হর্ষবর্ধন। তীরহুতের রাজা অর্জুন হর্ষবর্ধনের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে থাকার সুবাদে তিনিই হর্ষবর্ধনের জায়গায় সিংহাসনে আরোহণ করেন। অর্জুনের সিংহাসন আরোহণের পরপরই একদল ব্রাহ্মণ দুর্বৃত্তের আক্রমণে নালন্দা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তবে সেটা তখনো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়নি। অর্জুন যখন চীনা প্রতিনিধি টিসিকে আক্রমণ করেন তখন ঐ চীনা প্রতিনিধি নেপালে পালিয়ে যান। নেপালের রাজা অর্জুনকে গ্রেফতার করেন এবং তারই তত্ত্বাবধানে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্সংস্কার করা হয় যা কিনা ১৩০০ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল। তাহলে ১৩০০ সাল পর্যন্ত টিকে থাকা নালন্দা কিভাবে বখতিয়ার খলজীর দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়? সেই উদন্তপুর বিহার ধ্বংসের সাথে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ক্ব গুলিয়ে ফেলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দায় চাপানো হচ্ছে বখতিয়ার খলজীর উপর আজ পর্যন্ত!
তথ্যসূত্র :
বাংলাদেশের ইতিহাস-ফোর ডক্টরস, পৃষ্ঠা ১৪৯-১৫৫
http://bn.banglapedia.org/index.php?title=বখতিয়ার_খলজী
glycomet buy online – precose 25mg without prescription buy generic acarbose 50mg