ভালবাসা, নাকি মানব জাতিকে টিকিয়ে রাখার নীল নকশা?

2

 

চানক্য বলে গেছেন,

“অজা যুদ্ধে ঋষিশ্রাদ্ধে

দাম্পত্যকলহশ্চৈব

বহভ্যারম্ভে লঘুক্রিয়া।”

অর্থাৎ কিনা, ছাগলের মারামারি, বুজুর্গদের অনুষ্ঠান আর দাম্পত্যকলহ অতি আড়ম্বরে শুরু হয়, কিন্তু আদতে হয় কাঁচকলা।

ভালবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

আশেপাশে তাকালেই আমরা দেখতে পাই হরেক রঙ এর, হরেক ধরনের দম্পতি । দাম্পত্য টিকে থাকে যে ভালবাসার উপর সেটা নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা তো সবারই করে। আমারও স্বল্প জ্ঞানে যতটুকু কুলায় ততটুকু লেখার চেষ্টা করব। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বিজ্ঞানের অংশটুকু সহজ করে দেয়ার জন্য। শালীনতা রক্ষার জন্য আমি কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করব বা বিষয়গুলো এঁড়িয়ে যাব।

ভালবাসা জিনিসটা কবি সাহিত্যিকরা যতই স্বর্গীয় বা ডিভাইন বলুক ব্যাপারটা আসলে ঠিক তা না। এটা আসলে প্রকৃতির একটা ষড়যন্ত্র আমাদের প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য। আমরা সবাই এই ষড়যন্ত্রের শিকার তা সে স্বীকার করি কিংবা নাই করি। কেননা বংশধর রেখে না গেলে তো আমরা বিলুপ্ত হয়ে যাব। আর তার জন্য দরকার অপজিট সেক্সের একজন পার্টনার খুঁজে বের করা। ইন্টারকোর্স ব্যাপারটাও প্রকৃতি আনন্দদায়ক করে রেখেছে শুধুমাত্র এই প্রজাতি টিকিয়ে রাখার জন্য , নাহলে তো মানুষ এই প্রসেসটার ভেতর দিয়ে যাবে না।

যাই হোক সাইকোলজিস্টরা মনে করেন এই পার্টনার নির্বাচন বা প্রেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নিতে মস্তিষ্কের দেড় মিনিট থেকে চার মিনিট সময় লাগে। চলুন তাহলে জেনে আসি ভালবাসার ভালবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? –

Rutgers University র হেলেন ফিসারের মতে প্রেমে পড়ার ৩ টি ধাপ রয়েছে।

ধাপ ১ (Lust):  এখানে ২ টা হরমোনের কথা বলা হয়েছে টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন ছেলে কিংবা মেয়েদের জন্য। এদের কাজটা হেলেন ফিসার এভাবে বলেছেন,” Get you out looking for anything.” মানে অনেকটা র‍্যান্ডম সিলেকশন ধরনের হয়। হঠাৎ কাউকে দেখে ভাল লেগে যাওয়া মানে আসলে ন্যাচারাল সিলেকশন নিজের বংশধর তৈরীর জন্য উপযুক্ত মাধ্যম খুঁজে বের করা। অর্থাৎ কি ধরনের বৈশিষ্ট্য সে তার বংশধরদের মাঝে দেখতে চায় সেটারই বহিঃপ্রকাশ, লাভ এট ফার্স্ট সাইট না।

ধাপ ২(attraction): এটা সবচেয়ে চমৎকার ধাপ। এটা আমাদের চমৎকার কিছু অনুভুতি দেয়। বলা হয়ে থাকে ৩ টা ভালবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাপ্রধান নিউরোট্রান্সমিটার এড্রেনালিন, ডোপামিন, সেরোটনিন এই  ধাপটি নিয়ন্ত্রন করে থাকে। এটাকে love struck ফেজও বলে। সেরোটনিনের কারনে বারবার মনের মাঝে সেই বাছাই করা পার্টনারের নাম আসতে থাকে। অনেক সময় ক্ষুধামন্দা কিংবা ঘুম কম হতে পারে। বিভিন্ন জিনিস দেখে বা বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু  চুজ করা পার্টনারের নামই আসতে থাকে। যাকে কবিরা বলেছেন,”শয়নে স্বপনে শুধুই তুমি।“ প্রচলিত অর্থে এটাই তথাকথিত রোমান্টিক ধাপ।

ধাপ ৩ (attachment): আগের ধাপে খুব বেশিদিন থাকে না, কারন তাহলে মানুষের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যাহত হবে। প্রকৃতি তখন তাকে পরবর্তি ধাপে ঠেলে দেয়। ২ ট হরমোন অক্সিটোসিন(the cuddle hormone) এবং ভেসোপ্রেসিন। এই ধাপটাকে প্রকৃতি একটু দীর্ঘায়িত করতে চায় অন্তত যতদিন পর্যন্ত অফস্ফ্রিং না হয়। এই ধাপেই মানুষ বিয়ে করে স্থায়িত্ব চায় তাদের এই প্রসেসটার।

আরো অনেক কথা আছে কিন্তু এটুকু লিখতেই  হাত ব্যথা হয়ে গেছে। তাই এখানেই ইতি টানলাম।

Leave A Reply
2 Comments
  1. Yynctp says

    buy cheap terbinafine – how to get griseofulvin without a prescription grifulvin v order online

  2. Pbbzai says

    buy glucophage 500mg generic – losartan ca precose sale

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More