x-video.center fuck from above. azure storm masturbating on give me pink gonzo style. motphim.cc sexvideos

আমেরিকা: আবিষ্কার ও স্বাধীনতা যুদ্ধ (প্রথম পর্ব)

Source: Famous Biographies

 

পৃথিবীর ইতিহাসে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যে পঞ্চদশ শতাব্দীর আমেরিকার আবিষ্কার একটি। এরপর বিভিন্ন ঔপনিবেশিক শক্তির দ্বারা শাসিত হয় এবং অনেক চড়াই-উৎরাই এর পর সমগ্র আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্রিটিশ শাসন স্থাপিত হয়। আবার অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রভুদের হাত থেকে আমেরিকা ১৭৮৩ সালের প্রথম ভার্সাই চুক্তির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। এই স্বাধীনতার পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। আমেরিকার আবিষ্কার ও ব্রিটিশ শাসন কায়েম এবং আমেরিকার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যে রয়েছে এক দীর্ঘ পথচলা, আজকের আর্টিকেলটিতে তা নিয়েই কথা হবে।

কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারঃ

কলম্বাস আমেরিকা ‘আবিষ্কার’ করেছিলেন প্রায় পাঁচশ বছর আগে। আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কারের কাহিনী অনেকেরই জানা। ইতালিতে জন্ম নেয়া নাবিক কলম্বাস ১৪৮৬ সালে স্পেনের রাজার কাছে একটি সাহসী প্রস্তাব পেশ করে বলেন যে, পৃথিবী গোলাকার, এই তত্ত্ব অনুযায়ী ইউরোপ থেকে জাহাজ পশ্চিম দিকে চলতে থাকলে চীন এবং ভারতে পৌঁছা যায়। ১৪৯২ সালের এপ্রিল মাসে স্পেনের রাণী এবং রাজা কলম্বাসের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এরপর তিনি তিনটি পালতোলা জাহাজ এবং ৮৭ জন নাবিক নিয়ে রওয়ানা হন এবং অবশেষে আমেরিকা মহাদেশের বাহামাস দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছে যান ।

কলম্বাসের আমেরিকায় প্রত্যাবর্তন
কলম্বাসের আমেরিকায় প্রত্যাবর্তন Source: britannica

পরে তিনি জাহাজ যোগে আরও এগিয়ে যান এবং পর্যায়ক্রমে জামাইকা, পোর্টো রিকো, ডোমিনিকা, হণ্ডুরাস আর পানামা ইত্যাদি দেশ আবিষ্কার করেন এবং স্পেনের উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ভিত্তি স্থাপন করেন। তবে তাঁর মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি বরাবরই মনে করতেন ,তাঁর আবিষ্কৃত স্থানগুলো হলো এশিয়ার প্রান্তবর্তী অঞ্চল। প্রচলিত তথ্য মতে, ১৪৯৩ সালের ১৫ মার্চ কলম্বাস আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন। তবে তিনি নিজে এই নতুন মহাদেশকে ভারত বলে মনে করে ভুল করেন, এবং স্থানীয় আধিবাসীদের ইণ্ডিয়ান বা ভারতীয় বলে মনে করেন। অবশ্য কলম্বাস যে একেবারে নতুন একটি মহাদেশ আবিষ্কার করেছিলেন তেমনটা নয়। কারণ ভাইকিংরা কলম্বাসের বহু আগেই এ মহাদেশে যাতায়াত করেছিল বলে জানা যায়। তবে কলম্বাসের হাত ধরেই আমেরিকা মহাদেশের সঙ্গে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে । (তথ্যসূত্রঃবিবিসি.কম.ইউকে)

কলম্বাসের ব্যবহারকৃত কাল্পনিক যাত্রাপথ
কলম্বাসের ব্যবহারকৃত কাল্পনিক যাত্রাপথ Source: BBC

আমেরিকায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদঃ

পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় দেশগুলো পৃথিবীর আনাচেকানাচে ছড়িয়ে পড়ে। মূলত ব্যবসাকে উদ্দেশ্য করেই এরা বিভিন্ন মহাদেশে যাত্রা করত। এরা জলপথকেই বেছে নিয়েছিল ভ্রমণের প্রধান মাধ্যম হিসেবে। এই সমুদ্রপথে ভ্রমণ করে তারা বিভিন্ন অঞ্চলের খোঁজে বেড়িয়ে পড়ত। এক্ষেত্রে পর্তুগীজ নাবিকদের আধিপত্য ছিল অসামান্য। পর্তুগীজরা প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে ১৪১৮ সালে পশ্চিম আফ্রিকার পোর্ট সান্তো আবিষ্কার করে উপনিবেশ সৃষ্টি করে। এরপর ভাস্কো দা গামার নেতৃত্বে আবিষ্কার হতে থাকে আফ্রিকার দেশসমূহ; অবশ্য তিনি ভারতীয় উপমহাদেশও আবিষ্কার করেন। শতাব্দীর শেষ দিকে এসে পর্তুগীজরা আর সমুদ্র বিজয়ে অত দক্ষতা দেখাতে পারছিল না। তখনই এগিয়ে যায় মুসলিমদের থেকে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত স্পেন। তারা আমেরিকার বহুলাংশে প্রভাব বিস্তারে সক্ষমও হয়। কিন্তু সাথেসাথেই সমুদ্র যাত্রায় অন্তর্ভুক্তি ঘটে ইংল্যান্ড এর। ইংল্যান্ড মূলত প্রাথমিকভাবে জমি দখলের চেয়ে প্রাইভেট কম্পানির মাধ্যমে ব্যবসার জাল বুনতে সচেষ্ট ছিল। যেমনটি করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি। সরাসরি ক্ষমতা হাতে তুলে না নিয়ে পুরো অর্থনীতি ধীরে ধীরে গ্রাস করে ক্ষমতা বিস্তার করা।

ব্রিটিশদের আমেরিকার কোন একস্থানে প্রথম আগমণ
ব্রিটিশদের আমেরিকার কোন একস্থানে প্রথম আগমণ Source:Britannica

১৪৯৭ সালে অবশ্য জন ক্যাবট পর্তুগিজ ও স্পেনীয়দের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমেরিকায় পৌঁছায়। ১৫৫৮ সালে ইংল্যান্ডে “মুসকভি কম্পানি” গড়ে উঠে যারা কিনা আফ্রিকায় বাণিজ্য শুরু করে। রাণী এলিজাবেথ এর সময় এরকম বহু বাণিজ্যিক সংগঠন গড়ে উঠে। তৎকালীন দক্ষ নাবিক স্যার হামপানি গিলবার্ট ১৫৭৮ সালে দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে সমুদ্র অভিযানে যান। তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ আমেরিকায় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু তিনি অতটা সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। ১৫৮৩ সালে ২৬০ জন সহযোগী সহ হামপানি গিলবার্ট পাঁচটি পালতোলা জাহাজ সহ উত্তর অ্যাটলান্টিকএ নিখোঁজ হন। এবার তারা উওর  অ্যাটলান্টিক হয়ে আমেরিকায় যাবার পথ খোঁজার উদ্দেশ্যে স্যার ওয়াল্টার রেলিগ কে প্রেরণ করেন। অনেক চড়াইউৎড়াই এর পর ১৬০৭ সালে ব্রিটেন প্রথম জেমসটাউনে স্থায়ী কলোনি তৈরি করতে সক্ষম হয়। ব্রিটিশরা স্থানীয় অধিবাসীদের বোঝাতে সক্ষম হয় যে তারা স্পেনীয়দের মতো স্থানীয়দের শোষণ করবেনা বরং ব্যবসা বাণিজ্য ছড়িয়ে দেবার মধ্য দিয়ে নতুন বিশ্ব সৃষ্টি করে অধিবাসীদের কল্যাণ সাধন করবে। পাশাপাশি এটিও বলা হয় যে স্থানীয়দের ধর্মীয় ব্যাপারে ব্রিটিশরা হস্তক্ষেপ করবেনা। আমেরিকায় ব্রিটিশদের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় আরো কিছু দিক ছিল। দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশ ছিল স্পেনীয়দের হাতে। ব্রিটেন চাচ্ছিল ওসব অঞ্চলেও তাদের প্রাধান্য বিস্তার করে স্পেনীয়দের হটিয়ে দিতে। বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র ছিল কৌশলগতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ একটি স্থান। পাশেই অবস্থিত বিশাল কানাডা ছিল স্পেনীয়দের হাতে যা ব্রিটিশরা পরবর্তীতে দখল করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় পর্যন্ত ডোমিনেট করতে সক্ষম হয়। ওদিকে অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত অনেক ব্রিটিশ “নতুন বিশ্ব” নামের আমেরিকায় মাইগ্রেট করতে থাকে। মূলত আজকের আমেরিকান যারা তার একটি বড় অংশই ব্রিটেন থেকে স্থানান্তরিত।

আজকে আমরা যে যুক্তরাষ্ট্র দেখছি তা পূর্বে এমন ছিল না। অনেকে হয়ত মনে করে থাকবেন যে নিউইয়র্ক, ক্যার্লিফোনিয়া, ক্যারোলিনা মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র নামক দেশের একেকটি শহর যেমন চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনাকে আমরা বুঝে থাকি। আসলে তেমনটা নয়, এই একেকটি শহরই একেকটি দেশ। এমন পঞ্চাশটি দেশের সমন্বয়ে বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র। যাহোক ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন করতে তেরটি অঙ্গরাজ্য এক হয়ে একটি শক্তিশালী কেন্দ্র তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলে। জেনে রাখা ভালো যে প্রত্যেকটি প্রদেশ সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এমনকি চাইলে তারা গণভোটের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে বেরও হয়ে যেতে পারবে। যাহোক ব্রিটিশরা জেমসটাউনকে কেন্দ্র করে তার পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোকে আস্তে আস্তে গ্রাস করতে থাকে এবং ভার্জিনিয়া সম্পূর্ণরূপে ব্রিটিশদের করতলস্থ হয়। এরপরই ভার্জিনিয়ার প্রতিবেশী ম্যারিল্যান্ডকে দখল করার জন্য অনুমোদন দেয়া হয় লর্ড বাল্টিমোরকে। পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার এটি পুনরায় কালভার্ট পরিবার থেকে দখল করে নেয়। এরপর ১৬৩২ সালে নিউ ইংল্যান্ডস্থ অধিবাসীদের সাথে কিছু শর্তের ভিত্তিতে “ম্যাইফ্লাওয়ার কম্পাক্ট” স্বাক্ষরিত হয়। ফলে চার্টারের অধীনে ম্যাসাচুসেটস, পার্টমাউথ ব্রিটিশদের করতলগত হয়। ১৬৬৪ সালের দিকে নেদারল্যান্ডস এর কলোনি নিউইয়র্ককে ব্রিটিশরা দখল করে নেয়। নিউইয়র্ক দখলে নেতৃত্বদানকারী জেমস পরবর্তীতে ব্রিটিশ রাজা হন, ফলে নিউইয়র্ক রয়েল কলোনি হিসেবে পরিচিত হয়। পেনিসিলভেনিয়ায় জার্মানদের একমাত্র উপনিবেশ ছিল। ব্রিটিশরা জার্মানদের হটিয়ে সেখানে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। ব্রিটিশ রাজ ১৬২৯ সাল থেকেই জর্জিয়া ও ক্যারোলিনা দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকলেও ১৬৬৩ সালের দিকে তা করতলগত করতে সক্ষম হয়। এভাবেই আস্তে আস্তে ব্রিটিশরা সমগ্র ইউরোপ দখল করে ব্রিটিশ রাজ্যের শাসন স্থাপন করেন।

আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণঃ

আমেরিকার বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দেশ যে কিনা ব্রিটিশদের হাত থেকে নিজেদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়। প্রশ্ন চলেই আসে যে কেন আমেরিকা ব্রিটিশ প্রভুদের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য এত সংগ্রাম করেছিল। নিম্নে তার কারণ আলোচনা করা যেতে পারে-

আমেরিকায় ব্রিটিশদের উপনিবেশসূহ
আমেরিকায় ব্রিটিশদের উপনিবেশসূহ Source:Briannica

প্রথমত, স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত আমেরিকায় তেরটি ব্রিটিশ শাসিত উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল। এগুলো ছিল ১. ভার্জেনিয়া, ২.ম্যাসাচুসেটস, ৩.মেরিল্যান্ড, ৪.রোড আইল্যান্ড, ৫.কমেকটিকাট, ৬.ডেলাওয়ার, ৭.নিউ হ্যাম্পশায়ার, ৮.নর্থ ক্যারোলিনা, ৯. সাউথ ক্যারোলিনা, ১০.নিউইয়র্ক, ১১.নিউ জার্সি, ১২.পেনসেলভেনিয়া এবং ১৩.জর্জিয়া।

এগুলো ইংল্যান্ড এর উপনিবেশ হলেও উপনিবেশিকরা বহু ক্ষেত্রে  অভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসনাধিকার ভোগ করত। ইংরেজরা এদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ করত না। প্রত্যেকটি উপনিবেশে একটি করে আইন সভা ছিল। এই আইনসভা উপনিবেশবাসীদের প্রতিনিধি নিয়ে গড়ে উঠলেও আইনসভার কার্যনির্বাহী ছিলেন সেখানকার গভর্নর এবং তাঁর কাউন্সিল। এদের নিয়োগ করত ইংল্যান্ড। এরাই ছিল উপনিবেশগুলোতে ব্রিটিশ রাজপ্রতিনিধি। ফলে প্রায়ই গভর্নর ও আইন পরিষদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। গণতান্ত্রিক  মনোভাবাপন্ন উপনিবেশবাসীরা মনে করত যে, ইংল্যান্ড এরূপ শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার খর্ব করছে। ব্রিটিশ রাজ তার মন মতো নির্দেশনা দিয়ে অগণতান্ত্রিক একটি শাসন ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা আমেরিকানদের হেয় করছে।

দ্বিতীয়ত, ১৭৫৬-৬৩ খ্রিস্টাব্দের যুগ, ইউরোপে সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধ চলাকালীন উত্তর আমেরিকা মহাদেশে ইংল্যান্ড-ফ্রান্স পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। এই যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয় এবং ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসের সন্ধি দ্বারা এই যুদ্ধের অবসান ঘটে। এই চুক্তির দ্বারা ফ্রান্স উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত বিস্তীর্ণ উপনিবেশ কানাডা ইংল্যান্ডের হাতে তুলে দেয়। উত্তর আমেরিকা থেকে ফরাসি শক্তির অবলুপ্তির ফলে একদিকে যেমন ঔপনিবেশিকদের মন থেকে ফরাসী ভীতি দূর হয়, অন্যদিকে তেমনি ব্রিটিশ শক্তির উপর তাদের নির্ভরশীলতা কমে আসে। তারা নিজেদের অধিকার, দাবী দাওয়া ও স্বাতন্ত্র্য সম্বন্ধে অধিকার সচেতন হয়ে ওঠে এবং ইংল্যান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হবার জন্য সচেষ্ট হয়।

সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধ ইউরোপ,আমেরিকা ও এশিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়েছিল
সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধ ইউরোপ,আমেরিকা ও এশিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়েছিল Source: wikipedia

তৃতীয়ত, ইংল্যান্ডের ঔপনিবেশিক বাণিজ্য নীতি আমেরিকাবাসীর ইংরেজ বিদ্বেষের অন্যতম কারণ ছিল। উপনিবেশগুলোতে ব্রিটিশ সরকার ব্যবসা বাণিজ্যের একচেটিয়া বাণিজ্যিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। ব্যবসা বাণিজ্যে ঔপনিবেশিকদের কোন স্বাধীনতা ছিল না। তারা অন্য কোন দেশের সাথে সরাসরি বাণিজ্য পর্যন্ত করতে পারত না। ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সরকার “নেভিগেশন এক্ট” নামক আইন প্রত্যাবর্তন করে আমেরিকার ব্যবসা বাণিজ্যসমূহের ব্যাপক ক্ষতিসাধণ করেছিল। এই আইন অনুসারে যেসব দ্রব্য ইংল্যান্ডে উৎপন্ন হত, উপনিবেশসমূহে তা তৈরী করা দণ্ডনীয় ছিল। ফলে উপনিবেশসমূহে শিল্প-বাণিজ্য প্রসারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ইংরেজ সরকারের এই অর্থনৈতিক শোষণ নীতি আমেরিকার অধিবাসীগণকে ব্যাপকভাবে বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

ব্রিটিশদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ
ব্রিটিশদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ Source:Wikipedia

চতুর্থত, ঐতিহাসিকদের মতে, ইংল্যান্ড হতে আমেরিকার দূরত্ব ও ঔপনিবেশিকদের মধ্যে  জাতীয়তাবাদের উন্মেষ আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল। সুতরাং তাদের ইংরেজসুলভ উদ্যম-উদ্দীপনা, নিজ অধিকার সম্বন্ধে সচেতনতা এবং জাতীয়তাবোধ তাদেরকে ইংরেজ প্রাধান্য অস্বীকার করতে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে।

এছাড়াও প্রত্যক্ষ কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে সপ্তবর্ষব্যাপী ও অন্যান্য যুদ্ধ প্রসূত ব্যয়বহুল ও ঋণভার হেতু ব্রিটেন আমেরিকার উপনিবেশগুলোর উপর বাণিজ্যিক কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে সচেষ্ট হয় এবং বিভিন্ন কর আরোপ করে নাগরিক জীবনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। যেমনঃ সুগার এক্ট, কারেন্সি এক্ট, স্টম্প এক্ট ইত্যাদি জনমনে চরম হতাশা সৃষ্টি করে। যার ফলে আমেরিকানরা ব্রিটিশ নাগপাশ থেকে মুক্ত হবার জন্য দীর্ঘ সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়।

 

তথ্যসূত্রঃ

১. আমেরিকার ইতিহাস

২. ইউরোপের ইতিহাস

৩. ব্রিটিনিকা

৪.উইকিপিডিয়া

৫. বিবিসি

 

দ্বিতীয় পর্ব

 

 

 

 

Comments are closed.

sex videos ko ko fucks her lover. girlfriends blonde and brunette share sex toys. desi porn porn videos hot brutal vaginal fisting.