আমরা অনেকেই হয়তো কম বেশি নিষিদ্ধ নগরী লাসা বা নিষিদ্ধ দেশ তিব্বত এই শব্দ গুলোর সাথে পরিচিত। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত বরফাচ্ছন্ন এই দেশ টি অতীতকাল থেকেই পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে অনেক রহস্য এবং কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। কারণ দুর্গম এই জায়গায় আগে বহির্বিশ্বের লোকজনের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তিব্বতের লোকজনের জীবনধারা, ধর্ম বিশ্বাস, ঘরবাড়ি, প্রাকৃতিক পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষ আগে তেমন কিছু জানতোনা। যদিও এখন আর তেমন টা নয়, এখন প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে অনেক নতুন আইন কানুনের বদৌলতে মানুষ অনেক কিছুই জানে তিব্বত এবং এর সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে।
তিব্বতিরা অত্যন্ত ধর্মভীরু জাতি। তাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ হচ্ছে ধর্ম। তারা অধিকাংশই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাদের প্রধান ধর্মীয় গুরু কে বলা হয় “দালাই লামা”। এখানে দালাই শব্দের অর্থ জ্ঞান সমুদ্র, আর লামা শব্দের অর্থ সর্বপ্রধান। অর্থাৎ দালাই লামা শব্দের অর্থ দাঁড়ায় জ্ঞান সমুদ্রের সর্বপ্রধান। এই দালাই লামা রা তিব্বতে সবচেয়ে বেশি সম্মানের আসনে আসীন। দালাই লামা বাস করে সেখান কার বিখ্যাত পোতালা প্রাসাদে যা স্বর্ণ দিয়ে তৈরি।
তিব্বতের বর্তমান দালাই লামা যিনি আছেন তিনি ১৪ তম দালাই লামা। দালাই লামার পদটি তৈরি করেছিলেন আলতান খান ১৫৭৮ সালে, যিনি মিং শাসনামলই “শুন ই” এর রাজকুমার ছিলেন।

Source: meditation and spiritual growth
দালাই লামার পদ টি গুরুত্বপূর্ণ অনেক গুলো কারণে। পঞ্চম দালাই লামার সময় থেকে দালাই লামা কে তিব্বতের রাজ্যগুলোর একীকরণের ক্ষেত্রে এক বিশাল গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বলে মানা হয় যিনি তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য এর প্রতিনিধিত্ব করেন। বিশেষ করে গেলুক (Geluk) ঐতিহ্য যেটা রাজনৈতিক ও সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে কেন্দ্রীয় তিব্বতে প্রভাবশালী ছিল, সেই ঐতিহ্যে দালাই লামা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ বিবেচিত হতো। কিন্তু দালাই লামার ধর্ম বিষয়ক কর্তৃত্ব কোন সম্প্রদায় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিলনা। একজন সর্বজনীন ব্যক্তিত্ব হিসেবে অন্যান্য ধর্মের লোকদের মাঝেও একতা ও শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করেন দালাই লামা রা, যেটা ১৪ তম দালাই লামা আরও বেশি ভালো মত করছেন বর্তমানে। ১৪ তম দালাই লামার নাম হল তেঞ্জিন গিয়াতসু যিনি বর্তমানে নির্বাসনে আছেন। কিন্তু নির্বাসনে থেকেও তিনি যেকোনো প্রকার বিভেদ ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করার জন্য কাজ করছেন যেখানে নির্বাসনে আছেন তাদের জন্যও আবার তিব্বতের নাগরিকদের জন্যও।
১৬৪২ থেকে ১৭০৫ সাল পর্যন্ত, আবার ১৭৫০ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত দালাই লামা ছিলেন তিব্বতের সরকার প্রধান, যে সরকার কিং রাজবংশের অধীনে অধিকাংশ তিব্বতীয় মালভূমির শাসন করে।

তিব্বতের সকল দালাই লামাদের মধ্যে ১৪ তম দালাই লামা তেঞ্জিন গিয়াতসু সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত বলে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক হেরাল্ড ট্রিবিউন পত্রিকার ২০০৮ সালের একটি সমীক্ষা করে আমেরিকা ও ইউরোপের ৫ টি দেশ দেখে যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সম্মানীয় বিশ্বনেতা হলেন ১৪ তম দালাই লামা। এছাড়া তাঁর জীবন অনেক বেশি ঘটনাবহুল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। চলুন জেনে নেয়া যাক তাঁর সম্পর্কে জানা অজানা কিছু ব্যাপার।
বর্তমান দালাইলামা ১৯৩৫ সালের ৬ জুলাই চীনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত নেতা হলেও তাঁর জন্ম কিন্তু খুবই সাধারণ পরিবার ও পরিবেশে হয়েছিল। তাঁর জন্ম হয়েছিল কাদা আর পাথরের তৈরি একটি ছোট্ট ঘরে। যে গ্রামে তাঁর জন্ম হয় সেখানে সব মিলিয়ে মাত্র ২০ টি পরিবারের বাস ছিল, এ থেকেই ধারনা করা যায় কত ছোট আর প্রত্যন্ত এলাকায় জন্ম হয়েছিল তাঁর। জন্মের সময় তাঁর পরিবার তাঁর নাম রেখেছিল ‘লামো ডন্ড্রোপ’ যার অর্থ হল ‘আশা পূরণকারী দেবী’ । তিনি তাঁর পিতামাতার নবম ও দ্বিতীয় পুত্র সন্তান ছিলেন। যদিও তাঁরা মোট ১৪ ভাই বোন ছিলেন কিন্তু বেঁচে ছিলেন মাত্র ৭ জন, বাকিরা শিশু বয়সেই মারা যান। শৈশবে দালাই লামা একটি ছোট্ট ঘরে বেড়ে উঠেন যে ঘরে কোন জানালা ছিলনা।
দালাই লামার পরিবার গরিব হলেও বেশ প্রভাবশালী ও সম্মানিত ছিল। তাঁর চাচা এবং বড় ভাইয়েরা বিখ্যাত লামা ছিলেন।
মাত্র ৩ বছর বয়সে লামো ডন্ড্রোপ কে ১৪ তম দালাই লামা হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ১৪ তম দালাই লামা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর নাম পরিবর্তন করে তেঞ্জিন গিয়াতসু রাখা হয়। দালাই লামা হওয়ার পর তাঁকে অনেক বিস্তৃত ও কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তিনি তিব্বতের শিল্প ও সংস্কৃতি, সংস্কৃত, চিকিৎসা বিদ্যা, অধিবিদ্যা, জ্ঞান তত্ব, যুক্তিবিদ্যা এবং বুদ্ধিস্ট দর্শন নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। ২৪ বছর বয়সে তাকে বুদ্ধিস্ট দর্শনের উপর পি এইচ ডি ডিগ্রি দেয়া হয়।

প্রশিক্ষণ চলাকালীন তিনি পুরোপুরি নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেছেন। তিনি শক্ত বিছানায় থেকেছেন, সাথে একটি উলের বালিশও ছিল অবশ্য। তাঁর কোন খেলার সঙ্গী ছিলনা, এমনকি খাবারও তাঁকে একাই খেতে হতো। তাঁর বেশির ভাগ সময় কাটতো হয় পড়াশুনা করে না হয় ধ্যান করে। অবসর সময়ে তিনি নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ঠিক করতেন। বিশেষ করে ঘড়ি ঠিক করার খুব শখ ছিল তাঁর অনেক আগে থেকেই। তিনি রাতের অনেক টা সময় টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশ দেখে কাটিয়েছেন। তিব্বতিদের বিশ্বাসের বিপরীতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, চাঁদের নিজের কোন আলো নেই।
পোতালা প্রাসাদে অবস্থানকালে তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের দলিল দেখে দেখে লিপিবিদ্যা শিখেছিলেন। তাঁর বয়স যখন মাত্র ৪ বছর তখন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট তাঁর কাছে কূটনীতিক পাঠান। তাঁর ৭ বছর বয়সে রুজভেল্ট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চায়নায় মালামাল পরিবহনের তিব্বত কে তিনি ব্যবহার করতে পারবেন কিনা। ১৯৪২ সালে রুজভেল্ট দালাই লামা কে একটি স্বর্ণের রোলেক্স ঘড়ি উপহার দেন এবং সাথে একটি চিঠিও দেন তিব্বতের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। তিনি মাঝে মাঝেই তাঁর এই ঘড়ির গল্প করেন এবং বলেন এই ঘড়ি টা উপহার না পেলে বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর যে আকর্ষণ সেটা কখনই তৈরি হতো না। ২০১০ সালে বারাক ওবামা ওয়াশিংটনে তাঁকে রুজভেল্টের ঐ চিঠির একটি কপি উপহার দিলে দালাই লামা বলেন “ঐ সময় আমার সকল আগ্রহ শুধু ঐ ঘড়ি কে ঘিরেই ছিল, চিঠি নিয়ে না”। উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ যখন তাঁকে ‘ কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল’ প্রদান করেন তখনও ঐ ঘড়িটা তাঁর পকেটেই ছিল। এর থেকে হয়তো আমরা ধারনা করতে পারি মাত্র ৭ বছর বয়সে উপহার পাওয়া সেই ঘড়ির গুরুত্ব দালাই লামার কাছে কত বেশি।
তবে ঘড়ি বা যন্ত্রপাতি ঠিক করা কিন্তু তিনি একা একাই শিখেন নি। তাঁর একজন শিক্ষক ছিলেন হেনরিখ হারের নামে যিনি একজন অস্ট্রিয়ান নাজি সমর্থক পর্বতারোহী ছিলেন। তিনি ৭ বছর তিব্বতে ছিলেন। তাঁর বয়স যখন ৩৭ বছর তখন তিনি তিব্বত আসেন এবং দালাই লামার বন্ধু হন। তখন দালাই লামার বয়স ছিল ১৪ বছর। ততক্ষণ তিব্বতের মানুষের চিন্তাধারা এমন ছিল যে পশ্চিমা দেশের মানুষ মানেই হয়তো বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ঠিক করতে পারে। দালাই লামা যেখানে থাকতেন সেখানে একটি ভাঙ্গা প্রোজেক্টর এবং একটি জেনারেটর ছিল। দালাই লামার অনুসারীরা মনে করতো প্রোজেক্টর বা জেনারেটর স্পর্শ করলেই হয়তো তিনি বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হবেন, এই ভয়ে তাঁরা হেনরিখ কে ডেকে পাঠাতো যন্ত্রপাতি ঠিক করার জন্য। সেখান থেকেই দালাই লামার সাথে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। তিনি দালাই লামা কে ইংরেজি ও ভূগোল শিখান, পশ্চিমা রীতি রেওয়াজ সম্পর্কে বলেন, কিভাবে প্লেন উড়ে বা কিভাবে ট্যাংকার চালানো হয় এইসব ব্যাপারেও বলেন। মজার বিষয় হল এই ছাত্র আর শিক্ষকের জন্মদিনও একই তারিখে, ৬ জুলাই।
যখন দালাই লামা কে তাঁর এই শিক্ষকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি বলেন যে, ঐ সময় সবাই হেনরিখের উপর খুব খুশি ছিল, এবং তিনি নিজে শিক্ষক কে খুশি করার জন্য প্রোজেক্টর টার অংশ গুলো খুলে ফেলতেন আবার জোড়া লাগাতেন।
১৯৫০ সালে যখন চীন তিব্বতের পূর্ব দিক থেকে অনুপ্রবেশ করে এবং পুরো তিব্বত দখল করার পরিকল্পনা করে তখন দালাইলামা তিব্বতের সরকার প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় বসেন মাত্র ১৫ বছর বয়সে। ১৯৫৪ সালে তিনি নিজেকে একজন মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি মাও সে তুং এর মতাদর্শে মুগ্ধ ছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই মুগ্ধতা দূর হয়ে যায় যখন তিনি মাও এর সাথে মুখোমুখি দেখা করেন এবং মাও বলেন ‘ধর্ম হল বিষ’। তিনি তাঁর একটি বই এ লিখেছেন “যখন আমি প্রথমবারের মত কমিউনিস্ট শব্দ টা শুনি তখন আমার বয়স অনেক কম ছিল। আমাকে যে বৌদ্ধ ভিক্ষু রা পড়াশুনার কাজে সাহায্য করছিলেন তাদের কাছে জেনেছিলাম যে মঙ্গোলিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন শুরু হওয়ার পর কি পরিমাণ বিধ্বংসী কার্যকলাপ হচ্ছে। তখন মার্ক্সবাদী আদর্শ সম্পর্কে আমাদের কোন জ্ঞান ছিলনা। কিন্তু আমরা সবাই সন্ত্রাসের ব্যাপারে ভীত ছিলাম এবং কমিউনিস্ট দের কে আমরা ভয় পেতাম”।
যুবক বয়সে দালাই লামা কমিউনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং তাঁর অনুসারীদের আপত্তি স্বত্বেও তিনি এক বছরের জন্য চীন সফর করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর সফরকালে তিনি বেইজিং এ থামেন এবং সেখানে মাও সে তুং ও শো এনলাই এর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তিনি বলেন “চীন সফরে গিয়ে আমি মার্ক্সিজম সম্পর্কে আরও ভালো মত জানি এবং চীনের বিপ্লব দেখে আমি এতো বেশি অভিভূত হই যে আমি মনে প্রাণে একজন মার্ক্সিস্ট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই”। তিনি আরও বলেন “ঐ সময় তিব্বত অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে ছিল, সমাজের উঁচু স্তরের লোকজন নিচের স্তরের লোকদের কথা ভাবতো না, অনেক বেশি অসমতা ছিল। আমি ভেবেছিলাম কমিউনিস্ট রা যেভাবে সমতার কথা বলে সেটা যদি তিব্বতে থাকতো তাহলে ভালো হতো”। কিন্তু তাঁর এই ধারনা কিছুদিন পরই ভেঙ্গে যায় যখন তথাকথিত চীনা কমিউনিস্ট রা তিব্বতে স্বাধীনতা আনে। তিনি বলেন “চীনা কমিউনিস্ট রা কমিউনিজমের নামে তিব্বতে হিংস্রতা ও অপলাপ নিয়ে আসে। তাদের মতের সাথে যেকোনো প্রকার বিরোধিতাই দমন করে ফেলা হতো এবং তাঁরা বৌদ্ধ মন্দির গুলো ভাঙতে শুরু করে এবং লামাদের গ্রেফতার করতে থাকে”।

১৯৫৯ সালে যখন প্রায় ৩০০০০ চীনা সৈন্য তিব্বতে দালাই লামার প্রাসাদ ঘেরাও করে তখন তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় প্রাসাদের আঙ্গিনায় মর্টার শেলের বিস্ফোরণের শব্দ শুনার পর তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করে ৩৭ জন সঙ্গী সহ প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়ে যান। অনেক ঝামেলা আর ঝড় ঝঞ্ঝা পার হয়ে তিনি ভারত পৌঁছান। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ তাঁর এই পলায়ন সম্পর্কে অবগত ছিল এবং তাঁরা ভারত সরকারকে এই ব্যাপারে জানায় এবং দালাই লামা ও তাঁর সঙ্গীদের ভারতে আশ্রয় দেয়ার কথা বলেন। ৩১ মার্চ দালাই লামা যখন ভারত সীমান্তে পৌঁছান তখন তিনি হাঁটা বা ঘোড়ার পিঠে চলার মতও অবস্থায় ছিলেন না। তাঁকে সেখান থেকে একটি চমরী গাই এর পিঠে করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়। সেই ১৯৫৯ সাল থেকে তিনি এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তিনি পৃথিবীর সকল জাতির মধ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে চলছেন।
দালাই লামা সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য নিচে তুলে ধরা হল:
১. তিনি সাঁতার কাটতে জানেন না এবং তাঁর সবচেয়ে বড় ভীতি হল হাঙ্গরের ভয়।
২. অধিকাংশ বুদ্ধিস্ট নিরামিষভোজী হলেও তিনি পুরাদস্তুর একজন আমিষভোজী। ১৯৬০ সালে অবশ্য তিনি নিরামিষভোজী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিছুদিন ছিলেন ও, কিন্তু তারপর হেপাটাইটিস এ আক্রান্ত হলে আবারও আমিষভোজী হয়ে যান।
৩. তিনি আমেরিকান লেখক জন পারকিন্স কে একবার বলছিলেন “তুমি বৌদ্ধ হইয়ো না, পৃথিবীতে যথেষ্ট বৌদ্ধ আছে। বরং তুমি সহানুভূতিশীল হও। পৃথিবীতে আরও অনেক সহানুভূতিশীল মানুষের দরকার”।
৪. পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট আঙ্গুর খেত টি তাঁর। সুইজারল্যান্ডে তাঁর একটি আঙ্গুর খেত আছে যেটা আয়তনে মাত্র ১.৬৭ স্কয়ার মিটার যাতে মাত্র ৩ টা আঙ্গুর গাছ আছে।
৫. তাঁর বয়স এখন ৮৩ বছর, তিনি বলেছেন ৯০ বছর বয়সে জানাবেন যে তিনি পুনর্জন্ম নিবেন কিনা।
৬. চীন সরকার একটি আইন পাশ করেছে যেখানে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে যে দালাই লামা চীনের বাইরে পুনর্জন্ম নিতে পারবেনা।
৭. বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক মার্টিন স্করসেজ কে চীনে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে কারণ তিনি দালাই লামার পক্ষে সিনেমা তৈরি করেছিলেন ১৯৯৭ সালে।
৮. ৯০ এর দশকে তাঁর যে দেহরক্ষী ছিল সে ছিল একজন নিনজা।
ক্ষমতা দখলের এই দুষ্ট রাজনীতির সময়ে দালাই লামার মত একজন অহিংস এবং শান্তির বার্তা বাহক নেতা পুরো বিশ্বের জন্য একটি আশীর্বাদের চেয়ে কম কিছু নয়।
নিষিদ্ধ নগরী এর দেশ তিব্বত সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন –
তথ্যসূত্রঃ
১. https://www.dalailama.com/the-dalai-lama/biography-and-daily-life/brief-biography
২. http://www.encyclopedia.com/people/philosophy-and-religion/buddhism-biographies/dalai-lama
order generic dutasteride celebrex 200mg over the counter zofran 8mg for sale
buy levaquin generic levofloxacin 500mg pill