১৯৬১ সালের ১৩ আগস্ট জার্মান গণপ্রজাতান্ত্রিক এর কমিউনিস্ট সরকার (জিডিআর বা পূর্ব জার্মানি) পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিনের এর মধ্য দিয়ে কাঁটাতার ও কংক্রিটের সমন্বয়ে ‘এন্টি ফ্যাসিস্ট’ বা ফ্যাসিবাদ বিরোধী একটি প্রাচীর নির্মাণ করা শুরু করে। এই প্রাচীরটিই হল সেই বিখ্যাত বার্লিন প্রাচীর, যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিম জার্মানি থেকে ফ্যাসিবাদীদের পূর্ব জার্মানি তে প্রবেশ ও সেখানকার সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা নষ্ট করা রোধ করা। তবে প্রাথমিকভাবে এই প্রাচীরের মূল কাজ ছিল জনগণের গণহারে দেশত্যাগ করে পূর্ব থেকে পশ্চিম জার্মানি তে চলে যাওয়া বন্ধ করা।
১৯৮৯ সালে ৯ নভেম্বর পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট দলের প্রধান ঘোষণা দেন যে এখন থেকে পূর্ব জার্মানির যে কেউ, যখন খুশি সীমানা অতিক্রম করে অন্য পাশে যেতে পারবে এবং এরই মাধ্যমে পতন ঘটে বার্লিন প্রাচীরের। এই ঘোষণার পর আনন্দিত জনতার মধ্য থেকে অনেকেই পশ্চিম জার্মানি তে চলে যায়, আবার কিছু উৎসুক জনতা মিলে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে শুরু করে ইতিহাস বিখ্যাত এই প্রাচীর। এখন পর্যন্ত বার্লিন প্রাচীর স্নায়ুযুদ্ধের অন্যতম শক্তিশালী এবং স্থায়ী নিদর্শন।
বার্লিন প্রাচীর গঠনের ইতিহাস
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে গেলে জার্মানি ৪টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ফ্রান্সের দখলে চলে যায়। বার্লিনের অবস্থান সোভিয়েত অঞ্চলে হলেও বাকি ৩ পক্ষের মধ্যে এর ভাগ হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স এর অংশ মিলে গঠন করা হয় পশ্চিম জার্মানি আর সোভিয়েত অংশ নিয়ে গঠন করা হয় পূর্ব জার্মানি। জার্মানি কয় ভাগে বিভক্ত হবে বা কে কোন অংশের দখলে থাকবে সেটা নির্ধারণ করা হয় ইয়াল্টা ও পটসডামে অনুষ্ঠিত ৩টি সম্মেলনে। পটসডামের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তি হওয়া স্বত্বেও ১৯৪২ সালের পর থেকে এই ৪ রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন শুরু হয় যুদ্ধপরবর্তী ইউরোপের গঠন কেমন হবে সে বিষয় নিয়ে।
বিশেষ করে ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন আদর্শগত দিক থেকে একে অন্যের বিরোধী পরাশক্তিতে পরিণত হয় এবং তাঁরা প্রত্যেকেই যুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার লক্ষ্যে অভীষ্ট ছিল। তখন জার্মানি স্নায়ু যুদ্ধের রাজনীতির কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং যত বেশি পূর্ব ও পশ্চিমের বিভক্ত হয়ে পড়ার গুঞ্জন শুনা যেত ঠিক ততটাই শুনা যায় জার্মানির বিভক্ত হওয়ার কথা। অবশেষে ১৯৪৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে জার্মানিকে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি দুই ভাগে ভাগ করা হয়। পূর্ব জার্মানি সরকার ১৯৫২ সালে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির মধ্যে সীমানা বন্ধ করে দেয়, কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিন এর মধ্যকার সীমানা তখনও খোলাই ছিল। যার ফলে তখনও পূর্ব জার্মানরা তুলনামূলক বেশি প্রভাবশালী এবং কম অত্যাচারী পশ্চিম জার্মানিতে পালিয়ে যেতে সক্ষম ছিল।
১৯৬১ সালে গুজব ছড়ায় যে সীমানা শক্তিশালী করার জন্য এবং পূর্ব জার্মানি থেকে পালিয়ে পশ্চিম জার্মানিতে যাওয়া বন্ধ করার জন্য কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হবে। ১৫ জুন পূর্ব জার্মানির নেতা ওয়াল্টার উলবিশ্ত ঘোষণা দেন যে কারোরই কোন নিয়ত নেই কোন প্রাচীর নির্মাণের। কিন্তু ১২-১৩ আগস্ট রাতের মধ্যেই পশ্চিম জার্মানির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়। রাতারাতি পশ্চিমা অঞ্চল ও সোভিয়েত অঞ্চলের মধ্যকার ক্রসিং পয়েন্ট গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, প্রতিবেশী ও পরিবার গুলো আলাদা হয়ে যায় একে অন্যের থেকে। প্রথমে শুধু কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও পরবর্তীতে শক্তিশালী কংক্রিটের দেয়াল তুলা হয় পশ্চিম জার্মানির চারপাশে এবং পূর্ব জার্মানি থেকে সম্পূর্ণ রূপে আলাদা করে ফেলা হয়।
বার্লিন প্রাচীর গঠনের পিছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
পূর্ব জার্মানির প্রধানমন্ত্রী নিকিতা খ্রুশফ এর মতে “সমাজতান্ত্রিক পূর্ব জার্মানির গভীরে পশ্চিম জার্মানির মত একটি প্রকটরূপে ধনতান্ত্রিক নগরীর অবস্থান ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের গলার কাঁটা স্বরূপ”। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স কে এই নগরী থেকে চিরতরে দূর করার জন্য সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন চাল চালতে থাকে। সেই উদ্দেশ্যে সোভিয়েত পশ্চিম জার্মানিতে অবরোধ স্থাপন করে সেখান থেকে পশ্চিমা মিত্রবাহিনীকে দূর করার জন্য। কিন্তু এতে পিছিয়ে না গিয়ে বরং আমেরিকা ও তাঁর মিত্রশক্তিরা আকাশপথে খাদ্য সরবরাহ করতে থাকে পশ্চিম জার্মানিতে। আমেরিকার এই পদক্ষেপ যা ‘বার্লিন এয়ারলিফট’ নামে পরিচিত সেটা প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল এবং এই সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রায় ২.৩ মিলিয়ন টন খাবার, জ্বালানী ও অন্যান্য দ্রব্য সরবরাহ করে পশ্চিম জার্মানিতে। ১৯৪৯ সালে সোভিয়েতরা অবশেষে এই অবরোধ তুলে নেয়।
প্রায় এক দশক শান্ত থাকার পর ১৯৫৮ সালে আবারও চাপা উত্তেজনা বাড়তে থাকে পূর্ব আর পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে। একদিকে ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক স্যাটেলাইট এর সফল উৎক্ষেপণ এর আনন্দ আর অপরপক্ষে বার্লিন হয়ে পূর্ব জার্মানি থেকে প্রচুর লোকজন (অবরোধ তুলে নেয়ার পর, আনুমানিক ৩ মিলিয়ন) পশ্চিম জার্মানিতে স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ার লজ্জায় সোভিয়েত ইউনিয়ন অনেক বেশি ক্রুদ্ধ হয়ে পড়ে। সোভিয়েত ও তাঁর মিত্র দেশগুলোর মধ্যে অনেক সম্মেলন, আলোচনাসভা ও সমঝোতার পরও তেমন কোন সমাধান পাওয়া যায়নি এই সমস্যার। এইদিকে আবার বার্লিন হয়ে পূর্ব জার্মানি থেকে পশ্চিম জার্মানিতে শরণার্থীদের প্রবাহ দিন দিন বেড়েই চলেছিল। এই শরণার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই ছিল যুবক ও দক্ষ কর্মী যেমন- ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী ইত্যাদি। ১৯৬১ সালে জুনে প্রায় ১৯,০০০ লোক জিডিআর থেকে বার্লিন হয়ে পালিয়ে যায়। পরের মাসে আরও ৩০,০০০ লোক পালায়। আগস্ট মাসের প্রথম এগারো দিনে প্রায় ১৬,০০০ পূর্ব জার্মান সীমানা অতিক্রম করে পশ্চিম জার্মানিতে চলে যায়। ১২ আগস্টে ২৪,০০ লোক পালায় যেটা ছিল মাত্র একদিনে পালানো লোকের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বার্লিন প্রাচীর টি যেভাবে গঠিত হয়েছিল
সেই রাতেই প্রধানমন্ত্রী নিকিতা খ্রুশফ পূর্ব জার্মান সরকারকে পশ্চিম জার্মানিতে দেশান্তর হওয়া চিরতরে বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিলে মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব জার্মান সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবী নির্মাণ শ্রমিকরা মিলে কাঁটাতার আর কংক্রিটের সমন্বয়ে গড়ে তুলে বার্লিন প্রাচীর এবং বার্লিন শহরকে বিভক্ত করে ফেলে দুই ভাগে।
প্রাচীর তৈরির আগে শহরের লোকজন স্বাধীন ভাবে শহরের সর্বত্র চলাচল করতে পারতো। কাজের জন্য, কেনাকাটার জন্য বা মুভি বা থিয়েটারের জন্য যে কারণেই হোক মানুষ চাইলেই সীমানা অতিক্রম করে পূর্ব বা পশ্চিম জার্মানিতে যেতে পারতো। এমন কি দুই ভাগের মধ্যে ট্রেন এবং সাবওয়েতেও লোকজন চলাচল করতে পারতো।
প্রাচীর নির্মাণের পর যে আনুষ্ঠানিক ৩টি চেকপোস্ট ছিল সেগুলো ব্যতীত বার্লিনের নাগরিকরা পূর্ব থেকে পশ্চিমে বা পশ্চিম থেকে পূর্বে যাতায়াত করতে পারতোনা। এরপর পূর্ব জার্মানি আরও অনেকগুলো চেকপোস্ট তৈরি করে প্রাচীরের পাশে এবং সেখান দিয়ে কোন কূটনৈতিক বা অন্য কর্মকর্তা পূর্ব জার্মানিতে প্রবেশ করার সময় বা ত্যাগ করার সময় পূর্ব জার্মান সৈন্যরা তাদেরকে আবৃত করে নিয়ে যেত। খুব বিশেষ কোন কারণ ছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির পর্যটকরা সীমানা অতিক্রম করতে পারতোনা।
এই প্রাচীর ব্যাপক পরিমাণ লোক পূর্ব থেকে পশ্চিম জার্মানিতে স্থানান্তরিত হওয়া বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল এবং বার্লিন সঙ্কট কিছুটা হলেও কমিয়েছিল। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি বার্লিন প্রাচীরের বিরোধী ছিলেন কিন্তু তিনি স্বীকার করেছিলেন যে ‘যুদ্ধের তুলনায় প্রাচীর অনেক ভাল’।
বার্লিন প্রাচীর একটি দেয়াল নয় বরং ১৫৫ কিলোমিটার বা ৯৬ মাইল লম্বা ৪ মিটার বা ১৩ ফুট উচ্চতার ২ টি দেয়ালের সমন্বয়ে গঠিত। পূর্ব জার্মানির ১০০ গজ ভিতরে অবস্থিত এই প্রাচীরের দুই দেয়ালের মাঝখানের জায়গায় যাদের বসবাস ছিল তাদের কে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয় এবং এই করিডোরের নাম দেয়া হয় ‘মৃত্যু খাঁদ’ নামে। পূর্ব জার্মানির সশস্ত্র সীমান্ত বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন তদারকিতে ছিল এই প্রাচীর এবং তাদের হাতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল পূর্ব জার্মানি থেকে পশ্চিম জার্মানিতে পালানোর চেষ্টা করলে যে কাউকে গুলি করার। এমন কি যদি কোন নারী বা শিশুও পালানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের উপর নির্দ্বিধায় গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল পূর্ব জার্মান সীমান্ত রক্ষীদের। দুই দেয়ালের মাঝখানের এই নিরপেক্ষ জায়গাটি বালি ও নুড়ি পাথর দিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল এবং স্বয়ংক্রিয় ফাঁদের ব্যবস্থা করা হয় যেন সহজেই পায়ের ছাপ স্পষ্ট করে বুঝা যায়। এবং স্পষ্ট দৃষ্টি সীমানার মধ্যে থাকায় প্রহরীদের গুলি চালানোর সুবিধার জন্য এই এলাকাটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত মোট ৩০২ টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয় প্রাচীরের তদারকির জন্য।
২৮ বছরের ইতিহাসে অন্তত ১৭১ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয় প্রাচীর টপকে পশ্চিম জার্মানিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায়। কিন্তু এই প্রাচীর ‘অভ্যন্তরীণ জার্মান সীমানা’র একটি অংশ ছিল মাত্র, অন্যান্য শক্তিশালী সীমানায় শত শত পূর্ব জার্মানকে হত্যা করা হয় পশ্চিম জার্মানিতে পালিয়ে যাওয়ার সময়। প্রাচীর টপকে পালানোর অন্তত ৫০০০ ঘটনা আছে বলে জানা যায়। কিন্তু প্রাচীর অতিক্রম করে ঠিক কত জন মৃত্যু বরণ করেছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। চেকপয়েন্ট চার্লি মিউজিয়ামের ডিরেক্টরের মতে প্রাচীর অতিক্রম করে পালাতে গিয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা ২০০ জন, কিন্তু অন্য সূত্রমতে এই সংখ্যা ১৩৩ জন।
প্রথম দিকে কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে লাফিয়ে পড়ে কিংবা দেয়ালের পাশের কোন এপার্টমেন্টের জানালা থেকে দেয়ালের উপর লাফিয়ে পড়ে সীমানা পাড়ি দিলেও পরবর্তীতে কংক্রিটের স্লাব বসিয়ে উন্নততর প্রাচীর নির্মাণ করা হলে এইভাবে আর দেশত্যাগ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
কিভাবে এই বার্লিন প্রাচীরের পতন হয়?
১৯৮৯ সালে পূর্ব জার্মানিতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন আসে এবং পূর্ব ইউরোপে স্নায়ুযুদ্ধের সূত্রপাত হতে থাকলে পূর্ব জার্মান সরকারের উপর চাপ আসতে থাকে পশ্চিম জার্মানির সাথে তাদের নিয়ম নীতিতে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য। ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ব জার্মান মুখপাত্র গুনটার শাবস্কি ঘোষণা দেন যে, এই মুহূর্ত থেকে পূর্ব জার্মানরা স্বাধীনভাবে পশ্চিম জার্মানে যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু তিনি তখন এটা পরিষ্কার করে বলতে ব্যর্থ হন যে তখনও যাতায়াতের উপর কিছু বিধি নিষেধ থাকবে। পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো ভুল প্রচার করে যে দুই জার্মানির মধ্যে সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে এবং এর ফলে চেকপোস্ট গুলোর উভয় পাশেই প্রচুর লোকজন জমা হতে থাকে।
অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পাসপোর্ট যাচাই করাও বন্ধ করে দিতে হয় এবং লোক জন অবাধে সীমানা পাড় হতে থাকে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তের প্রায় ২ মিলিয়ন লোক একসাথে আনন্দ উৎসবে যোগ দেয়। এবং অনেকের মতে ঐ আনন্দ উৎসব ছিল রাস্তায় উদযাপিত উৎসব গুলোর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব। প্রথমে মানুষ অতি উৎসাহে হাতুড়ি দিয়েই প্রাচীর ভাঙতে শুরু করলেও পড়ে বুল্ডুজার ও ক্রেনের সাহায্যে ভেঙ্গে ফেলা হয় এই প্রাচীর।
দুই জার্মানির একত্রীকরণের পথে বার্লিন প্রাচীরের পতন ছিল প্রথম পদক্ষেপ। বার্লিন প্রাচীরের পতনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব ইতোমধ্যে অস্থিতিশীল পূর্ব জার্মান সরকারকে আরও দুর্বল করে ফেলে। বার্লিন প্রাচীরের পতনের ১১ মাস পর ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর দুই জার্মানি একত্রিত হয়।
clozaril generic – buy famotidine online order pepcid 40mg online
order retrovir – glucophage 500mg ca order allopurinol pills
buy glucophage generic – lincocin canada purchase lincomycin sale
furosemide uk – where to buy warfarin without a prescription order captopril without prescription
where can i buy flagyl – oxytetracycline 250mg usa purchase zithromax pills
valacyclovir price – valacyclovir 500mg sale zovirax buy online
stromectol usa – buy generic sumycin sumycin 250mg pills
metronidazole ca – terramycin 250 mg cost order zithromax for sale
ciplox over the counter – purchase tinidazole for sale buy erythromycin 250mg pill
purchase ciprofloxacin without prescription – purchase bactrim without prescription oral clavulanate
order ciprofloxacin pill – buy trimethoprim pill cost clavulanate
tamsulosin 0.4mg brand celebrex for sale celecoxib 100mg uk
mobic 7.5mg price oral mobic 15mg buy generic celecoxib 200mg
help with term papers academia writers helpwithassignment
buy inderal 10mg for sale buy plavix pills plavix tablet
buy methylprednisolone 8 mg online medrol 16 mg tablet buy depo-medrol us
atenolol 50mg brand tenormin cost atenolol 50mg for sale
xenical pills diltiazem over the counter order diltiazem sale
chloroquine order online cheap aralen 250mg aralen uk
order generic tadalafil 5mg cialis 5 mg buy tadalafil sale
clarinex 5mg canada clarinex sale buy clarinex
hydroxychloroquine tablet purchase plaquenil without prescription plaquenil us
free casino slot games roulette games play poker online for money
order rybelsus 14 mg for sale rybelsus 14 mg without prescription buy rybelsus generic
buy viagra 100mg pill viagra 100mg brand order sildenafil 100mg without prescription
Une fois la plupart des téléphones mobiles éteints, la restriction relative à la saisie d’un mot de passe incorrect sera levée. À ce stade, vous pouvez accéder au système par empreinte digitale, reconnaissance faciale, etc.
purchase serophene generic clomid 100mg pills clomid 100mg cost
Afin de dissiper complètement vos doutes, vous pouvez savoir si votre mari vous trompe dans la vraie vie de plusieurs manières et évaluer les preuves spécifiques dont vous disposez avant de soupçonner que l’autre personne vous trompe.
cheap levothroid levoxyl tablets order synthroid online cheap
augmentin 375mg brand buy augmentin 1000mg for sale cost augmentin 375mg
buy ventolin 4mg online buy ventolin inhalator for sale albuterol over the counter
rybelsus 14 mg us buy semaglutide 14mg generic order rybelsus 14 mg generic
semaglutide pills semaglutide cheap order semaglutide 14 mg online cheap
order clomiphene 100mg online purchase clomid without prescription clomid 100mg drug
order vardenafil 10mg for sale vardenafil 10mg sale
synthroid 150mcg price order levothroid generic brand levothyroxine
where to buy clavulanate without a prescription purchase amoxiclav generic
buy albuterol order albuterol 2mg sale get antihistamine pills online
buy acticlate pill buy doxycycline sale
amoxil 250mg for sale amoxil 1000mg usa amoxil 500mg generic
buy prednisolone 10mg without prescription buy omnacortil generic cost omnacortil 10mg
buy furosemide online buy lasix sale diuretic
azipro 250mg without prescription order azipro 500mg generic buy azipro pill
purchase gabapentin without prescription gabapentin 800mg pill
buy azithromycin generic buy azithromycin paypal zithromax 500mg pills
strongest non prescription sleeping pills buy phenergan 10mg sale
buy amoxil 250mg generic buy amoxil 1000mg generic order amoxicillin 1000mg pills
order accutane 20mg generic accutane 20mg tablet accutane price
best pain me3dicine for abdomen best otc heartburn med
gerd prescription medications list rulide 150 mg cost
order prednisone generic buy prednisone 20mg online cheap
buy sleep aids online modafinil online order
prescription allergy medicine list best allergy medicine for itching non drowsy allergy medication canada