ফিফা বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল কোনটি? বেশীরভাগ ফুটবল ভক্তই ব্রাজিলের নাম উচ্চারণ করবেন। শিরোপার মাধ্যমেই যদি সফলতা বিচার করা হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে ব্রাজিলকেই সেরা মেনে নিতে হবে। কিন্তু মাপকাঠি টা যদি শিরোপা থেকে সরিয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতার দিকে নেয়া হয়, তাহলে জার্মানিকেই সবচেয়ে সফল দল বলা যেতে পারে। বলা হবেই বা না কেন। দলটির আছে ৪ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নের শিরোপা। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। শুধু ১৯৩৮ বিশ্বকাপ ছাড়া প্রতিবারই কমপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছে দলটি। ৪ টি শিরোপার সাথে আছে ৪ বার করে রানার্স আপ এবং থার্ড হওয়ার সুনাম। একমাত্র দল যারা প্রতি দশকেই প্রথম, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় স্থানের মধ্যে ছিলো। বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশী ম্যাচ জিতার রেকর্ডও এই দলটির। তাই ব্রাজিল থেকে একটি শিরোপা পিছিয়ে থাকলেও টুর্নামেন্টের অন্যতম সফল দল হিসেবে জার্মানির নামটাও চলে আসবে মনের অজান্তেই।
জার্মানি ফুটবল দল তাদের টিম ওয়ার্কের জন্য সুপরিচিত। তাদের দলে কখনোই কোন বিশ্বসেরা প্লেয়ার ছিলো না, কিন্তু প্রতিটি পজিশনেই থাকে বিশ্বমানের প্লেয়ার। টিম স্পিরিটে পরিপূর্ণ এই দলটি সবসময়ই প্রতিপক্ষ দলের জন্য হুমকি। এই দলে হয়তো আপনি ৫-৬ জনকে স্টেপ ওভার, থ্রি সিক্সটি বা অন্যান্য স্কিল দিয়ে কাটিয়ে নিয়ে যাওয়া খেলোয়াড় পাবেন না, কিন্তু তাদের গতিশীল খেলা, ইন এন্ড আউট প্রেসিং এবং টেন অন টেন পারফেক্ট কাউন্টার এটাক আপনাকে বাধ্য করবে টিভির সামনে বসে প্রশংসা করার জন্য। জার্মানির খেলোয়াড়দের মনে করা হয় যন্ত্র। মনে হয় মাঠে এগার জনের বদলে ১৩ জন খেলছে। আর বিশ্বকাপের জার্মানি যেনো আরো ভয়ংকর। যেকোনো দলকে যদি বলা হয়, আপনাকে সুযোগ দিলে কোন দলকে এড়িয়ে যাবেন? তারা উত্তর টি দিতে খুব একটা সময় নেবে না।
প্রতিবারের মতো এবারও পরিপূর্ণ এবং বিশ্বমানের স্কোয়াড নিয়েই বিশ্বকাপের মাঠে নামতে যাচ্ছে তারা। লক্ষ্য একটাই, শিরোপার সংখ্যা টা ৪ থেকে ৫ এ নিয়ে যাওয়া। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের পাশাপাশি অনেক তরুণ খেলোয়াড়কেও কোচ কনফেডারেশন্স কাপে ঝালিয়ে নিয়েছেন। এবং কাপ জিতে তরুণরাও বুঝিয়ে দিয়েছে তারাও প্রস্তুত ফুটবলের এই সর্ববৃহৎ মঞ্চের জন্য। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে দারুণ একটি দল এবার তারা। শিরোপার অন্যতম দাবিদার। এইজন্য না যে তাদের দলে ভালো খেলোয়াড় আছে, তারা শিরোপার দাবিদার কারণ তারা জার্মানি।
বিগত আসরের চ্যাম্পিয়নরা আছে দুর্দান্ত ফর্মে। সর্বশেষ ২৩ ম্যাচের মধ্যে পরাজয় মাত্র একটিতে। বাছাইপর্বেও প্রতিপক্ষদের উড়িয়ে দিয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে তারা। তাই তো কোচ জোয়াকিম ল মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রেখে ‘বি’ টিমের তরুণ খেলোয়াড়দের দিয়েই জিতে নেন কনফেডারেশনস কাপ। খেলোয়াড় দের মনোবল রয়েছে শীর্ষে। যেকোনো বাধাই অতিক্রম করতে প্রস্তুত তারা।
আসুন দেখে নেয়া যাক, দলটির বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পারফর্মেন্স:
নরওয়ে, চেক রিপাবলিক, নর্দান আয়ারল্যান্ড, সান ম্যারিনো, আজারবাইজানদের নিয়ে গঠিত গ্রুপটি ছিলো শক্তিশালী জার্মানি কাছে অনেকটাই এমেচার লেভেলে ফিফা খেলার মতো। কেননা সবাই নিশ্চিত ছিলো কোন বাধা ছাড়াই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে জার্মানরা। এর প্রমাণও পাওয়া যায় ম্যাচগুলো তে। দশ ম্যাচের সবগুলোতেই দাপটের সাথে জয়ই বলে দেয় দলের গভীরতা কতোটুকু।
টোটাল ম্যাচ: ১০ টি
জয়: ১০ টি
পরাজয়: ০
ড্র: ০
ক্লিনশিট: ৬ টি
গোল দিয়েছে: ৪৩ টি
গোল হজম করেছে: ৪ টি
টপ স্কোরার: থমাস মুলার (৫ গোল), সান্দ্রো ওয়াগ্নার (৫ গোল)
মজার ব্যাপার হচ্ছে, শুধুমাত্র বাছাইপর্বের এই দশটি ম্যাচেই জার্মানির হয়ে জালে বল জড়িয়েছেন সর্বমোট ২১ জন খেলোয়াড়। একটি দলের জন্য এর চেয়ে ভালো ব্যাপার আর কিই বা হতে পারে। যেকোনো প্লেয়ারই ম্যাচের মোড় ঘুরানোর জন্য প্রস্তুত। কোন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর নয় দলটি। প্রতিটি খেলোয়াড়ের উপর প্রতিপক্ষকে নজর রাখতে হবে। অবশ্য এই স্বস্তির সংবাদটিই কোচকে ফেলে দিয়েছেন মধুর সমস্যায়। অভিজ্ঞ এবং তরুণদের মিলিয়ে জার্মানি কোচ চাইলে শুধুমাত্র তার খেলোয়াড়দের দিয়েই ৪ টি দল পাঠাতে পারেন বিশ্বকাপে। তাই স্কোয়াড সিলেকশন করতে হবে অনেক হিসেব করে।
এবার দেখে নেয়া যাক সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় কারা হতে পারেন কোচের প্রথম পছন্দ:
থমাস মুলার:
জার্মানি জাতীয় দল এবং বায়ার্ন মিউনিখের এক আস্থার নাম থমাস মুলার। খেলতে পারেন বিভিন্ন পজিশনে। দলের প্রয়োজনে কখনো এটাকিং মিডফিল্ডার, কখনো উইংগার, কখনো সেকেন্ড স্ট্রাইকার বা স্ট্রাইকার প্রায় সব পজিশনেই খেলেছেন। এবং প্রতিটি পজিশনেই সফল তিনি। বাছাই পর্বে দলের হয়ে করেছেন সর্বোচ্চ ৫ গোল এবং সাথে ৬ টি এসিস্ট। বুঝাই যাচ্ছে গোল করা এবং করানো দুই ক্ষেত্রেই পারদর্শী এই খেলোয়াড়। চলতি সিজনে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে করেছেন ১০ গোল এবং ৯ এসিস্ট। তাই বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে অভিজ্ঞ এই টার্ম কার্ডকে খেলাতে ভুলবেন না কোচ জোয়াকিম ল।
টিমো ওয়ার্নার:
মাত্র ২২ বছর বয়সেই ফুটবল বিশ্বের নজরে আসেন এই তরুণ ফুটবলার। তাকে মনে করা হচ্ছে মিরোস্লাভ ক্লোসের উত্তরসূরি। ২০১৭ কনফেডারেশনস কাপে গুরুত্বপূর্ণ ৩ গোল করে দলকে শিরোপা জিতাতে ভূমিকা রাখেন। নিজে জিতে নেন গোল্ডেন বুট এওয়ার্ড। এছাড়াও গত সিজনে লেইপেগের হয়ে ৩১ ম্যাচে করেছিলেন ২১ গোল। এই সিজনেও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ইতিমধ্যেই ক্লাবের হয়ে ১৮ গোল করে ফেলেছেন এবং সতীর্থদের করিয়েছেন আরো ৫ টি গোল। দারুণ ফর্মে থাকা এই প্লেয়ারকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কাজে লাগাতে ভোলেননি কোচ জোয়াকিম ল। সেখানেও রেখেছেন নিজের প্রতিভার ছাপ। অন্যদিকে মারিও গোমেজের ফর্মটাও খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। তাই দলের অন্যতম আস্থার জায়গা হতে যাচ্ছেন তিনি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বকাপে এই তরুণ তুর্কির জাদু দেখতে অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব।
সান্দ্রো ওয়েগনার:
রিসেন্ট ফর্মে টিমো ওয়ার্নার এগিয়ে থাকলেও, বাছাইপর্বে মুলারের সাথে সর্বোচ্চ ৫ গোল করা এই স্ট্রাইকার কোচকে আবারো ভাবাতে বাধ্য করবেন। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ইতিমধ্যে ১১ গোলের সাথে করেছেন ৪ এসিস্ট। ফরওয়ার্ড লাইনে তাই ওয়েগনারকে দেখার সম্ভাবনাটাও ফেলে দেয়া যাচ্ছে না।
মেসুত ওজিল:
কোচের কৌশলের সাথে খেলার ধরণ মিলে যাওয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরেই এটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে দলের প্রথম পছন্দ মেসুত ওজিল। আর্সেনালের এই তারকা যদিও এই সিজনে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না, তবে জাতীয় দলের জার্সিতে কখনোই কোচকে হতাশ করেননি তিনি। চলতি সিজনে আর্সেনালের হয়ে ৫ গোলের সাথে আছে ১০ এসিস্ট। গোল করানোতে তার জুড়ি মিলা ভার। প্রায় প্রতিটি এটাকেই দলের মধ্যমণি হয়ে ভূমিকা রাখেন। বাছাইপর্বেও আছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এসিস্ট। তাই এই পজিশনটায় কোচ অন্য কাউকে নিয়ে ভাবতে চাইবেন না।
লরিও সানে:
কোচকে সবচেয়ে বেশী ভাবতে হবে রাইট ইউং এ কাকে খেলাবেন সেটা নিয়ে। কেননা এই জায়গাটা সানেকে না দিলে হয়তো সেটার জন্য পরে আফসোস করতে হতে পারে তার। এই সিজনে উড়তে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির এই সাফল্যের পিছনে সানের অবদানটাও যে অনেক। ডান প্রান্ত দিয়ে ক্ষিপ্র গতি দিয়ে ডিফেন্ডার কে পরাস্ত করা যেনো তার রোজগার রুটিন। চলতি সিজনে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে করেছেন ১২ গোল। এছাড়াও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ১৫ টি গোল। সরাসরি ২৭ টি গোলে অবদান। এই উড়তে থাকা উইংগারকে বাদ দিয়ে নিশ্চয়ই একাদশ গড়তে চাইবেন না কোচ।
মার্কো রয়েস:
ইনজুরি না ভোগালে হয়তো এতদিনে বিশ্ব সেরাদের কাতারে চলে যেতেন তিনি। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অনেক সম্ভাবনা নিয়ে। কিন্তু হেরে যান ইনজুরির কাছে। বছরের বেশীরভাগ সময় হাসপাতালেই কাটাতে হয় তাকে। তবুও যখনই মাঠে ফিরেছেন, দেখিয়েছেন নিজের জাদু। পুরোপুরি ফিট থাকলে হয়তো আক্রমণভাগের বাম প্রান্ত দিয়ে আবারো দুর্বার গতিতে ছুটতে দেখা যাবে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের এই খেলোয়াড়কে।
মারিও গোতজে:
বড় ম্যাচে জ্বলে উঠার প্রবণতা আর সুযোগের সদ্ব্যবহারের জন্য তার সুনাম আছে। তাই এই সুপার সাব কে নিয়ে কোচ আবারো বাজি ধরতে চাইবেন না কি?
জুলিয়ান ড্র্যাক্সলার:
ভিশন, গতি, ডিবলিং, ক্রসিং, ডিফেন্স চেরা থ্রু বল সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। কনফেডারেশনস কাপের সেরা খেলোয়াড় হয়ে কোচের আস্থার মূল্য দিয়েছেন। বুঝিয়েছেন দল কে দেয়ার এখনো অনেক কিছু আছে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকবেন তিনিও, তবে মূল একাদশে জায়গা হবে কিনা তা বলা মুশকিল।
লিও গোরেতজকা:
জোয়াকিম ল’র কনফেডারেশন্স কাপে আবিষ্কৃত খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি অন্যতম। কনফেডারেশন্স কাপে জিতেছেন ব্রোঞ্জ বল এবং সিলভার বুট। শালকের হয়েও আছেন দারুণ ফর্মে। এছাড়া বাছাইপর্বেও যেসব ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন, ভূমিকা রেখেছেন দলের জয়ে। মূল দলে জায়গা না হলেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এই তরুণ কে অবশ্যই দেখা যাবে।
টনি ক্রুস:
কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন গত বিশ্বকাপেই। ফিফার অফিসিয়াল ক্যাস্ট্রল ইনডেক্সের রেটিং এ সবচেয়ে বেশী রেটিং ধারী খেলোয়াড়ও তিনি। শেষ তিনটি বছর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দারুণ কাটিয়েছেন। দ্যা স্নাইপার নামে পরিচিত এই মিডফিল্ডারই মাঝমাঠ সামলাবেন। ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ২ গোল এবং দুই এসিস্ট করেছিলেন। এছাড়াও পুরো টুর্নামেন্টে ছিলো ৯২.৩% পাস একুরেসি। বড় আসরে এবং বড় ম্যাচে জ্বলে উঠার পুরনো রেকর্ডই তাকে এগিয়ে রাখবে অন্যান্য প্লেয়ার থেকে।
আন্দ্রে শুরলে:
মূল একাদশের প্রথম পছন্দ না হলেও স্কোয়াডে দেখা যেতে পারে তাকে। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ২ গোল এবং ফাইনালের মহা মূল্যবান গোলের এসিস্ত করার মাধ্যমেই তিনি প্রমাণ করেন প্রয়োজনের সময় তিনি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। রিসেন্ট ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। কিন্তু বিগ ম্যাচ পটেনশিয়াল হিসেবে কোচ আবার একটা সুযোগ দিতেই পারেন।
ম্যানুয়েল নয়্যার:
ইনজুরি মুক্ত নয়্যারের কোন বিকল্প নেই। তার সম্পর্কে আলাদা ভাবে কিছু বলারও নেই। বর্তমান বিশ্বের সেরা গোলকিপারের তালিকায় সবার উপরেই তার অবস্থান। তাকে অলিভার কানের উত্তরসূরিও বলা হয়। টানা ৪ বার বিশ্বসেরা গোলকিপারে পুরষ্কার জিতেছেন তিনি। এছাড়াও গত বিশ্বকাপের সেরা গোল কিপার নির্বাচিত হয়েছিলেন। গোলবারের দায়িত্ব তাই এবার ও তিনিই সামলাবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
ম্যাট হুমেলস:
ডিফেন্সিভ লাইনে খুব একটা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না কোচের। ম্যানুয়াল নয়্যারের সামনে থেকেই রক্ষণ সামলাবেন এই তারকা। জার্মানি এবং বায়ার্ন মিউনিখের ক্লিন শিটের পরিমাণই বলে দেয় বিশ্বকাপের জন্য তিনি কতোটা প্রস্তুত। সেট পিসেও দলের প্রয়োজনের সময় গোল করে ম্যাচ জিতিয়েছেন অনেকবার। প্রথম একাদশে জায়গা টা তারই প্রাপ্য।
জেরম বোয়াটেং:
ম্যানুয়েল নয়্যার, ম্যাট হুমেলস এবং জেরম বোয়াটেং এর দারুণ কম্বিনেশনটাই হয়তো হতে পারে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের চাবিকাঠি। এই রক্ষণকে ভেদ করে গোল দেয়া কতোটা কঠিন তা বিগত ম্যাচগুলোর রেজাল্ট থেকেই বুঝা যায়। ডিফেন্স নিয়ে চিন্তায় না থাকতে চাইলে এই ত্রয়ীর কোন বিকল্প পাবেন না কোচ।
জশোয়া কিমিচ:
ফিলিপ লামের অবসরের পর কোচের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়তে দেননি কিমিচ। তিনি যেনো আরেক ফিলিপ লাম। অসাধারণ ডিফেন্সিভ ওয়ার্কের সাথে দুর্দান্ত গতি এবং ভিশনের সমন্বয়ে আক্রমণেও ভূমিকা রেখে থাকেন তিনি। এই সিজনে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে করেছেন ৪ গোল এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ১৩ টি গোল। একজন রাইটব্যাক হয়েও সরাসরি ১৭ টি গোলে অবদান রেখেছেন যা অনেক মিডফিল্ডার, উইংগারের চেয়েও বেশী। আক্রমণ ভাগের সাথে তার বোঝাপড়াটাও ভালো এবং দলের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন দারুণভাবে। রাইট ব্যাক পজিশনে কোচ তাই আপাতত কোন বিকল্প খুঁজছেন না।
জোনাস হেক্টর:
২০১৪ তে অভিষেক হওয়ার পর থেকে লেফট ব্যাক পজিশনে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করে রেখেছেন তিনি। ডিফেন্সিভ ওয়ার্ক রেট খুবই ভালো হওয়ায় সেন্টার ব্যাকরা অনেক স্পেস নিয়ে খেলতে পারে, যা দলের জন্য খুবই দরকারি। বিশ্বকাপেও হয়তো তিনিই সামলাবেন পজিশনটি।
সামি খেদিরা:
পিন পয়েন্ট ইন্টারসেপশন আর কাউন্টার এটাকে ফাইনাল থার্ডে বল সাপ্লাইয়ে স্যামি খেদিরার জুড়ি মেলা ভার। জোয়াকিম ল’র খেলার স্ট্র্যাটেজি তে একজন বক্স টু বক্স ডেস্ট্রয়ারের ভূমিকা অপরিসীম। যে পজিশনে স্যামি খেদিরাই হবেন কোচের প্রথম পছন্দ।
গুন্ডগান:
টনি ক্রুস এবং সামি খেদিরার পরেই মাঝমাঠে কোচের প্রথম পছন্দ তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির হয়েও আছেন দারুণ ফর্মে। বিশ্বকাপে জার্মানির হয়েও নিজের সেরাটা দিতে চান তিনি।
মুস্তাফি:
হামেলস কিংবা বোয়াটেং এর অনুপস্থিতি তে ডিফেন্স সামলানোর দায়িত্ব পড়বে তার উপরই। এবং জাতীয় দলের হয়ে যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। ২৩ জনের স্কোয়াডে যে থাকবেন তা বলাই যায়।
মার্কো ট্যার স্টেগান:
এই গোলরক্ষককে আসলে অভাগাই বলা যায়। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা কিপার হয়েও দলে নিজের স্থানটা পোক্ত করতে পারেননি। তবে নয়্যারের অনুপস্থিতিতে তিনিই দলের প্রথম পছন্দ।
ইতিহাস যেমন বলে, জার্মানি মানেই কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত তারা যাবেই, তেমনি ইতিহাস আরো বলে সেমি ফাইনাল এবং ফাইনালে তাদের ফলাফল আশানুরূপ নয়। নয়তো সবচেয়ে বেশী কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল খেলা দলটির শিরোপা থাকার কথা ছিলো আরো বেশী। হয়তো ব্রাজিলের পাশাপাশি বা ব্রাজিলের আগেই তাদের নাম উচ্চারিত হতো। কিন্তু ফুটবলে ‘যদি’, ‘হয়তোর’ কোন জায়গা নেই। জায়গা আছে শুধু জয়ের, জায়গা আছে শুধু শিরোপার। সেই জায়গায় তারা নিজেদের নিয়ে যেতে পারবে কিনা তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে জুন পর্যন্ত।
তথ্যসূত্রঃ
Fifa.com
Whoscored.com
canadian drug prices Licensed Canadian Pharmacy best canadian online pharmacy reviews
indian pharmacy online: Cheapest online pharmacy – buy medicines online in india
mexico pharmacies prescription drugs mexican pharmacy mexican mail order pharmacies
https://canadaph24.pro/# canadian pharmacies compare
mexico drug stores pharmacies Online Pharmacies in Mexico buying from online mexican pharmacy
http://canadaph24.pro/# canadian pharmacy price checker
best online pharmacies in mexico: purple pharmacy mexico price list – mexico drug stores pharmacies
http://canadaph24.pro/# canada drugs
mexican border pharmacies shipping to usa: mexican pharmacy – medicine in mexico pharmacies
mexican pharmacy pharmacies in mexico that ship to usa buying prescription drugs in mexico
http://indiaph24.store/# mail order pharmacy india
reputable indian online pharmacy india pharmacy pharmacy website india
medication from mexico pharmacy Mexican Pharmacy Online mexican online pharmacies prescription drugs
https://indiaph24.store/# top 10 pharmacies in india
mexico drug stores pharmacies cheapest mexico drugs mexican rx online
http://mexicoph24.life/# reputable mexican pharmacies online
buy prescription drugs from india buy medicines from India indian pharmacy
https://indiaph24.store/# indianpharmacy com
п»їlegitimate online pharmacies india top 10 online pharmacy in india online shopping pharmacy india
canadian online pharmacy Large Selection of Medications from Canada canadian pharmacy meds
http://indiaph24.store/# best india pharmacy