শরীরকে আরো সুঠাম করতে একটু গুগলে সার্চ করলেই আপনার স্ক্রিনে এসে পড়ে লাখো লাখো হেলথ টিপস ঠিক সেরকমই, আজ আসুন দেখে নিই প্রেমের স্বাস্থ্য নিয়ে কয়েকটি টিপস যা কিনা অগোচরেই উন্নত করবে আপনার সম্পর্ককে।
প্রেমের প্রথম দিকের সময়ে যা করেছিলেন, আবার করুন!
একথা অস্বীকার করা যায় না যে, দিন-মাস-বছর যতই পার হয় দৈনন্দিন নানান আঘাত, আশাভঙ্গ এবং আরো অনেক কারণে আমরা নিজেদের স্বাভাবিক ভদ্রতা, ধৈর্য রাখতে পারি না। ভালবাসার মানুষটি বঞ্চিত হচ্ছে জেনেও সময় দেয়া হয় না, তাঁকে বোঝবার জন্যে চিন্তা করা হয়ে ওঠে না। ভাবুন তো, প্রথম বছরটির কথা। মনে মনে ছকে ফেলুন কি কি করতেন আর এখন কি কি বাদ পড়ে গেছে। আবার শুরু করুন নব উদ্যমে। হারাতে দিয়েন না জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো।
নিজের চাওয়াটা বলতে হবে
প্রেমে অনেকদিন পার হলে আমাদের মধ্যে একটা চিন্তা এসে যায়, “ও তো জানেই আমার কি কি লাগবে। মুখে আর কী বলব!” এমন চিন্তায় কী হয় আসলে? মনের ভেতরে ভেতরে বাড়তে থাকে চাওয়ার হিশেব, এবং হাজার হলেও… আপনার সঙ্গীটি দিনশেষে একজন মানুষই, কারো পক্ষেই সম্ভব নয় সম্পূর্ণ করে আপনাকে বুঝতে পারা, আপনার প্রতিটি চাহিদা টের পাওয়া। ফলে, না বলা চাওয়াগুলো প্রায়শই চুপসে যেতে দেখা আপনাকেই ধন্দে ফেলে দেবে। এমনকি ছোট ছোট অপূর্ণতা কখন যে মনের মধ্যে বাড়তে বাড়তে আপনার প্রেম্র গভীরতা নিয়েই প্রশ্ন এনে ফেলবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। এরচেয়ে, মুখ ফুটে বলুন। নিজের মানুষকে নিজের চাওয়া বলার থেকে শান্তি তো নেই!
সঙ্গীর ব্যপারে অন্ধকারে থাকা যাবে না
ভালো করে লক্ষ্য করুন তো, একদম কোন জিনিসটা বাঁ জিনিসগুলো তাঁকে নাড়া দেয় গভীর থেকে। আমরা প্রায়ই ‘নিজেরা তাঁকে যেমন দেখতে চাই’ সেভাবেই ভেবে নিই, এতে তার তাল রাখাটা কঠিন হয়ে পড়ে। সে যেমন তাঁকে তেমন করেই জানতে হবে। আপনার কাছে হয়তো একেবারেই অর্থহীন কোন কাজ তাঁকে যদি আনন্দ দেয়, করুন। আপনজনের জন্যে এটুকু করতেই হয়।
“কেমন গেল আজ তোমার?” জিগ্যেস করা চলবে না!
সারাদিন শেষে আমাদের ইচ্ছে করে প্রিয় মানুষটা কেমন আছে জানতে। আমরা জিগ্যেস করি একই প্রশ্ন বারেরাবে, “কেমন কাটালে?” প্রশ্নটি সহজ আর উত্তরটাও জানা, “ভালো। তুমি?” এতে করে আসলে কোনো লাভই হয় না, বরং একটা বোরডোম এসে পড়তে পারে। একটু ঘুরিয়ে জিগ্যেস করুন, “আচ্ছা, আজকে তোমাকে হাসালো এমন কিছু বলো তো!” অথবা, “আজকে সবচাইতে চ্যালেঞ্জ পেলে কীসে?” আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না কত অসাধারণ সব উত্তর অপেক্ষা করে আছে আপনারই জন্যে।
একটা নিয়মিত সাপ্তাহিক বোঝাপড়ার প্রয়োজন
প্রেমিক প্রেমিকারাও মানুষ। তারা ভুল করে, ঠিক করে আবার দারুণ কিছুও করে ফেলে। যেটা করতে হবে, দারুণ কিছুর স্মৃতি বুকে নিয়ে ঠিকগুলো ধরে এগুতে হবে এবং ঝেড়ে ফেলতে হবে পুরনো ভুলগুলো। যেগুলো হয়তো আপনার নিজে নিজে ধরতে পারা কষ্ট হতে পারে। খোলাখুলি আলোচনা করুন তার সাথে। সুন্দর স্মৃতির থেকে দামী আর কিছুই নয়।
একসাথে থাকার সময়গুলো সৃজনশীল উপায়ে কাটান
পাশের মানুষটার দিকে মনযোগ না দিয়ে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকা শুধু অভদ্রতাই নয়, অপমানজনকও। চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। সামান্য আবেগের সঞ্চার পারে বড় কোন পাথরকে বুকের থেকে ঠেলে ফেলে দিতে। হলে গিয়ে ভালো সিনেমা দেখে আসুন, শিল্পকলায় নাটক। দুজনে একসাথে অভ্যাস করতে পারেন বই কবিতা পড়বার। মনে রাখবেন, আপনার মনযোগ তার কাছে ভয়ানক জরুরী।
মনকে একটু ছুটি দিন, প্রত্যেকদিন।
দৈনন্দিন জীনন আর কাজের চাপ আমাদের মাথায় এমন করে জেঁকে বসে যে সঙ্গীর জন্যে অল্পই শক্তি আর সময় আমাদের জমা থাকে। মনকে একটু সময় দিন। আপনার সমস্ত ভবিষ্যৎ চিন্তা, ক্যারিয়ার সকলই প্রচণ্ড দরকারী- তবে এমনটা যেন না হয় যাকে ছাড়া এসব অর্থহীন হয়ে পড়বে তাকেই তার প্রাপ্য গুরুত্ব দিতে পারছেন না এসবের চাপে। দিনশেষে আমাদের হাত ধরবার জন্যে মানুষ লাগে, এ কথা আমরা যেন না ভুলি।
“সন্ধ্যেবেলা ঝগড়া হবে, হবে দুই বিছানা আলাদা/ হপ্তা হপ্তা কথা বন্ধ, মধ্যরাতে আচমকা মিলন”
ঝগড়াঝাটি হবেই। যতদিনের প্রেমই হোক, যত গভীর প্রেমই হোক। তবে, তাতে সম্পর্কের শিকড়ের যেন ক্ষতি না হয়ে পড়ে, তাতে যেন আঘাত না লাগে। ব্যপারটা খারাপের দিকে যাচ্ছে টের পেলে সময় নিন দুজনেই। মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন একটু। সময় সে দশ মিনিটও হতে পারে, আবার কয়েক ঘন্টাও। পরে ঠান্ডা মাথায় কথা বলে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা কোন সমস্যাই নয়!
নিজের সত্যিকারের অনুভূতিকেই গুরুত্ব দিন
ঝগড়াঝাটিতে আমরা রাগ থেকে চিন্তা করি, বিরক্তি থেকে… আর গুরুত্ব পেয়ে যায় এসবই। এরথেকে, যে কারণে আপনার রাগ বা বিরক্তির উদ্ভব সেটাতে মন দিন। হতে পারে তার ছোট কোন অবহেলা, কিংবা নিজের একাকীত্ব বাঁ এরকমই কিছু একটা। এতে করে সঙ্গীর রাগ উদ্রেগের বদলে তৎক্ষণাৎ সহানুভূতি পেয়ে যাবেন আর সমস্যাটিও আর সমস্যা থাকবে না।
রাজি করানোর জন্যে না, বোঝাবার জন্যে বলুন
সাধারণ মিঠে কথোপকথন ঠান্ডা ঝগড়ায় বা তর্কবিতর্কে রূপ নেয় যখন আপনার মাথায় থাকে সঙ্গীকে অমুক বিষয়ে রাজি করাতে হবে বা তার মতামত বদলাতে হবে। এরকমটা ছাড়ুন। তার দিকটা বিবেচনা করেই আপনি তাঁকে বোঝাতে থাকুন আপনার পক্ষে, রাজি করার জন্যে নয়। যখন সে অনুভব করবে, ঘাড় ফুলিয়ে ঝগড়ার হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন দুজনেই!
ক্ষমা কেবলই মুখের কথা নয়
কথায় কথায় ক্ষমা চাইতে থাকলে একদিন এর গুরুত্ব নেই হয়ে যায়। তেমনই শুধু বলার জন্যে বলা সরি ও কোন অর্থ বহন করে না। আপনি প্রথমে সত্যিই অনুভব করুন সে কতটা আঘাত পেয়েছে, তাকে ইমোশনালি সাপোর্ট দিতে এটা লাগবেই। যখন সেও অনুভব করবে আপনি বলার জন্যে নয়, সত্যিই মন থেকেই ক্ষমা চেয়েছেন- আপনি ভাবতেও পারবেন না প্রেমের জোরে কতটাই দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে!
তো, প্রেম-স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু বটিকা তো পেয়ে গেলেন। এবার নিয়ম করে মেনে চললেই বাজিমাত!
lamisil 250mg tablet – buy cheap generic griseofulvin purchase griseofulvin generic