পরিচালনাঃ Darren Aronofsky
কাস্টঃ Sean Gullette, Mark Margolis, Ben Shenkman
‘Requiem For A Dream’ খ্যাত পরিচালক ড্যারেন আরোনোফস্কির প্রথম ফিচার ফিল্ম পাই। পরিবার বন্ধুবান্ধবদের থেকে একশ ডলার করে ধার নিয়ে ষাট হাজার ডলারে ছবিটি তৈরী করেন তিনি। শর্ত ছিল টাকা ফিরে এলে সকলকে একশ পঞ্চাশ ডলার দেবেন, আর না ফিরলে ছবির শেষে সকলের নাম থাকবে। পরবর্তীতে তুমুল প্রশংসিত হয় চলচ্চিত্রটি সমালোচকের কাছে। আর ফিরে তাকাতেই হয়নি তাঁকে।
সিনেমার মূল চরিত্র ম্যাক্সিমিলাম কোহেন একজন ম্যাথমেটিকাল জিনিয়াস। তাঁর বিশ্বাস এই জগতের সকল রহস্যের চাবিকাঠি গণিত, প্রকৃতিকে সম্পূর্ণভাবে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব এবং সমস্তকিছুর মধ্যে একটা প্যাটার্ন পাওয়তা সম্ভব। আর এই প্যাটার্নই প্রকৃতিকে বোঝার, এর রহস্যের উন্মোচনের চাবিকাঠি।
বিশাল কম্পিউটারে ঘিঞ্জি একটা বাড়িতে অত্যন্ত একাকী থাকে কোহেন। একটা কোন মানুষকে সহ্য করে না। প্রোগ্রাম লেখে এবং সেসব নিয়েই তাঁর বিচিত্র জগত। প্রোগ্রামে ২১৬ ডিজিটের বাগ পায়, এদিকে জানতে পারে খৃষ্টানদের মতানুযায়ী ঈশ্বরের নামও ২১৬ ডিজিটের। তবে কি সে জগত রহস্য সমাধানের দ্বারপ্রান্তে? কে আসলে অধিকার করে এই ডিজিটগুলো? সে নাকি ধর্মপ্রাণ খৃষ্টানেরা?
অত্যন্ত কড়া সাদা কালোতে চলচ্চিত্রটি শ্যুট করা হয়েছে। তাতে মূল চরিত্র কোহেনের অসম্ভব ডিপ্রেসিং একাকী এবং মানসিক সমস্যাগুলোর প্রকাশ প্রকটতর হয়েছে। পাশের ফ্ল্যাটের ইন্ডিয়ান মেয়েটি, যার নাম দেবী, যে কিনা কোহেনের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী, তাঁর জন্যে প্রায়ই খাবার দিতে আসে, কোহেন তাঁকে অবধি সহ্য করে না। ঘরে ঢুকতেও দেয় না। দিনকে দিন রহস্যোন্মচনের জটিলতর কষ্টকর যাত্রায় তাঁর মস্তিষ্ক হ্যালুসিনেট করাসহ আরো নানাভাবে জড়িয়ে পড়ে সে। একমাত্র তাঁর প্রাক্তন শিক্ষককে সে বিশ্বাস করে। শিক্ষকটি আগে পাইয়ের মানের মধ্যে প্যাটার্ন খুঁজে বের করার চেষ্টায় কুড়িটি বছর কাটিয়েছে, ২১৬ ডিজিটের বাগ তাঁর জীবনেও এসেছিল। শিক্ষক তারে সাবধান করে দেয়, এই রহস্য তাঁকে শেষ করে দেবে। কোহেন তখন বেপরোয়া। কি আছে ২১৬ ডিজিটের মাহাত্ম্য তাঁকে জানতেই হবে।
একদিকে বস্তুবাদী দল তাঁকে চায় শেয়ার বাজারের মত ব্যপারে তাঁকে প্রেডিক্টর হিশেবে, অন্যদিকে ঈশ্বরবাদী দল তাঁকে চায় ঈশ্বরের নীকটতর হবার পথ হিসেবে। অবশ্য, সে রহস্য সমাধান হলে তো ঈশ্বর হতে শেয়ারবাজার সবই চলে আসবে চোখের সামনে। এ এমনই ব্যপার যার হয়তো অস্তিত্বই নেই, কিন্তু তাড়িয়ে বেড়ায় পাগলের মত। এ কি সম্ভব সর্বজ্ঞ হওয়া। তবে তো এমন কোনো কম্পিউটার লাগে যার হাতে আছে জগতের সকল তথ্য!
পাই একটি দার্শনিক এবং থ্রিলিং যাত্রা যার হয়তো গুলির সামনে জীবন বাজি, চেজিং সিন নেই, রয়েছে এক পাগলা জিনিয়াসের নিজেকে বাজি ধরবার গল্প যার পেছনে তাড়া করে বস্তুবাদী এবং ঈশ্বরবাদী দুটো দলই। সমান উন্মত্ততায়। অথচ গণীতের মজাটা আসলে তো গণিতেই! একে তো ঘরে লাল নীল আলো জ্বেলে পরীক্ষা করবার সুযোগ নেই, গণিতকে জানতে গণিতের ভাষাতেই জানা লাগে। পাই হল সেই মহান শূন্যতাকে বুকে ধরবার প্রয়াস।
কৃতজ্ঞতাঃ আইএমডিবি, উইকিপিডিয়া, রোটেন টমেটো, রগার ইবারট।
side effects of zofran when pregnant
purchase terbinafine for sale – buy lamisil without a prescription buy griseofulvin
zyprexa para que sirve