টেরাকোটা আর্মিঃ মাটির নিচে খুঁজে পাওয়া হাজার বছরের সুসজ্জিত সৈন্যদল

0

যোদ্ধা শব্দ টি শুনলেই আমাদের কল্পনায় ভেসে উঠে দীর্ঘদেহী, সুঠাম, বলবান, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কোন মানুষের চিত্র। বাস্তবে কিংবা বইয়ের পাতা যেখানেই হোক না কেন, যোদ্ধাদের এমন বর্ণনাই আমরা দেখতে পাই সচরাচর। কিন্তু যদি বলা হয় যোদ্ধা পোড়া মাটিরও হয়ে থাকে তাহলে আমার মত আপনিও অবাক হবেন আমি নিশ্চিত। আজকের এই লিখার বিষয় সেই পোড়া মাটির যোদ্ধা বা টেরাকোটা আর্মি দের নিয়েই।

১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে উত্তর-পশ্চিম চীনের শানশি প্রদেশে কিছু কৃষক খরায় শুষ্ক হয়ে যাওয়া জমিতে কূপ খনন করতে গিয়ে কিছু মাটির তৈরি মূর্তির অংশবিশেষ খুঁজে পায় এবং পরবর্তীতে এই অংশবিশেষ গুলোই আধুনিক যুগের একটি বিশাল প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের দুয়ার খুলে দেয়। চীনের প্রথম সম্রাট চিন শি হুয়াংদির অনাবিষ্কৃত সমাধির খুব নিকটেই অসাধারণ এক গুপ্তধন রয়েছে, আর সেই গুপ্তধন হল প্রমাণ সাইজের পোড়া মাটির মানব মূর্তি ও ঘোড়া দিয়ে সাজানো একটি সৈন্যদল।

টেরাকোটা আর্মি
Source: Travel China Guide

এই জায়গাটি চিন শি হুয়াংদির প্রাচীন রাজধানী শিয়েনিয়াং থেকে আধা ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। এটি প্রচণ্ড শুষ্ক একটি স্থান যেখানে শীতকাল যেমন তীব্র তেমনি গ্রীষ্মকালও অনেক বেশি তপ্ত। মেটে রঙের পাহাড় আর তাতে অসংখ্য গুহা এই অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রচুর খেজুর এবং ডালিমের চাষ হয়। এই সব বৈশিষ্ট্য দেখে এই এলাকা টিকে চীনের আর পাঁচটা এলাকার মত মনে হলেও এখানকার হোটেল গুলো এবং রাস্তার পাশের বড় বাজার যেখানে পাঁচ ফুট লম্বা মৃৎশিল্পের জিনিসপত্র বিক্রি করা হয় সেগুলো দেখে কিন্তু স্পষ্টতই বুঝা যায় যে এই জায়গাটি মোটেও কোন সাধারণ জায়গা নয়।

১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এই পোড়া মাটির যোদ্ধাদের পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁর ভাষ্যমতে, “পৃথিবীতে ৭ টি আশ্চর্য ছিল কিন্তু পোড়া মাটির যোদ্ধা আবিষ্কার হওয়ার পর সে টি ৮ নম্বর আশ্চর্য। যে মিশর গিয়েছে কিন্তু পিরামিড দেখেনি তার যেমন মিশর দেখা হয়নি তেমনি যে চীনে গিয়েছে অথচ পোড়া মাটির যোদ্ধা দেখেনি তারও চীন দেখা হয়নি”।

চীনের প্রথম সম্রাটের রাজধানী শিয়েনিয়েং ছিল একটি মস্ত বড় মহানগরী। এই মহানগরীতে তিনি আনুমানিক ২৭০ টি প্রাসাদ গড়ে তুলে ছিলেন, যার মধ্যে মাত্র একটি এখন টিকে রয়েছে বলে জানা যায়। যখনই চিন শি হুয়াংদি কোন প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রকে পরাজিত করতো তখন সেই পরাজিত রাষ্ট্রের শাসনকারী পরিবারকে এনে তার রাজধানী তে অবস্থিত ঐ পরাজিত পরিবারের প্রাসাদের আদলে তৈরি প্রাসাদে থাকতে দিতেন।

Source: China Highlights

খৃষ্টপূর্ব ২৪৬ সালে পিতার মৃত্যুর পর মাত্র ১৩ বছর বয়সে চিন শি হুয়াংদি সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসার আগে তাঁর নাম ছিল ইং শেং। এই রাজ্যের প্রতিপক্ষ রাজ্যগুলো এর নাম দিয়েছিল আধা অসভ্য রাষ্ট্র, এর পিছনে অবশ্য অনেক কারণও ছিল। যেখানে চীনের অন্যান্য রাজ্যে কনফুসিয়াসের নীতি অর্থাৎ একটি রাজ্যকে সুষ্ঠু ভাবে চালাতে হলে তাকে ঠিক সেভাবে চালাতে হবে যেভাবে পারস্পরিক দায়িত্ব ও সম্মান দিয়ে নিজের পরিবারকে চালানো হয় মেনে রাজ্য শাসন করা হতো সেখানে চিন শি শাসকরা রাজ্য পরিচালনার জন্য আইন সর্বস্বতার উপর নির্ভর করতো। অর্থাৎ তাদের রাজ্য পরিচালনার পন্থা ছিল শাস্তিমূলক প্রশাসন কেন্দ্রিক।

চিন শি এর বয়স যখন ২০ এর কাছাকাছি তখন তিনি লি শি নামে একজন দূরদর্শী কূটনীতিকের সন্ধান পান যিনি পরবর্তীতে তাঁকে অনেক কিছু অর্জন করতে সহায়তা করেছিলেন। লি এর পরামর্শে চিন শি তাঁর ভিন্ন ভিন্ন উপভাষার প্রজাদের জন্য একটি অভিন্ন হস্তলিপির প্রচলন করেন যেন তারা সহজে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এছাড়াও উন্নত কৃষি অবকাঠামো সহ সেচের জন্য খাল খনন ও খাদ্য মজুদের জন্য গুদাম তৈরির কাজও তত্ত্বাবধান করেন এই তরুণ শাসক।

টেরাকোটা আর্মি
Source: China Highlights

প্রায় ২০০ বছর যাবত চীনের বিভিন্ন রাজ্য গুলোর মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেছিল। চিন শি হুয়াংদি প্রথম পুরো চীন কে একত্রিত করেন এবং একত্রিত চীন কে কেন্দ্রীয় ভাবে শাসন করেন। তাঁর শাসনামলের স্থিরতার কারণে চীনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনেক উন্নতি হয়। এছাড়াও হস্তলিপির প্রচলন, রাস্তা নির্মাণ ও খাল খনন, ধাতুবিদ্যার উন্নয়ন, পরিমাপের একক আবিষ্কার এবং চীনের গ্রেট ওয়াল তৈরির মত কাজও হয় তাঁর শাসনামলে। কিন্তু যাই হোক, চিন শি হুয়াংদি তাঁর নির্মমতা ও নির্দয়তার জন্যও অনেক পরিচিত। জানা যায়, যে সকল পণ্ডিতদের সাথে তাঁর মত মিল তো না তাদেরকে অবলীলায় হত্যা করতেন তিনি। এছাড়াও যে সকল সৈন্যদের সে বাধ্য করেছিল তাঁর জন্য প্রাসাদ এবং অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করতে তাদের জীবনের প্রতিও তাঁর কোন মায়া ছিলনা। এমনকি তাঁর সমাধিস্থল নির্মাণ করতে গিয়েও অনেক সৈন্য মারা গিয়েছিল। আরও জানা যায় যে, সমাধিস্থল নির্মাণ করেছে এমন অনেক সৈন্যকে  তিনি নিজেও মেরে ফেলেছিলেন সমাধি এর অবস্থান গোপন রাখার জন্য এবং সেখানে লুকিয়ে রাখা গুপ্তধনের কথা লুকিয়ে রাখার জন্য।

টেরাকোটা আর্মি
Source: newhistorian.com

চিন শি হুয়াংদির সমাধির পাশে যে সৈন্যদল সাজানো তাতে যে প্রমাণ সাইজের যোদ্ধা, তীরন্দাজ, ঘোড়া এবং রথ সাজানো আছে তা মূলত রাখা হয়েছিল চিন শি কে মৃত্যু পরবর্তী জীবনে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। কি অবাক লাগছে এটা ভেবে যে মৃত্যুর পর আবার কিসের সুরক্ষা? জী হ্যাঁ, এইরকম চিন্তা থেকেই এই বিশাল সমাধিস্থল আর এতো বড় পোড়া মাটির সৈন্যদল তৈরি করেছিলেন চিন শি হুয়াংদি। জীবিত অবস্থায় তিনি অনেক রাজ্যের লোকের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন এবং তাঁর অনেক শত্রু তৈরি হয়েছিল। তাই তাঁর ধারণা ছিল যে তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর শত্রুরা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তাঁর উপর আক্রমণ করবে। তাই তিনি জীবদ্দশায় অমরত্ব লাভ করার অনেক পথ খুঁজেছেন এবং শেষ পর্যন্ত তাতে বার্থ হয়ে নিজের সমাধিকে পাহারা দেয়ার জন্য এতো বড় সৈন্য দল নির্মাণ করেছিলেন।

পোড়া মাটির সৈন্য পাওয়া খন্দ গুলো খনন করার সময় প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রায় ৪০,০০০ ব্রোঞ্জের অস্ত্র উদ্ধার করেন যার মধ্যে আড়ধনু, বাণ, কুড়াল এবং বর্শার মত অস্ত্র উল্লেখযোগ্য ছিল। অস্ত্রগুলো বানানোর ২,০০০ বছরেরও বেশি সময় পর খুঁজে পাওয়া গেলেও, তাদের অবস্থা খুব ভালো ছিল কারণ সেগুলোতে ক্রোমিয়ামের প্রলেপ দেয়া ছিল যা অত্যন্ত আধুনিক একটা পদ্ধতি। ধাতুর প্রলেপ দেয়ার এই পদ্ধতি প্রথম ব্যবহার করে জার্মানি ১৯৩৭ সালে, তারপর আমেরিকা ১৯৫০ সালে। এর থেকেই বুঝা যায় ঐ সময় চীন ধাতুবিদ্যায় কতটা এগিয়ে ছিল।

টেরাকোটা সৈন্যদল

খুঁজে পাওয়ার পর ৪৩ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সম্রাটের সমাধির ১%ও এখনো খনন করা সম্ভব হয়নি। প্রথমে খনন করতে গিয়ে যদি সম্রাটের মৃতদেহ বা সেখানে রাখা কোন শৈল্পিক নিদর্শনের কোন ক্ষতি হয়ে যায় সেই ভয়ে খনন করা হয়নি, পরবর্তীতে অন্যান্য নিরাপত্তার দিক চিন্তা করে আর খনন করা হয়নি। খৃষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর একজন ইতিহাসবিদ সিমা চিয়েন তাঁর “The Grand Srcibe’s Record” নামক বই এ বলেছেন সম্রাটের মৃতদেহকে সংরক্ষণ করার জন্য তাঁর সমাধির মেঝেতে পারদের প্রবাহ খচিত করে দেয়া হয়েছে যেন তা দেখে মনে হয় সমাধির ভেতর দিয়ে কোন স্থানীয় নদী বয়ে চলেছে। ২০০৫ সালে চীনা প্রত্নতত্ত্ববিদ দুয়ান শিংবু সমাধির আশেপাশের ঢিপি থেকে মাটি নিয়ে ৪,০০০ নমুনা পরীক্ষা করেন এবং তাতে উচ্চ মাত্রায় পারদের উপস্থিতির প্রমাণ পান। এমন ঐতিহাসিক এবং রাসায়নিক প্রমাণ পাওয়ার পর ঠিক কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে সমাধি টা খনন করলে সম্রাটের মৃতদেহ কিংবা অন্যান্য নিদর্শনের ক্ষতি হবেনা এবং তার সাথে সাথে যারা খননের কাজ করবে তাদের কোন ক্ষতি হবেনা সে বিষয় নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে।

আবিষ্কারের পর ঐ সমাধিস্থলে এই পর্যন্ত মোট ৮,০০০ সৈন্য, ১৩০ টি রথ ও ৬৭০ টি ঘোড়ার মূর্তি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সৈন্য দের গড় উচ্চতা ১.৯০ মিটার এবং সবচেয়ে খাটো সৈন্যের মূর্তির উচ্চতা ১.৭০ মিটার। কিন্তু সেখানে এইগুলো ছাড়াও আরও পাওয়া গিয়েছে পোড়া মাটির গায়ক, কসরত কারী, রক্ষিতা সহ কিছু পাখি যেমন: জলকুক্কুট, সারস ও পাতিহাঁস। ধারণা করা হয়, মৃত্যুর পরও চিন শি হুয়াংদি ঠিক তেমন বিলাসবহুল জীবনই চেয়েছিলেন যেমন টা তিনি কাটিয়েছিলেন জীবদ্দশায়। এইজন্যই জীবদ্দশায় তাঁর প্রাসাদ ও প্রাসাদের ভেতরের জিনিসপত্র ও মানুষের আদলেই গড়ে তুলে ছিলেন তাঁর সমাধিস্থল। কিন্তু সেই সমাধিস্থলের কাজ কখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। এমনকি তাঁর মৃত্যুর ৪ বছর পর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল যখন হান সাম্রাজ্য শুরু হয়। প্রায় ৪০ বছর সময় নিয়ে নির্মিত এই পোড়া মাটির যোদ্ধাদের তৈরি করেছিল ৭০০,০০০ কর্মী।

টেরাকোটা সৈন্যদল
Source: TripSavvy

মজার বিষয় হল এতো সংখ্যক মূর্তি পাওয়া গেলেও কোন একজন সৈন্যের চেহারার সাথে আরেকজন সৈন্যের চেহারার কোন মিল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ এই পর্যন্ত যে ৮,০০০ পোড়া মাটির যোদ্ধা পাওয়া গিয়েছে তাদের সবার মুখের আদল ভিন্ন। এমনকি তাদের বয়স, চুলের ধরণ, মুখের অভিব্যক্তিও ভিন্ন ভিন্ন। কারো চেহারা শান্ত তো কারো চেহারা রাগান্বিত যেন এখনই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত। এমনকি সৈন্যদের পোশাক ও বর্মও ভিন্ন ভিন্ন। অশ্বারোহী সৈন্যদের পোশাক আর বর্ম একরকম আবার পদাতিক সৈন্যদের অন্যরকম। আবার কিছু কিছু সৈন্যের কোন বর্ম নেই। একেকটি মূর্তি বানানোর পর তাতে সেই মূর্তির কারিগরকে নিজের নামের ছাপ দিতে হতো যেন কোন ভুল হলে সেই কারিগরকে ধরে শাস্তি দেয়া যায়।

সৈন্য দল সজ্জিত আছে এমন ৪ টি খন্দের খোজ পাওয়া গিয়েছে এই পর্যন্ত। এই খন্দ গুলো ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত গভীর। এই খন্দ গুলোতে বেশিরভাগ মূর্তিই অনেক গুলো খণ্ডে ভাঙ্গা পাওয়া গিয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা অনেক বছর যাবত খুব যত্ন সহকারে সেই ভাঙ্গা খণ্ড গুলো জোড়া লাগিয়ে চলেছেন। তাছাড়া প্রায় সব সৈন্য ও ঘোড়া গুলো রঙ করা ছিল কিন্তু আবিষ্কারের পর পরই সেই রঙ ম্লান হয়ে যেতে থাকে। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক রা চেষ্টা করে চলেছেন কিভাবে সেই রঙ গুলোকে অম্লান করে রাখা যায় সে ব্যাপারে।

টেরাকোটা আর্মি
Source: The Seattle Times

সব ঘোড়ার মূর্তিতেই শিকল পড়ানো। এ থেকে জানা যায় যে, শিকলের আবিষ্কার হয়েছিল চিন শাসনামলে। বৈদ্যুতিক মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করে নিষ্পেষণ ও মসৃণ করার যে প্রমাণ পাওয়া যায় তা থেকে বুঝা যায় যে ঐ সময়ে লেদ মেশিনেরও ব্যবহার ছিল। পোড়া মাটির যোদ্ধাদের নিয়ে গবেষণা অনেক দূর এগিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সম্রাটের মৃতদেহ যেখানে রয়েছে সেটি খনন করা সম্ভব হয়নি। তাঁর মৃতদেহটি একটি ফুটবল পিচের সমান আয়তনের জায়গায় অভেদ্য ভাবে রাখা আছে।

টেরাকোটা আর্মি
Source: turistipercaso.it

চিন শি হুয়াংদি সিংহাসনে বসার অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন তাঁর সমাধি কোথায় হবে। তিনি সিংহাসনে বসার পরই তাঁর সমাধিস্থলের নির্মাণ কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। বিশ্বাস করা হতো যে মৃত্যুর পর ঐ পোড়া মাটির সৈন্য গুলো জীবন্ত হয়ে উঠবে। হাজার হাজার বছর পরও সুসজ্জিত এই সৈন্যদল আমাদের মনে করিয়ে দেয় তাদের নির্মাণকারী শিল্পীদের নৈপুণ্য ও কারুকার্যের কথা।

চীনের এই পোড়া মাটির যাদুঘর দেখতে প্রতিবছর ১ মিলিয়নের বেশি পর্যটক আসে এখানে। কিন্তু আনন্দের ব্যাপার হল আপাতত এই পোড়া মাটির যোদ্ধা দেখতে আপনাকে চীনে যেতে হবেনা। কারণ ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে লিভারপুল যাদুঘরে এই অভূতপূর্ব যোদ্ধাদের কিছু মূর্তি প্রদর্শন করা শুরু হয়েছে এবং তা চলবে এই বছরের অক্টোবর পর্যন্ত।

এমন আরো কিছু অসাধারণ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার সম্পর্কে জানতে পড়ে ফেলুন – 

ইতিহাসের রহস্যময় সেরা ১০টি প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার!

Source Source 01 Source 02 Featured Image
Leave A Reply
sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More