সৌদি রাজবংশ: গণতন্ত্রের জোয়ারে দাপটে টিকে থাকা ইসলামী রাজতন্ত্র

1

সৌদি আরব! সৌদি আরবকে বলা হয় মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্ররাষ্ট্র। যারা মুসলিম বিশ্বের ধারক বাহক। যেহেতু দাবি করা সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধি রাষ্ট্র তবে প্রশ্ন থাকতেই পারে যে মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধি হলে সেখানে কেন খেলাফত নেই? আর সেখানে যে বর্তমানে রাজতন্ত্র রয়েছে তার উত্থান কিভাবে? আর কেনই বা সেখানের প্রাচীন খেলাফতের অবসান হল? আর পুরাতন ইতিহাসে কোথাও সৌদি আরবের নাম নেই , তাহলে সৌদি আরব নামটি কোথা থেকে এলো? এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হলাম আজকের পর্বে।

সৌদি আরব বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র যা একজন ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৩২ সৌদ বংশের পূর্বপুরুষ মোহাম্মদ বিন সৌদের নামানুসারে রাষ্ট্রের নামকরণ করা হয় সৌদি আরব। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি তারা সৌদি আরবের রাজ ক্ষমতায় উপবেশন করে আছে। তবে তাদের উত্থানটি ছিল নাটকীয় ও ঘাত প্রতিঘাতপূর্ন। তাই তাদের উত্থানের পটভূমি সম্পর্কে আগে জানা আবশ্যক।

সৌদি আরব
সৌদি আরব
Source: World Maps

উত্থানের পটভূমি:

১৫১৭ সালে প্রথম সেলিম কর্তৃক মক্কা-মদিনার কর্তৃত্ব চলে যায় অটোমানদের হাতে। তার পর থেকে দীর্ঘদিন মক্কা-মদিনা তথা আরব উপদ্বীপের শাসনভার অটোমানদের হাতেই ছিল। সর্বপ্রথম ১৭৪৪ সালে মোহাম্মদ বিন সৌদের নেতৃত্বে দিরায়েত নামক অঞ্চলে “দিরিয়া আমিরাত” নামে এক রাজ্য গড়ে তোলে। এই সৌদ ছিলেন তৎকালীন একটি কৃষি সমাজের প্রধান ও মরু যোদ্ধা। সে সময়ই ঐ অঞ্চলে উত্থান হয় মোহাম্মদ বিন ওহাবের। যিনি ওহাবী মতাদর্শের প্রবর্তক। সৌদ এই ওহাবের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। কারণ ওহাবী মতবাদ ছড়িয়ে পড়ায় ও তার ধর্মনিষ্ঠার জন্য আব্দুল ওহাবের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। এবং ওহাবের মেয়ের সাথে সৌদের পুত্র আব্দুল আজিজের বিবাহ দেন। এরপরই শুরু হয় অটোমানদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। অটোমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তারা শিরক বিদাতের দ্বারা সাম্রাজ্য পরিচালনা করছে। ১৭৬৫ সালে মোহাম্মদ বিন সৌদ মৃত্যুবরণ করলে আমিরাতের প্রধান হন তার ছেলে আব্দুল আজিজ আমিরাতের ক্ষমতা দখল করেন। পাশাপাশি ব্রিটেনের সাথে গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলে ও অটোমানদের সৌদ-ওহাবী সংগ্রাম চালিয়ে নেয়।

১৮০১ সালে অটোমান শাসকের দুর্বলতার সুযোগে আব্দুল আজিজ ইরান দখল করে নেয়। এবং আলী (রা) ও হোসাইন(রা) এর মাজার ধ্বংস করে এর প্রতিবাদে ১৮০৩ সালে একজন শিয়া আজিজকে হত্যা করে। পরবর্তীতে তার উত্তরাধিকারীরা মক্কা-মদিনা দখল করে নেয়। কিন্ত তাদের এই সাফল্য দীর্ঘায়িত হয়নি। ১৮১৮ সালে অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের হাতে এই সৌদ বংশ পরাজিত হলে তাদের ক্ষমতা দখলের প্রাথমিক ধাপের যবনিকাপাত হয়।

উত্থানের পটভূমি
উত্থানের পটভূমি
Source: YouTube

১৮১৮ সালের পর সৌদ বংশের পতনের পর তারা নিঃচিহ্ন হয়ে যায় নি। তাদের এক বংশধর তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ পালিয়ে বনু তামিম গোত্রে আশ্রয় নেন ও আত্মগোপনে থাকেন। ১৮২১ সালে প্রথম সামনে আসেন এবং অটোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। বহু ত্যাগ তিতিক্ষা ও সংগ্রামের পর ১৮২৪ সালে তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ পুনরায় দিরিয়া ও রিয়াদ দখল করে নেন ও রিয়াদ কে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে শাসন কাজ পরিচালনা শুরু করেন। তার পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন তার পুত্র ফয়সাল। ফলে তাদের শাসন ক্ষমতা মোটামুটি স্থায়ী হয়ে যায়। এই শাসনকে সৌদদের ২য় পর্যায়ের ক্ষমতা দখল বলা যায়। কিন্তু এবারও তাদের শাসন স্থায়ী হয়নি। ১৮৯১ সালে ওসমানিয়া বাহিনীর সাথে মুলায়দার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে শাসনাবসান হয়। সৌদ শাসক আব্দুর রহমান ও তার পুত্র আব্দুল আজিজ পালিয়ে কুয়েতে আশ্রয় লাভ করে।

পরবর্তীতে ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই আব্দুল আজিজ ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। যুদ্ধে তুরস্ক পরাজিত হলে ১৯২৪ সালে মোস্তফা কামাল পাশার নেতৃত্বে ইসলামী খিলাফতের পতন ঘটানো হলে ১৯২৫ সালে আব্দুল আজিজ হেজাজ দখল করে নেয়। এবং ১৯২৬ সালে মক্কা-মদিনা ও ১৯২৭ সালে নজদ দখল করে নেয় ও কিংডম অব নজদ-হেজাজ গঠন করা হয়। এবং ব্রিটিশ কর্তৃক তাদেরকে স্বাধীন হিসেবে গ্রহণ করে নেয়া হয়। দীর্ঘ ৫ বছর নেজাদ ও হেজাজ আলাদা শাসন করার পর ১৯৩২ সালে এই দুই অঞ্চলকে একত্র করে সৌদ বংশের নামানুসারে “কিংডম অব সৌদি আরাবিয়া”  নামকরণ করা হয়।

বর্তমান রাজবংশের ক্ষমতার ধারাবাহিকতা

আব্দুল আজিজ বিন সৌদ (১৯৩২-৫৩):

আব্দুল আজিজ বিন সৌদ
আব্দুল আজিজ বিন সৌদ
Source: Imgur

দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর আব্দুল আজিজ বিন সৌদ ১৯৩২ সালে ক্ষমতা দখল করে নিজে “বাদশা” উপাধি ধারণ করে  সৌদ বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তিনি এই শাসন প্রতিষ্ঠা করেই ক্ষান্ত ছিলেন না। তিনি সৌদি আরবকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন। এর অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র  ও যুক্তরাজ্যের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৯৩৮ সালে সৌদি আরবে তেলের খনির সন্ধান মেলার পর থেকে সমগ্র আরবের চিত্র বদলে যেতে থাকে। তেল কোম্পানি আরমাকোর সহায়তায় সৌদি ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়। এবং সাথে সাথে আরবের মরুর বুকে গড়ে তোলেন সমৃদ্ধ নগরীর ভীত। তিনি মরুভূমির বেদুঈনদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার সময়ে পারস্য উপসাগর হতে রিয়াদ হয়ে জেদ্দা পর্যন্ত রেল লাইন গড়ে উঠে। তিনি ওহাবী মতাদর্শকে রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে রাষ্ট্র ক্ষমতা চালাতে চেয়েছিলেন যার ফলে অন্য ধর্মীয় মতাদর্শকে দমন করেন। আব্দুল আজিজ ১৯৫৩ সালে মৃত্যুবরণ করলে তার শাসন  ক্ষমতার অবসান হয়।

সৌদ বিন আব্দুল আজিজ (১৯৫৩-৬৪):

সৌদ বিন আব্দুল আজিজ
সৌদ বিন আব্দুল আজিজ

আব্দুল আজিজের পর ১৯৫৩ সালে ক্ষমতায় আসেন তার পুত্র সৌদ। ক্ষমতায় আসার পর তিনি গুরত্বপূর্ন পদ সমূহতে তার পুত্রদের আসীন করতে থাকে। অন্যদিকে তার সৎভাই ও তার সন্তানদের ক্ষমতার বাহিরে রাখার ষড়যন্ত্র করতে থকে। রাজকোষের ধন তার নিজ পরিবারের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে থাকেন। এতে সৌদি আরবের চলমান অর্থনীতি অনেকটা ব্যাহত হয়। তিনি বৈদেশিক নীতিতেও সফলতা লাভ করতে ব্যর্থ হন। এবং তেল থেকে অর্জিত মুনাফা বৃদ্ধি পেলেও সৌদির ঋণের বোঝা না কমে বরং বেরে যায়। ফলে তার সাথে ফয়সালের বিরোধ দেখা দেয়। অবশেষে ১৯৬৪ সালে  সৌদ চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফয়সাল ক্ষমতা দখল করে নেয়। সৌদ অনেক চেষ্টা করেও ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। ফলে একজন দুর্বল শাসক হিসেবে ইতিহাস থেকে তার বিধায় নিতে হয়।

ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ (১৯৬৪-৭৫):

ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ
ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ
Source: Skepticism.org

বাদশা সৌদের পর ১৯৬৪ সালে ক্ষমতায় আসেন তার ভাই ফয়সাল। তিনি প্রথমে আলেম ওলামাদের উপর ভর করে ক্ষমতায় আসলেও ক্ষমতায় বসার কিছুদিন পরই আলেম ওলামাদের প্রভাব হ্রাস পেতে থাকে। অর্থাৎ তিনি রক্ষণশীলতার তুলনায় উদারনীতি গ্রহণ করতে শুরু করেন। তার পূর্ববর্তী সময়ে একটি প্রথা গড়ে উঠেছিল যে ধনী ও রাজ পরিবারের সন্তানরা বিদেশ গিয়ে পড়াশুনা করত ফলে তিনি তাদেরকে দেশেই শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাধ্য করেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য জোর দেন। ফলে তার সময়ে শিক্ষা-দীক্ষার বেশ উন্নতি হয়।তিনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নতুনসব নীতি গ্রহণ করেন ও তেল বাণিজ্যকে আরো সমৃদ্ধ করেন ফলে আরবের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নতি হয়। তার সময়েই আরবে সর্বপ্রথম টিভি চ্যানেলের অনুমোদন পায়।তার সময়ে দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটে।তিনি ১৯৭৫ সালে তার সৎ ভাইয়ের ছেলে মুয়াঈদ কর্তৃক নিহত হন ও তার শাসন ক্ষমতার অবসান হয়। তিনি মোটামুটি একজন সফল শাসক ছিলেন বলে ধারনা করা হয়ে থাকে।

খালিদ বিন আব্দুল আজিজ(১৯৭৫-৮২):

খালিদ বিন আব্দুল আজিজ
খালিদ বিন আব্দুল আজিজ
Source: GlobalSecurity.org

ফয়সালের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন ১৯৭৫ খালিদ। তিনি ক্ষমতায় আসার পর সকল ক্ষেত্রে তার পূর্ববর্তী শাসক ফয়সালকে অনুসরণ করতে থাকেন।তিনি বেশ কয়েকটি এলিমেন্টারী, সেকেন্ডারি ও হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। কৃষিব্যবস্থায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে থাকে ফলে কৃষি কাজের প্রভূত উন্নতি হয়। ফয়সালের রক্ষণশীল অর্থনীতি ব্যবস্থা গ্রহণ করার ফলে আরবের অর্থনীতি পূর্বের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পায় ও সৌদি আরব একটি উন্নত দেশ হবার দৌরগড়ায় পৌঁছে যায়। খালিদ বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে আগ্রহী না থাকলেও তার সময়ে সৌদিকে বেশ কয়েকটি ঘটনায় জড়াতে হয়। তার সময়েই ইরান বিপ্লব, আনোয়ার সাদাতের হত্যকান্ড, ইরাক-ইরান যুদ্ধ ও আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের মত বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে যাতে সৌদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পরে। ১৯৮২ সালে খালিদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ(১৯৮২-২০০৫):

ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ
ফাহাদ বিন আবদুল
Source: RiyadhVision

খালিদের পর ক্ষমতায় আসেন ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ। ফাহাদ অন্যদের তুলনায় বেশি বিলাসবহুল ছিল তার ব্যক্তিগত বিমান ও প্রমোদ তরি ছিল। তার সময়ে ৯০ মিলিয়ন ডলারের বিখ্যাত ইয়ামামার সামরিক চুক্তি করা হয় ফলে অন্যান্য উন্নয়ন কাজ অনেকটা ব্যাহত হয়। তার সময়ে জাতিসংঘে সৌদির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, কারণ সৌদি তার আয়ের ৫.৫% মানব কল্যাণে দেবার ঘোষণা দেন। ইরানের বিপ্লবের একটা আশঙ্কা ছিল যে আরবেও সিয়া বিপ্লব হতে পারে তাই ফাহাদ ইরাকের শাসক সাদ্দাম, মিশরের হুসনী মোবারকের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৯৯০ সালে ইরাকের সৈন্য সৌদির ভূমিতে অবস্থান নিলে তা বিতর্কের জন্ম দেয়। ১৯৯৫ সালে অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে তিনি স্টোক করেন, এর পর থেকে তিনি হুইল চেয়ারে বসে যুবরাজ আব্দুল্লাহর সহায়তায় শাসন কার্য পরিচালনা করেন। ফাহাদ ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে ইন্তেকাল করলে তার শাসনাবসান হয়।

আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ(২০০৫-২০১৫):

আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ
Source: CNN.com

ফাহাদের পর ক্ষমতায় আসেন তার ভাই আব্দুল্লাহ। যদিও ফাহাদের গুরুতর অসুস্থ হবার পর থেকেই তিনি পরোক্ষভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি পূর্ববর্তী শাসকদের অনুসরণ করে অভ্যন্তরীণ প্রায় সকল বিষয় অপরিবর্তিত রাখেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার সময়ে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়। ২০১৩ সালে চলতে থাকা আরব বসন্ত থেকে সৌদিকে মুক্ত রাখেন। তবে আব্দুল্লাহ ধর্মীয় বিষয়ে অন্যদের থেকে নরম ও ধার্মিক ছিল। তিনি ২০১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

সালমান বিন আব্দুল আজিজ(২০১৫-বর্তমান):

সালমান বিন আব্দুল আজিজ
সালমান বিন আব্দুল আজিজ

আব্দুল্লাহর পর তার ভাই সালমান ক্ষমতায় আসেন তিনি বর্তমান পর্যন্ত ক্ষমতায় আছেন। তিনি আরবের গতানুগতিক ধারার শাসনের থেকে উদারনৈতিক শাসনের প্রতি জোর দিয়েছেন। কারণ ইতিমধ্যে সৌদিতে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং পর্যটন স্পটে নারীদের বিকিনি পরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এখন যুবরাজ মুহাম্মদই সকল ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক।

সমগ্র বিশ্বে যেখানে গণতন্ত্রের জয় জয়কার সেখানে সৌদিতে এখনো রাজতন্ত্র বহাল রয়েছে। এখন দেখার বিষয় হল এই রাজতন্ত্র আর কত দিন বজায় থাকে। যদি এরকম উদারনৈতিক সংস্কার অব্যাহত থাকে হয়ত অতি শিঘ্রই সেখানে নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকারের দাবিতে বিপ্লব দেখা দিতে পারে। সে দিক হতে বলা যায় তাদের এই সংস্কার হয়ত আসন্ন পতনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

 

তথ্যসুত্রঃ

১. https://aurnabarc.wordpress.com/

২. https://www.channelionline.com

Source Featured Image
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More