অপারেশন পেপারক্লিপ বা প্রোজেক্ট পেপারক্লিপ যেটাই বলা হোক না কেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এই অপারেশনটি অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। মানব সভ্যতার ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর সেই বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির কার্যকলাপ সম্পর্কে জানেনা এমন লোক খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। অপারেশন পেপারক্লিপের ঘটনা টি এই নাৎসি বাহিনী কেন্দ্রিক অনেক টা। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক অপারেশন পেপারক্লিপ সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য।
অপারেশন পেপারক্লিপ হল ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নাৎসি জার্মানি থেকে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রোজেক্ট। এই কাজ করার জন্য গড়ে তুলা হয়েছিল ‘Joint Intelligence Objective Agency’ যাদের উপর পুরো দায়িত্ব ছিল এই অপারেশনের।
সোভিয়েত ইউনিয়নে ব্যর্থ আক্রমণ ও যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আগমনের কারণে জার্মানির অবস্থা বেহাল হতে থাকে এবং লম্বা সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে নেয়ার মত প্রস্তুতি তখন জার্মানির সেনাবাহিনীর ছিলনা। তাই জার্মানি ১৯৪৩ সালে সকল যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে বিজ্ঞানী ও কারিগরি দিক থেকে দক্ষ লোকদের ডেকে আনতে শুরু করলো এমন জায়গায় যেখানে তারা নিজেদের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ করতে পারবে। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আনার আগে অবশ্য কারা কারা দক্ষ ও প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবে তাদের কে খুঁজে বের করে তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ও তারা কত টুকু নির্ভর যোগ্য সেটা যাচাই বাছাই করা হয়। তারপর মিলিটারি গবেষণা সংস্থার প্রধান ওয়ার্নার ওজেনবার্গ যিনি হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রকৌশলী গবেষক ছিলেন তার ‘ওজেনবার্গ লিস্ট’ এ ঐ সকল বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসি বাহিনী ঐ সকল বিজ্ঞানীদের দিয়ে অনেক বেশি গবেষণা করায় এবং অনেক উন্নত যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করে নিজেদের অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ যখন শেষের দিকে তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়েই হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করে জার্মান দের গোপন সব বৈজ্ঞানিক তথ্য। এর থেকেই অনুমান করা যায় কেন পরবর্তীতে ওজেনবার্গ লিস্টের জার্মান বিজ্ঞানীদের স্থান হয় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নে।
১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে একজন গবেষণাগার টেকনিশিয়ান একটি বাথরুমের ফ্ল্যাশ না হওয়া কমোড থেকে এই ওজেনবার্গ লিস্টের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেন। যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি অর্ডিন্যান্সের জেট পরিচালনা শাখার প্রধান মেজর রবার্ট স্টেভার এই লিস্ট নিয়ে তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বিজ্ঞানীদের নামের যে লিস্ট ছিল তার সাথে মিলিয়ে একটি নতুন লিস্ট তৈরি করেন এবং রকেট বিজ্ঞানী ওয়ার্নার ব্রাউন ছিলেন ঐ লিস্টের প্রধান রকেট বিজ্ঞানী।
প্রাথমিক ভাবে এই অপারেশনের উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ যেন না বাধে সে ব্যবস্থা করা। তাই জার্মানি আত্মসমর্পণের সপ্তাহ খানিক পর থেকেই আমেরিকান সৈন্যরা ইউরোপিয়ান গ্রামাঞ্চল গুলোতে চিরুনি অভিযান চালায় জার্মানিদের অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। অভিযান চলাকালে তারা নাৎসি যুদ্ধ যানের কিছু অংশ বিশেষ খুঁজে পায় এবং তা দেখে তারা যারপরনাই অবাক হয়। তারা অবাক হয়েছিল কারণ তাদের সামান্য পরিমাণ ধারণাও ছিল হিটলার কি প্রস্তুত করেছিল যুদ্ধে জয় পাওয়ার জন্য সে সম্পর্কে। তারা দেখতে পেল যে হিটলার বিশাল আকারের প্লেগ তৈরি করতে সক্ষম এমন জৈব অস্ত্র তৈরি করেছিল। এবং ঠিক ঐ মুহূর্তেই জন্ম হয়েছিল ‘অপারেশন পেপারক্লিপ’ এর যখন আমেরিকা ভাবলো আমাদেরও এমন অস্ত্র চাই।
কিন্তু শুধুমাত্র ঐ অস্ত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এটা কিভাবে বানানো হল বা এটা কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে সব কিছু জানা সম্ভব ছিলনা। আর তাছাড়া আমেরিকাই একমাত্র দেশ না যাদের নজর জার্মান অস্ত্রাগারের উপর ছিল। তাদের এক সময়কার মিত্র দেশ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চোখে চোখে রাখার কাজ টা করে আসছিল তাদের মতই। যদি রাশিয়া তাদের পূর্ব শত্রু জার্মানদের নিজেদের কাজে লাগাতে চায় তাহলে আমেরিকাও পিছনে পরে থাকার পাত্র না, তাই তারা নাৎসি জার্মানির পতন হওয়ার সাথে সাথেই ৮৮ জন জার্মান বিজ্ঞানীকে আমেরিকায় নিয়ে আসে এবং কাজে লাগিয়ে দেয়।
১৯৪৭ সালে উদ্বাসন প্রক্রিয়ায় প্রায় ১৮০০ বিজ্ঞানী ও টেকনিশিয়ান এবং ৩,৭০০ জন পরিবারের সদস্য ছিল। এর মধ্যে যাদের বিশেষ দক্ষতা ও জ্ঞান ছিল তাদের আলাদা করে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। এমন একটি জিজ্ঞাসাবাদের কোড নেইম ছিল ‘ডাস্টবিন’। জিজ্ঞাসাবাদের পর অল্প কিছু বিজ্ঞানী বাদে বাকি সবাইকে জোরপূর্বক গ্রামে বসবাস করার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং সপ্তাহে দুইবার পুলিশ সদর দপ্তরে এসে হাজিরা দেয়া তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয় যেন তারা পালিয়ে যেতে না পারে।
মজার ব্যাপার হল জার্মান যে সকল বিজ্ঞানীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদেরকে পরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেয়া হয় এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের রকেট প্রোগ্রামের উন্নয়নে অনেক সহায়তা করেন।
১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে আর্মি অর্ডিন্যান্সের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের রকেট শাখার প্রধান কর্নেল টফটয় জার্মান রকেট বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক ভাবে এক বছরের একটি চুক্তির প্রস্তাব দেয়। টফটয় ঐ বিজ্ঞানীদের পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দিলে মোট ১২৭ জন বিজ্ঞানী তার প্রস্তাব টি মেনে নেয়। ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭ জন বিজ্ঞানীর প্রথম দল জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌছায়। পরবর্তীতে তাদের টেক্সাসে নিয়ে আসা হয় ‘War Department Special Employee’ হিসেবে। এর প্রায় এক দশক পর এই জার্মান বিজ্ঞানীরা যুদ্ধের সময় কোথায় কি কাজে লিপ্ত ছিলেন সে বিশয়ে খোজ খবর নেয়া শুরু হয়। তাদের মধ্যে আর্থার রুডলফ দাস শ্রমিক ক্যাম্প, হিউবার্টাস স্ট্রাগহোল্ড মানব পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানের উন্নতিতে। তিনি মহাকাশে পরিধেয় কাপড় উদ্ভাবন করেন এবং মহাকাশে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমও তৈরি করেন। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রথম চেষ্টাও তিনিই করেন বলে জানা যায়।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আর্মি সিগনাল কর্প ২৪ জন বিশেষজ্ঞ, মাইন ব্যুরো ৭ জন জার্মান সিনথেটিক জ্বালানী বিজ্ঞানী নিয়োগ দেয়।
ঐ একই সময়ে যে সকল বিজ্ঞানী ও গবেষকরা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিল তারাও অনেক বেশি অবাক হয়েছিল কারণ তাদেরকে সেখানে ভাল ভাল চাকরির প্রস্তাব দেয়া হয়। এমন কি তাদের কে স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় যার ফলে সেখানে একটি ছোট খাট জার্মান কলোনি গড়ে উঠে। শুধুমাত্র কাজের ক্ষেত্র ছাড়া জার্মান বিজ্ঞানীদের রাশিয়ান লোকদের থেকে আলাদা করেই রাখা হতো এবং রাশিয়ার লোকদের সাথে মেলামেশা করার অনুমতি তাদের ছিলনা। ১৯৫২ সালের দিকে যখন রাশিয়ায় তাদের নিজেদের বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজ গুলোতে জার্মান বিজ্ঞানীদের কদর কমতে থাকে, বিশেষ করে শিক্ষকতায় জার্মানদের সংখ্যা দৃষ্টি গোচর হয় এমন হারে কমতে থাকে। এমন কি এক বছরের মাথায় জার্মান বিজ্ঞানীদের পূর্ব জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হয়। হয়তো সোভিয়েত ইউনিয়ন চায়নি তাদের বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের কৃতিত্ব এমন কারো ঝুলিতে যাক যে কিনা রাশিয়ান না।
একটা সময় অপারেশন পেপারক্লিপ অনেক বেশি গোপনীয় একটা ব্যাপার ছিল। কারণ এই অপারেশনের লিস্ট এ যে মানুষ গুলো ছিল তাদের তৈরি অস্ত্র দিয়ে ইউরোপের অসংখ্য মানুষকে মারা হয়েছে, এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ও গোপন ক্যাম্প গুলোতে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর দায়ও তাদের সরকারের কাঁধেই।
আমেরিকান সৈন্যরা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল জার্মান বিজ্ঞানীদের কালো অতীত ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দেয়ার। কিন্তু কালো রঙ তো আর সহজে মুছে দেয়া যায়না তাই কিছু কিছু বিজ্ঞানীর অতীতের ইতিহাস চলেই আসে লোক সম্মুখে। যেমন বিজ্ঞানী ওয়ার্নার ব্রাউন এর কথা ধরা যাক, যিনি শুধুমাত্র ভি ২ রকেট প্রোগ্রামেরই মাথা ছিলেন না, নাৎসি বাহিনীর গোপন ক্যাম্পে কি কি বিষয়ে গবেষণা হতো সে বিষয়ে তার বিস্তর জ্ঞান ছিল। এবং ব্রাউন নিজেও বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে লোক নির্বাচন করতেন তার রকেট প্রোগ্রামে কাজ করার জন্য।
এটা ঠিক যে যেসকল বিজ্ঞানীদের জার্মানি থেকে আমেরিকায় আনা হয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই আমেরিকার অনেক বৈজ্ঞানিক উন্নতিতে অনেক অবদান রেখেছে বিশেষ করে অ্যাপোলো প্রোগ্রামে। এমন কি অ্যাপোলো প্রোগ্রামের সফলতার পর ফোর্ড অ্যাডমিন্সট্রেশন ব্রাউন কে স্বর্ণ পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু পরে ফোর্ডের একজন কর্মকর্তা ব্রাউনের নাৎসি অতীত মনে করিয়ে দিলে আর তাকে পদক দেয়া হয়নি। কিন্তু এই মানুষ গুলোই আবার হলোকাস্ট এর শিকার মানুষদের পরিণতির জন্যও দায়ী অনেক টা। তাই আমেরিকা কর্তৃক এই ‘অপারেশন পেপারক্লিপ’ কত টা সঠিক নৈতিক দিক থেকে সে ব্যাপারে বিতর্ক রয়েই যায়।
বিতর্ক:
এই অপারেশন শুরু করার আগে তৎকালীন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যান প্রায় ১৬ মাস দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিলেন অপারেশন শুরু করবেন নাকি করবেন না সে ব্যাপারে। কিন্তু ১৯৬৩ সালে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে এই অপারেশনের ব্যাপারে তার কখনও কোন দ্বিধা ছিলনা, তখনকার আমেরিকা রাশিয়া সম্পর্ক বিবেচনা করে এই অপারেশনটা হাতে নিতেই হতো তাই নেয়া হয়েছিল।
বিতর্কের মুখে পড়ে পেপারক্লিপের অধীনে সকল বিজ্ঞানীদের অতীত নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। এবং আশ্চর্যের ব্যাপার হল পেপারক্লিপের আওতাভুক্ত একজন বিজ্ঞানী ছাড়া আর কোন বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে আমেরিকা বা জার্মানি কোথাও কোন অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু যে একজন বিজ্ঞানী কে দোষী সাব্যস্ত করে জার্মানি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য তিনিও জার্মানি গিয়ে মুক্তি পেয়ে যান।
১৯৬৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মহাকাশ মেডিসিনে অবদান রাখার জন্য স্ট্রাগহোল্ড অ্যাওয়ার্ড দেয়া হতো যেটা নামকরণ করা হয়েছিল নাৎসি বিজ্ঞানী হিউবার্টাস স্ট্রাগহোল্ড এর নামানুসারে। কিন্তু ২০১৩ সালের পর ‘স্পেস মেডিসিন এ্যাসোসিয়েশন’ হঠাৎ করে এই অ্যাওয়ার্ডের সমাপ্তি ঘোষণা করে। এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের পিছনের কোন কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
অটো এম্ব্রোস ছিলেন হিটলারের সবচেয়ে পছন্দের রসায়নবিদ যার কাজে খুশি হয়ে হিটলার তাকে অনেক বড় অংকের বখশিশ দেন। এম্ব্রোস যেটা আবিষ্কার করে হিটলারের এত পছন্দের লোকে পরিণত হয়েছিলেন তা হল তিনি একপ্রকার গ্যাস আবিষ্কার করেছিলেন যা শত্রু পক্ষের উপর প্রয়োগ করলে শ্বাস নালিতে প্রদাহের সৃষ্টি করে। এছাড়া সে সিনথেটিক রাবারও আবিষ্কার করে যা হিটলারের জন্য খুব দরকারি ছিল।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নুরেম্বার্গ এ এম্ব্রোস কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাকে জেলে দেয়া হয় গণহত্যা ও দাস রাখার দায়ে। এবং তার সকল অর্থও বাজেয়াপ্ত করা হয়। কিন্তু ১৯৫০ সালে স্নায়ু যুদ্ধ থেমে গেলে আমেরিকার হাই কমিশনার জন ম্যাক্লয় এম্ব্রোসের ক্ষমা ঘোষণা করেন। এবং তার সকল অর্থনৈতিক সম্পত্তিও তাকে ফেরত দেয়া হয়। এইরকম একজন অপরাধী কে কিভাবে হাই কমিশন ক্ষমা করে দিতে পারে এই বিস্ময় কাটার আগেই আরেকটি অবাক করার মত কাজ করে হাই কমিশন আর তা হল তাকে আমেরিকার শক্তি বিভাগে নিয়োগ দান করে। পেপারক্লিপ অপারেশনের বিতর্কিত বিষয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধুসর এম্ব্রোসের ব্যাপার টি। কারণ যুদ্ধের পরও সে ২/৩ বার আমেরিকায় এসেছে। কিন্তু তার মত একজন যুদ্ধাপরাধীর আমেরিকায় আসতে হলে অবশ্যই আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে অনুমতির কাগজ লাগার কথা। কিন্তু অনেক খোজ করেও স্টেট ডিপার্টমেন্টে এমন কোন কাগজের হদিস মেলেনি।
terbinafine pills – diflucan without prescription buy generic grifulvin v