মার্চ ৮, ২০১৪ সাল। পৃথিবীর বুকে ঘটে যায় একটি অতি রহস্যজনক ঘটনা যা হতবাক করে দেয় পুরো বিশ্ববাসীকে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা যার সম্মুখীন এর আগে বিশ্ববাসী খুব কমই প্রত্যক্ষ করেছেন। ঘটনাটি ছিলো সর্বমোট ২৩৯ জন যাত্রীসমেত মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট MH370 এর, যার নিয়মিত যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি আকাশ হতে হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় এবং এর খোঁজ উন্নত বিশ্ব প্রযুক্তি এখনোও দিতে পারে নিই। আমেরিকা, চীন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষের যৌথ তৎপরতা ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। তবে দুঃখের বিষয়, প্রায় চার বছর গত হলেও আজ অবধি বিমানটির কোন হদিসই পাওয়া যায় নিই। দুর্ঘটনায় হতাহত যাত্রী এমনকি বিমান ধ্বংসের পর অক্ষত থাকা ব্ল্যাক বক্সের হদিস নাই কোন খানে। এভাবে কোনধরনের ক্লু না রেখে ভৌতিকভাবে চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়াটা নির্বাক করে দেয় পুরো বিশ্ববাসীকে।
বিমানটির চালক:
সেদিন বিমানচালক ছিলেন ৫৩ বছর বয়সী জাহারে আহমাদ শাহ (Zaharie Ahmad Shah) যার ঝুড়িতে ছিলো ১৮ হাজার ঘণ্টা আকাশে উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা। ১৯৮১ সাল হতে ২০১৪ তে দুর্ঘটনা ঘটার আগ অবধি দীর্ঘসময় তিনি বিমান চালনার দায়িত্বে ছিলেন। কো-পাইলট হিসেবে সঙ্গী ছিলেন ২৭ বছর বয়সী ফারিক হামিদ (Fariq Hamid) যার ছিলো ২০০৭ হতে ২০১৪ পর্যন্ত ২৮০০ ঘণ্টা আকাশ উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা।

Source: www.today.com
বিমান হতে শেষ যোগাযোগ:
বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ৮ই মার্চ রাত ১২ টা ৪১ মিনিটে ২৩৯ জন যাত্রী (তন্মধ্যে ১২ জন ক্রু) কুয়ালালামপুর হতে যাত্রা আরম্ভ করে চীনের বেইজিং-এ অবতরণ করার কথা ছিলো ঠিক ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে কিন্তু মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের মতে কুয়ালালামপুর ছেড়ে যাওয়ার ঠিক এক ঘণ্টা পরই কন্ট্রোল অফিসের সঙ্গে বিমানটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো বিমানটি হতে কোন বিপদ সংকেতও পাওয়া যায় নি এবং নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রাত ১টা বেজে ১৯ মিনিটেও বিমানের কো-পাইলট ফারিক হামিদকে ‘ঠিক আছে, শুভরাত্রি’ বলতে শোনা যায়। তবে তাঁরই ঠিক দুই মিনিট পর ১টা ২১ মিনিটে ভিয়েতনামের দক্ষিণে কামাউ আকাশ সীমায় প্রবেশের পর বিমানটির ‘ট্রান্সপন্ডার’ যা দিয়ে স্থলে থাকা রাডারের সঙ্গে বিমান সংযোগ রাখে তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং সাথে সাথে সংযোগ হারিয়ে ফেলে সুবাং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। তবে মালয়েশিয়ান মিলিটারি মতে, ২:১৫ এর দিকে অসনাক্তকৃত একটি বস্তু পশ্চিমের দিকে উড়ে যাওয়ার সময় রাডারে ধরা পড়ে। ধারণা করা হয় এটি মালয়েশিয়ান ফ্লাইট-৩৭০। তবে ২০০ মাইল দূরে মালয়েশিয়ান উপকূলবর্তী পেনাংয়ের দিকে যেতেই বস্তুটি হারিয়ে যায় রাডার হতে।
প্রায় ৩৫ হাজার ফিট উচ্চতায় বিমানটির সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম পাইলটদের কাছ হতে যান্ত্রিক ত্রুটি বা বিঘ্নতার কোন ধরণের ইশারা পায় নিই সুতরাং এক ধরণের নিশ্চিতভাবে বলায় চলে বিমানটি প্রথম হতে তেমন কোন বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় নি।

সাধারণত, দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আশংকা দেখা দিলে কর্তব্যরত পাইলট কন্ট্রোল বক্সে এক ধরণের সংকেত পাঠায় যাকে ‘মে ডে’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যার অর্থ হলো ‘সাহায্য করুন’। ফ্রেড্রিক মোকফোর্ড নামের লন্ডনের ক্রডন এয়ারপোর্টের একজন সিনিয়র রেডিও অফিসার এই সিগন্যালটির উদ্ভাবক যা ১৯৪৮ সাল হতে অফিসিয়ালি ব্যবহার করা শুরু হয়। আশ্চর্যজনক হলেও বাস্তবতা হলো, দুর্ঘটনার আগমুহূর্তে মালয়েশিয়ান বিমানটি হতে এমন কোনধরনের ‘মে ডে’ সিগন্যালও পাওয়া যায় নিই। তারচেয়ে বড় হতাশাজনক ব্যাপার হলো ‘ELT’ সিগন্যালও পাওয়া যায় নিই যা দ্বারা ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে সহায়ক হতো। তবে সকাল ৮:১১ মিনিটের দিকে বিমানটির এন্টেনা হতে একটি শেষ সংকেত শনাক্ত করে।
উদ্ধার অভিযান:
বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে প্রায় ১৫৩ জন ছিলেন চাইনিজ, আমেরিকান (৩ জন), অস্ট্রেলিয়ান (৬ জন), কানাডা (২ জন), ফ্রান্স (৪ জন), ইউক্রেন (২ জন), ইন্ডিয়া (৫ জন), ইন্দোনেশিয়া (৭ জন), ইরান (২ জন), নেদারল্যান্ড-হংকং-রাশিয়া-তাইওয়ান নিবাসী ছিলো (১ জন করে)।
বিমানটির খোঁজে প্রায় ২৭০০০ বর্গ নটিক্যাল মাইল এলাকাজুড়ে চালানো হলো সূক্ষ্ম অভিযান। মূলত ১২টিরও বেশি দেশ সম্মিলিতভাবে মালাস্কা প্রণালী ও দক্ষিণ চীন সাগরে এই অভিযানটি পরিচালনা করে।

মার্চ ৯, ২০১৪:
২৪ ঘণ্টার মধ্যে থাইল্যান্ডের গালফ এরিয়া হতে শুরু করা অভিযানে বিমানটির শেষ শনাক্তকৃত স্থানে সমুদ্রের পানিতে তেলের ছিটা পাওয়া যায় তবে ল্যাব টেস্টে বলা হয় এটি জাহাজ হতে নিঃসৃত জ্বালানী তেল।
মার্চ ১০, ২০১৪:
ধ্বংসাবশেষ প্রাপ্তির সম্ভাব্য স্থান হিসেবে হংকং শনাক্ত করার পর উদ্ধারকার্য চায়নার দক্ষিণ মধ্যসাগরে বর্ধিত করা হয়। যদিও ভিয়েতনাম অনুসন্ধানকারীরা পানিতে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হোন। তাছাড়া সূত্রমতে জানা যায়, বিমানে দুইজন যাত্রী চুরি করা পাসপোর্ট দিয়ে যাত্রা করে। এ থেকে ধারণা করা হয় এটি নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
মার্চ ১১, ২০১৪:
অনুসন্ধানে গত দিনে পাওয়া দুইজন সন্দেহজনক যাত্রীর সঙ্গে আলোচিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় নি।
মার্চ ১২, ২০১৪:
একধরনের নিশ্চিতভাবে অনুসন্ধানে জানানো হলো MH370 ফ্লাইটটি ছিনতাই করা হয়েছে নাশকতার উদ্দেশ্যে। ইতিমধ্যে চীন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া দক্ষিণ চীন সাগর এবং থাইল্যান্ডের গালফ সাগর মধ্যবর্তী স্থানে ভেসে থাকা সম্ভাব্য দুর্ঘটনা কবলিত ফ্লাইটের ধ্বংসাবশেষ প্রাপ্তির কিছু ছবি প্রকাশ করে। অনুসন্ধান তৎপরতা বর্ধিত হলেও মালয়েশিয়া সরকার নাকচ করে দেন কারণ তাদের মতে চীন স্যাটেলাইট নিখোঁজ বিমানের অংশ দেখায় না।

মার্চ ১৩, ২০১৪:
কর্তৃপক্ষের পাওয়া ধারণামতে কন্ট্রোল অফিসের সাথে সংযোগ হারিয়ে যাওয়ার পরেও বিমানটি আকাশে ৪/৫ ঘণ্টা থাকার সম্ভাবনা আছে যার কারণে অনুসন্ধানকারীরা ধারণা করেন বিমানটি মালয় উপদ্বীপ ঘুরে পশ্চিম দিকে যেতে পারে। এইপ্রেক্ষিতে ১৩ই মার্চ, যুক্তরাষ্ট্র কর্মকর্তারা ভারত মহাসাগরেও অনুসন্ধান কাজ চালাতে আগ্রহী হোন। রাডারের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরের বিমানটির চলার পথগুলোর তথ্য একসঙ্গে করার পদক্ষেপ নিতে থাকে কর্তৃপক্ষ।
মার্চ ১৪, ২০১৪:
ঘটনা মোড় নিতে শুরু করলো। অনুসন্ধানকারীদের পক্ষ হতে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাক্ষাৎকারে বলা হলো, রাডারের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই বিমানটি পর্যাপ্ত উচ্চতায় থাকার সক্ষমতা হারায়। তাদের মতে, এ কাজটি বিমানের পাইলট বা ক্রু মেম্বারদের মাধ্যমেই ঘটেছে।
মার্চ ১৫, ২০১৪:
তবে স্যাটেলাইটে বিমানের অবস্থান নির্ধারণকারী ‘পিং’ বা সিগনাল ধারণা দেয় যে, বিমানটি উত্তরে মধ্য এশিয়া থেকে দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং অস্ট্রেলিয়ার বৃত্তের পরিধির কোথাও আছে। তবে সম্পূর্ণ ঘটনা আবার মোড় নেয় যখন ১৫ মার্চ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক জানান,
“বিমানটির গতিপথ কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে পরিবর্তন করেছে। “
মার্চ ১৬, ২০১৪:
নতুন অনুসন্ধানে জানা যায় বিমানটি সংযোগ হারিয়ে যাওয়ার পরেও প্রায় সাত ঘণ্টা উড্ডয়ন করেছে আকাশপথে। অনুসন্ধান এবার ভারতীয় সাগরের দিকে তাক করা হলো।
মার্চ ১৭, ২০১৪:
ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে টহল বিমান ভারতীয় সাগরের দক্ষিণাংশে অনুসন্ধান চালাতে শুরু করলো।
মার্চ ১৮, ২০১৪:
মিলিটারি রাডারে বিমানটির সনাক্ত হওয়ার তথ্য মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ অতোটা আমলে না নিয়ে বরং ভারতীয় মহাসাগরে অনুসন্ধান তৎপরতা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
মার্চ ১৯, ২০১৪:
অনুসন্ধানে এবার যোগ দিলো এফ.বি.আই। তাঁরা মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ হতে সব ধরণের তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করতে লাগলো। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ জানালো, ডাটাবেজ হতে ফেব্রুয়ারি ৩ তারিখের কিছু ডাটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাছাড়া বিমানের জ্বালানী তেল মজুদ সম্পর্কিত কিছু তথ্য অনুসন্ধান তৎপরতার পরিধিকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কমিয়ে আনে।

মার্চ ২০, ২০১৪:
মার্চের ১৬ তারিখে স্যাটেলাইটে তোলা কিছু ছবিতে অস্ট্রেলিয়ান অনুসন্ধানকারী কর্তৃপক্ষ ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে সম্ভাব্য বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পায়। সংঘবদ্ধ অনুসন্ধানকারী দল পুরো ৯ হাজার মাইল চষে বেড়িয়েও উক্ত ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান নিই।
মার্চ ২১, ২০১৪:
অনুসন্ধানকারী টহল বিমান পুনরায় ব্যর্থ নিখোঁজ বিমানের কোন হদিস পেতে।
মার্চ ২২, ২০১৪:
চীন স্যাটেলাইট এবার ভারতীয় মহাসাগরের দক্ষিণাংশে ৭২/৪২ ফিট একটি বস্তুর সন্ধান পায় যা মালয়েশিয়ান ফ্লাইটটির সাথে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হয়। তবে স্যাটেলাইট দ্বারা দেখানো স্থানের চারপাশে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েও অস্ট্রেলিয়ান টহল বিমান ধ্বংসাবশেষের কিছুই খুঁজে পেলো না।
মার্চ ২৩, ২০১৪:
ফ্রান্সের স্যাটেলাইট হতে একটি ভাসমান বস্তুর সন্ধান এসে পৌঁছে অস্ট্রেলিয়ান মেরি-টাইম সেইফটি অথোরিটির কাছে। এবারের লোকেশন অস্ট্রেলিয়ার পার্থের উপকূলবর্তী স্থান হতে প্রায় ১৪৩০ মাইল দূরে। তবে বরাবরের মতোই কিছুই পাওয়া সম্ভব হয় নিই।
মার্চ ২৪, ২০১৪:
অস্ট্রেলিয়ার শহর পার্থের দক্ষিণাংশ এবারের লক্ষ্য। উক্ত স্থান হতে প্রায় ১৫৫০ মাইল দূরবর্তীতে দুইটি বস্তুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যার একটি সবুজ বৃত্তাকার এবং অন্যটি কমলা রঙের ত্রিভুজাকৃতির।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবার সরাসরি কনফারেন্সের মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন, বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশেই পতিত হয়েছে এবং সঙ্গে জানান যুক্তরাষ্ট্র অনুসন্ধানকারী দল জানিয়েছে শেষ পর্যন্ত বিমানটি দক্ষিণে অগ্রসর হয়েছিলো এবং এর সর্বশেষ অবস্থান ভারত মহাসাগরেই।
২৫, ২৬ এবং ২৭ মার্চ, ২০১৪:
খারাপ আবহাওয়া অনুসন্ধান তৎপরতা বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। ২৬ তারিখে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী হিশামুদ্দীন হোসেন জানান, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারতীয় মহাসাগরে ১২২ টি ভাসমান বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে।
২৭ তারিখে থাই স্যাটেলাইটে পার্থের দক্ষিণাংশে আরও ৩০০ ভাসমান বস্তুর সন্ধান পায়।
এপ্রিল, ২০১৪:

এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ চীনা সাবমেরিন ভারতীয় মহাসাগরে একটি শব্দ শনাক্ত করে যাকে তাঁরা “পালস সিগন্যাল” যার ফ্রিকুয়েন্সী ঠিক বরাবর বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মতোই। এরইমধ্যে ৭ তারিখ অস্ট্রেলিয়ান সাবমেরিন “ওশ্যান শিল্ড” উত্তর দিকস্থ হতে দুইটি সংকেত পায়। প্রথমটি প্রায় ২ ঘণ্টা এবং শেষেরটি ১৩ মিনিট দীর্ঘ। এরপরের দিন ৮ তারিখ আরেকটি সিগন্যাল পাওয়া যায় যা স্থায়ী ছিলো ১২ মিনিট।
সাবমেরিনটি ১৩ তারিখ পানিতে জ্বালানী তেলের সন্ধান পায় তবে এর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলো না।
১৪ তারিখ একটি চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় “দ্যা ব্লুফিন-২১” নামের একটি সাবমেরিন সমুদ্র তলদেশে প্রায় ৩৫ মাইল গভীরে সন্ধান চালায়। তবে ফলাফল শূন্য এবং এর আগের প্রাপ্ত তেলও নিখোঁজ বিমানের ছিলো না বলে জানায় গবেষকরা।
এরই মধ্যে সময় এসে গড়ায় জুলাই ২২, ২০১৬ তে:
অস্ট্রেলিয়া, চায়না এবং মালয়েশিয়া যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, যদি বিমানটির সন্ধান ৪৬ হাজার বর্গমাইলের মধ্যে পাওয়া না যায় তবে কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হবে। এরইমধ্যে বিভিন্নসময়ে তাঞ্জানিয়ান ওয়ীপে বিমানের পাখার বড় অংশ সন্ধানের খবর পাওয়া যায়। তাছাড়া মরিশাসে পাখার টুকরোও পাওয়া যায় বলে খবর আসে।
বিমানটি নিখোঁজের প্রায় ৭১ দিন পর যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সাংবাদিক নাইজেল ক্যার্থন তাঁর “ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০: দ্যা মিস্ট্রি” বইয়ে উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র-থাইল্যান্ড যৌথ সামরিক মহড়াকালে বিমানটি গুলিবিদ্ধ হয়ে চীন সাগরে ভূপাতিত হয়। মালয়েশিয়ান নেতা মাহাথির মোহাম্মদও এর পিছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
প্রায় তিন বছর পর, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭ তে এসে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট-৩৭০ এর অনুসন্ধান কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয় চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের যৌথ সিদ্ধান্তে। কোনধরনের সূত্র না রেখে এভাবে একটি দৈত্যাকার বিমান ২৩৯ জন যাত্রী সহকারে আকাশ পথে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঘটনা হতবাক করে দিয়েছে পুরো বিশ্ববাসীকে। এ যেনো কোন এক ভৌতিক গল্পকেও হার মানায়।
order avodart 0.5mg for sale oral celebrex 200mg zofran 8mg ca
order levaquin 500mg for sale levofloxacin cost