কোথায় আছেন চেঙ্গিস খান!!

2

বরফের কাঁথায় মোড়া মাইলের পর মাইল বিস্তৃত অঞ্চল। না আছে কোন রাস্তা না কোন স্থায়ী ঘরবাড়ি। এখানে দিগন্তজোড়া খোলা আকাশের নিচে বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা কয়েকগুচ্ছ মরা ঘাস আর হুহু করে বয়ে চলা হিমেল হাওয়া ছাড়া বেশিরভাগ স্থানেই কিছু চোখে পড়বে না। অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার পর হয়ত দেখা মিলবে একপাল ছাগলের চরে বেড়ানোর দৃশ্য । ভারি ভারি আলখেল্লা জড়িয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছাগলপাল নিয়ন্ত্রন করছে কোন রাখাল কিশোর অথবা যুবক।

হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এতক্ষণ আমি মঙ্গোলিয়ার খুব সাধারণ একটি দৃশ্যের বর্ননা দিচ্ছিলাম। বাংলাদেশের নাম শুনলেই যেমন এখানকার দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ, নদনদী আর হাজারো কৃষক শ্রমিকের মুখের মত খুব সাধারণ কিছু দৃশ্য আমাদের চোখে ভাসে ঠিক তেমনি মঙ্গোলিয়ার ক্ষেত্রে খুব সাধারন দৃশ্য হলো খোলা আকাশের নিচে বরফাবৃত খোলা প্রান্তর, ছাগলের পাল আর তাদের চরিয়ে বেড়ানো রাখাল।

এই অনুর্বর ভূমিকেও বিশ্বের ইতিহাসে গুরুত্ববহ করে তুলেছিলেন একজন উর্বর যোদ্ধা চেঙ্গিস খান। ঘোড়ার পিঠে চেপে যিনি গড়েছিলেন বিশ্ব সাম্রাজ্য। যার জীবনের গল্পগুলো সব অপহরণ, রক্তারক্তি, ভালোবাসা আর প্রতিশোধের কাহিনী দিয়ে ভরা।

প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শুরু করে ক্যাস্পিয়ান সাগরের মধ্যবর্তী সমগ্র অঞ্চল এক সময় চেঙ্গিস খানের শাসনের অন্তর্ভূক্ত ছিল
প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শুরু করে ক্যাস্পিয়ান সাগরের মধ্যবর্তী সমগ্র অঞ্চল এক সময় চেঙ্গিস খানের শাসনের অন্তর্ভূক্ত ছিল

প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শুরু করে ক্যাস্পিয়ান সাগরের মধ্যবর্তী সমগ্র অঞ্চল এক সময় চেঙ্গিস খানের শাসনের অন্তর্ভূক্ত ছিল। চেঙ্গিস খানের শেষ ইচ্ছানুযায়ী তাকে লোকচক্ষুর আড়ালে অত্যন্ত গোপন কোন স্থানে সমাহিত করা হয়। জানা যায় চেঙ্গিসখানের একদল অনুগত সেনা তার মৃতদেহ গোপন স্থানে বয়ে নিয়ে যায় এবং পথে তারা কাউকে দেখা মাত্রই হত্যা করে যাতে কেউ কখনো তার সমাধির চিহ্ন খুঁজে না পায়। তাঁর লাশ চূড়ান্ত ভাবে সমাধিস্থ করার পর তার সৈন্যরা সমাধির চিহ্ন একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য তাঁর ওপর ১০০০ টি ঘোড়া দিয়ে ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা করেন।

৮০০ বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক চেষ্টা করেও আজ পর্যন্ত কেউ চেঙ্গিস খানের সমাধিচিহ্ন খুঁজে পাননি। বিভিন্ন ঐতিহাসিক নথির ইঙ্গিতের ভিত্তিতে চেঙ্গিস খানের সমাধিস্থল খুঁজে বের করতে বিদেশী নেতৃত্বাধীন বেশ কিছু অভিজান পরিচালিত হয়েছে। ন্যাশনালা জিওগ্রাফি সেটি খুঁজে বের করতে স্যাটেলাইট ইমেজিনারি প্রযুক্তিরও ব্যবহার করেছে ইতোমধ্যে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এখন পর্যন্ত এই সমাধিস্থলটি খুঁজে বের করার জন্য যা অনুসন্ধান চলেছে তার সবটাই চালিয়েছে বিদেশিরা এবং এটি খুঁজে বের করার ব্যাপারে মঙ্গোলরা একেবারেই আগ্রহী নয়।

এটার অর্থ এমন নয় যে, চেঙ্গিস খান নিজ ভূমির জন্য কম গুরুত্বপূর্ন ছিলেন বরং উল্টোটা। মঙ্গোলিয়ার মুদ্রা এবং ভদকার বোতলে তার ছবি অহরহ ই দেখা যায় কিন্তু তারপরেও এমন কেন! হতে পারে মৃত্যুর সময় (১২২৭ খৃষ্টাব্দে) তিনি এতোটা জনপ্রিয় ছিলেন না। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ ও স্বল্প জনপ্রিয়তার বিষয় আসায় কেন মঙ্গোলরা চেঙ্গিস খানের সমাধি খুঁজে  বের করতে চায়না তা বিদেশীদের জন্য বোঝা বেশ কঠিন ব্যাপারই বটে।

চেঙ্গিস খানের সমাধি নিশ্চিহ্ন করতে তার ওপর দিয়ে ১০০০ ঘোড়া দৌড়ানো হয়
চেঙ্গিস খানের সমাধি নিশ্চিহ্ন করতে তার ওপর দিয়ে ১০০০ ঘোড়া দৌড়ানো হয়

বিদেশী অনেক প্রচার মাধ্যম মঙ্গোলিয়ানদের চেঙ্গিস খানের সমাধি খুঁজে বের করার ব্যাপারে এই ট্যাবুর আশ্রয় নিয়ে নিজেদের মতো বিভিন্ন কল্পনাপ্রসূত গল্প পেতেছেন। যেমন একটি বিশ্বাস অনুযায়ী ধারণা করা হয় যদি চেঙ্গিস খান এর সমাধি আবিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে মহাপ্রলয়ের দিন উপস্থিত হয়ে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।

১৪ শতকের তুর্কি-মঙ্গোলিয় কিংবদন্তী রাজা তামার্লেন এর সমাধিক্ষেত্রের ব্যপারেও একই রকম গুজব প্রচলিত ছিল। কিন্তু ১৯৪১ সালে একদল সোভিয়েত ভুতত্ববিদ তার সমাধি খুঁজে বের করেন। সোভিয়েত রাশিয়াতে সদ্য আবিষ্কৃত সেই সমাধি নিয়ে জাতীয় অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগে নাৎসি সৈন্যরা সোভিয়েত আক্রমন করে বসে এবং সাথে সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা পূর্বাঞ্চলেও ছড়িয়ে যেতে থাকে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন একদল মানুষের বিশ্বাস তামার্লেনের সমাধি খুঁজে বের করার কারনেই রাশিয়াকে এমন ভয়াবহতার স্বীকার হতে হয়েছিল।

কিন্তু কিছু কিছু মঙ্গোলদের মতে কুসংস্কার নয় বরং এটি কিংবদন্তী চেঙ্গিস খান এর প্রতি মঙ্গোলিয়ানদের সম্মান প্রদর্শন যে তারা কিংবদন্তীর শেষ ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই তার সমাধিস্থল খুঁজে বের করতে চায়না। তাদের মতে “চেঙ্গিস খান চেয়েছিলেন তার সমাধিস্থল গোপন থাকুক এবং তার অনুগত বাহিনী তাদের নেতার ইচ্ছা পূরনের জন্য সব রকমের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।” এখন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা পূর্বপুরুষদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে বলে তাদের ধারণা। চেঙ্গিস খানের সমাধি মঙ্গোলদের কাছে এক গুপ্ত আবেগের নাম।

মঙ্গোলিয়া দীর্ঘ ইতিহাস-ঐতিহ্যের দেশ। অনেক পরিবার ই এখনো মৃৎপাত্র ও বিভিন্ন কারুশিল্পের  মহান খানের স্মৃতিচিহ্ন ধরে রেখেছেন। অনেকেই নিজেদের মঙ্গোলিয়ায় ‘সুবর্ন জাতি’ হিসেবে পরিচিত খান পরিবারের উত্তরসূরী হিসেবে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করে থাকেন। মঙ্গোলিয়ায় যোদ্ধাদের এখনো শক্তির প্রতিক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

চেঙ্গিস খান এর সমাধির সন্ধানে

চেঙ্গিস খানের শেষ ইচ্ছার প্রতি মঙ্গোলদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, সাংস্কৃতিক চাপ ছাড়াও চেঙ্গিস খানের সমাধি খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আরেকটি মূখ্য সমস্যা হলো প্রযুক্তিগত সমস্যা। মঙ্গোলিয়া বিশালায়তনের এবং অনুন্নত একটি দেশ। যার আয়তন গ্রেট ব্রিটেনের আয়তনের প্রায় ৭ গুন বড় কিন্তু এতোবড় দেশের ২ শতাংশ মাত্র রাস্তা। জনসংখ্যার ঘনত্ব ও এতোটা কম যে তা শুধুমাত্র গ্রীনল্যান্ড বা এমন আর দু’ একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের সাথেই তুলনার যোগ্য। প্রতিটি দৃশ্য দেখেই মনে হবে যেন মহাকাব্যিক কোন মহাশুন্যতা ।

মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটারে অবস্থিত ‘উলানবাটার স্টেট ইউনিভার্সিটি’ এর প্রত্নত্ববিভাগের চেয়ারম্যান . দিমাজাভ আর্ডেনবাটার সব রকম বাধা সামলে চেঙ্গিস খান এর সমাধিস্থল খোঁজার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। .আর্ডেনবাটার জাপানি একদল প্রত্নতত্ববিদকে সাথে নিয়ে ১৯৯০ সালে একটি যৌথ অভিজানের জন্য দল তৈরি করেন। “গুরভান গল” (অর্থ ‘তিন নদী’) নামক জাপানি-মঙ্গোলীয় সেই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা চেঙ্গিস খানের জন্মস্থান খেনতি প্রদেশের অনন, খারলেন এবং তুল নদী প্রবাহের একটি স্থান লক্ষ করে তাদের অভিজান কার্যক্রম শুরু করেন।

কিন্তু সেই একই বছর অর্থাৎ ১৯৯০ সালেই মঙ্গোলিয়ায় গণতান্ত্রিক বিপ্লব শুরু হয় এবং জনগন শান্তিপূর্নভাবে কম্যুনিস্ট সরকারকে উৎখাত করে নতুন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে। নতুন সরকার জনবিক্ষোভের মুখে চেঙ্গিস খানের সমাধি অনুসন্ধানী প্রকল্পটি (গুরভান গল) ও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

. আর্ডেনবাটার ২০০১ সাল থেকে মধ্য মঙ্গোলিয়ার আর্খাঙ্গাই প্রদেশে ২০০০ বছরের পুরনো সিওংনু রাজাদের সমাধিক্ষেত্র খননের কাজ করছেন। ড. আর্ডেনবাটারের বিশ্বাস অনুযায়ী চেঙ্গিস খান নিজেই সিওংনুদের তার পূর্বপুরুষ বলে এক তত্বে অভিহিত করেছেন। তাই সিওংনুদের সমাধির সাথে চেঙ্গিস খানের সমাধির সাদৃশ্য থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সিওংনুদের সমাধি দেখে ধারণা পাওয়া যেতে পারে চেঙ্গিস খানের সমাধি কেমন হতে পারে।

সুবিশাল মঙ্গোলিয়া
সুবিশাল মঙ্গোলিয়া

সিওংনু রাজাদের ২০ মিটার মাটির নিচে সমাহিত করা হত এবং স্থানটি চতুষ্কোণাকার পাথর দ্বারা চিহ্নিত করা হত। প্রথম সমাধিটি খনন করতে ড. আর্ডেনবাটারের ১০ বছর সময় লেগেছিল যা আগেই লুন্ঠিত হয়েছিল। তারপরেও সেখানে কিছু অবশিষ্ঠাংশ ছিল যার মধ্যে অন্যতম সিওংনুদের ব্যবহৃত কিছু কূটনৈতিক প্রতীক, একটি চীনা রথ, রোমান কাঁচ পাত্র ও কিছু মূল্যবান ধাতু।

উলানবাটারের প্রত্নতত্ব জাদুঘরে ঐসকল সমাধিক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত অনেকে স্বর্ণ ও রৌপ্যের অলঙ্কার রয়েছে যেসকল মৃতের সাথে সমাহিত ঘোড়ার সাথে সমাহিত করা ছিল। ড. আর্ডেনবাটারের মতে ঐসকল অলঙ্কারের মধ্যে চিতাবাঘ ও ইউনিকর্নের মূর্তি ছিল। চেঙ্গিস খান এবং তার পরবর্তী বংশধররা ঐসকল চিহ্ন ব্যবহার করতেন।

সিওংনুদে সমাধিক্ষেত্রে প্রাপ্ত সামগ্রীসমূহ
সিওংনুদে সমাধিক্ষেত্রে প্রাপ্ত সামগ্রীসমূহ

অনেকেই বিশ্বাস করেন চেঙ্গিস খান এর সমাধিও ঐ রকম মঙ্গল সাম্রাজ্যের গুপ্তধন দ্বারা পরিপূর্ণ আছে । এটির কারনে তা আবিষ্কারের জন্য বিদেশিদের এতো উৎসাহ। কিন্তু চেঙ্গিস খান কে সিওংনু দের মতো করে সমাহিত করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। যদি সেভাবেই সমাহিত করা হয়ে থাকে তবে তা গোপন রাখার জন্য এতো আয়োজন কেন করা হয়েছিল। ২০ মিটার গভীরের সমাধিচিহ্ন মুছে দেওয়ার জন্য ওপরের স্মৃতিচিহ্ন টুকু সরিয়ে ফেলা ই তো যথেষ্ট ছিল! এতো সুবিশাল মঙ্গোলিয়ায় অজ্ঞাত স্থানে ২০ মিটার মাটির নিচ থেকে সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কার করা এমনিতেই অসম্ভব। 

 চেঙ্গিস খান এর সমাধিটির অবস্থান কি কোন নিষিদ্ধ স্থানে?

জনশ্রুতি আছে যে, চেঙ্গিস খান কে উলানবাটার থেকে ১৬০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বাঞ্চলে ‘বুরখান খালদুন’ নামে পরিচিত খেনতির একটি পর্বত চূড়ায় সমাহিত করা হয়। যৌবন বয়সে একবার তিনি শত্রুর হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে এই পর্বত চূড়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং তিনি মৃত্যুর পর এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে তাকে এখানে সমাহিত করা হয়েছিল কিনা এ বিষয়ে এখনো পন্ডিতদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

‘বুরখান খালদুন’ (বর্তমান) পর্বত
‘বুরখান খালদুন’ (বর্তমান) পর্বত

উলানবাটর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক . সদনম সলমন বলেন “১৩ শতকের মঙ্গোলিয় ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটি সত্য যে এটি একটি পবিত্র পর্বত। কিন্তু এটির অর্থ এই নয় যে এখানেই চেঙ্গিস খানকে সমাহিত করা হয়েছে।”

পন্ডিতরা ঐতিহাসিক বিভিন্ন সূত্র ব্যবহার করে চেঙ্গিস খানের সমাধিস্থলের গুপ্ত ধাঁধাঁ সমাধানের চেষ্টা করেন। তাদের একেকজনের মতে সমাধিটির অবস্থান একেক জায়গায়। তারা সমাধিস্থলের অবস্থান সম্পর্কে একমত হতে পারেননি। ১০০০ ঘোড়দৌড়ের স্থান সিউংনুদের সমাধিক্ষেত্রের মতো কোন উপত্যকা বা সমতল ভূমি নির্দেশ করে। কিন্তু তাহলে তার পর্বতে ফেরার অঙ্গিকার! এই রহস্যটি আরও জটিল হয়ে ওঠে মঙ্গোলিয় জাতিতত্ত্বিক এস বাদামখাতানের উক্তিতে। তিনি পাঁচটি পর্বতকে দেখিয়ে দিয়ে বলেন ঐতিহাসিক ভাবে বুরখান খালদুনের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা যায়না। এই পাঁচটির যেকোন একটি আসল ‘বুরখান খালদুন’ পর্বত হতে পারে। তবে তিনি এটিও বলেন যে এখন যেটিকে ‘বুরখান খালদুন’ পর্বত নামে ডাকা হয় সেটি আসল ‘বুরখান খালদুন’ হওয়ার সম্ভাবনা ই বেশি।

বর্তমানে যেটি ‘বুরখান খালদুন’ পর্বত নামে পরিচিত সেখানে আরোহণ করার ব্যাপারে অনেক বিধি নিষেধ আছে যেমন পবিত্র পর্বত বলে সেখানে শুধু পুরুষদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। সেখানে কোন নারী প্রবেশ করতে পারেনা। এমনকি এলাকাটি জনসাধারনের জন্য উন্মুক্তও নয় সেখানে কেবল রাজ পরিবারের সদস্যদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। এই রক্ষিত এলাকাকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বীর যোদ্ধার শেষ ইচ্ছার প্রতি সম্মান

যে সমাধিস্থলটি ধরাছোঁয়ার বাহিরে তা নিয়ে কেনই বা এতো জল্পনা-কল্পনা? সোজা কথায় চেঙ্গিস খান মঙ্গোলিয়ার বিখ্যাত বীর। পশ্চিমারা শুধু চেঙ্গিস খান এর দখল দারিত্ব দেখে কিন্তু মঙ্গোলরা স্মরণ করেন দেশের প্রতি তার অবদানের কথা। পূর্ব-পশ্চিম বিস্তৃত ছিল তার সাম্রাজ্য সিল্করোড দ্বারা যার সেতু-বন্ধন  তৈরি করা হয়েছিল।

চেঙ্গিস খান
চেঙ্গিস খান

তিনি তার শাসনে কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ধারণা সন্নিবেশিত করেন। তিনি বিশ্বাসী ডাক সেবা এবং কাগুজে মুদ্রার ও প্রচলন করেন। চেঙ্গিস খান শুধু পৃথিবী দখলই করেননি বরং এটিকে সভ্যও করেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত মঙ্গোলিয়ায় পরম পূজনীয় ও সম্মানের পাত্র তাই মঙ্গোলরা চায়না তার সমাধি খুঁড়ে বের করা হোক।

তথ্যসূত্রঃ

http://www.bbc.com/travel/story/20170717-why-genghis-khans-tomb-cant-be-found

Leave A Reply
2 Comments
  1. Vxuywy says

    purchase semaglutide generic – purchase rybelsus sale desmopressin cost

  2. Szugen says

    terbinafine pill – buy lamisil 250mg without prescription cheap grifulvin v

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More