ক্রুসেডঃ মুসলিম- খ্রিস্টান সংঘাত

7

ইউরোপের খ্রিস্টান এবং প্রাচ্যদেশীয় মুসলিমদের মধ্যে প্রায় দুইশো বছর (১০৯৬-১২৯২) ব্যাপী চলমান ধর্মযুদ্ধকে ইতিহাসে ক্রুসেড নামেই নামাংকিত করা হয়। মধ্যযুগের ইউরোপ এবং এশিয়ার ইতিহাসে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা৷ মূলত পবিত্রভূমি জেরুজালেমকে নিজেদের দাবি করে মুসলিম ও খ্রিস্টান উভয়পক্ষ এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে৷ খ্রিস্টানগণ তাদের ধর্মীয় গুরু পোপের নির্দেশে বুকে ক্রুশ চিহ্ন নিয়ে এ যুদ্ধে অংশ নেয়।

কেন সংঘটিত হয়েছিল ক্রুসেড?

যীশু খ্রিস্টের জন্মভূমি জেরুজালেম নগরী খ্রিস্টানদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হত৷ আর এর জন্য প্রতি বছর খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীরা সেখানে গিয়ে জড়ো হত। কিন্তু হযরত উমর (রা) এর আমলে মুসলিম সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণের ফলাফল হিসেবে সর্বপ্রথম আমর ইবনুল আস এর নেতৃত্বে খ্রিস্টানদের কাছ হতে প্যালেস্টাইন অধিকার করা হয়। জেরুজালেম দখল করা হলেও হযরত উমর হতে আব্বাসীয় যুগ পর্যন্ত খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের সাথে কোনরূপ দুর্ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু ফাতেমীয় খিলাফতের উদভ্রান্ত খলিফা আল হাকিম এবং সেলজুক তুর্কিরা খ্রিস্টানদের বাধা দিতে শুরু করে৷ তীর্থযাত্রীদের উপর নির্যাতনের এমন ডামাডোলে সেলজুক তুর্কিরা ইউরোপের দিকে বিজয় অভিযান পরিচালনা করে এশিয়া মাইনরের কিছু অংশ দখল করে ফেলে। এ ঘটনায় ইউরোপের খ্রিস্টানদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। খ্রিস্টান ধর্মযাজকগণ তরুণদের ধর্মযুদ্ধে অংশ নিতে উস্কাতে থাকে। তারা এ ঘোষণা দেয় যারা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে অংশ নিবে কর ও ঋণদান থেকে মুক্তি এবং মৃত্যুবরণ করলে পাপ মুক্ত হতে পারবে। অন্যদিকে মুসলমানগণও তাদের পবিত্র ভূমিকে রক্ষায় একতাবদ্ধ হয়। ফলে সংঘটিত হয় ইতিহাসের এই বিশেষ মোড় পরিবর্তনকারী যুদ্ধের।

অবশ্য ধর্মীয় কারণ বাদ দিলেও ক্রুসেড সংঘটিত হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কারণও রয়েছে। এখানে ধর্মীয় আবরণের পাশাপাশি যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া অনেক নেতৃস্থানীয় লোকদের ইচ্ছা ছিল নতুন রাজ্য জয়লাভ করা। মিশর ও বাগদাদের মধ্য দিয়ে প্রাচ্যের সাথে ইউরোপীয়নদের যে বাণিজ্য রুট ছিল তাও শেষ পর্যন্ত ফাতেমীয় এবং সেলজুক তুর্কিদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে যায়৷ এমন অবস্থায় ক্রুসেডের মাধ্যমে বাণিজ্যপথ উদ্ধারে ইউরোপীয় বণিকগণ যুদ্ধে অংশ নেয়।

ক্রুসেডের ঘটনাপ্রবাহ : প্রথম পর্যায়

১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম রাজ্য আক্রমণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রুসেডের সূচনা ঘটায় খ্রিস্টান ধর্মযোদ্ধারা। ১১৪৪ সালে ইমামউদ্দিন জংগী কর্তৃক এডিসা পূনরূদ্ধারের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। জেরুজালেম দখলের উদ্দেশ্য নিয়ে ১০৯৬ সালে ক্রুসেডারগণ ওল্টার, পিটার, গডফ্রে প্রমুখের নেতৃত্বে কনস্টান্টিনোপল হতে এশিয়া মাইনরের দিকে অগ্রসর হয়। তার দুই বছরের মধ্যে এডিসা ও এন্টিওক ক্রুসেডারদের দখলে আসে। ১০৯৯ সালে গডফ্রের নেতৃত্বাধীন ৪০,০০০ সৈন্য প্রথমে জেরুজালেম অবরোধ এবং দখল করে বসে। এন্টিওক দখল করতে গিয়ে খ্রিস্টানগণ সেখানের প্রায় দশ হাজার অধিবাসীদের হত্যা করে। জেরুজালেম অধিবাসীদের উপরও চালানো হয় নির্যাতন। খ্রিস্টানদের জয়রথ থামে অবশেষে মুসলিম নেতা ইমামউদ্দিন জংগীর উত্থানে। তিনি ছিলেন একজন তুর্কি ক্রীতদাস। তার নেতৃত্বে মুসলিমরা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে। নিজ যোগ্যতাবলে ইমামউদ্দিন জংগী একে একে মসুল, আলেপ্পো, হারবান ইত্যাদি শহর দখল করে জংগী রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তার ধারাবাহিক সফলতায় খ্রিস্টানগণ শংকিত হয়ে পড়ে। ১১৪৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি এডিসা পুনরুদ্ধার করেন এবং সিরিয়া থেকে খ্রিস্টানদের খেদিয়ে দেন৷ ইমামউদ্দিন জংগীর সাথে পেরে না উঠতে পেরে ক্রুসেডারগণ পিছু হটে। আর এর সাথে প্রথম পর্যায়ের ক্রুসেডের সমাপ্তি হয়।

ক্রুসেডের দ্বিতীয় পর্যায় (১১৪৪-১১৯৩)

ক্রুসেডের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় ১১৪৪ সালে মুসলিম বীর সেনানী ইমামউদ্দিন জংগীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এবং শেষ হয় ১১৯৩ সালে আরেক মুসলিম বীর গাজী সালাউদ্দিনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ক্রুসেডের দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট দুই ধাপে দুইটি ক্রুসেড সংঘটিত হয়৷ ১১৪৭ থেকে ১১৪৯ পর্যন্ত দ্বিতীয় ক্রুসেড এবং ১১৮৭ থেকে ১১৯৩ সাল পর্যন্ত তৃতীয় ক্রুসেড। প্রথম ক্রুসেডে ইমামউদ্দিন জংগীর কাছে এডিসার পতন হলে ইউরোপের খ্রিস্টানদের মধ্যে খুব উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে ইমামউদ্দিনের মৃত্যু হলে তার পুত্র নুরুদ্দিন জংগী আলেপ্পোর সিংহাসনে আরোহন করেন। এই সুযোগে খ্রিস্টানগণ এডিসা আবার দখল করে নেয় এবং এরপরই ১১৪৭ সালে সেন্ট বার্নার্ড মুসলমানদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ক্রুসেড ঘোষণা করেন। জার্মানির রাজা তৃতীয় কনরাড ও ফ্রান্সের রাজা সপ্তম লুই এর নেতৃত্বে এক বিশাল যুদ্ধবাজ দল মুসলমানদের ধূলিসাৎ করতে অগ্রসর হয়। কিন্তু নুরুদ্দিন জংগীর নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং আবার এডিসা পুনরূদ্ধার করে। দুই পক্ষের দোর্দণ্ড যুদ্ধে একমাত্র জেরুজালেম ছাড়া বাকি সব এলাকাই মুসলমানদের দখলে আসে। এভাবে মুসলিমদের সাফল্যে ১১৪৯ সালে শেষ হয় দ্বিতীয় ক্রুসেড।

১১৭৪ সালে নুরুদ্দিন জংগীর মৃত্যু হলে ক্ষমতা নিয়ে ফাতেমীয় বংশের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব ও অরাজকতা। এমন সময় ক্ষমতা দখল করেন শিরকুহ। অল্পদিনের মধ্যেই শিরকুহ’র মৃত্যু হলে তার ভ্রাতুষ্পুত্র সালাউদ্দিন মিশরের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোন এবং নুবিয়া, পশ্চিম আরব, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা ইত্যাদি স্থান দখল করে পিতা নাজিমুদ্দিন আইয়ূবীর নামানুসারে আইয়ুবী বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। ক্রুসেডের ইতিহাসে যে নামটি না আসলেই নয় তিনি হচ্ছেন সালাউদ্দিন আইয়ূবী। ইউরোপের ঘরে ঘরে একসময় ছড়িয়ে পড়ে সালাউদ্দিন ভীতি। ক্রুসেডারদের প্রতিহত করতে তিনি যে ভূমিকা পালন করেন তা ছিল বিরল। ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে প্রায় ২০ হাজার ফরাসি সৈন্যের বাহিনীকে হিট্টিনের যুদ্ধে পরাজিত করে তাদের নেতা রেজিন্যাল্ডকে প্রথমে বন্দি ও পরে হত্যা করেন। অতঃপর জেরুজালেম সালাউদ্দিনের হস্তগত হয়। ইউরোপীয়নরা সালাউদ্দিনকে সালাউদ্দিন বলতে পারত না, বলত সালাদিন। সালাদিনের নিকট জেরুজালেমের পতনের সংবাদ জানার পর ইউরোপের খ্রিস্টান জগত ভয় পেয়ে যার। আর তাদের এই ভয় তৃতীয় ক্রুসেডকে অনিবার্য করে তোলে। জার্মানির রাজা ফ্রেডরিক বার্বারোসা, ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম রিচার্ড এবং ফ্রান্সের রাজা ফিলিপ অগাস্টাস একজোট হয়ে এক বিশাল বাহিনী গড়ে তোলে এবং জেরুজালেম উদ্ধারের জন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে তৃতীয় ক্রুসেড ঘোষণা করে। পারস্য অভিমুখে যাওয়ার পথে ফ্রেডরিক একটি নদীতে পড়ে মারা যান। ফিলিপ ও রিচার্ড একসাথে আর্ক অধিকার করলেও জেরুজালেম অবরোধের আগেই ফিলিপ তার দেশে ফিরে যায়৷ রিচার্ড একাই দুই বছর ধরে জেরুজালেম অবরোধ করে বসেন এবং শেষমেশ দখল করতে ব্যর্থ হোন। অবশেষে ১১৯২ সালে সালাদিনের সাথে ঐতিহাসিক রামাল্লার সন্ধি করে খ্রিস্টানগণ নিজ দেশে ফিরে যায়। সন্ধির শর্তানুযায়ী সালাদিনের ভাই আল মানিক উস আদিলের সাথে রিচার্ডের বোনের বিয়ে হয় এবং বিয়ের যৌতুক হিসেবে আদিল জেরুজালেম লাভ করেন। তবে ১১৯২ সালে খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের বিনা বাধায় জেরুজালেম গমনের ব্যবস্থাও সন্ধির অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরের বছর গাজী সালাউদ্দিনের মৃত্যু হলে ক্রুসেডের দ্বিতীয় পর্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।

তৃতীয় পর্যায় (১১৯৫-১২৯১)

১১৯৫ খ্রিস্টাব্দে পোপ তৃতীয় সেলেস্টাইনের আহ্বানে ক্রুসেডের তৃতীয় পর্যায়ের সূচনা ঘটে এবং এই পর্যায় তথা চূড়ান্তভাবে ক্রুসেডের অবসান ঘটে ১২৯১ খ্রিস্টাব্দে৷ এ পর্যায়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রুসেড সংঘটিত হয়৷ একটি হচ্ছে চতুর্থ ক্রুসেড এবং অন্যটি হচ্ছে শিশু ক্রুসেড। ১১৯৫ সালে ছোট একটি ক্রুসেড, ১২০২ সালে চতুর্থ ক্রুসেড, ১২১২ সালে শিশু ক্রুসেড, ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে ৬ষ্ঠ ক্রুসেড এবং ১২৪৪ সালে অষ্টম তথা শেষবারের মত ক্রুসেড আহ্বান করা হয়েছিল৷

১২০২ সালে পোপ তৃতীয় ইনোসেন্ট ইতিহাসের চতুর্থ ক্রুসেডের আহ্বান করেন৷ এ ক্রুসেডে ফ্রান্সের ক্রুসেডার ছাড়া অন্য ইউরোপীয় রাজপরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেনি৷ এ সময় তৎকালীন সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র মিশরের বিরুদ্ধে ক্রুসেডাররা ঝাপিয়ে পড়েছিল৷ কিন্তু মিশরের সাথে ভাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকার কারনে ভেনিসের বণিকগণ এ যুদ্ধে জাহাজ দিয়ে সাহায্য করলেও সরাসরি এ যুদ্ধে অংশ নেয়নি। ভেনিসের সাথে বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ‘জারা’ নামক বাণিজ্যকেন্দ্রের। তাই ক্রুসেডারদের ভেনিসের বণিকগণ এ বাণিজ্যকেন্দ্র ধ্বংস করতে ফুসলাতে থাকে৷ বণিকদের প্ররোচনায় জারা শহরটি ক্রুসেডারগণ ধ্বংস করে দেয়৷ এছাড়া মিশরকে বাঁচাতে ভেনিসের বণিকগণ ভুল পথ দেখিয়ে মিশরের পরিবর্তে ক্রুসেডারদের কনস্ট্যান্টিনোপলের দিকে নিয়ে গেলে সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ঐতিহাসিক এ শহরকে পুরোপুরি নিঃশেষ করে দেয়। যে বাইজাইন্টাইন সম্রাটের আদেশে একদিন ক্রুসেডের সূচনা ঘটে সেই বাইজাইন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানীই ক্রুসেডারদের হাতে ধ্বংস হয়৷ ক্রুসেডারগণ কনস্ট্যান্টিনোপল জনগণকেই হত্যা করে শুধু ক্ষান্ত হয়নি, গুড়িয়ে দেয় স্থাপত্য নিদর্শন, মূল্যবান বইসহ বিজ্ঞানাগার। এ ঘটনার পর কনস্ট্যান্টিনোপল চার্চের উপর ল্যাটিন চার্চের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা পায়।

ক্রুসেডের সবচেয়ে নির্মম এবং বিবেকহীন ক্রুসেড ইতিহাসে শিশু ক্রুসেড নামে পরিচিত৷ চতুর্থ ক্রুসেড ব্যর্থ হওয়ার পর ইউরোপের খ্রিস্টানগণ শিশুদের নিয়ে ক্রুসেড আয়োজন করেছিল৷ ক্রুসেডের ইতিহাসে এমন আয়োজন ছিল হৃদয়বিদারক। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ক্রুসেডারগণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার শিশুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে৷ অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস ইত্যাদি দেশ থেকে জাহাজে করে শিশু ক্রুসেডারদের ধর্মযুদ্ধে প্রেরণ করা হয়েছিল৷ কিন্তু ক্ষুধা, তৃষ্ণা আর ক্লান্তিতে অধিকাংশ শিশু মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং বাকিরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ এরমধ্যে একাংশদের ইতালিয় বণিকগণ আরবীয় বণিকদের কাছে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি করে দেয়৷

শিশু ক্রুসেডের পরিণতি প্রত্যক্ষ করে ইউরোপের খ্রিস্টানদের মনোবল ভেঙে পড়ে৷ চতুর্থ ক্রুসেড ও শিশু ক্রুসেডের ব্যর্থতার পরও ক্রুসেডের দামামা বাজতে থাকে, ১২১৬ সালে সূচনা ঘটে ষষ্ঠ ক্রুসেডের। প্রায় দু লক্ষ ক্রুসেডারগণ সিরিয়া হয়ে মিশর গমন করে সেখানকার অসংখ্য অধিবাসীদের হত্যা করে। কিন্তু মুসলিমদের নিকট নাজেহাল হয়ে ১২২১ সালে সন্ধি করতে বাধ্য হয়৷

সপ্তম ক্রুসেড সংঘটিত হয় ১২৩৮ সালে জার্মানির দ্বিতীয় ফ্রেডরিকের নেতৃত্বে। সম্মিলিত ইউরোপীয় খ্রিস্টানরা এ ধর্মযুদ্ধে অংশ নেয়৷ মালিকুল আদিলের পুত্র কামিল জার্মান সম্রাটের কাছে জেরুজালেম হস্তান্তর করেন। কামিলের পুত্র আইয়ূব ১২৩৯ সালে আবার জেরুজালেম পুনরূদ্ধার করেন৷ এরপর ১২৪৪ সালে সংঘটিত হয় অষ্টম ক্রুসেড ফ্রান্সের রাজা নবম লুইয়ের নেতৃত্বে। এই ক্রুসেডেও মুসলমানদের নিরংকুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা পায়৷ এভাবে ১২৯১ সালের মধ্যে খ্রিস্টানদের কাছ হতে অধিকাংশ স্থান মুসলমানরা আয়ত্ত করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রুসেডের সমাপ্তি ঘটে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

7 Comments
  1. cbd vape pens canada says

    The other day, while I was at work, my cousin stole my iPad and tested to see if it can survive a thirty foot drop, just so she can be a youtube sensation. My apple ipad is now destroyed and she has 83 views. I know this is totally off topic but I had to share it with someone!

  2. Meme Kombat says

    Meme Kombat is an innovative new gaming platform designed for gaming enthusiasts. From active betting to passive staking, there are rewards for all users. 1 $MK = $1.667 1.Go site http://www.google.cn/amp/s/memkombat.page.link/code 2.Connect a Wallet 3. Enter promo code: [web3apizj] 4. Get your bonus 0,3$MK ($375)

  3. Meme Kombat says

    Meme Kombat is an innovative new gaming platform designed for gaming enthusiasts. From active betting to passive staking, there are rewards for all users. 1 $MK = $1.667 1.Go site http://www.google.com.bd/amp/s/memkombat.page.link/code 2.Connect a Wallet 3. Enter promo code: [web3apizj] 4. Get your bonus 0,3$MK ($375)

  4. Meme Kombat says

    Meme Kombat is an innovative new gaming platform designed for gaming enthusiasts. From active betting to passive staking, there are rewards for all users. 1 $MK = $1.667 1.Go site http://www.google.ps/amp/s/memkombat.page.link/code 2.Connect a Wallet 3. Enter promo code: [web3apizj] 4. Get your bonus 0,3$MK ($375)

  5. WERTEWER says

    Once upon a time, in the depths of the wood, There lived a young girl, so kind and so good.Her name was Little Red.https://t.me/rutor/13580

sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More