মেঘ বিস্ফোরণ: প্রাকৃতিক দূর্যোগের নতুন হুমকি
মেঘ বিস্ফোরন কি?
অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কোন স্হানে স্বাভাবিকের তুলনায় অত্যধিক বেগসম্পন্ন ও ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনাকে বলা হয় ক্লাউডবার্স্ট বা মেঘ বিস্ফোরণ। এ বিস্ফোরণ কখনো কখনো শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রধ্বনি সহকারে হয়ে থাকে, যা মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি করে একটি গ্রামকে ভাসিয়ে নিতেও সক্ষম। কারণ একটি মেঘ বিস্ফোরণ হঠাত করেই প্রচুর বর্ষণের সৃষ্টি করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাভাবিকের ২৫ মিমি বৃষ্টিপাত প্রতি দুই কিলোমিটারে বিস্ফোরণের ২৫০০০ মেট্রিক টন বৃষ্টিপাতের সমান। যাইহোক, মেঘ বিস্ফোরন একটি বিরল ঘটনা যা পর্বতশ্রেণীর উচ্চতায় ঘটে থাকে বা উষ্ণ বায়ুর কিছু অংশ শীতল বায়ুর সঙ্গে মিশ্রিত হওয়ার ফলে হঠাৎ একটি ঘনীভবন সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে ক্লাউড বার্স্টে রূপ নেয়। মাঝেমাঝে অধিক উচ্চতার কোন বৃহৎ জলপ্রপাতের সাথে এরকম বিস্ফোরণের তুলনা করা হয়ে থাকে, ঠিক যেভাবে জলপ্রপাত হয় সেভাবেই বৃষ্টিপাত ঘটে বলে ধরা হয়।
কিভাবে হয়?
আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের দাবি, এ সবকিছু মূলত ঘূর্ণাবর্তের কারসাজি। কিন্তু শুধু ঘূর্ণাবর্ত বলেই শেষ করা যায়না,এই আবর্তকে যেতে হয় আরও কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে একটি জলাধার কল্পনা করি, ধরা যাক সেটি বঙ্গোপসাগর। তো এই বঙ্গোপসাগরে যখন কোন একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয় তখন সে ঘূর্ণাবর্তটি ক্রমাগত শক্তি বাড়ায়। কিছুকিছু সময় তা বিস্তৃত হয়ে বায়ুমণ্ডলের অনেক উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। উঁচু ওই ঘূর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগর থেকে ঢোকা জলীয় বাষ্পকে ঠেলে তুলে দেয় অনেক উঁচুতে। জলীয় বাষ্প উঁচুতে উঠে জমে গিয়ে উল্লম্ব মেঘের জন্ম দেয়। সেই উল্লম্ব মেঘই মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পুরু একটি শহরকে ভাসিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। উল্লম্ব মেঘের স্বভাবই হল জলীয় বাষ্প টানতে টানতে যেখানে তা সম্পৃক্ত হয়ে যাবে অর্থাৎ আর জলীয় বাষ্প নিতে পারবে না, সেখানেই ওই মেঘপুঞ্জ ভেঙে যাবে। আর যে অঞ্চলের উপরে তা ভাঙবে, সেই অঞ্চল ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আবহাওয়াবিদেরা বলেছেন, ওই ধরনের উল্লম্ব মেঘ তৈরি হতে গেলে কয়েকটি প্রাকৃতিক পরিবেশ লাগে। সব সময়ে তা থাকে না। তাই সব সময়ে ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ থেকে এ ধরনের উল্লম্ব মেঘ তৈরি হয় না। আর্দ্রতা হঠাত করে অনেকটা বেড়ে গেলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলেই অল্প সময়ের মধ্যে এ রকম জলভরা মেঘ তৈরি হয়। এই সামগ্রিক বিষয়টাকে আবহাওয়াবিদরা মেঘবিস্ফোরণ নামে আখ্যায়িত করেছেন।
পাহাড়ী ভূখণ্ডের সাহায্যে উত্তপ্ত বায়ুস্রোত ঊর্ধ্বমুখে ক্রমবর্ধমান হয় কয়েকটি উপায়ে,
১. জলবাহিত বায়ু উপরে উঠানো দ্বারা,
২. জলবাহিত ভারী বায়ুর পাহাড়ের উতরাই থেকে আরও বেশি আর্দ্রতা শুষে নেয়ার মাধ্যমে,
৩. এবং অত্যধিক বেগসম্পন্ন বাষ্পের পরিচলন প্রক্রিয়ায় প্রবাহিত বায়ু শোষণ করে নেওয়ার মাধ্যমে যা পাহাড়ি বায়ুর স্বাভাবিক ঘনত্ব হ্রাস করে। যার ফলে, একটি ক্রমবর্ধমান মেঘ বিস্ফোরণ পরিস্থিতির সম্ভাবনা থাকে।
বলাবাহুল্য, এই বর্ধিত পরিচলন প্রক্রিয়ার কারণে মরুভূমিতেও ঘটতে পারে মেঘ বিস্ফোরণ।
বৈশিষ্ট্য/ধর্ম
প্রতি ঘণ্টায় যখন বৃষ্টিপাতের হার ১০০ মিলিমিটার বা তার চেয়ে বেশি হয় তখনই একে ক্লাউড বার্স্ট ধরা হয়। তবে, ভিন্নমতও রয়েছে। যেমন সুইডিশ আবহাওয়া সেবা
SMHI মেঘবিস্ফোরণ শব্দটিকে সংশ্লিষ্ট সুইডিশ শব্দ “আকাশপতন” দ্বারা সংজ্ঞায়িত করে বলেছেন,
“ছোট বিস্ফোরণের জন্য প্রতি মিনিটে এক মিলিমিটার এবং প্রতি ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ বৃষ্টিপাত কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়, এটি আকাশপতনের মত ভয়াবহ ঘটনা।”
এ সময়ে ঘনীভূত মেঘের উচ্চতা থাকে ভূমি থেকে মাত্র পনেরো কিলোমিটার বা ৯.৩ মাইল উপরে। একটি মেঘবিস্ফোরনের সময় কয়েক মিনিটের মধ্যে বিশ মিলিমিটারেরও অধিক বৃষ্টি পতিত হয় । মেঘের বিস্ফোরণ ফলাফল সবসময়ই বিপজ্জনক হয়ে থাকে, এমনকি এই মেঘবর্ধন ফ্ল্যাশ বন্যার জন্যও দায়ী হতে পারে।
তেজস্ক্রিয় মেঘ থেকে তপ্ত বৃষ্টিপাত হয় “ল্যাঙমুইর বৃষ্টিপাত প্রক্রিয়ার” কারণে। এ প্রক্রিয়ায় বৃষ্টির বড়কণাগুলো বায়ুরঘূর্ণির সঙ্গে তঞ্চন দ্বারা আরও বড় হয় এবং দ্রুত বৃদ্ধি হতে থাকে এবং ছোট কণাগুলোর সাথে মিশে যেয়ে ধীরগতিতে পতিত হয়। এটা কোন অপরিহার্য বিষয় নয় যে মেঘবিস্ফোরণ কেবল তখনই ঘটবে যখন একটি মেঘের সাথে কোন পর্বত বা কঠিন বস্তুর সংঘর্ষ হবে।
কোন কোন অঞ্চলে ঘটতে পারে?
মেঘবিস্ফোরণ সমভূমিতেও ঘটে, কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের বিস্তৃত ভূখন্ডে ঘটার সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা থাকে । মেঘের বিস্ফোরণের পূর্বে একটি পরিপূর্ণ বা ঘনীভূত মেঘ ঊর্ধ্বগামী অধিক উষ্ণ বায়ুর আন্দোলনের কারণে বৃষ্টি উৎপাদন করতে অক্ষম হয়। বৃষ্টির ফোঁটা নিচে পতিত হওয়ার পরিবর্তে বায়ুর প্রবাহ দ্বারা ঊর্ধ্বগতিসম্পন্ন হয়। নতুন কণা গঠিত হয় এবং বিদ্যমান জলকণা আকারে বড় হতে থাকে। কিছু সময় পরে, জলকণাগুলো এত বেশি ভারী হয়ে যায় যে মেঘের পক্ষে সেগুলো ধরে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এবং তখন জলকণাগুলো একইসঙ্গে দ্রুত নিচে পতিত হয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে হিমালয় অঞ্চলে এমনই একটি মেঘ বিস্ফোরণ হয়েছিল, তখন মৌসুমি বায়ু হিমালয় ঢাল বরাবর ক্রমবর্ধমান হওয়ার সময় আরও ঊর্ধ্বমুখী তীব্র গতির বাষ্প দ্বারা শোষিত হয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি করে যার ফলে বিধ্বংসী বন্যা ও ভূমিধ্বস ঘটেছিল ।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকভাবে সংঘটিত কয়েকটি মেঘ বিস্ফোরনের তালিকা:-
ব্যাপ্তি | বৃষ্টিপাত | অঞ্চল | সাল |
১ মিনিট | ১.৫ ইঞ্চি
(৩৮.১০ মিমি ) |
ব্যাসে-টেরে,গ্যাডেলোপ | ২৬ নভেম্বর,১৯৭০ |
৫.৫ মিনিট | ২.৪৩ ইঞ্চি (৬১.৭২ মিমি) |
পোর্ট বেল,পানামা | ২৯ নভেম্বর,১৯১১ |
১৫ মিনিট | ৭.৮ ইঞ্চি (১৯৮.১২মিমি) |
প্লাম্ব পয়েন্ট,জ্যামাইকা | ১২ মে,১৯১৬ |
২০ মিনিট | ৮.১ ইঞ্চি (২০৫.৭৪ মিমি) |
কার্তে দে আর্গেস,রোমানিয়া | ০৭ জুলাই,১৯৪৭ |
৪০ মিনিট | ৯.২৫ ইঞ্চি (২৩৪.৯৮ মিমি) |
গুইনিয়া,ভার্জিনিয়া,
যুক্তরাজ্য |
২৪আগস্ট,১৯০৬ |
১ ঘন্টা | ৯.৮৪ ইঞ্চি (২৫০ মিমি) |
লেহ্,জম্মু-কাশ্মীর,ভারত | ০৫আগস্ট,২০১০ |
১ ঘন্টা | ৫.৬৭ ইঞ্চি (১৪৪ মিমি) |
পিওন,মহারাস্তা,ভারত | ২৯ মে,২০১০ |
১.৫ ঘন্টা | ৭.১৫ ইঞ্চি (১৮২ মিমি) |
পিথুরাগড়,উত্তরাখন্ড,ভারত | ৪অক্টোবর,২০১০ |
৫ ঘন্টা | ১৫.৩৫ ইঞ্চি (৩৯০ মিমি) |
লা প্লাটা,বুয়েনস এইরেস,আর্জেন্টিনা | ২ এপ্রিল,২০১৩ |
১০ ঘন্টা | ৫৭ ইঞ্চি (১৪৪৮ মিমি) |
মুম্বাই,মহারাস্তা,ভারত | ২৬জুলাই,২০০৫ |
২৪ ঘন্টা | ৫৪ ইঞ্চি (১৩৭২ মিমি) |
পিথুরাগড়,উত্তরাখন্ড,ভারত | ০১ জুলাই,২০১৬ |
১৩ ঘন্টা | ৪৫.০৩ ইঞ্চি (১১৪৪ মিমি) |
ফক-ফক,লা রিইউনিয়ন | ০৮ জানুয়ারি,১৯৬৬ |
২০ ঘন্টা | ৯১.৬৯ ইঞ্চি (২৩২৯ মিমি) |
ডেল্টা পদ্মা,
বাংলাদেশ/ভারত |
০৮ জানুয়ারি,১৯৬৬ |
ক্লাউডবার্স্টের অতীত তথ্যগুলির মধ্যে রয়েছে কিছু ভুলভ্রান্তি, উপরন্তু,- শুধুমাত্র মৃত্যু এবং ধ্বংসগুলোর এমন একটি তালিকা করা হয়েছে যা সঠিকভাবে হিসেব করা হয়নি। কিন্তু এটা খুবই স্পষ্ট যে চরম বৃষ্টিপাতের ঘটনাগুলো গত কয়েক দশক থেকে বেড়েছে। এটা তাই এমন একটি স্বাভাবিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যাতে এখন মনেই করা হয় যে, তাপমাত্রার উঠানামার মতই মেঘবিস্ফোরণের ঘটনার বৃদ্ধিও একটি সাধারণ প্রবণতা ।
মেঘ বিস্ফোরণের প্রভাব
১. ভূখণ্ডে সৃষ্ট প্রভাব:
- বর্জ্যবন্যা
- ভূমিধ্বস
- ভূমিক্ষয়
- জমি গর্ত হয়ে চাষের অনুপযোগী হওয়া
- ফ্ল্যাশ বন্যা, ঘরবাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এবং জমির অভ্যন্তরে গুহা সৃষ্টি হয়ে মানুষের মৃত্যু হওয়া।
- উপরোক্ত ঘটনাগুলো নদীর গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে যা অস্থায়ী বাঁধ তৈরির মাধ্যমে জল আটকে রাখে এবং পানির প্রচণ্ড চাপে এ বাঁধ হঠান ভেঙ্গে যেয়ে আবারও ভয়াবহ পরিণাম ঘটায়।
২. মানবজীবনের উপর প্রভাব:
ভূখণ্ডের উপর সৃষ্ট প্রভাবই মানবজীবনের প্রভাব বলা যায়, কিন্তু সরাসরিভাবেই এই বিস্ফোরণ জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ, বৃষ্টিপাত সাধারণত মানুষের মৃত্যু ঘটায় না, কিন্তু এক্ষেত্রে বৃষ্টিবিন্দু এত বেশি বড় আকারের হয় যে প্রবল বর্ষণের সময় তা মানুষকে আঘাত করতে যথেষ্ট । তাহলে ভেবে দেখুন এরকম কতটুকু আঘাত পেলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে ! এটাই হল ভারী বৃষ্টির ফলাফল, বিশেষ করে পাহাড়ী ভূখণ্ডে মেঘ বিস্ফোরন সবসময় মৃত্যু আর ধ্বংসের কারণ হয়ে থাকে।
পূর্বাভাস
মেঘগুলো বিস্ফোরনের সময় একটি খুব ছোট এলাকায় উপর স্থান নিতে থাকে। এরকম খুব ছোট এলাকার জন্য সাধারণত ডপলার রাডার ব্যাবহার করে পূর্বাভাস করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে মেঘের বিস্ফোরণের প্রায় ছয় ঘণ্টা আগে পূর্বাভাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার কখনও কখনও এমনকি ১২-১৪ ঘণ্টা আগেই খবর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হঠাত মেঘ বিস্ফোরনের আভাস পেলে আপনার করনীয়
এটা নির্ভর করবে আপনি কোন পরিস্থিতিতে আছেন তার উপর। কিন্তু যে পরিস্থিতিতেই থাকুন না কেনো প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে ঠাণ্ডা মাথায় দ্রুত চিন্তা করতে হবে, উঁচু ভবন বা গাছ থেকে দুরে অবস্থান নিতে হবে এবং স্ব সুরক্ষার জন্য কিছু মানুষের একটি দল তৈরি করে বন্ধন গঠনের চেষ্টা করতে হবে।
ভারতীয় উপমহাদেশে মেঘ বিস্ফোরণ
ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণত মেঘবিস্ফোরন হয় বর্ষার শুরুতে। বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরের সমভূমি জুড়ে যখন মেঘ উত্তর দিকে ভেসে বেড়ায়। এবং তারপর
হিমালয়ের উপরে যেয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিস্ফোরিত হয় যা গড়ে প্রতি ঘন্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ঘটায়। এবার দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রেকর্ডকৃত কয়েকটি মেঘ বিস্ফোরন ও ক্ষয়ক্ষতি:-
বাংলাদেশে
১. ২০০৪ এর সেপ্টেম্বরে, ঢাকায় ২৪ ঘন্টায় ৩৪১ মিলিমিটার (১৩.৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ভয়াবহভাবে বন্যা কবলিত হয়েছিল।
২. ২০০৭ সালের ১১ জুন, চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টায় ৪২৫ মিলিমিটার (১৬.৭ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়।
৩. ২৯ জুলাই,২০০৯ সালে ঢাকায় সংঘটিত বিস্ফোরন পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যায়। ২৪ ঘন্টায় ৩৩৩ মিলিমিটার (১৩.১ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়। এর আগে ১৯৫৬ সালের ১৩ জুলাই ৩২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।
ভারতে
১. ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯০৮- মেঘ বিস্ফোরনের ঘটনায় ভারতের মুসি নদীর উচ্চতা একদিনে বেড়ে যায় ৩.৪ মিটার। ফলশ্রুতিতে প্রায় ১৫০০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং ভেসে যায় ৮০০০০ ঘড়বাড়ি।
২. জুলাই, ১৯৭০- এ বিস্ফোরনে ভারতের উত্তরাখন্ডের অলকনন্দা নদীর উচ্চতা ১৫ মিটার বেড়ে যায়। পুরো একটি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় আর বিপর্যস্ত হয় হনুমানচাট্টি থেকে হরিদ্দার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম।
৩. ১৫ আগস্ট,১৯৯৭- হিমাচল প্রদেশের শিমলা জেলার চিরগাঁয়ে সংঘটিত মেঘ বিস্ফোরনে ১৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
৪. ১৫জুন,২০১৩- উত্তরাখন্ডের এ প্রলয়ংকারী মেঘ বিস্ফোরন একদিনে ১০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটায়। ১৫ দিনের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়ে যায়,পানিবন্দী হয় প্রায় ৮৪০০০ মানুষ। ইন্ডিয়ান আর্মি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উদ্ধার তৎপরতা চালায়। ৪০০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় উদ্ধারকার্যে দরকার হয়েছিল ৪৫ টি হেলিকপ্টার।
৫. ০৫ জুলাই,২০১৭- উত্তরাখন্ডের হরিদ্দারে এক ঘন্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কোন প্রানহানী ঘটেনি, এমনকি বড় কোন বিপর্যয় দেখা যায়নি।
পাকিস্তানে
১. ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১- পাকিস্তানের ডিপ্লোতে ২৪ ঘন্টায় ৩১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
২. ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২- অতীতের ১০০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে ১ ঘন্টায় ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় । ভেসে যায় ১৫০ টিরও বেশি ঘরবাড়ি।
৩. ২০ জুলাই,২০১৭- ডোডা জেলার থাট্টি শহরে মেঘ বিস্ফোরনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ৬ জনের প্রানহানী ঘটে।
মেঘ বিস্ফোরণ: প্রাকৃতিক দূর্যোগের নতুন হুমকি – ইতিবৃত্ত
http://www.karate-henndorf.at/index.php/component/k2/item/1-make-that-idea-your-life?start=108700
মেঘ বিস্ফোরণ: প্রাকৃতিক দূর্যোগের নতুন হুমকি – ইতিবৃত্ত
https://inraa.dz/creation-dune-premiere-unite-delevage-privee-de-race-ovine-la-taadmit/
medicine in mexico pharmacies mexican pharmacy mexico pharmacies prescription drugs
http://canadaph24.pro/# is canadian pharmacy legit
onlinepharmaciescanada com: canadian pharmacy ltd – safe canadian pharmacy
zyprexa review
http://canadaph24.pro/# canada pharmacy
coupons for zetia
buy prescription drugs from canada cheap: Prescription Drugs from Canada – www canadianonlinepharmacy
https://mexicoph24.life/# mexican drugstore online
wellbutrin and sinus infections
п»їlegitimate online pharmacies india: best india pharmacy – indian pharmacy paypal
http://indiaph24.store/# Online medicine order
http://canadaph24.pro/# buy canadian drugs
http://canadaph24.pro/# canada drug pharmacy
glucophage 500mg pills – glycomet price purchase precose
zofran after tonsillectomy
http://indiaph24.store/# indian pharmacy paypal