বৃটিশ রাজ পরিবারের ইতিবৃত্ত
রাজা, রাণী, রাজপ্রাসাদ ইত্যাদি শব্দ গুলো শুনলেই মনে ভেসে উঠে রূপকথার গল্প। পরীর মত রাজকন্যা, সাত-সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে আসা রাজকুমার, উজির, নাজির, কোটাল- কি নেই সেই রূপকথায়। কি বৈচিত্র্যময় জীবন তাদের! তবে বাস্তবের রাজা রাণী বা তাদের পরিবারের গল্পও কিন্তু কম বৈচিত্র্যময় নয়। এই যেমন বৃটিশ রাজ পরিবার এর কথাই ভাবা যাকনা। বিভিন্ন দেশে এখনো অনেক রাজ পরিবার থাকলেও সারা বিশ্বের মানুষের আগ্রহের কেন্দবিন্দুতে রয়েছে বৃটিশ রাজ পরিবার। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক রাজ পরিবারের ইতিহাস, উত্তরাধিকারী, তাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ড, রাজ পরিবারের সম্পদ, আয়ের উৎস ইত্যাদি সম্পর্কে—
বৃটিশ রাজ পরিবারের ইতিহাস–
বৃটিশ রাজ পরিবারের রয়েছে দীর্ঘ ও রক্তাক্ত ইতিহাস । রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার নিকট আত্মীয়দের নিয়ে বর্তমান রাজ পরিবার গঠিত। কিন্তু এই বর্তমানের পিছনে রয়েছে সুদীর্ঘ অতীত। মূলত বৃটিশ রাজ পরিবারের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো।
বৃটিশ রাজ এর গোড়াপত্তন–
১০৬৬ খ্রিষ্টাব্দে সর্বশেষ অ্যাংলো-স্যাক্সন শাসক হ্যারল্ড গডউইন্সন কে পরাজিত করার মাধ্যমে উইলিয়াম দ্য কনকারর এর হাতে বৃটিশ রাজ এর সূচনা হয়। ১০৬৬ খ্রীষ্টাব্দে নরম্যান বিজয়ের সময় হ্যারল্ড গডউইন্সন নিহত হয় এবং ইংল্যান্ডে অ্যাংলো-স্যাক্সন শাসনের সমাপ্তি হয়। তারপর একই বছর বড়দিনে ইংল্যান্ডের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে তে উইলিয়াম দ্য কনকারর রাজা ১ম উইলিয়াম নামে রাজ্যাভিষিক্ত হন । উইলিয়াম তখন উইনচেস্টার থেকে লন্ডনে রাজধানী স্থানান্তর করেন।উইলিয়াম ও তার বংশের শাসকরা “হাউস অফ নরমান্ডি” এর অন্তর্ভূক্ত। উইলিয়াম এর পর তার ছেলে দ্বিতীয় উইলিয়াম (রুফুস) রাজা হয় ও তার মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই প্রথম হেনরি ইংল্যান্ডের শাসন ভার তুলে নেন। কিন্তু একটি জাহাজ দূর্ঘটনায় হেনরি’র ছেলে মারা যাওয়ায় তিনি কোনো বৈধ উত্তরসূরি রেখে যেতে পারেন নি। ফলে হেনরি’র মাধ্যমেই ইংল্যান্ডে সরাসরি নরম্যান্ডির রাজাদের শাসন শেষ হয়।
বৃটিশ রাজের অধীনে ইংল্যান্ড , ওয়েলস ও আয়ারল্যান্ড–
হাউস অব নরম্যান্ডির শাসন শেষ হওয়ার আরো কয়েক শত বছর পর “হাউস অব টিউডার” রা ক্ষমতা দখল করে। এই কয়েক শত বছর এর মাঝে ইংল্যান্ড শাসন করে “হাউস অব প্ল্যান্টাজেনেট”, “হাউস অব ল্যাংক্যাস্টার”, ও “হাউজ অব ইয়র্ক” এর শাসক রা। টিউডারদের শাসনকাল শুরু হয় রাজা ৭ম হেনরি’র হাত ধরে। তারপর টিউডার রাজা, কুখ্যাত ৮ম হেনরি’র শাসন আমল থেকেই বৃটিশ রাজার অধীনে আসে প্রায় সমগ্র ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ড, যদিও যুদ্ধরত বিভিন্ন হাউস এর শাসকগন তখনো ছিলো। তাদের মধ্যে স্কটল্যান্ডের ১ম ও ৬ষ্ঠ জেমস ছিলো অন্যতম।৮ম হেনরি’র কুখ্যাত হওয়ার কারণ হচ্ছে তার ছয় বিবাহ।তার ছয় স্ত্রীর অবস্থা মনে রাখার জন্য ওই সময় বাচ্চারা ছন্দে ছন্দে মুখস্ত করে ফেলেছিলো- তালাক, শিরচ্ছেদ, মৃত; তালাক, শিরচ্ছেদ, জীবিত। ১ম স্ত্রীর তালাক কে কেন্দ্র করে ইংল্যান্ড রোমান ক্যাথলিক চার্চ থেকে আলাদা হয়ে যান এবং নিজেকে চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন। হেনরি’র এডওয়ার্ড নামে একটি মাত্র ছেলে এবং মেরি ও এলিজাবেথ নামে দুটি কন্যা ছিলো যারা দুজনেই পরবর্তীতে রাণী ১ম মেরি ও রাণী ১ম এলিজাবেথ নামে ইংল্যান্ড শাসন করেন। রাণি ১ম এলিজাবেথ কখনো বিঁয়ের পিড়িতে বসেন নি। তাই ১৬০৩ সালে ১ম এলিজাবেথ এর মৃত্যুর পর তার কাজিন, স্কটল্যান্ডের রাজা ৬ষ্ঠ জেমস ইংল্যান্ডের রাজা হন।
ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড একত্রীকরণ
স্কটল্যান্ডের ৬ষ্ঠ জেমস ইংল্যান্ডের শাসন ভার গ্রহন করে রাজা ১ম জেমস নাম ধারণ করেন ও ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড কে একত্রিত করে ফেলেন। ১৬০৪ সালে তিনি ‘কিং অব গ্রেট বৃটেন” উপাধি ধারণ করেন। তারপর বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১ম জেমসের প্রপৌত্র ১ম জর্জ এর হাত ধরেই ১৭১৪ সালে “হাউস অব হ্যানোভারিয়ানস”দের যাত্রা শুরু হয় এবং বর্তমান “হাউজ অব উইন্ডসর”দের সরাসরি পুর্ব পূরুষ ছিলো তারা ই। “হাউস অব হ্যানোভারিয়ানস”দের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে রাণী ভিক্টোরিয়া যিনি তার চাচা ৪র্থ উইলিয়াম (নিঃসন্তান) এর নিকট থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে বৃটেনের সিংহাসনে আরোহন করেন।তিনি ছিলেন বর্তমান রাণী ২য় এলিজাবেথ এর পিতামহী। তিনি ১৮০৭-১৯০১ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড শাসন করেন এবং তার সময়ে ইংল্যান্ড সবচেয়ে সমৃদ্ধি লাভ করে। এই সময় বৃটিশ সাম্রাজ্য আকারে প্রায় দ্বিগুন হয়। ১৯০১ সালে তার মৃত্যুর সময় বৃটিশ সাম্রাজ্য উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করে।রাণী ভিক্টোরিয়ার ৯ সন্তান, ৪০ জন নাতি-নাতনী ও ৩৭ জন প্রোপৌত্র-পৌত্রী ছিলো।
হাউস অব উইন্ডসর ও বর্তমান রাজ পরিবার–
রাণী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে ৭ম এডওয়ার্ড রাজা হন যিনি ১৯০১-১৯১০ পর্যন্ত শাসন করেন। এরপর ১৯১০ সালে ৭ম এডওয়ার্ডের ২য় ছেলে ৫ম জর্জ সিংহাসনে আরোহন করেন এবং ১৯১৭ সালে নিজেদের নাম বদলে “হাউস অব উইন্ডসর” রাখেন যা এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে।৫ম জর্জ রাজা হওয়ার কথা ছিলোনা। কিন্তু তার বড় ভাই মারা যাওয়ায় তিনি রাজা হন।তিনি ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তার শাসনামলের শেষ দিকে ওয়ালিস সিম্পসন এর সাথে বড় ছেলে ৮ম এডওয়ার্ডের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বেশ দুঃচিন্তায় ছিলেন।
৮ম এডওয়ার্ড–যিনি প্রেমের জন্য সিংহাসন ত্যাগ করেন!
১৯৩৬ সালের জুন মাসে বাবার মৃত্যুর পর রাজা ৮ম এডওয়ার্ড সিংহাসনে বসেন কিন্তু একই বছর ডিসেম্বরে স্বেচ্ছায় সিংহাসন ত্যাগ করেন। ইনিই সেই ব্যাক্তি যে প্রেমের জন্য রাজ সিংহাসন ত্যাগ করেন। ওয়েলস এর রাজপুত্রদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য তিনি সিংহাসন ত্যাগ করছেন এ কথা কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি। কারন লোকজন ১৯৩৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত ওয়ালিস সিম্পসন সম্পর্কে কিছু জানতই না। ওয়ালিস সিম্পসন ছিলেন একজন ডিভোর্সী আমেরিকান যার দুই জন স্বামী তখনো জীবিত ছিলো। রাজ্যাভিষেকের সময় তার সাথে সাথে ওয়ালিস সিম্পসন কে ও রাণীর মর্যাদা দিতে চেয়েছিলেন ৮ম এডওয়ার্ড যা চার্চের নিকট কোনো ভাবেই গ্রহনযোগ্য ছিলোনা। ফলে তিনি তার ছোট ভাই ৬ষ্ঠ জর্জের কাছে সিংহাসন হস্তান্তর করেন যিনি বর্তমান রাণী ২য় এলিজাবেথ এর বাবা। এরপর ৮ম এডওয়ার্ড “ডিউক অব উইন্ডসর” উপাধি নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন ও ওয়ালিস সিম্পসন কে বিয়ে করে তার বাকি জীবন বিদেশেই কাটান। তাদের কোনো সন্তান ছিলোনা।
রাণী ২য় এলিজাবেথ ও বর্তমান রাজ পরিবার এর সদস্যগণ–
বাবা ৬ষ্ঠ জর্জ এর মৃত্যুর পর ১৯৫২ সালে রাণী ২য় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহন করেন এবং এখনো প্রধান।এছাড়াও তিনি কমনওয়েলথভুক্ত কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিন-আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার ও রাণী। এখনো পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিংহাসনে থাকার রেকর্ড গড়েছেন যার সময়কাল ৬৬ বছর।তিনি তার কাজিন প্রিন্স ফিলিপ কে বিঁয়ে করেন।। বর্তমান বৃটিশ রাজ পরিবারের সদস্য মূলত রাণী ২য় এলিজাবেথ ও তার স্বামী, তাদের চার সন্তান- চার্লস, এ্যান, এন্ড্রু এবং এডওয়ার্ড,তাদের পরিবার ও সন্তানাদি ও রাণির কাজিন রা।
বৃটিশ রাজ পরিবারের পরবর্তী উত্তরাধিকারী–
রানী ২য় এলিজাবেথের পর বৃটিশ সিংহাসনের প্রথম উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স অব ওয়েলস। এরপর দ্বিতীয় উত্তরাধিকারী হিসেবে রয়েছে প্রিন্স চার্লস এর বড় সন্তান প্রিন্স উইলিয়াম, তৃতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের এর বড় সন্তান প্রিন্স জর্জ, চতুর্থ হচ্ছে তাদের দ্বিতীয় সন্তান প্রিন্সেস শার্লট ও পঞ্চম, প্রিন্স লুইস।সিংহাসনের ৬ষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স এখনো পর্যন্ত প্রিন্স হ্যারি। এদের মধ্যে আগের জন মারা গেলে বা কোনো কারণে সিংহাসন ত্যাগ করলে পরের জন সিংহাসনের দাবিদার হবেন।
বৃটিশ রাজ পরিবারের সম্পদ ও আয়ের খতিয়ান
বৃটিশ রাজ পরিবারের সম্পদের পরিমান জানতে জন সাধারনের আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু প্রায় সময়ই লোকজন দ্বিধায় পরে যায় এই ভেবে যে কোনটা রাজ পরিবারের নিজস্ব সম্পত্তি আর কোনটা রাষ্ট্রের। এইসব বিষয় বিবেচনা করে রাজ পরিবারের সম্পদকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করে যায়-
১. রাণীর ব্যক্তিগত সম্পদ-
রাণীর ব্যক্তিগত সম্পদের তালিকায় রয়েছে তার পূর্বপুরুষদের নিকট থেকে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তি যেমন স্যানড্রিংহ্যাম এস্টেট ও স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেস।এছাড়াও রয়েছে রাণীর নিজস্ব বিনিয়োগ ও তার পিতা-মাতার নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি।রাজ প্রাসাদ বা রাজকীয় রত্ন ভান্ডার রাণীর ব্যক্তিগত সম্পদ নয় কারণ এগুলো পরবর্তী প্রজন্মের নিকট হস্তান্তর করতে হবে।
২. রাষ্ট্রীয় সম্পদ-
ক্রাউন এস্টেট নামে অভিহিত এই সম্পত্তি মূলত রাষ্ট্রীয় সকল সম্পদের সমষ্টি। এই সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত সকল আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়। তবে এখান থেকে রাজপরিবারের জন্য একটা অংশ নির্ধারিত থাকে।
৩.ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার যোগ্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ-এই তালিকার অন্তর্ভূক্ত সম্পত্তির মালিক রাষ্ট্র হলেও তা রাণী ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে পারবেন না। এই তালিকায় রয়েছে বাকিংহ্যাম প্যালসে, উইন্ডসর ক্যাসল ও রাজকীয় রত্ন ভান্ডার।(রাণী ও রাজ পরিবারের ব্যক্তিগত গয়না বাদে।)
সুতরাং উপরোক্ত বিষয় থেকে অনুধাবন করা যায় যে, বৃটিশ রাজ পরিবার শুধুমাত্র প্রতীকি ক্ষমতার অধিকারী হলেও তাদের আয়ের উৎস কম নয়। রাণী ও তার উত্তরাধিকারীরা প্রতি বছর বিভিন্ন উৎস থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড আয় করে থাকে। আয়ের উৎস গুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারী কোষাগার থেকে প্রাপ্ত অর্থ, ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে আয় ও ডাচি অব ল্যাংক্যাস্টার ও ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব।
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রাপ্ত আয়
প্রতি দুই বছরে রাণী রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মোট রাষ্ট্রীয় আয়ের ১৫% পেয়ে থাকে। বিবিসি এর মতে, ২০১৭-১৮ তে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে রাণীর প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৪২.৮ মিলিয়ন পাউন্ড। এই অর্থ মূলত ব্যয় হয় রাজকার্য পরিচালনায় নিযুক্ত জনবলের বেতন, সম্পত্তির রক্ষনাবেক্ষন ও ভ্রমন কাজে।
রাণীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে আয়
রাণীর ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ও উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকেও প্রচুর আয় হয়। তবে এই আয়ের পরিমান অজানা এবং এই আয় থেকে তার দাপ্তরিক দায়িত্বের কোনো ব্যয় নির্বাহ করা হয়না।
ডাচি অব ল্যাংক্যাস্টার ও ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব–
ডাচি অব ল্যাংক্যাস্টার থেকেও রাণীর প্রতি বছর প্রায় ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড আয় হয়। এটা রাজ পরিবারের সম্পত্তি হলেও তা বিক্রয়যোগ্য নয়।এই আয় থেকে রাণীর অফিসিয়াল এবং ব্যক্তিগত খরচ নির্বাহ হয় । এছাড়াও রাজ পরিবারের অন্যান্য সদস্য যেমনঃ প্রিন্সেস অ্য্যান, দ্য ডিউক অব ইয়র্ক, আর্ল অব ওয়েসেক্স, যারা রাজকার্যে নিযুক্ত তাদের ভরন-পোষন এই আয় থেকেই হয়।
ডাচি অব ল্যাংক্যাস্টার এর মতই ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে প্রাপ্ত আয় ডিউক অব কর্নওয়াল(প্রিন্স অব ওয়েলস, চার্লস) এর ব্যক্তিগত ব্যয় নির্বাহে ব্যবহৃত হয়। সেই ১৩০০ সাল থেকে বৃটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারীর ব্যর নির্বাহে এই রাজস্ব ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই আয় বর্তমানে প্রিন্স চার্লস এর অফিসিয়াল ও পারিবারিক ব্যয় নির্বাহে ব্যবহৃত হয়। এই আয় থেকেই প্রিন্স চার্লস এর বর্তমান স্ত্রী ক্যামিলা পার্কার, দুই সন্তান প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির ব্যয় নির্বাহ হয়।
এছাড়া প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি তাদের মা প্রিন্সেস ডায়ানার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ও গয়নার উত্তরাধিকারী হিসেবে তাদের ত্রিশতম জন্মদিনে প্রায় ১০ মিলিয়ন পাউন্ড ও মায়ের গয়না, পোষাক, ফটোগ্রাফ ও চিঠি তাদের নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে পেয়েছেন।
where can i buy lamisil – buy generic fluconazole for sale griseofulvin online order
order rybelsus sale – desmopressin us DDAVP usa
[…] যুদ্ধে জয় লাভ করে ইংল্যান্ডে ব্রিটিশ রাজত্বের গোড়াপত্তন করেন নরম্যান্ডি বংশের রাজা উইলিয়াম দ্য […]