ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা ছিলেন কোটি মানুষের হৃদয়ের রাণী। সৌন্দর্যে সে ছিল অতুলনীয়। তার সময়ে প্রিন্সেস ডায়ানা ছিলেন সবচেয়ে বেশিবার ক্যামেরা বন্দি হওয়া ও সবচেয়ে জনপ্রিয় নারী। শুধু মাত্র সৌন্দর্য নয়, মানবসেবায়ও সে ছিল অনন্য সাধারণ। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্যদের মাঝেও ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। তার জীবদ্দশায় সৌন্দর্য ও মানব হিতৈষী কর্মকাণ্ড ছাড়াও প্রিন্স চার্লস এর সাথে তার প্রেম, বিয়ে, পরবর্তীতে প্রিন্স চার্লস এর সাথে বিচ্ছেদ, ক্যামিলা পার্কারের সাথে প্রিন্স চার্লস এর প্রেম ইত্যাদি বিষয়ে সব সময় আলোচনায় ছিলেন। ১৯৮১ সালে প্রিন্স অব ওয়েলস, চার্লস এর সাথে বাগদান থেকে শুরু করে ১৯৯৭ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রিন্সেস ডায়ানা ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় নারী, তার সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় নারী সেলিব্রেটি, ফ্যাশন আইকন এবং নারী সৌন্দর্যের অনন্য উদাহরণ। এমনকি মৃত্যুর ২১ বছর পরে এসেও তার প্রতি মানুষের আগ্রহ ও তার জনপ্রিয়তায় এতোটুকু ভাঁটা পড়েনি। আজও তিনি কোটি মানুষের হৃদয়ে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিরাজমান।
ডায়ানার জন্ম ১৯৬১ সালের ১লা জুলাই ইংল্যান্ডে, সান্দ্রিংহ্যাম এস্টেট এর পার্ক হাউস এ। জন্মের সময় তার নাম রাখা হয় ডায়ানা ফ্রান্সিস স্পেন্সার। তার পিতা, এডওয়ার্ড জন ভিসকাউন্ট অ্যালথর্প ছিলেন ৭ম আর্ল স্পেন্সারের একমাত্র সন্তান আর মা ছিলেন ৪র্থ ব্যারন ফারময় এর কনিষ্ঠ কন্যা ফ্রান্সিস রুথ। ১৯৭৫ সালে তার পিতা আর্ল স্পেন্সার খেতাব অর্জনের পর থেকে সে লেডি ডায়ানা হিসেবে পরিচিতি পায়। শৈশবেই তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং সন্তানদের দায়িত্ব পায় তার বাবা। এর পর তারা পার্ক হাউস ছেড়ে চলে আসেন নর্দাম্পটনে তাদের পূর্ব পুরুষদের পুরনো ঠিকানায়। তার এক বছর পরেই বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু সৎ মায়ের সাথে কোনদিন বনিবনা হয়নি শৈশবে প্রিন্সেস ডায়ানার।
প্রিন্সেস ডায়ানা পড়াশুনা করেন নরফোক এর রিডল্সওর্থ হল এবং ওয়েস্ট হীথ গার্লস স্কুল এ। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনায় প্রিন্সেস ডায়ানা খুব ভালো ছিলেন না। দুই বার ও লেভেল পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারেননি। কিন্তু নাচ, গান আর সাঁতারে তিনি খুব পটু ছিলেন। ছোট থেকেই সে বেলে নাচে তালিম নেয়। কিন্তু অতিরিক্ত লম্বা হওয়ার কারণে তিনি এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে পারেন নি। ডায়ানা তার কর্ম জীবন শুরু করে শিশু পরিচারিকা হিসেবে। এর পর তিনি শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন লন্ডনের একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে। অভিজাত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করা সুন্দরী ডায়ানার জীবন কাটছিল খুব সাদামাঠা ভাবেই। কিন্তু সবকিছু বদলে যেতে শুরু করে প্রিন্স চার্লস এর সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে।
প্রিন্স চার্লস এর সাথে পরিচয় ও বিয়ে:
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সাথে স্পেনসার পরিবারের পরিচয় নতুন কিছু ছিল না। কিন্তু তার পরও প্রিন্সেস ডায়ানার সাথে তার চেয়ে ১৩ বছরের বড় প্রিন্স চার্লস এর তেমন পরিচয় ছিলনা। বরং প্রিন্স চার্লস এর ছোট দুই ভাই প্রিন্স এন্ড্রু এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড এর খেলার সাথী ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। ১৯৭৭ সালে কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চাকরি নেয়ার বছরেই প্রিন্সেস ডায়ানার বড় বোন লেডি সারাহ এর প্রেমিক হিসেবেই ডায়ানার সাথে পরিচয় হয় প্রিন্স চার্লস এর। কিন্তু তাদের পরিচয় ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রণয়ে।
ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস এর প্রেম নিয়ে মিডিয়ায় ছিল ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। প্রিন্সেস ডায়ানার পূর্বেও প্রিন্স চার্লস এর জীবনে অনেক নারীর আনাগোনা ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল ক্যামিলা পার্কার বওয়েলস। ক্যামিলা পার্কারের ব্যাপারে প্রিন্স চার্লস খুব সিরিয়াস ছিলেন। কিন্তু প্রিন্সের গ্রেট-আংকেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন এই বিয়েতে মত দেন নি। এর কারণ হিসেবে শোনা যায় ক্যামিলার বয়স (প্রিন্সের চেয়ে ১৬ মাসের বড়), তার কুমারী না হওয়া এবং তার অভিজাত বংশপরম্পরা না থাকা ইত্যাদি।
যাই হোক, ৩২ বছর বয়স্ক প্রিন্স চার্লস এর উপর বিয়ের জন্য অনেক চাপ ছিল। এছাড়া সম্ভাব্য স্ত্রী হিসেবে যাকে পছন্দ করা হবে তাকে অবশ্যই উচ্চ বংশীয় ও কুমারী হতে হবে এবং তাকে ধর্মীয়ভাবে প্রোটেষ্টান হতে হবে। আশানুরূপভাবে, প্রিন্সেস ডায়ানার মধ্যে উপরোক্ত সকল গুণাবলীই বিদ্যমান ছিল। শোনা যায় যে, প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যামিলা পার্কার এর সাহায্য নিয়েই প্রিন্স চার্লস ১৯ বছর বয়সী ডায়ানাকে সম্ভাব্য স্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করেন। ডায়ানার মধ্যে রাজ পরিবারের বউ হওয়ার সকল গুণাবলী বিদ্যমান থাকায় পরিবারের সম্মতি পেতেও সমস্যা হয়নি। এছাড়া ডায়ানার পরিবার এর সাথে রাজ পরিবারের বহু আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। তারপর, ১৯৮১ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি বাকিংহাম প্যালেস প্রিন্সেস ডায়ানা ও প্রিন্স চার্লস এর বাগদান ঘোষণা করে।
প্রিন্সেস ডায়ানা ও প্রিন্স চার্লস এর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালের ২৯শে জুলাই, লন্ডনের সেইন্ট পলস ক্যাথিড্রাল এ। এই ঐতিহাসিক বিয়েতে ৩৫০০ নিমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন যাদের মধ্যে মিসেস ক্যামিলা পার্কার ও তার স্বামী (রাণী ২য় এলিজাবেথের ধর্মপুত্র ও প্রিন্স চার্লস এর বন্ধু)ও উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ বিলিয়ন লোক উপভোগ করে।
বিয়ের পর লেডি ডায়ানা হয়ে যান “হার রয়্যাল হাইনেস, দ্য প্রিন্সেস অব ওয়েলস” এবং রাজমাতা ও রাণী এলিজাবেথের পর রাজ পরিবারের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মানীয় নারী। নামের পরিবর্তনের সাথে সাথে জীবন ধারণেও আসে পরিবর্তন। রাজ পরিবারের অনেক দায়িত্ব এসে পরে তার উপর। কিন্তু ডায়ানা সব সময় সাধারণ জীবন যাপন করতে চেষ্টা করেন যা অনেক সময় রাজ পরিবারের নিয়ম নীতি ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ইতিমধ্যেই প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানা দুই সন্তানের অভিভাবক হন। ১৯৮২ সালের ২১শে জুন জন্ম গ্রহণ করেন ব্রিটিশ সিংহাসনের দ্বিতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম এবং ১৯৮৪ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করে প্রিন্স হ্যারি।
ব্রিটিশ রাজবধু ও দুই সন্তানের জননী ছাড়াও প্রিন্সেস ডায়ানার আরো একটি স্বতন্ত্র পরিচয় ছিল। সৌন্দর্য আর ফ্যাশন আইকন হিসেবে সকলের মন জয় করা ছাড়াও তিনি ছিলেন মানব সেবার মূর্ত প্রতীক। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে প্রিন্সেস ডায়ানা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে পরেন। স্থল মাইন ব্যবহার ও এইডস বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে তার অবদান ছিল অতুলনীয়। হাই প্রোফাইল সেলিব্রেটি হয়েও মানব সেবায় নিজেকে নিয়ে আসেন একেবারে সাধারণের কাতারে। এইডস বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে তিনি ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন হাসপাতালে, এইডস রোগীদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে তিনি মনুষ্যত্বের এক অনন্য নজির স্থাপন করেন। কারণ ঐ সময় এইডস রোগীদের অস্পৃশ্য মনে করা হতো। প্রিন্সেস ডায়ানা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এসব মানব হিতৈষী কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন।
প্রিন্স চার্লস এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ও বিচ্ছেদ পরবর্তী জীবন:
মূলত নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার দাম্পত্য জীবন ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। শুরুর দিকে বিষয়টি গোপন থাকলেও পরবর্তীতে মিডিয়ার কল্যাণে তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের বরাত দিয়ে দাম্পত্য কলহের জন্য প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানা দুজনেই দুজন কে দোষারোপ করতে থাকে। প্রিন্স চার্লস তার পুরনো প্রেমিকা ক্যামিলা পার্কারের কাছে ফিরে যায় এবং প্রিন্সেস ডায়ানার তার পূর্ব-প্রেমিক জেমস গিলবে এর সাথে একটি টেলিফোন কথনের টেপ-রেকর্ডার ফাঁস হয়। এছাড়া পরবর্তীতে একটি টেলিভিশন সাক্ষাতকারে সে তার রাইডিং ইন্সট্রাক্টর জেমস হেউইট এর সাথেও তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
এসকল কারণে প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার দাম্পত্য জীবন একেবারে দুরূহ হয়ে পরে। সবকিছু মিলিয়ে, ১৯৯২ সালের ৯ই ডিসেম্বর তারা আলাদা থাকার ঘোষণা দেন এবং ১৯৯৬ সালের ২৮শে আগস্ট তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়। বিচ্ছেদের পর প্রিন্সেস ডায়ানা তার “হার রয়্যাল হাইনেস” উপাধি হারায় এবং শুধু প্রিন্সেস অব ওয়েলস হিসেবে পরিচিতি পায়। এছাড়া ডিভোর্সের পরও ডায়ানা অফিসিয়ালি রাজ পরিবারের সদস্য ছিলেন কারণ তিনি ছিলেন রাজ সিংহাসনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স চার্লস এর মা।
প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু:
প্রিন্স চার্লস এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের এক বছর পর ১৯৯৭ সালের ৩১শে আগস্ট প্রিন্সেস ডায়ানা তার প্রেমিক, মিশরীয় ধনকুবের দোদি আল ফায়েদ এর সাথে প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। প্রিন্স চার্লস এর সাথে ডিভোর্সের পর ডায়ানা দোদির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের একান্তে ছুটি কাটানোর ছবি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ফলে প্রিন্সেস ডায়ানা সব সময় গণমাধ্যম আর সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতেন।
দুর্ঘটনার ঐ রাতেও প্যারিসের একটি হোটেল থেকে বের হতেই ফটো সাংবাদিকরা কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে তাদেরকে অনুসরণ করতে থাকে। সাংবাদিকদের কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচতে জোরে গাড়ি চালাতে গিয়েই ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা যাতে গাড়ির চালক ও দোদি সহ প্রিন্সেস ডায়ানা মারা যান। দোদি ও গাড়ি চালক ঘটনা স্থলেই মারা যায়। আর হাসপাতালে নেয়ার পর কয়েক ঘণ্টার লড়াই শেষে ডায়ানাও মারা যান। মৃত্যুর পর ডায়ানার মৃতদেহ ইংল্যান্ডে নিয়ে আসা হয় এবং রাজকীয় মর্যাদায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। সারা বিশ্বের প্রায় বত্রিশ মিলিয়ন মানুষ টেলিভিশনে এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করে। তারপর অ্যালথর্প এর একটি দ্বীপে স্পেনসারদের ব্যক্তিগত একটি সিমেট্রিতে তাকে সমাহিত করা হয়। সারা বিশ্বের মানুষ চোখের জলে তাদের হৃদয়ের রাণীকে বিদায় জানায়। জনগণের নিকট ডায়ানা এতোটাই জনপ্রিয় ছিল যে তার মৃত্যুর পর তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আনা ফুলে অনেক রাস্তাঘাট ফুলের স্তূপে পরিণত হয়।
ডায়ানার মৃত্যু রহস্য:
গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলেও প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্রের গুজব পাওয়া যায়। যদিও দুর্ঘটনার জন্য কয়েকজন ফটোসাংবাদিকদের দায়ী করা হয়, সরকারি তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, গাড়ির চালক অতিরিক্ত মদ্য পান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে দুর্ঘটনা ঘটে।
সরকারি তদন্তের ফলাফল যাই হোকনা কেন, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন রহস্য ও ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায়। ডায়ানার মৃত্যু নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মাঝে রয়েছে যে, ডায়ানা রাজ পরিবারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ফলে রাজ পরিবারের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয় যে, ডায়ানাকে তাড়া করা সাংবাদিক দলের মাঝে একজন গুপ্তচরও ছিল। তার মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে ভাবার আরো একটি কারণ ছিল ডায়ানাকে হাসপাতালে নিতে দেরি করা। দুর্ঘটনার স্থান থেকে হাসপাতালে নিতে সর্বোচ্চ সময় লাগার কথা যেখানে ১১ মিনিট, সেখানে ডায়ানাকে নিতে সময় লেগেছিল ৯৫ মিনিট। এসকল কারণেই অনেকে প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে মনে করেন।
যাই হোক, এসকল ষড়যন্ত্রের কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি। ফ্রান্স সরকারের পরিচালিত অনুসন্ধান কাজেও ষড়যন্ত্রের বিষয়ে কোন তথ্য পায়নি। তবে হত্যা বা দুর্ঘটনা যাই হোক, মানুষের মন থেকে প্রিন্সেস ডায়ানাকে মুছে দিতে পারেনি কিছুই। এখনো তিনি জনতার রাজকন্যা এবং তার জনপ্রিয়তায়ও কোন ভাঁটা পড়েনি।
order semaglutide generic – buy glucovance for sale desmopressin price
buy repaglinide 1mg sale – order repaglinide 1mg generic empagliflozin 25mg canada