অপারেশন ফোকাসঃ আরব ইসরাইল যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়া এক অভাবনীয় পরিকল্পনা!

0

ভোর বেলা। চারিদিকে শত্রু বেষ্টিত ভূমধ্যসাগরের তীর ঘেঁষে নব্য রাষ্ট্রটির বিমান বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে প্রচণ্ড রকম উত্তেজনা। এক যুগ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। এয়ার ক্রুরা শেষ মুহূর্তে চেক করছে তাদের বিমানগুলার অবস্থা। ফুয়েল আর আর্মস দুইটাই লোডেড।

সকাল ৭.১০। মেজর জেনারেল মত্তি-র অপারেশন রুমে পিনপতন নীরবতা শুরু। জেনারেলেরও নিজের জীবনের সবচাইতে কঠিনতম মুহূর্ত শুরু।

কমান্ডারের নির্দেশে একে একে বিমানগুলো তাদের রানওয়ে থেকে আকাশে উড়াল দিল। বিমানগুলোর বৈমানিকরা এই মিশনটির আগে বারবার অনুশীলন করে নিয়েছে। তারা নিজেরাও জানে যে আজ হয়তোবা তার আর তাদের পরিবারের শেষ দিন। কিন্তু আজ তাদের উপর পুরো দেশের অস্তিত্ব জড়িত। তাদেরকে জেনারেল স্বয়ং নিজে ব্রিফিং করে দিয়েছেন “তোমার উইংম্যান যদি আক্রান্তও হয় তবুও তুমি রেডিও সাইলেন্স রাখবে। কোন ভাবেই ভাঙ্গা যাবেনা। পাইলট বেইল আউট করলে তাঁকে সার্চ পার্টি এসে খুঁজে নেবে এর অন্যথায় মৃত্যুদণ্ড” ।

রানওয়েতে বিধ্বস্ত বিমান
রানওয়েতে বিধ্বস্ত বিমান source: http://www.frawsy.com

শত্রু প্রতিবেশীর চোখ আর কানকে ফাঁকি দিতে বিমানগুলো ভূমধ্যসাগরের সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২০~ মিটার উপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসতেছে। শত্রু যাতে বিভ্রান্ত হয় সেজন্যে তারা প্রথমে উত্তর দিকে এগিয়ে এরপরে পশ্চিমে বাঁক নেয়। এগারটা লক্ষ্যবস্তু। যে বিমানগুলোর গতিবেগ আর সামর্থ্য সবচাইতে বেশী তাঁদের পাঠানো হয় সবচাইতে দুরের লক্ষে। ভাগ্য যে আজ বড় বেশী সুপ্রসন্ন।

ওদিকে সকাল ৭.৪৫। প্রতিবেশীর বিমানগুলো রুটিন মাফিক পেট্রোল শেষে ফিরে এসেছে। সবেমাত্র তারা সকালের নাস্তায় বসেছে। খোশ গল্প গুজব চলছে। রানওয়েতে খোলা আকাশের নীচে যে কোন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতই বিমানগুলো সারিসারি করে সাজানো। অথচ বিমানগুলো রাখার কথা যে কোন শক্ত পাকাপোক্ত কংক্রিটের ঘরে।

মেঘের আকাশ ভেদ করে ঝাঁকে ঝাঁকে মিরেজ, মিস্টার বিমানগুলো নেমে আসছে।

বুম !!!! কানফাটানো আওয়াজ। শকওয়েভে মাটি দালান কোঠা সব কাঁপছে। চারিদিকে আগুন আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী। ৫ জুন ১৯৬৭।  আজ কোন মহড়া না। আজ স্বয়ং নরক মিশরের বুকে নেমে এসেছে।

কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই শেষ। মিশরের বিমানবাহিনীর মেরুদণ্ড শেষ।

ধ্বংসপ্রাপ্ত মিগ-২১
ধ্বংসপ্রাপ্ত মিগ-২১ source: www.khaleejtimes.com/

ফ্ল্যাশ ব্যাক

১৯১৭, নভেম্বর ২। মধ্যপ্রাচ্যের বুকে কলম দিয়ে সই করে ছুরি বসালেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার বেলফোর। ইহুদিরা খুশি। উত্তেজিত। তাদের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার জন্যে তাদের যে দেশের দরকার ছিল তা তারা কাগজে কলমে পেয়ে যায়। কিন্তু কাগজে পাওয়া এক জিনিস আর নতুন জায়গায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে লড়ে টিকে থাকা আর এক জিনিস।

১৯৩৯–১৯৪৫। হাজার হাজার ইহুদী উদ্বাস্তু। ইউরোপ তখন শ্মশান। তারা নিজেরাই নিজেদের গুছায় উঠার জন্যে ব্যস্ত। মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর বুদ্ধিমান খেলোয়াড়রা চিন্তা করেন সারা বিশ্বের মুসলিম জাহানের নেতৃত্বের জায়গা এই মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল রাখলে পুরো মুসলিম জাহানই কখনও একত্রিত হতে পারবেনা। শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু–খেলোয়াড়রা চিন্তা করে দেখলেন হাজার হাজার ইহুদী শরণার্থীদের বোঝা ইউরোপের ঘাড়ে না রেখে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি করা হোক। সংঘাত, অস্ত্র ব্যবসা আর আগুন কোনটাই নিভবে না। যা আমরা ১০০ বছর পরে ২০১৮ তেও দেখতে পাচ্ছি।

পটভূমি

১৯৫৬ সালে Suez Crisis এর পরেই ইসরাইল তার ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের নিরাপত্তার আসল অবস্থা বুঝতে পারে। ভু-রাজনৈতিক আর সামরিক দুটো কারনেই ইসরাইল এর সামনে তিনটা Strategic Point চলে আসে। সিরিয়ার সাথে গোলান হাইটস, জর্ডানের সাথে ওয়েস্ট ব্যাংক আর মিশরের সাথে সিনাই উপত্যকা। ইসরাইলের যদি তাদের ইলিয়াত বন্দর দিয়ে লোহিত সাগরে প্রবেশ করতে চায় তাহলেও তাকে Tiran Straight এরও দখল রাখতে হবে। এত কেবল কৌশলগত চিন্তা ভাবনা। আরব দেশগুলো যে আয়তনে আর সৈন্য সংখ্যার দিক থেকেও এগিয়ে।

৫ জুন,১৯৬৭ সালের পূর্বে
৫ জুন,১৯৬৭ সালের পূর্বে Source: adst.org

চারিদিকে শত্রু বেষ্টিত ইসরাইল এটুকু বুঝে গেছিল যে বাইরের বড় ভাইয়ের আশায় বসে থাকলে চলবে না। যা করার তা তাদের মাথা খাটায়ে করতে হবে।

তৎকালীন আরব বিশ্বের নেতারা ক্ষমতা নেয়ার পর জনগণের support নেয়ার জন্যে মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করে আর এজন্যেই তারা আরব জাতীয়তাবাদ আর ধর্মীয় চেতনা কাজে লাগায়। তারা ক্রমশ ইসরাইলের উপর হুমকি দিতে থাকে। ইসরাইলকে ভালোভাবে না চিনে আরব নেতৃবৃন্দ যৌথ আক্রমণের চিন্তা করতে থাকে আর এর মাঝে কে আরব বিশ্বের নেতা হবে এই ভাবনায় থাকে যা ইসরাইলের জন্যে শাপে বর হয়ে আসে।

সামরিক প্রস্তুতি

২য় বিশ্ব যুদ্ধের জাপানের পার্ল হারবার আক্রমণ আর জার্মানির সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে আক্রমণ ছিল Preemptive Strike অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্তুতি নিয়ে শত্রু টের পাওয়ার আগেই আচমকা আক্রমণ। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বাতাসের পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির  কারণে ইসরাইল এই আক্রমণ পদ্ধতিই বেছে নেয়।

ইসরাইল তাদের মোসাদ আর আমানকে ছড়িয়ে দেয় আরবের মাঝে। এত নিপুণভাবে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে যে মধ্যপ্রাচ্যের কোথায় সৈন্য সমাবেশ হচ্ছে, কোথায় সমর প্রস্তুতি চলছে, কোন ঘাটিতে কয়টা বিমান আছে, কখন কোথায় বিমানগুলো Routine Patrol করে তারা জানতে থাকে।

১ম বিশ্ব যুদ্ধের পরেই যুদ্ধক্ষেত্রে বিমান বাহিনীর গুরুত্ব বাড়তে থাকে। আকাশ যার দখলে যুদ্ধের ফলাফলও তার দিকে। ইসরাইলেরও বুঝতে অসুবিধা হয়না। ফ্রান্সের সাথে সুসম্পর্ক থাকার কারণে তারা পেয়ে যায় অত্যাধুনিক মিরেজ বিমান।

ইসরাইলের সমরবিদরা তার চারপাশের প্রতিবেশীর সাথে আসন্ন যুদ্ধে প্রথমেই আরব ফাইটার আর বম্বার বিমানগুলো ধ্বংসের কথা চিন্তা করে। এতে এতটাই তারা মননিবেশ করে যে এই পরিকল্পনার নামই দেয়া হয় “Operation Focus”. সেই জন্যে তারা এই প্ল্যানের বেশ কিছু খুঁটিনাটি নিয়েও ভাবতে শুরু করে।

IAF Commender Motti Hod
IAF Commender Motti Hod.
Source: alchetron.com

IAF Commender Motti Hod এর ভাষায় “A Fighter Jet is the deadliest weapon in existence – in the sky. But on the ground it is utterly defenseless.”

আর যে কোন বিমানবাহিনী প্রায়শই দুটো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় যা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দুর্বলতা ধরা হয়।

১. যখন বিমানঘাঁটিতে বিমানগুলো রানওয়ের পাশে খোলা আকাশের নিচে সারিবদ্ধ ভাবে থাকে Take Off  করা জন্যে।

২. আর যখন দীর্ঘ সময় ধরে বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকে।

বিমান আর বিমান বাহিনীর এসব দিক লক্ষ্য রেখে প্রাথমিকভাবে তারা প্রথমেই বিমানের উপর বোমা ফেলার সিদ্ধান্ত না নিয়ে প্রথমে রানওয়ে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে তারা টার্গেট হিসাবে রানওয়ে জংশনের উপর বোমা ফেলার মহড়া চালায় কিন্তু গবেষণা আর মহড়া কালীন ফলাফলে দেখা যায় কাজটা ভাবা যত সোজা করা তত সহজ না কারণ তখনকার দিনে এখনকার মতন Precision guided Bomb, Laser Guided Bomb ছিলনা যে দূর থেকে target select করে মারা যাবে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত একটু এদিক ওদিক করে তারা যতটা সম্ভব সবগুলো রানওয়ে ক্ষতি করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এরপরেই ভূমিতে অবস্থানরত বিমানের উপর বোমা ফেলবে এবং এতে বারবার যাতে শত্রুর উপর এসে আক্রমণ করা যায়।

ফ্রান্সের সাথে তারা যৌথভাবে তৈরি করে বিশেষভাবে নির্মিত Anti-Runway Bomb. যেগুলো বিমান থেকে নিক্ষেপের পরে রানওয়ের উপর পড়ে বিস্ফোরিত না হয়ে  প্রথমেই এরা নিজের কাইনেটিক এনার্জিকে কাজে লাগিয়ে রানওয়ের অনেক ভিতরে ঢুকে পড়বে। এরপরে ফিউজ ডেটনেট করবে অর্থাৎ অনেক চওড়া আর গভীর গর্ত করে বিস্ফোরিত হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত রানওয়ে দ্রুত ঠিক করা একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ে।

মিরেজ-৩ বিমানের বোমা বর্ষণ
মিরেজ-৩ বিমানের বোমা বর্ষণ
Source: http://www.tailsthroughtime.com

হিসাব খুব সোজা। প্রতিটা বিমান ঘাঁটিতে ২-৩ টা রানওয়ে থাকে। বড় বিমান ঘাঁটিতে  আরও বেশ কয়েকটা রানওয়ে থাকে। কিন্তু যদি একটা বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে এক স্কোয়াড্রন বিমান পাঠানো হয় আর প্রতিটাতে যদি একটি করে ১৮০ পাউন্ড ওজনের Anti-Runway Bomb থাকে তাহলে গড় প্রতি প্রতিটা রানওয়েতে তিন চারটা বড় গর্ত সৃষ্টি হবে। আর এরপরে রানওয়ের পাশে Sitting Duck বিমানগুলো ইচ্ছে মতন ভোজন করা যাবে আর তা গুলি করে হোক আর বোম ফেলে হোক।

আক্রমণের সময় নির্ধারণ করা হয় সকালের দিকে কারণ ৭.৩০ এর পরে আরবীয় ঘাঁটিগুলোতে একটু ঢিলেঢালা চলে। পাইলটরা এসময় নাস্তার টেবিলে থাকে।

এবার আসা যাক বিমানগুলো কোন পথ দিয়ে যাবে। মিশরের SAM Battery আর Anti-Aircraft Gun গুলো সিনাই উপত্যকামুখী কারণ ভূমধ্যসাগরের উপর দিয়ে উড়ে এসে মিশরের উত্তর দিক দিয়ে ইসরাইল যে আক্রমণ করতে পারে তা মিশরের সামরিক হর্তা-কর্তারা ভাবেননি অথবা ইসরাইলের বিমানবাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতির কথা জানতেন না। এ জন্যে ইসরাইলী পাইলটরা ভূমধ্যসাগর এর উপর দিয়ে বেশ কিছুটা ঘুরে মাটির অনেক কাছ দিয়ে উড়ে আসে যাতে রাডার এর পর্দায় অস্বাভাবিক কিছু ধরা না পড়ে। এসবই সম্ভব হয়েছে শুধু ক্রমাগত অনুশীলন আর সমন্বয়ের কারণে যা অনুপস্থিত ছিল আরব বাহিনীর মধ্যে।

ইসরাইলী বিমান হামলার ছক
ইসরাইলী বিমান হামলার ছক
Source:
news.bbc.co.uk

৫ জুনের পূর্বে তৎকালীন আরবে মিশরের বিমানবাহিনী ছিল শ্রেষ্ঠ। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা যায় তাদের হাতে তখন ছিল সোভিয়েত নির্মিত Latest Mig-21 আর মিগের তুলনা সে নিজেই। ইসরাইল অভিমুখী এল আরিশ, জাবাল লিবনি, বির গিফগাফা, বির আল-থামাদা, সুয়েজ, কিব্রিত, ফাইদ, ইসমাইলিয়া, আবু সুইয়ের, আল মান্সুরাহ, কায়রো, বেনি সুএফ, হেলওয়ান আর আল মিনায়া কে প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু হিসাবে Select করা হয়। আর মিশর থেকে পুনরায় ইসরাইলের বিমানঘাঁটিতে ফিরে অস্ত্র আর ফুয়েল নিয়ে পুনরায় Take Off  করার সময় ধরা হয় ৮-১০ মিনিট। অবিশ্বাস্য মনে হলেও যুদ্ধের সময় অনেক কিছুই অনেক দ্রুত করতে হয়।

৫ জুন, ১৯৬৭

মে-জুন মাসে ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। নাসের ঘোষণা করেন “As of today, there no longer exists an international emergency force to protect Israel… The sole method we shall apply against Israel is total war, which will result in the extermination of Zionist existence”

অবশেষে  ইসরায়েল সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে  Israel Air force সকাল ৭.৪৫ থেকে  ৮ টার মাঝে আক্রমণ করে । পরপর তিন দফা আক্রমণ চলে। প্রথম দুটো আক্রমণ চলে একপেশে ভাবে শুধু মিশরের বিরুদ্ধে। আর এরপরেরটা চলে জর্ডান সিরিয়া আর ইরাকের বিরুদ্ধে।

দুর্ভাগা মিশর এবং তার নীতি নির্ধারকদের কিছু ভুল

১৯৬৬ সালে এক ইরাকি পাইলট তার Mig-21 নিয়ে ইসরাইলে পালিয়ে যায়। ইসরাইলিরা এটা খুলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে Mig-21 এর সবলতা দুর্বলতা জেনে যায়। যার কারণে যদি ডগ ফাইটও হয় তাহলে কি করতে হবে ইসরাইলি পাইলটরা জানত।

মিশরের ফিল্ড মার্শাল হাকিম আর তাঁর অফিসাররা যখন সিনাই যান তখন তিনি Anti-Aircraft Gun গুলোকে নিজের নিরাপত্তার জন্যে Silent থাকতে বলেন।

মিশরের বিমান ঘাঁটি-গুলোতে শত্রুর বিমান হামলা থেকে বিমানের নিরাপত্তার জন্যে শক্ত পুরু কংক্রিট নির্মিত বাংকার আর হেঙ্গার ছিলনা।

আর সবচাইতে বড় যেটা তা হল মিশর আগের দিন সন্ধ্যায় জর্ডানকে না জানিয়ে নিজেদের “Code Word” পরিবর্তন করে। পরের দিন সকালে জর্ডানের রাডারে  ইসরাইলের বিমান বাহিনীর অস্বাভাবিক উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারা সাথে সাথে মিশরকে জানাতে গিয়ে Code word mismatch এর কারণে ব্যার্থ হয়।

মিশরীয় বিমানঘাঁটি দখলের পর ইসরাইলের সৈন্য
মিশরীয় বিমানঘাঁটি দখলের পর ইসরাইলের সৈন্য Source: www.haaretz.com

ফলাফল

প্রথম আক্রমণের পরেই মিশরের বিমান বাহিনীর আক্রমণাত্মক আর বম্বার বিমানগুলো ধ্বংস হয়। এরপরে যা অবশিষ্ট থাকে দ্বিতীয় আক্রমণেই শেষ। এর সাথে তারা মিশরের Anti-Aircraft Gun, SAM Battery, Radar, Communicational Link ধ্বংস করে আর এরই সাথে শেষ হয় প্রেসিডেন্ট নাসেরের বাগাড়ম্বর। ছয়দিনের যুদ্ধের প্রথম দিনেই বিমানবাহিনী শেষ হওয়ার পরে ইসরাইল তার Army Launch করে। বাকি ৫ টা দিন শুধু পিঠ প্রদর্শন করেই মিশর জর্ডান সিরিয়ার সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে। ইসরাইল দখল করে অকল্পনীয় এলাকা যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা বদলে দেয়।

Leave A Reply
sativa was turned on.mrleaked.net www.omgbeeg.com

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More